বাঞ্ছারামপুর উপজেলা
বাঞ্ছারামপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৬′৩১″ উত্তর ৯০°৪৮′৪২″ পূর্ব / ২৩.৭৭৫২৮° উত্তর ৯০.৮১১৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ১৮৭.৩১ বর্গকিমি (৭২.৩২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৯৮,৪৩০ |
• জনঘনত্ব | ১,৬০০/বর্গকিমি (৪,১০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৮.৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১২ ০৪ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আয়তন ১৮৭.৩১ বর্গ কিলোমিটার (৪৬,২৮৫ একর)।[১] এ উপজেলার উত্তরে নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর উপজেলা, দক্ষিণে তিতাস নদী ও কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলা, পূর্বে নবীনগর উপজেলা ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা, পশ্চিমে মেঘনা নদী, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা ও নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর উপজেলা।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯১২ সালে এখানে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপিত হয় এবং ১৯২০ সালে ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ থানায় এবং পরবর্তীতে ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা।
নামকরণ[সম্পাদনা]
জনশ্রুতি আছে, ঢাকার তৎকালীন জমিদার রূপলাল বাবুর একজন বিশ্বস্ত রায়ত বাঞ্ছারাম দাস বর্তমান উপজেলা সদরে বাস করতেন। তার আচার-ব্যবহার এবং কাজকর্মের বিশ্বস্ততা ও আনুগত্যের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তার নামে এই অঞ্চলের নামকরণ করা হয় বাঞ্ছারামপুর।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম বাঞ্ছারামপুর থানার আওতাধীন।
- ১নং তেজখালী
- ২নং পাহাড়িয়াকান্দি
- ৩নং দরিয়াদৌলত
- ৪নং সোনারামপুর
- ৫নং দড়িকান্দি
- ৬নং ছয়ফুল্লাকান্দি
- ৭নং বাঞ্ছারামপুর
- ৮নং আইয়ুবপুর
- ৯নং ফরদাবাদ
- ১০নং রূপসদী
- ১১নং ছলিমাবাদ
- ১২নং উজানচর
- ১৩নং মানিকপুর
জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৯৮,৪৩০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৩৯,১১৮ জন এবং মহিলা ১,৫৯,৩১২ জন। মোট পরিবার ৫৯,৬৯৯টি।[১] জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১,৫৯৩ জন।[২]
শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ ইং সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাক্ষরতার হার ১১৮.৫%।[৩] এখানে রয়েছেঃ
- প্রাথমিক বিদ্যালয় - ১১৯টি;
- কলেজ / মহাবিদ্যালয় - ৭টি;
- উচ্চ বিদ্যালয় - ২১টি;
- মাদ্রাসা - ৮টি।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
- বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ (১৯৭৩),
- শাহ - রাহাত আলী কলেজ (১৯৯৫),
- সুজন দুলু কলেজ(২০০৬)
- ড. রওশন আলম কলেজ
- ক্যাপ্টেন তাজুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ
- নজরুল ইসলাম কলেজ
- বাঞ্ছারামপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (১৯৮০),
- বাঞ্ছারামপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
- কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিস্টিউট,
- রূপসদী খোদাই বাড়ি আলিয়া মাদ্রাসা,
- রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়(১৯১৫),
- রূপসদী জামিদা মুনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়
- উজানচর কে এন উচ্চ বিদ্যালয়,
- দরিয়াদৌলত আঃ গণি উচ্চ বিদ্যালয়(১৯৪৯),
- ধারিয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৭),
- বাঞ্ছারামপুর এস এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৮),
- শাহ - রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩),
- বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইল উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭০),
- বাঞ্ছারামপুর আইডিয়াল টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (২০০৬),
- বাঞ্ছারামপুর সোবহানিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা (১৯৮১),
- রাধানগর কালিকাপুর রাহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা (১৯৯৩)।
স্বাস্থ্য[সম্পাদনা]
স্বাস্থ্য সেবাদানের জন্য রয়েছে:
- উপজেলা স্থাস্থ্য কেন্দ্র - ১টি;
- জন্ম নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র - ১৩টি;
- ক্লিনিক - টি;
- স্যাটেলাইট ক্লিনিক - ৫২টি;
- পশু চিকিৎসা কেন্দ্র - ১টি;
- দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র - টি;
- কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র - ১টি।
কৃষি[সম্পাদনা]
এখানকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষক।
- প্রধান ফসলঃ ধান, গম, বিভিন্ন ধরনের সবজি।
- লুপ্ত বা লুপ্ত প্রায় শস্যাদিঃ কাউন, আউশ ও আমন ধান, পাট ও আড়হর ডাল।
- প্রধান ফলঃ কলা, কাঁঠাল, আম, জাম, পেঁপে, পেয়ারা, কুল ও তরমুজ।
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
- কুটির শিল্প - মৃৎ শিল্প, সূচী-শিল্প।
- রপ্তানী পণ্য - শাক-সব্জী।
যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
- সড়ক পথঃ ভাঙা গড়া ;
- নৌ- পথঃ নটিক্যাল মাইল;
- রেল পথঃ কিলোমিটার।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া –– পুরাতাত্ত্বিক এবং গবেষক।
- এ বি তাজুল ইসলাম - সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী –– রাজনীতিবিদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা।
- আব্দুল খালেক (রাজনীতিবিদ)
- শাহজাহান হাওলাদার সুজন:রাজনীতিবিদ।
- এ. টি. এম. ওয়ালী আশরাফ:-রাজনীতিবিদ।
- ডলি জহুর , অভিনেত্রী।
উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা[সম্পাদনা]
- রূপসদী জমিদার বাড়ি
- উজানচড় জমিদার বাড়ি
- কাটাখালি রাস্তা/কফিশপ
- নাসরীন নিকুঞ্জ
- বৃদ্ধাশ্রম রোড
- শহিদ স্বরণী (চকবাজার মাঠ)
- বেদে আবাসস্থল (ফায়ারসার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন)
- রূপসী রাজবাড়ি মন্দির
- কান্দু শাহ্ এর মাজার
- রাহাত আলী শাহ্ এর মাজার
- সাতবিলা বিল
- ওয়াই(Y)ব্রীজ
বিবিধ[সম্পাদনা]
- এনজিও
ব্রাক, আশা, গ্রামীণ ব্যাংক সক্রিয় এনজিওদের মধ্যে অন্যতম।
- হাট-বাজার ও মেলা
- জীনগঞ্জ বাজার
- বাঞ্ছারামপুর হাট (প্রতি রবিবার)
- সোনারামপুর বাজার
- মরিচাকান্দি বাজার
- দরিয়াদৌলত বাজার
- পাহাড়িয়াকান্দি বাজার
- রূপসদী বাজার
- মাছিমনগর বাজার
- উজানচর বাজার
- ধারিয়ার চর বাজার
- করিতলা বাজার
- শেখেরকান্দি বাজার
- ফরদাবাদ শান্তির বাজার (প্রতি সোমবার)
জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৪] | সংসদ সদস্য[৫][৬][৭][৮][৯] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৪৮ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ | বাঞ্ছারামপুর উপজেলা | এ বি তাজুল ইসলাম | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "ইউনিয়ন পরিসংখ্যান সংক্রান্ত জাতীয় তথ্য" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য উপাত্ত" (পিডিএফ)। web.archive.org। Wayback Machine। Archived from the original on ১৩ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;উপজেলার পপরিসংখ্যান
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (পিডিএফ)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।