ফুলবাড়ী উপজেলা, দিনাজপুর
ফুলবাড়ী | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে ফুলবাড়ী উপজেলা, দিনাজপুরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৩১′ উত্তর ৮৮°৫৩′ পূর্ব / ২৫.৫১৭° উত্তর ৮৮.৮৮৩° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৫°৩১′ উত্তর ৮৮°৫৩′ পূর্ব / ২৫.৫১৭° উত্তর ৮৮.৮৮৩° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | দিনাজপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২২৯.৫৫ বর্গকিমি (৮৮.৬৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,৭৬,০২৩[১] |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫২.৬০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫২৬০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ২৭ ৩৮ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ফুলবাড়ী বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
অবস্থান[সম্পাদনা]
দিনাজপুর জেলার একটি উপজেলা হল ফুলবাড়ী। উত্তরে পার্বতীপুর উপজেলা, পূর্বে নবাবগঞ্জ উপজেলা ও বিরামপুর উপজেলা, দক্ষিণে বিরামপুর উপজেলা এবং ভারত এবং পশ্চিমে চিরিরবন্দর উপজেলা।
নামকরণ[সম্পাদনা]
দিনাজপুর জেলার অন্যতম জনপ্রিয় এই উপজেলাটি ছোট যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। এককালে ফুলবাড়ী ছিলো একটি দুর্গনগরী, একে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিলো নগর ও জনবসতি। সেইপ্রাচীনকালের নগরীর রেশ ও ক্রমধারায় নতুন আধুনিক শহর ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু দুর্গটির কোনো চিহ্ন আজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। বর্তমানে শহরের হাট বাজার ও ব্যবসাকেন্দ্র প্রাচীন দুর্গের অভ্যন্তরেই গড়ে উঠেছে। জনশ্রুতি রয়েছে যে, প্রাচীন আমলে এই অঞ্চলে প্রচুর ফুলের বাগান ছিল। ফুলের বাগানের আধিক্যের কারণে এই জায়গাটির নাম ফুলবাড়ী হয়েছে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
সাম্প্রতিক ইতিহাস[সম্পাদনা]
ফুলবাড়ি চুক্তি[সম্পাদনা]
২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ি কয়লাখনি থেকে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের জন্য এশিয়া এনার্জি কোম্পানির বিরুদ্ধে স্থানীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিডিআর গুলি চালালে তিনজন নিহত হন ও প্রায় দুই শতাধিক আন্দোলনকারী আহত হন। পরবর্তীতে আন্দোলন পার্শ্ববর্তী পার্বতীপুর, বিরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার ফুলবাড়ী চুক্তি করতে বাধ্য হয়। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন বামপন্থী রাজনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতি বছর ২৬ আগস্ট "ফুলবাড়ী দিবস" হিসেবে পালন করে।[২]
আয়তন[সম্পাদনা]
- মোট আয়তনঃ ২২৯.৫৫ বর্গ কিঃ মিঃ
- মোট ইউনিয়নের সংখ্যাঃ ৭ টি
- পৌরসভার সংখ্যাঃ ১ টি
- মোট মৌজা/মহল্লার সংখ্যাঃ ১৭১ টি
- মোট গ্রামের সংখ্যাঃ ১৭১ টি
জনসংখ্যা[সম্পাদনা]
২০১১ খ্রিঃ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী
- মোট পুরুষঃ ৮৮৯৮৪ জন
- মোট মহিলাঃ ৮৭০৩৯ জন
- মোট জন সংখ্যাঃ ১৭৬০২৩ জন
- মোট পরিবারের সংখ্যাঃ ৪৩১৩৭ টি
কৃষি ও ভূমির ব্যবহার[সম্পাদনা]
- বন ভূমিঃ ৯৯ হেক্টর
- জলা ভূমিঃ ৩০০ হেক্টর
যোগাযোগ ও যানবাহন[সম্পাদনা]
- পাকা রাস্তাঃ ১৫৫ কিঃ মিঃ
- আধাপাকা রাস্তাঃ ১৮ কিঃ মিঃ
- কাঁচা রাস্তাঃ ৩৪৫ কিঃ মিঃ
- রেল পথঃ ১২ কিঃ মিঃ
- রেলস্টেশনঃ ১ টি
- বাস স্টপেজঃ ৪ টি
- বাস ও মিনি বাসের সংখ্যাঃ ২৫ টি
- ডাক ঘরের সংখ্যাঃ ৭ টি
- টি,এন্ড টি অফিসঃ ১ টি
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
ফুলবাড়ী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন হলো—
- ১নং এলুয়াড়ী ইউনিয়ন পরিষদ
- ২নং আলাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- ৩নং কাজিহাল ইউনিয়ন পরিষদ
- ৪নং বেতদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ
- ৫নং খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ
- ৬নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ
- ৭নং শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদ
স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন[সম্পাদনা]
- হাসপাতালের সংখ্যাঃ ১ টি।
- স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ ক্লিনিকের সংখ্যাঃ ৭ টি।
- ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যাঃ ২টি
- কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যাঃ ২১ টি
- ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংখ্যাঃ ৪ টি
- দাতব্য চিকিৎসালয় সংখ্যাঃ ×
- মোট টিউবওয়েলের সংখ্যাঃ ১৭৫০ (তারা- ৬৫৬টি ও অগভীর টিউবওয়েল- ১০৯৪টি)
- সরবরাহকৃত স্যানিটেশন ল্যাট্রিনের সংখ্যাঃ ২৮২৭৩ সেট
- স্যানিটেশনের হারঃ ৯০.০১%
শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
- শিক্ষার হার ঃ ৫২.৬০%
- কলেজের সংখ্যাঃ সরকারী- ১ টি, বে-সরকারী- ৪ টি, বিএম কলেজ- ২টি।
- স্কুল এন্ড কলেজঃ ০২ টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ৩২ টি
- নিম্ন- মধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ৬ টি
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ৪৭ টি
- বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাঃ ৬২ টি
- কমিউনিটি স্কুল সংখ্যাঃ ×
- মোট মাদ্রাসার সংখ্যাঃ ১৫ টি
- কামিল মাদ্রাসার সংখ্যাঃ ×
- ফাজিল মাদ্রাসার সংখ্যাঃ ৪ টি
- আলিম মাদ্রাসার সংখ্যাঃ ১ টি
- দাখিল মাদ্রাসার সংখ্যাঃ ১০ টি
- এবতেদায়ী মাদ্রাসার সংখ্যাঃ ৮ টি
- মসজিদের সংখ্যাঃ ৩১৮ টি
- মন্দিরের সংখ্যাঃ ৫৪ টি
- গীর্জার সংখ্যাঃ ১৫ টি
- ঈদগাহ্র সংখ্যাঃ ৪১ টি
- হাট-বাজারের সংখ্যাঃ ১২ টি
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
প্রাথমিক শিক্ষা[সম্পাদনা]
- সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- গ্রীন ল্যান্ড স্কুল
- আনান্দ নিকেতন
- মাধ্যমিক শিক্ষা
- সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- জি.এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
- বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা[সম্পাদনা]
- ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ
- হীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রী কলেজ
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
কৃষি ক্ষেত্র: এখানে অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন ভাবে কৃষির সাথে যুক্ত।এখানে প্রধান ফসল ধান হলেও তার পাশাপাশি গম,ভুট্টা,আলু ও বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ হয়।
নদীসমূহ[সম্পাদনা]
ফুলবাড়ীতে দুটি নদী রয়েছে। নদী দুটি হচ্ছে খড়খড়িয়া নদী এবং ছোট যমুনা নদী।[৩]
কৃতি ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]
- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যে মন্ডিত এ উপজেলায় তেমন কোন উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান নেই। তবে অন্য উপজেলার দর্শনীয় স্থান যেমন পার্বতীপুর উপজেলার অন্তর্গত বড় পুকুরিযা কয়লাখনি এবং তাপ বিদ্যৎ প্রকল্প, মধ্যপাড়ার কঠিন শিলা খনি, নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত স্বপ্নপুরী ইত্যাদি স্থানে যেতে হলে এই ফুলবাড়ী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র হয়ে যেতে হয়। এদিক থেকে এ উপজেলার গুরুত্ব অপরিসীম
সংগঠন[সম্পাদনা]
- নয়া দিগন্ত শিশু ফোরাম
- শিশু অধিকার রক্ষা ও শিশু কল্যাণ বিষয়ক সংগঠন
- দৈনিক দেশমা, ফুলবাড়ী স্থানীয় সংবাদপত্র
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "এক নজরে ফুলবাড়ী"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৬।
- ↑ "ফুলবাড়ী দিবস আজ"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৬ আগস্ট ২০১৯। পৃষ্ঠা ৫।
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |