বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থা
শিক্ষামন্ত্রালয়
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ

বিধান রঞ্জন রায়
জাতীয় শিক্ষা বাজেট (২০২১)
বাজেট৭১ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা[]
সাধারণ বিবরণ
মাতৃভাষাবাংলা, ইংরেজি
ব্যবস্থার ধরণজাতীয়
বাধ্যতামূলক শিক্ষা
প্রতিষ্ঠিত
৪ নভেম্বর ১৯৭২
স্বাক্ষরতা (২০১৯[])
মোট৭৮.৭০%
পুরুষ৮০.৭০%
মহিলা৭৮.৯০%
তালিকাভুক্তি
মোট২৩,৯০৭,১৫১
প্রাথমিক১৬,২৩০,০০০
মাধ্যমিক৭,৪০০,০০০
মাধ্যমিক পরবর্তী২৭৭,১৫১
লব্ধি
মাধ্যমিক ডিপ্লোমা৩৩৫,৪৫৪
মাধ্যমিক-পরবর্তী ডিপ্লোমা৮৬,৯৮৪

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়।[] প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রক স্থানীয় পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলির জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে।[] অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকল নাগরিকের জন্য বাংলাদেশে শিক্ষা বাধ্যতামূলক।[] প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা রাজ্য দ্বারা অর্থায়িত হয় এবং সরকারী বিদ্যালয়গুলিতে বিনামূল্যে।[]

বাংলাদেশ জাতিসংঘের সকলের জন্য শিক্ষা (ইএফএ) লক্ষ্যের সাথে পুরোপুরি একমত।[] এবং মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি)।[] পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষা - সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক ঘোষণাগুলি। এখন বাংলাদেশ সরকার সেই পাঠ্যক্রমের সারিবদ্ধকরণের প্রবণতা দেখায় যা " এসডিজি -৪ " অর্থাৎ " গুণগত শিক্ষা " - এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা " টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ৪ " এর সনদে চিহ্নিত করা হয়েছে।”[] বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে সমস্ত শিশু বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষা পাবে।[১০]

মানবাধিকার পরিমাপ উদ্যোগ (এইচআরএমআই) দেখায় যে , দেশের আয়ের স্তরের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার অধিকারের জন্য যা পূরণ করা উচিত তার মাত্র ৮২.৫% পূরণ করছে বাংলাদেশ।[১১] এইচ. আর. এম. আই প্রাথমিক শিক্ষা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা উভয়ের অধিকারের দিকে নজর দিয়ে শিক্ষার অধিকারকে ভেঙে দেয় । বাংলাদেশের আয়ের স্তরের কথা বিবেচনা করলে , দেশটি তার সম্পদের ভিত্তিতে যা সম্ভব তার ৮৮.৮% অর্জন করছে (প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আয় কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য মাত্র ৭৬.৩%)।[১১] আবার বাজেট বরাদ্দ এতটাই অপর্যাপ্ত যে , নিম্নলিখিত সূত্রটি পুনরায় উল্লেখ করেছে , " মোট বাজেট ৬৭৮,০৬৪ কোটি টাকার মধ্যে (FY23 - এর জন্য আনুমানিক ৬২.৬ বিলিয়ন ডলার) শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ৮১,৪৪৯ কোটি টাকা (FY22 - এর ১১.৯ শতাংশের তুলনায় আনুমানিক ৭.৫ বিলিয়ন ডলার বা মোট ১২ শতাংশ)।[১২] বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে । যেহেতু শিক্ষা একটি অপরিহার্য মানবাধিকার , তাই প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য এর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য নিবেদিত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে । আগামী দশকের দিকে তাকিয়ে এটা কল্পনা করা যায় যে বাংলাদেশ ১০০ শতাংশ পূর্ণ সাক্ষরতার হার অর্জন করবে।[১৩]

বাংলাদেশে একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ভর্তির হার ৯৮ শতাংশ এর মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলিতে শিশুদের প্রায় সর্বজনীন তালিকাভুক্তির বিষয়টি স্পষ্ট। উপরন্তু , ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মহিলা স্কুলে অংশগ্রহণকারীদের পদে যোগ দিচ্ছেন পরবর্তীকালে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছেন এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতের সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন।[১৪] সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সরকার দেশে মহিলাদের শিক্ষার অবস্থার উন্নতির জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে।[১৫][১৬]

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থানীয় পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত বিদ্যালয়ের নীতি বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বশীল। বাংলাদেশে সকল নাগরিককে অবশ্যই দশ বছরেরর মধ্যে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে যা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্তরে পাঁচ বছর এবং উচ্চ বিদ্যালয় স্তরে পাঁচ বছর। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা রাষ্ট্র দ্বারা অর্থায়ন করা হয় এবং সরকারি বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হয়।

সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০২১ সালে নতুন নীতিমালা প্রনয়ণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডঃ দীপু মনি, সমসাময়িক সময়ে করোনা মহামারীর কারণে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনার বিষয়ের উপর 'সময়' মূল্যায়ন, কিছু বিষয়ের উপর বার্ষিক মূল্যায়ন। মোট নম্বরের ৬০ শতাংশ নাম্বার মূল্যায়ন হবে শ্রেণি কক্ষে এবং ৪০ শতাংশ নাম্বার মূল্যায়ন হবে বার্ষিক পরীক্ষায়। এই শিক্ষাক্রমে নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাগ থাকবে না। একাদশ শ্রেণি থেকে বিভাগ নির্ধারণ হবে। প্রাথমিক এর প্রথম শেনতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি ও মাধ্যমিক এ ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২০২২ সালে পাইলটিং ক্লাস হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রাথমিক এ প্রথম ও দ্বিতীয় এবং মাধ্যমিক এ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে শুরু হবে। ২০২৪ সালে প্রাথমিক এ তৃতীয়, চতুর্থ মাধ্যমিক এ অষ্টম ও নবম শ্রেণি এবং ২০২৫ সালে প্রাথমিক এ পঞ্চম মাধ্যমিক দশম শ্রেণিতে নতুন সিলেবাসে নতুন শিক্ষাক্রম কার্যকর করা হবে। ডিগ্রি পর্যায়ের সাধারণ শিক্ষা, প্রকৌশল, কৃষি, ব্যবসায় শিক্ষাকে উচ্চ মাধ্যমিক অনুসরণ করা হয়। সাধারণ শিক্ষায় উচ্চ মাধ্যমিকে অনুসৃত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা পাস/অনার্স ডিগ্রি কোর্স (৪ বছর) দিয়ে শুরু হয়। মাস্টার্স কোর্স ডিগ্রী অনার্স ডিগ্রী প্রাপ্তদের জন্য ০১ বছর এবং ডিগ্রি পাস শিক্ষার্থীদের জন্য ০২ বছর।

এছাড়া কারিগরি শিক্ষা

  • প্রকৌশল শিক্ষা মাধ্যমিক এর পর উচ্চশিক্ষার জন্য ডিপ ইন ইঞ্জিনিয়ারিং + বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিইন্জি (৮ থেকে ৯ বছরে) গ্ৰেজুয়েশন সম্পূর্ণ করতে হয়।
  • মেডিকেল শিক্ষা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এর পর উচ্চশিক্ষার জন্য এমবিবিএস (৫ থেকে ৬ বছর) গ্ৰেজুয়েশন সম্পূর্ণ করতে হয়।

ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ এ ইসলামী শিক্ষা সাধারণত মসজিদ ও মাদ্রাসা ভিত্তিক হয়ে থাকে। মাদ্রাসার প্রাথমিক স্তর মক্তব, নূরানি বা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে অভিহিত। ফোরকানিয়া শব্দের মূল ফুরকান যার অর্থ বিশিষ্ট। মিথ্যা থেকে সত্যকে সুস্পষ্টভাবে পৃথক করে বলে পবিত্র কুরআন-এর আরেক নাম আল ফুরকান। প্রাথমিক স্তরের যেসব মাদ্রাসায় কুরআন পাঠ ও আবৃত্তি শেখানো হয় সেগুলিকে বলা হয় দর্‌সে কুরআন। সাধারণত স্থানীয় কোন মসজিদেই আশেপাশের পরিবারের ছোটদের প্রাথমিক পর্যায়ের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনরাই সাধারণত এর শিক্ষক বা উস্তাদ হন।

মাদ্রাসার ধরন

[সম্পাদনা]

ইংরেজী শিক্ষা ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

ইংরেজী একটি বিদেশি ভাষা হলেও এটি বাংলাদেশের দাপ্তরিক ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত। ইংরেজি ভাষার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের জন্য প্রাথমিক হতে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত ইংরেজি ভাষায় ইংরেজি বিষয় হিসেবে পাঠ্যবই ও সাহিত্যপাঠ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বাংলাদেশে ইংরেজী মাধ্যম বা ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা প্রধানত দুই ধরনের। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ইংরেজী মাধ্যম শিক্ষাব্যবস্থা, যা বাংলা মাধ্যম শিক্ষাব্যবস্থার ইংরেজী রূপ এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রণিত শিক্ষাব্যবস্থা। উক্ত বেসরকারি সংস্থার প্রণিত শিক্ষাব্যবস্থাসমূহের মধ্যে কেমব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন উল্লেখযোগ্য।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংক্ষেপে এইচ.এস.সি বা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট নামে পরিচিত। এস.এস.সি (সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট) এর পরবর্তী উচ্চ শিক্ষা ব্যাবস্থা। একাদশ এবং দ্বাদশ এই দুই শ্রেণী ইন্টারমিডিয়েট বা উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে বিবেচিত। এই ক্লাসগুলোকে বলা হচ্ছে ইন্টারমিডিয়েট এডুকেশন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মেয়াদ দুই শিক্ষাবর্ষ। এই কলেজে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার মত ৩টি বিভাগ রয়েছে। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ। মাধ্যমিক এর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ উচ্চ মাধ্যমিক এ বিজ্ঞান বিভাগ গ্রহণ করতে পারে না। বিজ্ঞান বিভাগ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এ মানবিক বিভাগ নিয়ে অধ্যয়ন করতে পারে। মাধ্যমিক এ যারা মানবিক বিভাগ নিয়ে পাশ করে উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক বিভাগ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।

উচ্চ মাধ্যমিক এর বিষয় ভিত্তিক সিলেবাসের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ের উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিভাগ ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষদে স্নাতক করার সুযোগ পায়।

উচ্চ মাধ্যমিক এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরীক্ষার্থীগণ (চার বছর) স্নাতক (অনার্স) অথবা ৩ (তিন) বছর মেয়াদী পাস কোর্স বা ডিগ্রী করতে পারে স্নাতক যারা পড়ে তারা পরবর্তীতে ১ (এক) বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) করতে পারে এবং যারা ৩ বছর মেয়াদী পাস কোর্স করে তাদের ২ বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) করতে হয়।

পলিটেকনিক / ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট

[সম্পাদনা]

পলিটেকনিক হচ্ছে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্ৰি অফার করে থাকে। শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলে নূন্যতম মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক টেকনিক্যাল বা (বিজ্ঞান) বিভাগ থেকে উত্তিন্ন হতে হবে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্ৰিতে (১৫৫ থেকে ১৬৫ ক্রেডিট) শেষ করতে সময় লাগে ৪ বছর (৮ সেমিস্টার)। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে চাইলে দেশ সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেডিট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ৩ বছরে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পূর্ণ করা যায়। পলিটেকনিক সাধারণ ২ ধরনের হয়ে থাকে। যথা:-

  • সরকারি পলিটেকনিক (৪৯)
  • বেসরকারি পলিটেকনিক (৩৪৫)

বিশ্ববিদ্যালয়

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে সাধারণত তিন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় দেখা যায়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়।

  • সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (৫৪)
  • বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (১০১)
  • আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (৩)

গণ শিক্ষা

[সম্পাদনা]

প্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষা

[সম্পাদনা]

গণসাক্ষরতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্য নিয়ে দেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষা প্রচলিত আছে।

সরকারি প্রণোদনা

[সম্পাদনা]

রাষ্ট্রীয় তহবিল ও প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট থেকে প্রতিবছর উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষায় সকল শিক্ষার্থীদের মাসিক হিসেবে ৩মাস/৬মাস পর পর একটি নির্দিষ্ট পরিমান অ্যামাউন্ট নগদ(টাকা লেনদেনের ডিজিটাল মাধ্যম) এ পাঠানো হয়।

মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ও উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। মাধ্যমিক স্তরে ৬ মাস পরপর টাকা বিকাশ, রকেট এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়। হাতের মুঠোয় ফোন টাকা হাতেই চলে আসে।

উচ্চ মাধ্যমিক এ বছরে ৫ হাজারের মতো করে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।

ডিগ্রিতেও উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট থেকে প্রতিবছর প্রণোদনা দেওয়া হয়।

বেসরকারি সংস্থাসমূহের অবদান

[সম্পাদনা]

বর্তমানে সারাদেশে অসংখ্য সুবিধাবঞ্চিতদের স্কুল সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাক্ষরতা অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন যা দেশের শিক্ষার হার বর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এর মধ্যে বিজয় ফাউন্ডেশন, জাগো ফাউন্ডেশন, মজার ইশকুল, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, রোজেনবার্গ ফাউন্ডেশন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ড দেশের তিন স্তরবিশিষ্ট শিক্ষা ব্যবস্থার প্রাথমিক স্তর এবং মাধ্যমিক স্তর পরিচালনার জন্যে গঠিত জেলাভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড। উক্ত বোর্ডসমূহ ৬ বছর মেয়াদি প্রাথমিক, ৭ বছর মেয়াদি মাধ্যমিক (এর মধ্যে ৩ বছর মেয়াদী জুনিয়র, ২ বছর মেয়াদি মাধ্যমিক) এবং ২ বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ এই বোর্ডসমূহের তত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়।

জেলাভিত্তিক শিক্ষা বোর্ড
শিক্ষা বোর্ড স্থাপিত অর্ন্তভুক্ত জেলা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা ৭ মে ১৯২১ ঢাকা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী ১৯৬২ রাজশাহী
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা ১৯৬২ কুমিল্লা
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর ১৯৬২ যশোর
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম ১৯৯৫ চট্টগ্রাম
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল ১৯৯৯ বরিশাল
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট ১৯৯৯ সিলেট
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর ২০০৬ দিনাজপুর
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ ২০১৭ ময়মনসিংহ

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন

[সম্পাদনা]

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার মাধ্যমে যার নাম বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন

পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনা

[সম্পাদনা]

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল পাঠ্যপুস্তক বাংলাদেশ স্কুল টেক্সটবুক বোর্ড নামীয় একটি সরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রণীত, সম্পাদিত, মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। সরকার ২০০৩ সাল থেকে সীমিত পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম প্রবর্তন করে। বছর বছর এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়। ২০১৩ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা সম্ভব হয়। ২০১৩ সালের নতুন শিক্ষাবছর শুরুর আগেই ৩ কোটি পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে পৌঁছে দেয়া হয়।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. রশীদ, মামুনুর (২০২১-০৬-০৬)। "শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়েনি, কমেছে"The Daily Star Bangla (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৭-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-১৪ 
  2. "Bangladesh education"UNESCO। ৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২১ 
  3. "Education in Bangladesh"WENR (ইংরেজি ভাষায়)। ১ আগস্ট ২০১৯। ২ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২৩ 
  4. "Primary education to be up to class VIII"Prothom Alo। ১৮ মে ২০১৬। ১০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০২৩ 
  5. "Education in Bangladesh"WENR (ইংরেজি ভাষায়)। ১ আগস্ট ২০১৯। ২ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২৩ 
  6. R, M. (২২ মার্চ ২০১৫)। "Educational System in Bangladesh"MediaBangladesh.net | Most useful informative website in the World (ইংরেজি ভাষায়)। ১ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০২৩ 
  7. Bangladesh: Education for All 2015 National Review ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে. Ministry of Primary and Mass Education, Government of Bangladesh. unesco.org.
  8. Millennium Development Goals: Bangladesh Progress Report 2015 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে. General Economics Division (GED), Bangladesh Planning Commission. plancomm.gov.bd.
  9. "Sustainable Development Goal 4: Quality Education | United Nations in Bangladesh"bangladesh.un.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০২৩ 
  10. "The Constitution of the People's Republic of Bangladesh (ACT NO. OF 1972)"bdlaws.minlaw.gov.bd। ৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২২ 
  11. "Bangladesh – HRMI Rights Tracker"rightstracker.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০২২ 
  12. Ahmed, Manzoor (১৩ জুন ২০২২)। "Education in budget 2022-23: Small mercies and dashed hopes"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২৩ 
  13. "Education in Bangladesh: Achievements and Challenges"Daily Sun (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৮-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১২ 
  14. "Education | Bangladesh"U.S. Agency for International Development (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৪-০৬। ২০২৩-০৮-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-১৪ 
  15. "Girls' education in Bangladesh: A promising journey"blogs.worldbank.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৬-২৪। ২০২৩-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-৩০ 
  16. "Gender Equality and Women's Empowerment | Bangladesh"U.S. Agency for International Development (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৪-০৬। ২০২৩-০৯-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-৩০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]