চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন চুয়াডাঙ্গা জেলার অন্তর্গত চুয়াডাঙ্গা শহরে অবস্থিত দর্শনা কুষ্টিয়া রেলপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। এটি জয়রামপুর ও মোমিনপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী স্টেশন। এটি বাংলাদেশের সীমান্ত ট্রানজিট পয়েন্ট দর্শনা জংশন থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে-এবং কুষ্টিয়া থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ১৮৫৯ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি কোলকাতা-কুষ্টিয়া (জগতি) পর্যন্ত ব্রডগেজ ৫' ৪" সিঙ্গেল রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৮৬০ সালে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন স্থাপিত হয়। যা তৎকালীন পূর্ববঙ্গের (বাংলাদেশের) প্রথম রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে আন্তপ্রকাশ ঘটে। একই সাথে ট্রেনের ইঞ্জিনে পানি সরবরাহের জন্য চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে বাংলাদেশের প্রথম একটি ওভারহেড ট্যাংক এবং স্টেশনের যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশের প্রথম একটি ফুটওভার ব্রীজ স্থাপন করা হয়। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর কলকাতা-কুষ্টিয়া (জগতি) রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরুর মাধ্যমে পূর্ব বাংলা (বাংলাদেশের)প্রথম রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে আজ অবধি চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন দুটি রেল লাইন ও দুটি প্লাটফরম দ্বারা চুয়াডাঙ্গা শহর ও তার পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ এলাকাকে পরিসেবা প্রদান করে আসছে ।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন হল বাংলাদেশ এর চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর এবং ঝিনাইদহ জেলার প্রধান রেলওয়ে স্টেশন, যেটি খুলনা বিভাগ-এর চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে অবস্থিত। এটি হল বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন । ১৮৫৯ সালে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ের কলকাতা-কুষ্টিয়া রেলপথ খোলা হলে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন চালু হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের জন্য বঙ্গ প্রদেশের রেল যোগাযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় যাকে বিভক্ত করা হয় ভারতীয় রাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব বাংলার পাকিস্তানের প্রদেশ (পরে ১৯৫৬ সালে যার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান হয়) এর মধ্যে। অবিভক্ত ভারতের ওপর ব্রিটিশ শাসনের সময়, নিয়মিত রাত ব্যাপী ট্রেন চলাচল করত কলকাতা, গোয়ালন্দ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে। ইস্ট বেঙ্গল মেল, ইস্ট বেঙ্গল এক্সপ্রেস এবং বরিশাল এক্সপ্রেস - এই তিনটি ট্রেন, ১৯৬৫ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে নিজেদের পরিষেবা অব্যাহত রেখেছিল যতক্ষণ না ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চারিদিকে ছড়িয়ে সব যাত্রীবাহী ট্রেন লিঙ্ক এর অবসান ঘটায়। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ফল স্বরূপ হিসাবে পূর্ব পাকিস্তান[১]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৮৬২ সালে দর্শনা-কুষ্টিয়া রেললাইন চালু হয়েছিলো। একই সাথে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনও চালু হয়েছিল।
যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা[সম্পাদনা]
এই স্টেশনে খুলনা–রাজশাহী রুটের কপোতাক্ষ ও সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, খুলনা–ঢাকা রুটের চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস, খুলনা–চিলাহাটি রুটের রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস, খুলনা–চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের মহানন্দা এক্সপ্রেস, খুলনা–পার্বতীপুর রুটের রকেট এক্সপ্রেস ও খুলনা–গোয়ালন্দ ঘাট রুটের নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতি দেয়।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/7345724.stm
- ↑ "চুয়াডাঙ্গা ট্রেনের সময়সূচি"। বাংলাদেশ রেলওয়ে। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৫।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
উইকিমিডিয়া কমন্সে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন
- চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের সময়সূচী
- Aug 2008 - 22 Sep 2014|