সালদা নদী
সালদা নদী | |
দেশসমূহ | বাংলাদেশ, ভারত |
---|---|
অঞ্চল | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলাসমূহ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, কুমিল্লা জেলা |
উৎস | বিজয় নদী |
মোহনা | বুড়ি নদী |
দৈর্ঘ্য | ২৩ কিলোমিটার (১৪ মাইল) |
সালদা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী।[১] নদীটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার একটি নদী। এটি ভারতে বিজয় নদ বা নদী নামে পরিচিত। সালদা নদীটির দৈর্ঘ্য ২৩ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩৭ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক সালদা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী নং ২১।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]সালদা নদীর বালি অনেক মান সম্মত হওয়ায় বহু আগে থেকেই এই বালির চাহিদা ছিলো দেশব্যাপী। ব্রিটিশ আমলে বহু সরকারি স্থাপনা তৈরিতে এই নদীর বালি ব্যবহার হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে। প্রসঙ্গত, ১৮৯৬ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির অধীনে লাকসাম - আখাউড়া রেলপথ স্থাপিত হয়। তখন এই সেকশনের স্টেশনসমূহও প্রতিষ্ঠা পায়। তখন সালদা নদীর উপর এই রেলওয়ে সেতুটি নির্মিত হয়, যার নম্বর ২৬১। এই নদীর নামানুসারে জনপদ ও নদী তীরবর্তী একটি ডি ক্লাস রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করা হয়। সালদানদী রেলওয়ে স্টেশন স্থাপনের উদ্দেশ্যও ছিলো নদীকেন্দ্রিক। মূলত ট্রেনে করে নদীর বালি পরিবহনের জন্যই এই স্টেশন স্থাপন করা হয়। ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত ট্রেনে করে বালি পরিবহন করা হয়। পরবর্তীতে চাহিদা কমে আসায় বালি পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।
উৎপত্তি ও প্রবাহ
[সম্পাদনা]ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার বড়মুড়া পাহাড়ি অঞ্চল থেকে বিজয় নদ বা নদী উৎপত্তি লাভ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রবেশ করার পর সালদা নাম ধারণ করে পশ্চিম দিক বরাবর সালদানদী রেলওয়ে স্টেশনের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকুট ইউনিয়নের নিকট এসে বুড়ি নদীতে পতিত হয়েছে।[৩]
অন্যান্য তথ্য
[সম্পাদনা]সালদা নদীর একটি শাখা নদী হচ্ছে বিজনী নদী। এই নদী রেলওয়ে সেতুর এলাকায় প্রস্থ ৩০ মিটার এবং গভীরতা ৩.৫ মিটার। সালদা নদীর অববাহিকার আয়তন ২২১ বর্গকিলোমিটার।[৩]
নদীটি দ্বারা দক্ষিণ-পূর্বাংশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার সীমানাও নির্ধারিত হয়েছে। দক্ষিণ তীরে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা এবং উত্তর তীরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা। ভৌগলিকভাবে ভারতীয় অংশ অনেকটা উজানে তথা উঁচুতে হওয়ায় এই নদীটি ব্যবহারে ভারতীয়রা বেশি সুবিধাভোগ করে। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে অতিবৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তখন নিজেদেরকে রক্ষা করতে স্লুইস গেট খুলে পানির প্রবাহ বাংলাদেশের দিকে ছেড়ে দেয়। ঐসময়ে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলো পানিতে ডুবে যায়। এমনকি ঘরের ভিতরেও পানি চলে আসে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "আন্তঃসীমান্ত_নদী"। বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী"। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৩১১। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ ক খ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩৪৭।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |