তুরাগ কমিউটার
অবয়ব
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | লোকাল |
অবস্থা | চালু |
প্রথম পরিষেবা | ২০ জুন ২০১২ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ৬টি |
শেষ | জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন |
যাত্রার গড় সময় | ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট |
পরিষেবার হার | সপ্তাহে ৬ দিন (শুক্রবার বন্ধ) |
রেল নং | তুরাগ কমিউটার ১–৪ |
ব্যবহৃত লাইন | ঢাকা–টঙ্গী–জয়দেবপুর রেলপথ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী | শোভন |
আসন বিন্যাস | আছে |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | নেই |
অটোরেক ব্যবস্থা | নেই |
খাদ্য সুবিধা | নেই |
পর্যবেক্ষণ সুবিধা | আছে |
মালপত্রের সুবিধা | ওভারহেড রেক |
অন্যান্য সুবিধা | সংরক্ষিত মহিলা কোচ |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার | |
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
ট্র্যাকের মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
রক্ষণাবেক্ষণ | ঢাকা |
তুরাগ কমিউটার (ট্রেন নং তুরাগ কমিউটার ১–৪) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি লোকাল ট্রেন। এটি ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। পূর্বে এই ট্রেন গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে নারায়ণগঞ্জের নারায়ণগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করতো।[১][২] এই ট্রেনের বিশেষত্ব হচ্ছে এতে মহিলাদের জন্য একটি সংরক্ষিত কোচ রয়েছে।
সময়সূচি
[সম্পাদনা](বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচি অনুযায়ী)
- তুরাগ কমিউটার ১ = ঢাকা ছাড়ে ভোর ৫টায়, জয়দেবপুর পৌঁছায় সকাল ৬টায়।
- তুরাগ কমিউটার ২ = জয়দেবপুর ছাড়ে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে, ঢাকা পৌঁছায় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে।
- তুরাগ কমিউটার ৩ = ঢাকা থেকে ছাড়ে বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে, জয়দেবপুর পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে।
- তুরাগ কমিউটার ৪ = জয়দেবপুর থেকে ছাড়ে রাত ৭টা ২৫ মিনিটে, ঢাকা পৌঁছায় রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে।
ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে। শুক্রবার এর সাপ্তাহিক ছুটি।
যাত্রাবিরতি স্টেশন
[সম্পাদনা]রোলিং স্টক
[সম্পাদনা]এই ট্রেনটিতে ২৩০০, ২৪০০, ২৫০০ বা ২৮০০ সিরিজের লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়। ট্রেনটি ভেস্টিবিউলবিহীন ভ্যাকুয়াম ব্রেকের শোভন কোচে চলাচল করে।
দুর্ঘটনা
[সম্পাদনা]- ০৫/০২/২০১৫: জয়দেবপুরগামী ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছানোর সাথে সাথে ট্রেনটির দুটি কোচে কিছু দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। এ সময় ট্রেন থেকে পালানোর সময় এক দুর্বৃত্তকে যাত্রীরা আটক করে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।[৩]
- ০১/০৩/২০১৬: তুরাগ ট্রেনটি সোয়া ৭টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনে এসে ৩ নং লাইনে দাঁড়ায়। এ সময় ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস দুই নম্বর লাইনে ছাড়ার অপেক্ষায় ছিল। এ সময় তুরাগ ট্রেনটি লোকোমোটিভ পরিবর্তন করার জন্য ঘুরে দুই নম্বর লাইনে গিয়ে দ্রুতযান এক্সপ্রেসের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনের পেছনের কোচের দুইটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত পাঁচ যাত্রী আহত হন। আর তুরাগের লোকোর রেলিংয়ে থাকা মামুন নামের এক শিশু নিহত হয়।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বিড়ম্বনার এক নাম তুরাগ এক্সপ্রেস"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০১।
- ↑ আলী, হাসমত (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "গাজীপুর-ঢাকা ট্রেনই জনপ্রিয়"। রাইজিংবিডি.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "তুরাগ কমিউটার ট্রেনের দুইটি বগিতে আগুন, আটক ১"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০২০-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩।
- ↑ "জয়দেবপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে শিশু নিহত"। bdnews24.com। ২০১৬-০৩-০১। ২০২১-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০১।