বিষয়বস্তুতে চলুন

শিক্ষক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Teacher
পেনডেম্বু, সিয়েরা লিওন-এর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে একজন শিক্ষক
পেশা
নামTeacher, educator, schoolteacher
পেশার ধরন
পেশা
প্রায়োগিক ক্ষেত্র
শিক্ষা
বিবরণ
যোগ্যতাশিক্ষাতত্ত্ব, বিষয় জ্ঞান; বিষয় শেখানোর দক্ষতা, পাঠ্যক্রম, শিক্ষার্থীর মূল্যায়নে; মনোবিজ্ঞান; পরিকল্পনা; নেতৃত্ব।[১]
শিক্ষাগত যোগ্যতা
(দেশভেদে পরিবর্তিত হয়) শিক্ষণ শংসাপত্র
কর্মক্ষেত্র
বিদ্যালয়
সম্পর্কিত পেশা
পেশা, অ্যাকাডেমি, lecturer, tutor

শিক্ষক হলেন যাঁরা শিক্ষাদানের মহান ব্রত পালন করেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদানের কাজে নিয়োজিতদেরই শিক্ষক বলা হয়। তবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকতার কাজে যারা আছেন তাদেরকে শিক্ষক বলা হয় আর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধ্যাপক বলা হয়ে থাকে। শিক্ষকদের জাতি গঠনের কারিগর বলা হয়। কেননা একজন আদর্শ শিক্ষকই পারেন তার অনুসারী দের জ্ঞান ও ন্যায় দীক্ষা দিতে। শিক্ষার্থীর মানবতাবোধ কে জাগ্রত করে একজন শিক্ষক কেবল পাঠদান কে সার্থকই করে তোলেন না, পাশাপাশি দেশের উন্নয়নকে ত্বরাণ্বিত করেন। স্বীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন।

দায়িত্ব ও কার্যাবলী

[সম্পাদনা]

একজন শিক্ষকের ভূমিকা সংস্কৃতির মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।

শিক্ষকরা সাক্ষরতা এবং সংখ্যা, কারুশিল্প বা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, কলা, ধর্ম, নাগরিক বিজ্ঞান, সম্প্রদায়ের ভূমিকা বা জীবন দক্ষতার নির্দেশনা প্রদান করতে পারেন।

আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদানের কাজগুলির মধ্যে রয়েছে সম্মত পাঠ্যক্রম অনুসারে পাঠ প্রস্তুত করা, পাঠ প্রদান করা এবং শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা।

একজন শিক্ষকের পেশাগত দায়িত্ব আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও প্রসারিত হতে পারে। শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষকরা মাঠ ভ্রমণে শিক্ষার্থীদের সাথে যেতে পারেন, স্টাডি হলের তত্ত্বাবধান করতে পারেন, স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করতে পারেন এবং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপের জন্য সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতে পারেন। ছাত্রদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার আইনগত দায়িত্বও রয়েছে, যেমন যেগুলি হয়রানি,যৌন হয়রানি, বর্ণবাদ বা অপব্যবহারের ফলে হতে পারে। কিছু শিক্ষাব্যবস্থায়, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলার জন্য দায়ী হতে পারে।

শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও গুণাবলী

[সম্পাদনা]

শিক্ষণ একটি অত্যন্ত জটিল কার্যকলাপ। এটি আংশিকভাবে কারণ শিক্ষা একটি সামাজিক অনুশীলন, যা একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে (সময়, স্থান, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ইত্যাদি) সঞ্চালিত হয় এবং সেই কারণে সেই নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটের মূল্যবোধ দ্বারা গঠিত হয়। শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত (বা প্রয়োজনীয়) যা প্রভাবিত করে তার মধ্যে রয়েছে ইতিহাস এবং ঐতিহ্য, শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, শেখার বিষয়ে গৃহীত তত্ত্ব ইত্যাদি।

শিক্ষক সমিতি

[সম্পাদনা]

শিক্ষক সমিতি প্রকৃতপক্ষে শিক্ষকদের সংগঠন যারা শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ, কর্তব্য বিষয়ে সচেতন করে, ছাত্র-ছাত্রীদের কি পদ্ধতিতে বিজ্ঞানসম্মতভাবে শিক্ষাদান করা যায় সে বিষয়ে সুপারিশ করে। আবার নিজেদের বেতনক্রম বা অন্য সুযোগ সুবিধা যাতে পাওয়া যায় সেজন্য আন্দোলনও করে। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার ক্ষেত্রে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার ক্ষেত্রে এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের কর্মপদ্ধতি বিশ্বব্যাপী দেখা যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সব শিক্ষক সমিতি শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি, নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি, পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Williamson McDiarmid, G. & Clevenger-Bright M. (2008), 'Rethinking Teacher Capacity', in Cochran-Smith, M., Feiman-Nemser, S. & Mc Intyre, D. (Eds.): Handbook of Research on Teacher Education. Enduring questions in changing contexts. New York/Abingdon: Routledge/Taylor & Francis.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]