ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৭′১০″ উত্তর ৯১°৭′০″ পূর্ব / ২৩.৯৫২৭৮° উত্তর ৯১.১১৬৬৭° পূর্ব / 23.95278; 91.11667
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
শাওন63 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৫১ নং লাইন: ১৫১ নং লাইন:


ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মিষ্টান্নের মধ্যে [[ছানামুখী]] অন্যতম , যা দেশের অন্য কোনো অঞ্চলে তেমন প্রচলন নেই। এছাড়া ও তালের রস দিয়ে তৈরি আরেকটি মিষ্টান্ন [[তালের বড়া]] বেশ প্রসিদ্ধ ।
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মিষ্টান্নের মধ্যে [[ছানামুখী]] অন্যতম , যা দেশের অন্য কোনো অঞ্চলে তেমন প্রচলন নেই। এছাড়া ও তালের রস দিয়ে তৈরি আরেকটি মিষ্টান্ন [[তালের বড়া]] বেশ প্রসিদ্ধ ।


==রাজাকার ==


== আরও দেখুন ==
== আরও দেখুন ==

১৮:১৬, ১৯ মে ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৭′১০″ উত্তর ৯১°৭′০″ পূর্ব / ২৩.৯৫২৭৮° উত্তর ৯১.১১৬৬৭° পূর্ব / 23.95278; 91.11667 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৩৪০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
২০ ১২
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

অবস্থান ও আয়তন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়তন ১৯২৭.১১ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে হবিগঞ্জকিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে কুমিল্লা জেলা, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ জেলার অবস্থান।

প্রশাসনিক বিন্যাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৯টি উপজেলায় বিভক্ত; এগুলো হলোঃ

ইতিহাস

১৯৮৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্তরে উন্নীত হয়। তার আগে এটি কুমিল্লা জেলার একটি মহকুমা ছিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অবদান অনেক। আবদুল কুদ্দুস মাখনের মত ব্যক্তিরা এখানে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেন।

বাংলাদেশের পূর্ব-মধ্য জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সেই সাথে চট্টগ্রামের সর্ব উত্তরের জেলা। এক সময় এই জেলা বাংলাদেশের সমতট জনপদের একটি অংশ ছিল। ঈসা খাঁ বাংলায় প্রথম এবং অস্থায়ী রাজধানী স্থাপন করেন সরাইলে। কুমিল্লার তিনটি সাব-ডিভিশন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সৃষ্টি হয় ১৮৬০ সালের বৃটিশ আইনে। ১৮৬৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। মুঘল আমলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মসলিন কাপড় তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল।

১৯২১ সালে সমগ্র মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সৈয়দ শামসুল হুদা (১৮৬২-১৯২২) এবং ব্যারিষ্টার আবদুর রসুল (১৮৭৪-১৯১৭) ছিলেন কংগ্রেস তথা ভারতবর্ষের প্রথম সারির একজন নেতা। উল্লাসকর দত্ত (১৮৮৫-১৯৬৫), সুনীতি চৌধুরী, শান্তি ঘোষ, গোপাল দেবের মত অনেক ত্যাগী ও মহান নেতাদের জন্ম দিয়েছে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল আখাউড়ায় শহীদ হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরণ নিয়ে একাধিক মত প্রচলিত আছে। লোকমুখে শোনা যায় যে সেন বংশের রাজত্ব্যকালে এই অঞ্চলে অভিজাত ব্রাহ্মণকুলের বড়ই অভাব ছিল। যার ফলে এ অঞ্চলে পূজা অর্চনার জন্য বিঘ্নতর সৃষ্টি হতো। এ সমস্যা নিরসনের জন্য সেন বংশের শেষ রাজা রাজা লক্ষণ সেন আদিসুর কন্যকুঞ্জ থেকে কয়েকটি ব্রাহ্মণ পরিবারকে এ অঞ্চলে নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে কিছু ব্রাহ্মণ পরিবার শহরের মৌলভী পাড়ায় বাড়ী তৈরী করে। সেই ব্রাহ্মণদের বাড়ির অবস্থানের কারণে এ জেলার নামকরণ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া হয় বলে অনেকে বিশ্বাস করেন। অন্য একটি মতানুসারে দিল্লী থেকে আগত ইসলাম ধর্ম প্রচারক শাহ সুফী হযরত কাজী মাহমুদ শাহ এ শহর থেকে উল্লেখিত ব্রাহ্মণ পরিবার সমূহকে বেরিয়ে যাবার নির্দেশ প্রদান করেন , যা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে মনে করা হয়।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

শিক্ষা

এখানকার উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছেঃ

অর্থনীতি

ব্রাহ্মনবাড়িয়ার প্রধান আয়ের উৎস হল তিতাস গ্যাস, যা বাংলাদেশের বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্যাসফিল্ড, দ্বিতীয় হল কৃষি, এই জেলায় অনেক জায়গায় বছরে তিন বারও ফসল ফলানো হয়, তবে অর্থনৈতিক ভাবে বেশি অবদান রাখে প্রবাসি রেমিটেন্স, সৌদি আরব,মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক জনশক্তি আছে এই জেলার । আখাউড়া,কসবা এলাকায় অনেক কৃষক বিভিন্ন ফলফলাদি যেমন লিচু, পেয়ারা, কাঁঠাল, আখ চাষ করে অনেক অর্থ উপার্জন করে । এই জেলার অন্যতম এক অর্থনীতির চাকা হল , আশুগঞ্জ থানার লালপুর গ্রামে তিতাস নদীর পাড়ে অনেক জেলে মাছ ধরে চ্যাপাশুটকি করে বাংলাদেশের অনেক চাহিদা পুরন করেও বিদেশে রপ্তানি করে থাকে ।

চিত্তাকর্ষক স্থানসমূহ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহ হল -

  • জামেয়া ইউনূছিয়া (বড় মাদ্রাসা)
  • সরাইল জামে মসজিদ (১৬৬২)
  • কালভৈরব মূর্তি (১৯০০ শতাব্দী, উচ্চতা ২৮ ফুট)
  • ভৈরব রেলওয়ে সেতু
  • বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু
  • কাইতলা জমিদার বাড়ী (নবীনগর)
  • আরিফাইল মসজিদ (সরাইল)
  • কেল্লা শহীদের মাজার (১৮০০ শতাব্দী, খরমপুর)
  • উলচাপাড়া জামে মসজিদ (১৬০০ শতাব্দী)
  • ভাদুঘর শাহী জামে মসজিদ (১৬৬৩ খ্রীষ্টাব্দ)
  • সৈয়দ কাজী মাহমুদ শাহ মাজার (১৬০০ শতাব্দী, কাজীপাড়া)
  • আখাউড়া স্থলবন্দর
  • তিতাস গ্যাসক্ষেত্র
  • আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র
  • হাতিরপুল ও ওয়াপদা রেস্ট হাউস (শাহবাজপুর, সরাইল)
  • অদ্বৈত মল্লবর্মনের বাড়ি (গোকর্ণ ঘাট)
  • জিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (আশুগঞ্জ)
  • আর্কাইভ জাদুঘর (কসবা)
  • অবকাশ (সদর)
  • বাসুদেব মূর্তি (সরাইল)
  • হরিপুরের জমিদার বাড়ি
  • কৈলাঘর দূর্গ (কসবা), কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ (কসবা)
  • বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের কবর (আখাউড়া),
  • সৌধ হিরন্ময়
  • শহীদ মিনার
  • তোফায়েল আজম মনুমেন্ট
  • শহীদ স্মৃতিসৌধ
  • মঈনপুর মসজিদ (কসবা)
  • বাঁশী হাতে শিবমূর্তি (নবীনগর)
  • আনন্দময়ী কালীমূর্তি (সরাইল)
  • লোকনাথ দীঘি

বিখ্যাত খাবার

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মিষ্টান্নের মধ্যে ছানামুখী অন্যতম , যা দেশের অন্য কোনো অঞ্চলে তেমন প্রচলন নেই। এছাড়া ও তালের রস দিয়ে তৈরি আরেকটি মিষ্টান্ন তালের বড়া বেশ প্রসিদ্ধ ।


রাজাকার

আরও দেখুন

তথ্যসুত্র

  1. http://nabinagar.brahmanbaria.gov.bd/node/1372263/
  2. http://bn.banglapedia.org/index.php?title=হুদা,_নওয়াব_সৈয়দ_শামসুল
  3. http://nasirnagar.brahmanbaria.gov.bd/node/578453/এক-নজরে-নাসিরনগর-উপজেলা
  4. http://www.jugantor.com/old/current-news/2015/06/23/283263
  5. http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2012-08-24/news/283264
  6. http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-01-09/news/319795
  7. শতদল সরাইল: (সূচীপত্র সিরিয়াল নং-০৭)। লেখক: লুতফর রহমান, শাহবাজপুর অতীত ও বর্তমান। ২০১২। পৃষ্ঠা ৩২। 
  8. ধর্ম মন্ত্রণালয়, জাতীয় মসজিদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম, ঢাকা-১০০০,(২০০৯খ্রি:চলমান),: জাতীয় মসজিদ''-).
  9. ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মনোনীত, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বায়তুল মোকাররম, ঢাকা-১০০০,(সুত্র নং-১৭৮৩/ইফাঃ সং/৫/৯৯/৩৯৫(২০): ২০১০ খ্রি),:সুত্র নং-১৮৩৫/ইফাঃসং/১/৯৭/ জাতীয় ঈদগাহেপ্রধান জামাআতের অনুমদিত তালিকা-তাং-০৮/০৯/২০১০খ্রি).

বহিঃসংযোগ