মহানগর প্রভাতী/গোধূলী এক্সপ্রেস
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর |
অবস্থা | সচল |
প্রথম পরিষেবা | ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ৮টি |
শেষ | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ৩৪৬ কিলোমিটার (২১৫ মাইল) |
যাত্রার গড় সময় | ৬ ঘণ্টা ৪০ মিনিট |
পরিষেবার হার | দৈনিক |
রেল নং | ৭০৩/৭০৪ |
ব্যবহৃত লাইন | আখাউড়া-লাকসাম-চট্টগ্রাম টঙ্গী-ভৈরব-আখাউড়া |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী |
|
আসন বিন্যাস | আছে |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | আছে |
খাদ্য সুবিধা | অন-বোর্ড |
মালপত্রের সুবিধা | ওভারহেড রেক |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার |
|
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
পরিচালন গতি | ৭৬ কিমি/ঘণ্টা |
ট্র্যাকের মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
রক্ষণাবেক্ষণ | চট্টগ্রাম |
মহানগর প্রভাতী/গোধূলী এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০৩/৭০৪) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি আন্তঃনগর যাত্রীবাহী ট্রেন, যা চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ও ঢাকা জেলার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। ট্রেনটি মহানগর গোধূলী নামে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এবং মহানগর প্রভাতী নামে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যায়। ট্রেনটি যাত্রাপথে ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে সংযুক্ত করেছে।চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে এই ট্রেনের পাশাপাশি সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, তূর্ণা এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস,ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল এবং কর্ণফুলী এক্সপ্রেস চলাচল করে। ট্রেনটির বেজ চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৮৬ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়। ১৯৮৬ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ট্রেনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে চলাচল শুরু করে। তখন ট্রেনটি ঢাকা - দোহাজারি রুটে চলাচল করত। ১৯৯৮ সাল থেকে মহানগর প্রভাতী/ গোধূলী ও তূর্ণা দুটি ট্রেন রেক শেয়ারিং করে চলাচল শুরু করে। ২০০২ সাল থেকে ট্রেনটি ঢাকা - চট্টগ্রাম রুটে চলাচল শুরু করে ।
সময়সূচী
[সম্পাদনা](বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচী পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নিম্নোক্ত সময়সূচীটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচী অনুযায়ী, যা ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি হতে কার্যকর।)
ট্রেন
নং |
উৎস | প্রস্থান | গন্তব্য | প্রবেশ | সাপ্তাহিক
ছুটি |
---|---|---|---|---|---|
৭০৩ | চট্টগ্রাম | ১৫:১০ | কমলাপুর | ২১:২০ | নেই |
৭০৪ | কমলাপুর | ০৭:৪৫ | চট্টগ্রাম | ১৪:০০ |
যাত্রাবিরতি
[সম্পাদনা](অনেকসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি পরিবর্তিত হতে পারে। নিম্নোক্ত তালিকাটি ২০২০ সাল অব্দি কার্যকর।)
- ফেনী জংশন
- গুণবতী
- লাকসাম জংশন
- কুমিল্লা
- আখাউড়া জংশন
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
- ভৈরব বাজার জংশন
- ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
রোলিং স্টক
[সম্পাদনা]ট্রেনটিতে ৩০২৩ শ্রেণির লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়। পূর্বে ২৯০০ বা ২৬০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হত। ট্রেনটি প্রথমে সবুজ-হলুদ রঙের পুরনো ভ্যাকুয়াম ব্রেকের কোচের রেকে চলাচল করতো। পরে এই রেক পাল্টিয়ে সাদা রঙের চীনা এয়ার ব্রেক কোচের রেক দেওয়া হয়। পরে আবার ট্রেনটির রেক পাল্টিয়ে লাল-সবুজ রঙের ইন্দোনেশীয় এয়ার ব্রেক কোচের রেক দেওয়া হয়। বর্তমানে ট্রেনটি ১৬/৩২ লোডে চলাচল করে। এই ১৬টি কোচের মধ্যে ৪টি তাপানুকুল চেয়ার, ২টি তাপানূকুল স্লিপার, ৭টি শোভন চেয়ার, ২টি শোভন চেয়ার গার্ডব্রেক +খাবার গাড়ী এবং ১টি পাওয়ার কার রয়েছে। যাত্রীচাহিদা বৃদ্ধি পেলে (যেমন ঈদের সময়) ট্রেনটিকে ১৮/৩৬ লোডে চালানো হয়। বর্তমানে এটি কোরিয়া থেকে আমদানীকৃত অত্যাধুনিক কোচ দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- উইকিমিডিয়া কমন্সে Category:Mahanagar Provati/Godhuli Express সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।