চাঁদপুর সরকারি কলেজ
![]() চাঁদপুর সরকারি কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ মার্চ ,২০১৯ চট্টগ্রাম বিভাগীয় র্যাংকিংয়ে ১০ম স্থানে উত্তীর্ণ হওয়ার স্বীকৃতি পায়। | |
অন্যান্য নাম | চাঁদপুর কলেজ |
---|---|
নীতিবাক্য | শিক্ষা ইমান সেবা |
ধরন | সরকারি কলেজ |
স্থাপিত | ১৫ জুন,১৯৪৬ |
প্রতিষ্ঠাতা | হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | অসিত বরণ দাস |
শিক্ষার্থী | ১৪,০০০+ |
স্নাতক | B.A, B.S.S, B.B.A, B.Sc |
স্নাতকোত্তর | M.A, M.S.S, M.B.A, M.Sc |
ঠিকানা | কলেজ রোড, নাজিরপাড়া , , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
সংক্ষিপ্ত নাম | CGC |
ওয়েবসাইট | www.chandpurcollege.edu.bd |
চাঁদপুর সরকারি কলেজ বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার একটি পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ কলেজটি ১৯৪৬ সালের ১৫ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ মার্চ ২০১৯ চট্টগ্রাম বিভাগীয় র্যাংকিংয়ে ১০ম স্থানে উত্তীর্ণ হওয়ার স্বীকৃতি পায়।
প্রতিষ্ঠার পটভূমি[সম্পাদনা]
চাঁদপুর সরকারি কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর হয় ১৯৪৬ সালের ১ জুন। যা তৎকালীন অভিবক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী করেছিলেন। প্রথমে কলেজের বর্তমান পশ্চিম পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে কলেজের কার্যক্রম চালু করা হয়। পরবর্তীতে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তির অনুদানে কলেজটির অবকাঠামোগত দিক উন্নত হয়। কলেজটির প্রথম শিক্ষাকার্যক্রম চালু হয় উচ্চ মাধ্যমিক দিয়ে ১৯৪৬ সালে। আর প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পরেশ চন্দ্র গাঙ্গুলী। [১]
সরকারি করণ[সম্পাদনা]
১ মার্চ, ১৯৮০ সালে কলেজটি সরকারি করণ করা হয়।
ক্যাম্পাস[সম্পাদনা]
অনুষদ ও বিভাগসমুহ[সম্পাদনা]
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২ বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী ও ৩ বছর মেয়াদী স্নাতক (পাস) শ্রেণীতে শিক্ষা দান করা হয়।এছাড়াও এখানে বেশ কয়েকটি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি[সম্পাদনা]
স্নাতক (পাস) শ্রেণি[সম্পাদনা]
স্নাতক (সম্মান) শ্রেণি[সম্পাদনা]
কলেজটিতে মোট ১৭টি বিষয়ে অনার্স ও ১৪টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু আছে। সেগুলো হলো -
- বাংলা,
- ইংরেজি,
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান,
- সমাজকর্ম,
- দর্শন,
- ইতিহাস,
- ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি,
- অর্থনীতি,
- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি,
- ভূগোল পরিবেশ বিদ্যা,
- হিসাববিজ্ঞান,
- ব্যবস্থাপনা,
- পদার্থবিদ্যা,
- রসায়নবিদ্যা,
- গণিত,
- প্রাণিবিদ্যা,
- উদ্ভিদবিদ্যা।
একাডেমিক সুযোগ সুবিধা[সম্পাদনা]
কলেজটিতে বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন একাডেমিক ভবন, গ্রন্থাগার ইত্যাদি। এছাড়া এখানে পড়াশুনার পাশাপাশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বৃত্তির ব্যবস্থা।
একাডেমিক ভবন[সম্পাদনা]
কলেজটিতে মোট পাঁচটি ভবন রয়েছে।
- মূল ভবন
- একাডেমিক ভবন
- ভবন -২
- ভবন -৩
- রাজু ভবন
লাইব্রেরি[সম্পাদনা]
মূল ভবনে একটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার অবস্থিত। এখানে ছাত্র এবং ছাত্রীদের আলাদা রুমে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৫০ (প্রায়) শিক্ষার্থী একসাথে পড়তে ও বই সংগ্রহ করতে পারে। গ্রন্থাগারে ২০০০+ বই সংগৃহীত আছে। নিয়মিত জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক সমূহ সংগ্রহ করা হয়।
বোটানিক্যাল গার্ডেন[সম্পাদনা]
কলেজের সুযোগ সুবিধা[সম্পাদনা]
কলেজটিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের থাকার জন্য রয়েছে হোস্টেল এবং ছাত্রছাত্রীদের খেলার জন্য রয়েছে এক বিশাল খেলার মাঠ।
হোস্টেল[সম্পাদনা]
কলেজটিতে ছাত্রদের জন্য রয়েছে দুটি হল।
- শেরে-বাংলা হল।
- শহীদ জিয়া হল।
ছাত্রীদের জন্য রয়েছে দুটি হল।
- শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস।
- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ছাত্রীনিবাস।
খেলার মাঠ[সম্পাদনা]
কলেজের নিজস্ব এক বিশাল মাঠ রয়েছে।
মসজিদ[সম্পাদনা]
সহশিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]
চাঁদপুর সরকারি কলেজে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে:
- বি. এন. সি. সি. - ময়নামতি রেজিমেন্ট এর অধীনে এই কলেজে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর একটি পুরুষ প্লাটুন রয়েছে।
- রোভার স্কাউট - বাংলাদেশ স্কাউটস-এর অধীনে এই কলেজে একটি রোভার স্কাউট ইউনিট রয়েছে।
- রেড ক্রিসেন্ট - বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি-এর অধীনে এই কলেজে একটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট রয়েছে।
সাংস্কৃতিক কার্যক্রম[সম্পাদনা]
প্রাক্তন শিক্ষার্থী[সম্পাদনা]
- ওয়ালী উল্লাহ নওজোয়ান - গবেষক, রাজনীতিবিদ, ভাষা আন্দোলনের সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, সংবিধান রচিয়তা ও শিক্ষক।
- আব্দুল্লাহ সরকার - রাজনীতিবিদ।
- মো. সবুর খান - ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা।
- হুমায়ুন ফরীদি - অভিনেতা।
- মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী - [বাংলাদেশ পুলিশের ২৯ তম মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি)।
- সাংবাদিক শফিকুর রহমান - সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ।
- এস ডি রুবেল - সংগীত শিল্পী।