বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি
বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি দ্বারা শিক্ষার তৃতীয় স্তর থেকে জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সমর্থন প্রদর্শন করে সংগঠিত কার্যকলাপ ও সংস্কৃতিকে বোঝায়।
প্রধান ছাত্র সংগঠন
[সম্পাদনা]- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা
- বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন
- বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন
- বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী
- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট
- বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী
- গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি
- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন
- জাতীয় ছাত্র সমাজ
বর্তমান পরিস্থিতি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি প্রতিক্রিয়াশীল, সংঘাতমূলক ও সহিংস। ছাত্র সংগঠনগুলো যেসব রাজনৈতিক দলের অংশ, তাদের অস্ত্র হিসেবে কাজ করে থাকে।[১] তাই প্রতিনিয়ত হাতাহাতি ও সহিংসতা চলমান থাকে।[২] বছরের পর বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং দলগত দ্বন্দ্বের ফলে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।[৩] নারীদের যৌন হয়রানিও ছাত্র রাজনীতির একটি বড় সমস্যা। পরিস্থিতি শিথিল করার জন্য, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায়শই দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়, যার ফলে সেশন জটের মত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ক্ষমতাসীন দলগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলো অপরাধ ও সহিংসতার মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল পরিচালনা করে। তারা আবাসিক হলগুলোতে বরাদ্দ থাকা সুযোগ-সুবিধাগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে, দলের সহকর্মীদের ও অনুগত ছাত্রদের পক্ষপাত করে; বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটস্থ রেস্তোরাঁ থেকে বিনামূল্যে খাবার খাওয়া এবং স্থানীয় দোকান থেকে জোরপূর্বক বিনামূ্ল্যে পণ্য নিয়ে থাকে; নিয়মিত চাঁদাবাজি করে এবং নবীন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেয়।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগ নেতারা নির্যাতন করে হত্যা করে।[৪]
এবং ছাত্রলীগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আন্দোলন কারীদের উপর সশস্ত্র হামলা করে
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Kalam, Hadi (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Political Violence Of Chatra League: A Chronology"। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৫।
- ↑ "Frequent violence plagues campus atmosphere"। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৫।
- ↑ "Rangpur Medical College shut down indefinitely after BCL clash leaves 10 injured"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৫।
- ↑ "আবরার ফাহাদ: বুয়েট ছাত্র হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনের যাবজ্জীবন"। BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৫।