হোসেন্দী ইউনিয়ন, পাকুন্দিয়া

স্থানাঙ্ক: ২৪°১৯′৫৫″ উত্তর ৯০°৪০′৫৯″ পূর্ব / ২৪.৩৩১৯৪° উত্তর ৯০.৬৮৩০৬° পূর্ব / 24.33194; 90.68306
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হোসেন্দী
ইউনিয়ন
হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ
হোসেন্দী ঢাকা বিভাগ-এ অবস্থিত
হোসেন্দী
হোসেন্দী
হোসেন্দী বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
হোসেন্দী
হোসেন্দী
বাংলাদেশে হোসেন্দী ইউনিয়ন, পাকুন্দিয়ার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৯′৫৫″ উত্তর ৯০°৪০′৫৯″ পূর্ব / ২৪.৩৩১৯৪° উত্তর ৯০.৬৮৩০৬° পূর্ব / 24.33194; 90.68306 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাকিশোরগঞ্জ জেলা
উপজেলাপাকুন্দিয়া উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

হোসেন্দী ইউনিয়ন বাংলদেশের ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন[১][২]

অবস্থান ও সীমানা[সম্পাদনা]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

আয়তন ও জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

শিক্ষার হার :

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান


দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

১.বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ মোজাম্মেলুর রহমান। উনি ১৯৭১ সালে বিভিন্ন যুদ্ধে বীরত্বের সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। উনি ছিলেন পাকুন্দিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের প্রথম কমান্ডার। উনি উনার ব্যক্তিত্বের জন্য অনেক মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। উনি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সরকারি অনেক বড় বড় পদে নিয়োগের সুযোগ ত্যাগ করে নিজ এলাকার মানুষের শিক্ষার কথা চিন্তা করে নিজের এলাকাতেই থেকে গেছেন এবং হোসেন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ে উনি শিক্ষকতা করেছেন৷ উনার চাকরি ত্যাগের বিষয়ে সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো, উনাকে আর্মিতে যোগ দেওয়ার জন্যে মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ কয়েকবার চিঠি দিয়েছিলেন। তাই উনার(শফিউল্লাহ সাহেবের) সম্মানার্থে উনার সাথে দেখা করতে গিয়ে স্যার(মুজাম স্যার) শফিউল্লাহ সাহেবকে বললেন "আমি এমন হাজার হাজার অফিসার তৈরী করবো আমার এলাকায়। আমার এলাকার মানুষের শিক্ষার মান ভালো করার লক্ষ্যে আমি কাজ করবো।" তারপর মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ সাহেব উনাকে উনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আর্মিতে যোগ দিতে বললেন। স্যার তখন চলে আসছিলেন। এমন সময় আর্মির কিছু সৈনিক স্যারকে গেইটেও বাধা দিলো। এবং দ্বিতীয় বার মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ সাহেবের কক্ষে উনাকে নিয়ে যাওয়া হলো। তাও উনি একই কথা বললেন। তিনি বললেন "আমার মতো যুদ্ধকালীন কমান্ডারের অধীনে যারা যুদ্ধ করেছে, এমন মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই আর্মিতে যুদ্ধের পরপরই যোগ দিয়েছে। যারা আমার আগে যুগ দিয়েছে তারা আমার সিনিয়র হয়ে গেছে। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালীন কমান্ডার আমি। আমি আর্মিতে যোগ দিলে তাদের স্যালুট দিতে হবে। কিন্তু আমি যদি শিক্ষকতা পেশায় থাকি। এমন অনেক আর্মি অফিসার আমার ছাত্রদের মধ্যে তৈরী হবে, অনেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি বড় কর্মকর্তা তৈরী হবে যারা আমাকে স্যালুট দিবে। আমার জন্যে এর থেকে গর্বের আর কিছু হবেনা। আমাকে আমার পেশায় থাকতে দিন। আমি যেন হাজার হাজার ছেলে মেয়েদের অফিসার বানানোর কাজ করতে পারি। দোয়া করবেন আমার জন্য।"

২. খান বাহাদুর ইসমাঈল, উনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ(তৎকালিন মোমেনশাহী) এর প্রথম মুসলিম গ্রেজুয়েট। এবং বৃহিত্তর ময়মনসিংহের জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। মুসলিমদের জন্য উনি ছিলেন একজন আদর্শ ব্যাক্তি, অনুকরণীয়, অনুসরণীয়। উনি ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের গর্ব। উনার উপাধি ছিলো "মুকুটহীন সম্রাট"। কারণ হিসেবে বলা হয়, শিক্ষা দিক্ষা এবং রাজনীতিতে উনার অনেক অবদান থাকার পরো উনি কখনো মন্ত্রী হতে পারেননি। উনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন শের-ই-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক। শের-ই-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক একবার খান বাহাদুর ইসমাইলের দাওয়াতে হোসেন্দীতে সফর করেন। সফরকালে উনি হোসেন্দী মুন্সিবাড়ি (খান বাহাদুর ইসমাইলের বাড়ি) তে তিন রাত থাকেন। তখন ইসমাইল সাহেবের অনুরোধে হক সাহেব একটা স্কুলের অনুমোদন দিতে রাজি হন। ইসমাঈল সাহেবের প্রতি হক সাহেবের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে হোসেন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের অনুমোদন হয়। হোসেন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন নথিতেও শের-ই-বাংলা এ.কে ফজলুল হক সাহেবের সেই ঐতিহাসিক সফরের কিছু ক্ষুদ্র মুহূর্ত নথিবদ্ধ করা রয়েছে। খান বাহাদুর ইসমাইল সাহেবের এই পদক্ষেপের জন্য ১৯৩৯ সালে হোসেন্দীর বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো হোসেন্দী উচ্চ বিদ্যালয়।

জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]

বর্তমান চেয়ারম্যান-

চেয়ারম্যানগণের তালিকা
ক্রমিক নামঃমরহুম ইমদাদুল হক কিরণ মেয়াদ
০১- বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ হাদিউল ইসলাম হাদি
০২
০৩
০৪
০৫
০৬
০৭

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "হোসেন্দী ইউনিয়ন"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ২৬ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২০ 
  2. "পাকুন্দিয়া উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ১ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২০