তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন, মোহনগঞ্জ

স্থানাঙ্ক: ২৪°৫২′১৮″ উত্তর ৯০°৫৮′১৭″ পূর্ব / ২৪.৮৭১৬৭° উত্তর ৯০.৯৭১৩৯° পূর্ব / 24.87167; 90.97139
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তেঁতুলিয়া
ইউনিয়ন
তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ।
তেঁতুলিয়া ময়মনসিংহ বিভাগ-এ অবস্থিত
তেঁতুলিয়া
তেঁতুলিয়া
তেঁতুলিয়া বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
তেঁতুলিয়া
তেঁতুলিয়া
বাংলাদেশে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন, মোহনগঞ্জের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫২′১৮″ উত্তর ৯০°৫৮′১৭″ পূর্ব / ২৪.৮৭১৬৭° উত্তর ৯০.৯৭১৩৯° পূর্ব / 24.87167; 90.97139 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ বিভাগ
জেলানেত্রকোণা জেলা
উপজেলামোহনগঞ্জ উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি।[১][২]

অবস্থান ও সীমানা[সম্পাদনা]

৩ নং তেঁতু‌লিয়া ইউনিয়ন‌টি নেত্রকোণা জেলার,‌মোহনগঞ্জ উপজেলার ভা‌টি এলাকার হাওর গর্ভে অব‌স্থিত।এটি উপজেলার মধ্যে একটি সুনামধন্য ও আদর্শ ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত।নাম করা ও বিখ্যাত হাওর ডিঙ্গাপুতার উত্তর পাশে শত হাজার স্মৃ‌তি নিয়ে দা‌ড়িয়ে আছে যুগ থেকে যুগান্তর ধরে।

ইউ‌নিয়নের উত্তরে ২নং ইউনিয়নের আখৈলকলা ও সুখদেবপুর গ্রাম।প‌শ্চিম এ ২ নং ইউনিয়ন এর ঝিম‌টি ও ৪নং ইউনিয়নের সিয়াদার গ্রাম।দ‌ক্ষিণে ডিঙ্গাপুতা হাওর ও ৭নং ইউনিয়নের জালালপুর,আটবা‌ড়ি।পূর্ব দিকে সীলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলা অব‌স্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইউনিয়ন পরিষদ হল পল্লী অঞ্চলের সর্বনিম্ন প্রশাসনিক একক। গ্রাম চৌকিদারি আইনের ১৮৭০ এর অধীনে ইউনিয়ন পরিষদের সৃষ্টি হয়। এ আইনের অধীনে প্রতিটি গ্রামে পাহারা টহল ব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যে কতগুলো গ্রাম নিয়ে একটি করে ইউনিয়ন গঠিত হয়। ইউনিয়ন গঠনের বিস্তারিত দিকনির্দেশনা লিপিবদ্ধ রয়েছে বেঙ্গল চৌকিদারী ম্যানুয়েলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অনুচ্ছেদে। এই প্রক্রিয়ার বিকাশের মধ্য দিয়ে একটি স্থানীয় সরকার ইউনিটের ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এর ভূমিকা নিরাপত্তামূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলে ও পরবর্তী কালে এটিই স্থানীয় সরকারের প্রাথমিক ইউনিটের ভিত্তিরুপে গড়ে উঠে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৫৭১টি ইউনিয়ন আছে।

পটভূমিসম্পাদনা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার একটি দীর্ঘ ও ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস রয়েছে। অতি প্রাচীন কাল থেকে উপমহাদেশে স্থানীয় সরকারের অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায়। সাধারণত স্থানীয় সরকার বলতে এমন জনসংগঠনকে বুঝায় যা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র ভৌগোলিক সীমা রেখায় একটি দেশের অঞ্চল ভিত্তিতে জাতীয় সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করে। স্থানীয় কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমম্বয়ে গঠিত সংস্থাকে স্থানীয় সরকার বলা হয়। জাতীয় সরকারের মত স্থানীয় সরকার সার্বভৌম কোন প্রতিষ্ঠান নয়। জাতীয় সরকার বিভিন্ন সার্কুলার ও নির্দেশের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। স্থানীয় সরকার নিদিষ্ট এলাকায় কর, রেট, ফিস, টোল প্রভৃতি নির্ধারণ ও আদায়ের ব্যাপারে জাতীয় সরকারের নির্দেশ অনুসরন করে থাকেন। ব্রিটিশ আমলের পূর্বে প্রাচীন ও মধ্য যুগীয় আমলে খ্রীষ্ট পূর্ব ১৫০০-১০০০ অব্দে গ্রাম পরিষদের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া খ্রীষ্ট পূর্ব ৩২৪-১৮৩ অব্দে মৌর্য বা মৌর্য পূর্ব যুগে গ্রাম প্রশাসনের অস্তিত্বের স্বাক্ষর পাওয়া যায়। ব্রিটিশদের আগমনের পূর্বে তৎকালীন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে অধিকাংশ গ্রামে পঞ্চায়েত প্রথা প্রচলিত ছিল। পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫ জন। জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করে সামাজিক প্রয়োজনে পঞ্চায়েত প্রথার উদ্ভব ঘটে। তাই এগুলোর আইনগত কোন ভিত্তি ছিল না।

ব্রিটিশ শাসনামলে অর্থনৈতিক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণে ও ব্রিটিশদের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় করার জন্য লর্ড মেয়ো ১৮৭০ সালে চৌকিদারী আইন পাশ করেন। এর ফলে প্রথমবারের মত স্থানীয় সরকারের উদ্ভব হয় এবং পঞ্চায়েত প্রথার পুনরাবৃত্তি ঘটে। চৌকিদারী পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল পাঁচ জন এবং জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পঞ্চায়েতের সকল সদস্যকে তিন বৎসরের জন্য নিয়োগ করতেন। চৌকিদারী পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ইউনিয়ন কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৫-৯ জন এবং গ্রামবাসী কর্তৃক নির্বাচিত হতেন এবং ইউনিয়ন কমিটির পাশাপাশি চৌকিদারী পঞ্চায়েত কাজ করতো। এর ফলে দ্বৈত শাসনের অসুবিধা সমূহ প্রকটভাবে দেখা দেয়। অতঃপর ১৯১৯ সালে চৌকিদারী পঞ্চায়েত ও ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। ইউনিয়ন বোর্ডের সদস্য ১/৩ অংশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক মনোনয়ন দান করতেন অবশিষ্ট সদস্যগণ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হতেন। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতেন। কার্যকাল ছিল ৩ (তিন) বৎসর। তবে ১৯৩৬ সাল হতে ৪ (চার) বৎসর করা হয় এবং মনোনয়ন প্রথা ১৯৪৬ সালে রহিত করা হয়।

মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ,১৯৫৯ এর অধীনে ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠন করা হয় এবং সদস্য সংখ্যা ছিল ১০-১৫ জন। মোট সদস্যের ২/৩ অংশ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে এবং অবশিষ্ট ১/৩ অংশ মহুকুমা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দান করতেন। ১৯৬২ সালে শাসনতন্ত্র প্রবর্তনের ফলে মনোনয়ন প্রথা রহিত করা হয়। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করতেন। পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি বিলুপ্ত করা হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলের মেয়াদ ছিল ৫ বছর বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারের যে কাঠামো রয়েছে তার সূচনা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে প্রণীত কিছু কিছু আইনের মাধ্যমে। অষ্টাদশ শতকের শেষভাগেশহর অঞ্চল এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়।

ইতিকথা[সম্পাদনা]

বর্তমানে তিন ধরনের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কাজ করছে

  • (ক) ইউনিয়ন পরিষদ,
  • (খ) উপজেলা পরিষদ,
  • (গ) জেলা পরিষদ।

বাংলাদেশে স্বাধীনতা উত্তরকালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ৭,১৯৭২ বলে ইউনিয়ন কাউন্সিল বাতিল করে ইউনিয়ন পঞ্চায়েত নামকরণ করা হয় এবং রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২২, ১৯৭৩ অনুযায়ী ইউনিয়ন পঞ্চায়েতের নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৯ জন সদস্য, একজ

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

৩ নং তেতু‌লিয়া ইউনিয়ন এর গ্রামসমূহ-

১।তেতুলিয়া ২।নওগা ৩।ধুলিয়া,৪।গজধার ৫।পাইকুড়া ৬।হানবীর ৭।পশুখালী ৮।আজমপুর ৯।রঘুরামপুর ১০।ভাটাপাড়া ১১।জৈনপুর ১২।হরিপুর ১৩।পাগুয়া ১৪।আব্দুল্লাহপুর ১৫।আনন্দ নগর ১৬।উদয়পুর ১৭।‌শিবপুর ১৮। কেন্দুয়া ১৯।মনপুর ২০।নোয়াগাও

আয়তন ও জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

আয়তনঃ ৯৮৯৮ বর্গ কি:‌মি:

জনসংখ্যা(২০১১ আদমশুমারী অনুযায়ী) ১৮৭৮৭ জন পুরুষঃ ৯৩৭৫ জন নারীঃ ৯৪১২ জন

শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

শিক্ষার হার : ৪২%

শিক্ষা প্রতিষ্ঠা:

উচ্চ মাধ্য‌মিক ১টি,নিম্ন মাধ্য‌মিক ১টি,প্রাইমারী স্কুল১৩‌টি।

১/‌তেতু‌লিয়া প‌শ্চিম (প্রাইমারী)

২/‌তেতু‌লিয়া পূর্ব (প্রাইমারী)

৩/পাইকুড়া(প্রাইমারী)

৪/পাইকুড়া(‌নিম্ন মাধ্য‌মিক বিদ্যালয়)

৫/গজধার(প্রাইমারী)

৬/ধু‌লিয়া(প্রাইমারী)

৭/পশুখা‌লি(প্রাইমারী)

৮/হ‌রিপুর(প্রাইমারী)

৯/আজমপুর(প্রাইমারী)

১০/রঘুরামপুর(প্রাইমারী)

১১/‌জৈনপুর(প্রাইমারী)

১২/‌জৈনপুর(মাধ্য‌মিক উচ্চ বিদ্যালয়)

১৩/ফাগুয়া(প্রাইমারী)

১৪/‌কেন্দুয়া(প্রাইমারী)

১৫/হানবীর(প্রাইমারী)

১৬ / নোয়াগাঁও এফতেদায়ী (মাদ্রাসা)

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

‌ডিঙ্গাপুতার সু-‌বিশাল হাওর।

জৈনপুর গ্রাম এর উকিল মুন্সীর জন্ম‌ভিটা।

তেতুলিয়া গ্রাম এর মির্জা বাড়ির হিজল বাগান।

হিজলবন নোয়াগাঁও আখৈলখলা।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]

বর্তমান চেয়ারম্যান-আবুল কালাম আজাদ

"সাবেক চেয়ারম্যানগণের তালিকা"

১/রামধন চৌধুরী-গ্রামঃহানবীর

২/আব্দুল হাই(রতন)-গ্রামঃ‌জৈনপুর

৩/মোঃ ফয়েজ উদ্দীন তালুকদার -গ্রামঃ জৈনপুর

৪/মোঃ মৌজালী খান-গ্রামঃ তেতু‌লিয়া

৫/‌মোঃ মনু মিয়া-গ্রামঃ‌জৈনপুর

৬/মোঃ কালা মিয়া -গ্রামঃ তেতু‌লিয়া-মিয়াদ কালঃ১৯৮৭-১৯৯১(আনুমানিক)

৭/মোঃ ইমরান খান গ্রামঃ পাইকুড়া মিয়াদ কালঃ১৯৯২-১৯৯৬

৮/আবুল কালাম আজাদ গ্রামঃ তেতু‌লিয়া মিয়াদ কালঃ১৯৯৭-২০১০

৯/‌মো:র‌ফিকুল ইসলাম মুরাদ গ্রামঃ জৈনপুর মিয়াদ কালঃ২০১১-২০১৮

১০/‌আবুল কালাম আজাদ(উপ-‌নির্বাচন) গ্রামঃ তেতু‌লিয়া ‌মিয়াদ কালঃ২০১৮-

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "তেতুলিয়া ইউনিয়ন"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২০ 
  2. "মোহনগঞ্জ উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২০