সাওম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
বট: রোজা-এ দ্বিপুনর্নির্দেশনা ঠিক করেছে
ট্যাগ: পুনর্নির্দেশের লক্ষ্য পরিবর্তিত হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
রোজা-এ করা পুনর্নির্দেশ সরানো হয়েছে
ট্যাগ: পুনর্নির্দেশ সরানো হয়েছে
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{ইসলামী আক্বিদাহ}}
#পুনর্নির্দেশ [[রোজা]]
'''রোযা''' বা '''রোজা''' ([[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]] روزہ ''রুজ়ে''), '''সাউম''' ([[আরবি]] صوم ''স্বাউম্‌''), বা '''সিয়াম''' [[ইসলাম ধর্ম|ইসলাম ধর্মের]] [[ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ|পাঁচটি মূল ভিত্তির]] তৃতীয়। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য [[রমযান]] মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা [[ফরজ]] (فرض ''ফ়ার্দ্ব্‌'') যার অর্থ অবশ্য পালনীয়।


==রোযার উৎপত্তি==
{{একটি পুনর্নির্দেশ}}
রোজা শব্দের অর্থ হচ্ছে 'পানাহার বা বিরত থাকা'। আর আরবিতে এর নাম ''সাওম'' বা ''সিয়াম''। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোজা।

==রোজার প্রকারভেদ==
রোজা পাঁচ প্রকার।
*ফরজ রোজা: যা আবার চার প্রকার-
**রমজান মাসের রোজা।
**কোন কারণ বশত রমজানের রোজা ভঙ্গ হয়ে গেলে তার কাযা আদায়ে রোজা।
**শরীয়তে স্বীকৃত কারণ ব্যতিত রমজানের রোজা ছেড়ে দিলে কাফ্ফারা হিসেবে ৬০টি রোজা রাখা।
** রোজার মান্নত করলে তা আদায় করা।
* ওয়াজিব রোজা: নফল রোজা রেখে ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে তা আদায় করা ওয়াজিব।
*সুন্নত রোজা: মহরম মাসের নয় এবং দশ তারিখে রোজা রাখা।
* মোস্তাহাব রোজা: প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, এবং ১৫ তারিখে, প্রতি সাপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারে, কোন কোন ইমামের মতে শাওয়াল মাসে পৃথক পৃথক প্রতি সপ্তাহে দুটো করে ছয়টি রোজা রাখা মোস্তাহাব। তবে ইমাম [[আবু হানিফা]] (রহ.)-এর মতে এক সাথে হোক কিংবা পৃথক পৃথক হোক শাওয়ালের ছয়টি রোজা মুস্তাহাব।
*নফল রোজা: মোস্তাহাব আর নফল খুব কাছাকাছির ইবাদত। সহজ অর্থে নফল হলো যা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত নয় এমন ইবাদত পূণ্যের নিয়তে করা। রোজার ক্ষেত্রেও তাই। <ref>দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম । ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দশম সংস্করণ : ফেব্রুয়ারি ২০১২, পৃষ্ঠা: ৩০৬-৩০৭ {{ISBN|984-06-0560-7}}</ref>

==রোযার ইতিহাস==
[[File:Different types of food items on Ifter plate.jpg|থাম্ব|সূর্যাস্তের সময় মুসলমানগণ ইফতারির মাধ্যমের রোজা ভঙ্গ করেন]]
কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে,
{{quote|"হে যারা ঈমান এনেছ তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে করে তোমরা তাক্ওয়া অবলম্বন করতে পার"। (সূরা বাকারা: ১৮৩)<ref>{{cite quran|2|183|s=ns}}</ref>}}

হযরত আদম যখন নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার পর তাওবাহ করেছিলেন তখন ৩০ দিন পর্যন্ত তাঁর তাওবাহ কবুল হয়নি। ৩০ দিন পর তাঁর তাওবাহ কবুল হয়। তারপর তাঁর সন্তানদের উপরে ৩০টি রোযা ফরয করে দেয়া হয়।<ref>ফাতহুল বারী ৪র্থ খণ্ড ১০২-১০৩ পৃষ্ঠা</ref>।

নূহ (আ.)-এর যুগেও রোজা ছিল। কারণ, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন: {{উক্তি|হযরত নূহ (আ.) ১ লা শাওয়াল ও ১০ জিলহজ ছাড়া সারা বছর রোযা রাখতেন।|ইবনে মাজাহ ১৭১৪ (সনদ দুর্বল)<ref>{{ihadis|im|1714}}</ref>}}

হযরত ইবরাহীমের যুগে ৩০টি রোজা ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন।

হযরত দাউদ (আ.) এর যুগেও রোযার প্রচলন ছিল। হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় রোযা হযরত দাউদ (আ.)-এর রোযা। তিনি একদিন রোযা রাখতেন এবং একদিন বিনা রোযায় থাকতেন।<ref>নাসাঈ ১ম খণ্ড ২৫০ পৃষ্ঠা, বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১৭৯ পৃষ্ঠা</ref>

আরববাসীরাও ইসলামের পূর্বে রোযা সম্পর্কে কমবেশী ওয়াকিফহাল ছিল। মক্কার কুরাইশগণ অন্ধকার যুগে আশুরার (অর্থাৎ ১০ মুহররম) দিনে এ জন্য রোযা রাখতো যে, এই দিনে খানা কাবার ওপর নতুন গেলাফ চড়ানো হতো।<ref>মুসনাদে ইবনে হাম্বল: ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ: ২৪৪</ref><ref>{{ihadis|b|1592}}, তাওহীদ পাবলিকেশন্স</ref> মদীনায় বসবাসকারী ইহুদীরাও পৃথকভাবে আশুরা উৎসব পালন করতো।<ref>সহীহ বুখারী: কিতাবুস সওম, ১ম খন্ড, পৃ: ১৬২</ref> অর্থাৎ ইহুদীরা নিজেদের গণনানুসারে সপ্তম মাসের ১০ম দিনে রোযা রাখতো।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bangla.thereport24.com/article/43723/index.html|শিরোনাম=রোজার ইতিহাস এবং শুরু|}}</ref>

===বাইবেলে রোযা===
ইহুদীদের মাঝেও রোযা ছিল আল্লাহ'র আদেশ। মোশি তুর পাহাড়ে চল্লিশ দিন পর্যন্ত ক্ষুৎ-পিপাসার ভিতর দিয়ে অতিবাহিত করেছেন। (যাত্রাপুস্তক:৩৪:২৮)<ref>{{বাইবেল উদ্ধৃতি|বই=2|অধ্যায়=34|লাইন=28|}}</ref> মোশির অনুসারীদের মাঝে চল্লিশ রোযা রাখাকে উত্তম বলে বিবেচনা করা হতো। ইহুদীদের অন্যান্য ছহীফাসমূহের মাঝে অন্যান্য দিনের রোযার হুকুম-আহকামও বিস্তৃতভাবে পাওয়া যায়। (প্রথম শামুয়েল:৭:৬) এবং (যেরেমিয়া:৩৬:৬)<ref>{{বাইবেল উদ্ধৃতি|বই=9|অধ্যায়=7|লাইন=6|}}</ref><ref>{{বাইবেল উদ্ধৃতি|বই=24|অধ্যায়=36|লাইন=6|}}</ref>

খৃষ্টান ধর্মে বর্তমান কালেও রোযার প্রভাব বিদ্যমান। [[যীশু]]ও চল্লিশ দিন পর্যন্ত রোযা রেখেছেন। (মথি:৪:২)<ref>{{বাইবেল উদ্ধৃতি|বই=40|অধ্যায়=4|লাইন=2|উক্তি=একটানা চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সেখানে উপোস করে কাটানোর পর যীশু ক্ষুধিত হলেন৷}}</ref>

যোহন যিনি যীশুর সমসাময়িক ছিলেন, তিনিও রোযা রাখতেন এবং তার অনুসারীগণের মাঝেও রোযা রাখার রীতির প্রচলন ছিল। (মার্ক ২:১৮)<ref>{{বাইবেল উদ্ধৃতি|বই=41|অধ্যায়=2|লাইন=18|উক্তি=সেই সময় যোহনেরশিষ্যরা এবং ফরীশীরা উপোস করছিলেন৷}}</ref>

বাইবেল অনুসারে, যীশুর স্বীয় সময়কালে কিছু সংখ্যক রোযা রাখার অনুমতি বা অবকাশও ছিল। একবার কতিপয় ইহুদী সমবেত হয়ে হযরত যীশুর নিকট এই আপত্তি উত্থাপন করলো যে, তোমার অনুসারীরা কেন রোযা রাখছে না। যীশু এর জবাবে বলেন,
{{উক্তি|''বর সঙ্গে থাকতে কি বিয়ে বাড়ির অতিথিরা উপোস করতে পারে? যেহেতু বর তাদের সঙ্গে আছে তাই তারা উপোস করে না৷ কিন্তু এমন সময় আসবে যখন বরকে তাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে; আর সেই দিন তারা উপোস করবে৷''<ref>{{বাইবেল উদ্ধৃতি|বই=41|অধ্যায়=2|লাইন=19|শেষ লাইন=20}}</ref>}}

বলা হয় যীশু মোশির সময়ের রোযাসমূহকে নয়; বরং শোক পালনার্থে নব্য প্রচলিত রোযার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন এবং তিনি স্বীয় অনুসারীদেরকে পূর্ণ আন্তরিকতা ও বিশুদ্ধচিত্ততার সাথে রোযা রাখার উপদেশ প্রদান করতেন। বাইবেলে বলা হয়েছে, {{উক্তি|''‘যখন তোমরা উপবাস কর, তখন ভণ্ডদের মতো মুখ শুকনো করে রেখো না৷ তারা যে উপবাস করেছে তা লোকেদের দেখাবার জন্য তারা মুখ শুকনো করে ঘুরে বেড়ায়৷ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তারা তাদের পুরস্কার পেয়ে গেছে৷ কিন্তু তুমি যখন উপবাস করবে, তোমার মাথায় তেল দিও আর মুখ ধুয়ো৷ যেন অন্য লোকে জানতে না পারে যে তুমি উপবাস করছ৷ তাহলে তোমার পিতা ঈশ্বর, যাঁকে তুমি চোখে দেখতে পাচ্ছ না, তিনি দেখবেন৷ তোমার পিতা ঈশ্বর যিনি গোপন বিষয়ও দেখতে পান, তিনি তোমায় পুরস্কার দেবেন৷ (মথি:৬:১৬-১৮)<ref>{{বাইবেল উদ্ধৃতি|বই=40|অধ্যায়=6|লাইন=16|শেষ লাইন=18}}</ref>}}

==রোজার উদ্দেশ্য==
রোজা রাখার উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা।

কুরআনে বলা হয়েছে,
{{quote|''হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো"।|সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩}}

আরও বলা হয়েছে,
{{উক্তি|"রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।"|সূরা বাকারা: ১৮৫<ref>কুরআন [https://www.hadithbd.com/read-alquran.php?suraNo=2&aya=185 2:185], HadithBD</ref>}}

‘তাকওয়া’ শব্দটির মূল অর্থ ‘রক্ষা করা।’ এর অনুবাদ করা হয়েছে নানাভাবে। যেমন পরহেজগারি, আল্লাহর ভয়, দ্বীনদারি, সৎ কর্মশীলতা, সতর্কতা প্রভৃতি। রোজা ঢালের মতো কাজ করে, যা গোনাহের হাত থেকে বাঁচায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.onnodiganta.com/article/detail/4096|শিরোনাম=রোজার উদ্দেশ্য}}</ref>

==রোজার ফযিলত==
রমজানের একটি বিশেষ ফজিলত বা মাহাত্ম হচ্ছে,এই পবিত্র রমজান মাসে [[কোরআন|আল কোরআন]] অবতীর্ণ হয়েছে। রমজান মাসের রোজা মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়,মানুষের কুপ্রবৃত্তি ধুয়ে মুছে দেয় এবং আত্মাকে দহন করে ঈমানের শাখা প্রশাখা সঞ্জিবীত করে। সর্বোপরি [[আল্লাহ]] রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। এই মর্মে [[মুহাম্মাদ|মহানবী (সা)]] ইরশাদ করেছেন,
{{quote|"রোজাদারের জন্য দুটি খুশি। একটি হলো তার ইফতারের সময়, আর অপরটি হলো আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।"|(বুখারী ও মুসলিম)}}

==রোজার শর্ত==
রোজার কিছু মৌলিক আচার আছে। যা ফরজ বলে চিহ্নিত। সুস্থ-সবল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমকে অবশ্যই রোজা রাখতে হবে। কিন্তু শারীরিক অসমর্থতার কারণে সে এ দায়িত্ব থেকে আপাতভাবে মুক্তি পেতে পারে। এর প্রতিবিধানে রয়েছে কাজা ও কাফফারার বিধান। নিচে রোজার ফরজ ও শর্তগুলো দেওয়া হলো-

রোজার ৩ ফরজ :
* নিয়ত করা
* সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা
* যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা।

রোজা রাখার ৪ শর্ত :
* মুসলিম হওয়া
* বালেগ হওয়া
* অক্ষম না হওয়া
* ঋতুস্রাব থেকে বিরত থাকা নারী।

==রোজা ভঙ্গ হলে==
বিনা কারণে রোজা ভঙ্গ করলে তাকে অবশ্যই কাজা-কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব। যতটি রোজা ভঙ্গ হবে, ততটি রোজা আদায় করতে হবে। কাজা রোজা একটির পরিবর্তে একটি অর্থাৎ রোজার কাজা হিসেবে শুধু একটি রোজাই যথেষ্ট। কাফফারা আদায় করার তিনটি বিধান রয়েছে।

*একটি রোজা ভঙ্গের জন্য একাধারে ৬০টি রোজা রাখতে হবে। কাফফারা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজার মাঝে কোনো একটি ভঙ্গ হলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
*যদি কারও জন্য ৬০টি রোজা পালন সম্ভব না হয় তবে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে। কেউ অসুস্থতাজনিত কারণে রোজা রাখার ক্ষমতা না থাকলে ৬০ জন ফকির, মিসকিন, গরিব বা অসহায়কে প্রতিদিন দুই বেলা করে পেটভরে খাওয়াতে হবে।
*গোলাম বা দাসী আজাদ করে দিতে হবে।

'''যেসব কারণে রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা যাবে কিন্তু পরে কাজা করতে হয় তা হচ্ছে'''
*মুসাফির অবস্থায়
*রোগ-ব্যাধি বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে
*মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে
*এমন ক্ষুধা বা তৃষ্ণা হয়, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকতে পারে
*শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে
*কোনো রোজাদারকে সাপে দংশন করলে।
*মহিলাদের মাসিক হায়েজ-নেফাসকালীন রোজা ভঙ্গ করা যায়

'''যেসব কারণে শুধু কাজা আদায় করতে হয়'''
*স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করার কারণে যদি বীর্যপাত হয়
*ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে
*পাথরের কণা, লোহার টুকরা, ফলের বিচি গিলে ফেললে
*ডুশ গ্রহণ করলে
*বিন্দু পরিমান কোন খাবার খেলে তবে অনিচ্ছাকৃত ভাবে বা মনের ভুলে খেলেও রোজা ভাংবে না তবে মনে আসা মাত্রই খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে
*নাকে বা কানে ওষুধ দিলে (যদি তা পেটে পেঁৗছে)
*মাথার ক্ষতস্থানে ওষুধ দেওয়ার পর তা যদি মস্তিষ্কে বা পেটে পেঁৗছে
*যোনিপথ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে সহবাস করার ফলে বীর্য নির্গত হলে
*স্ত্রী লোকের যোনিপথে ওষুধ দিলে

==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}

== বহিঃসংযোগ ==
<!-- বাংলা ছাড়া কোন ইংরেজি বহিঃলিঙ্ক দিবেন না। কেননা বাংলায় রোযা নিয়ে প্রচুর লিঙ্ক বিদ্যমান। -->
* সিয়াম, কিয়াম, যাকাত বিষয়ক বই - [https://islamhouse.com/438417 "রমযান মাসের ৩০ আসর"]

{{ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ}}
{{Islam topics|state=collapsed}}
{{সালাত}}
{{রমযান |state=expanded}}

[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ]]
[[বিষয়শ্রেণী:রমজান]]
[[বিষয়শ্রেণী:রোজা]]

০৯:১০, ২৬ মে ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রোযা বা রোজা (ফার্সি روزہ রুজ়ে), সাউম (আরবি صوم স্বাউম্‌), বা সিয়াম ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ (فرض ফ়ার্দ্ব্‌) যার অর্থ অবশ্য পালনীয়।

রোযার উৎপত্তি

রোজা শব্দের অর্থ হচ্ছে 'পানাহার বা বিরত থাকা'। আর আরবিতে এর নাম সাওম বা সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোজা।

রোজার প্রকারভেদ

রোজা পাঁচ প্রকার।

  • ফরজ রোজা: যা আবার চার প্রকার-
    • রমজান মাসের রোজা।
    • কোন কারণ বশত রমজানের রোজা ভঙ্গ হয়ে গেলে তার কাযা আদায়ে রোজা।
    • শরীয়তে স্বীকৃত কারণ ব্যতিত রমজানের রোজা ছেড়ে দিলে কাফ্ফারা হিসেবে ৬০টি রোজা রাখা।
    • রোজার মান্নত করলে তা আদায় করা।
  • ওয়াজিব রোজা: নফল রোজা রেখে ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে তা আদায় করা ওয়াজিব।
  • সুন্নত রোজা: মহরম মাসের নয় এবং দশ তারিখে রোজা রাখা।
  • মোস্তাহাব রোজা: প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, এবং ১৫ তারিখে, প্রতি সাপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারে, কোন কোন ইমামের মতে শাওয়াল মাসে পৃথক পৃথক প্রতি সপ্তাহে দুটো করে ছয়টি রোজা রাখা মোস্তাহাব। তবে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে এক সাথে হোক কিংবা পৃথক পৃথক হোক শাওয়ালের ছয়টি রোজা মুস্তাহাব।
  • নফল রোজা: মোস্তাহাব আর নফল খুব কাছাকাছির ইবাদত। সহজ অর্থে নফল হলো যা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত নয় এমন ইবাদত পূণ্যের নিয়তে করা। রোজার ক্ষেত্রেও তাই। [১]

রোযার ইতিহাস

সূর্যাস্তের সময় মুসলমানগণ ইফতারির মাধ্যমের রোজা ভঙ্গ করেন

কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে,

"হে যারা ঈমান এনেছ তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে করে তোমরা তাক্ওয়া অবলম্বন করতে পার"। (সূরা বাকারা: ১৮৩)[২]

হযরত আদম যখন নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার পর তাওবাহ করেছিলেন তখন ৩০ দিন পর্যন্ত তাঁর তাওবাহ কবুল হয়নি। ৩০ দিন পর তাঁর তাওবাহ কবুল হয়। তারপর তাঁর সন্তানদের উপরে ৩০টি রোযা ফরয করে দেয়া হয়।[৩]

নূহ (আ.)-এর যুগেও রোজা ছিল। কারণ, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন:

হযরত নূহ (আ.) ১ লা শাওয়াল ও ১০ জিলহজ ছাড়া সারা বছর রোযা রাখতেন।

— ইবনে মাজাহ ১৭১৪ (সনদ দুর্বল)[৪]

হযরত ইবরাহীমের যুগে ৩০টি রোজা ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন।

হযরত দাউদ (আ.) এর যুগেও রোযার প্রচলন ছিল। হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় রোযা হযরত দাউদ (আ.)-এর রোযা। তিনি একদিন রোযা রাখতেন এবং একদিন বিনা রোযায় থাকতেন।[৫]

আরববাসীরাও ইসলামের পূর্বে রোযা সম্পর্কে কমবেশী ওয়াকিফহাল ছিল। মক্কার কুরাইশগণ অন্ধকার যুগে আশুরার (অর্থাৎ ১০ মুহররম) দিনে এ জন্য রোযা রাখতো যে, এই দিনে খানা কাবার ওপর নতুন গেলাফ চড়ানো হতো।[৬][৭] মদীনায় বসবাসকারী ইহুদীরাও পৃথকভাবে আশুরা উৎসব পালন করতো।[৮] অর্থাৎ ইহুদীরা নিজেদের গণনানুসারে সপ্তম মাসের ১০ম দিনে রোযা রাখতো।[৯]

বাইবেলে রোযা

ইহুদীদের মাঝেও রোযা ছিল আল্লাহ'র আদেশ। মোশি তুর পাহাড়ে চল্লিশ দিন পর্যন্ত ক্ষুৎ-পিপাসার ভিতর দিয়ে অতিবাহিত করেছেন। (যাত্রাপুস্তক:৩৪:২৮)[১০] মোশির অনুসারীদের মাঝে চল্লিশ রোযা রাখাকে উত্তম বলে বিবেচনা করা হতো। ইহুদীদের অন্যান্য ছহীফাসমূহের মাঝে অন্যান্য দিনের রোযার হুকুম-আহকামও বিস্তৃতভাবে পাওয়া যায়। (প্রথম শামুয়েল:৭:৬) এবং (যেরেমিয়া:৩৬:৬)[১১][১২]

খৃষ্টান ধর্মে বর্তমান কালেও রোযার প্রভাব বিদ্যমান। যীশুও চল্লিশ দিন পর্যন্ত রোযা রেখেছেন। (মথি:৪:২)[১৩]

যোহন যিনি যীশুর সমসাময়িক ছিলেন, তিনিও রোযা রাখতেন এবং তার অনুসারীগণের মাঝেও রোযা রাখার রীতির প্রচলন ছিল। (মার্ক ২:১৮)[১৪]

বাইবেল অনুসারে, যীশুর স্বীয় সময়কালে কিছু সংখ্যক রোযা রাখার অনুমতি বা অবকাশও ছিল। একবার কতিপয় ইহুদী সমবেত হয়ে হযরত যীশুর নিকট এই আপত্তি উত্থাপন করলো যে, তোমার অনুসারীরা কেন রোযা রাখছে না। যীশু এর জবাবে বলেন,

বর সঙ্গে থাকতে কি বিয়ে বাড়ির অতিথিরা উপোস করতে পারে? যেহেতু বর তাদের সঙ্গে আছে তাই তারা উপোস করে না৷ কিন্তু এমন সময় আসবে যখন বরকে তাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে; আর সেই দিন তারা উপোস করবে৷[১৫]

বলা হয় যীশু মোশির সময়ের রোযাসমূহকে নয়; বরং শোক পালনার্থে নব্য প্রচলিত রোযার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন এবং তিনি স্বীয় অনুসারীদেরকে পূর্ণ আন্তরিকতা ও বিশুদ্ধচিত্ততার সাথে রোযা রাখার উপদেশ প্রদান করতেন। বাইবেলে বলা হয়েছে,

‘যখন তোমরা উপবাস কর, তখন ভণ্ডদের মতো মুখ শুকনো করে রেখো না৷ তারা যে উপবাস করেছে তা লোকেদের দেখাবার জন্য তারা মুখ শুকনো করে ঘুরে বেড়ায়৷ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তারা তাদের পুরস্কার পেয়ে গেছে৷ কিন্তু তুমি যখন উপবাস করবে, তোমার মাথায় তেল দিও আর মুখ ধুয়ো৷ যেন অন্য লোকে জানতে না পারে যে তুমি উপবাস করছ৷ তাহলে তোমার পিতা ঈশ্বর, যাঁকে তুমি চোখে দেখতে পাচ্ছ না, তিনি দেখবেন৷ তোমার পিতা ঈশ্বর যিনি গোপন বিষয়ও দেখতে পান, তিনি তোমায় পুরস্কার দেবেন৷ (মথি:৬:১৬-১৮)[১৬]

রোজার উদ্দেশ্য

রোজা রাখার উদ্দেশ্য হলো, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা এবং নিজেদের কামনা-বাসনা নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরহেজগারি বা তাকওয়া বৃদ্ধি করা।

কুরআনে বলা হয়েছে,

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো"।

— সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩

আরও বলা হয়েছে,

"রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।"

— সূরা বাকারা: ১৮৫[১৭]

‘তাকওয়া’ শব্দটির মূল অর্থ ‘রক্ষা করা।’ এর অনুবাদ করা হয়েছে নানাভাবে। যেমন পরহেজগারি, আল্লাহর ভয়, দ্বীনদারি, সৎ কর্মশীলতা, সতর্কতা প্রভৃতি। রোজা ঢালের মতো কাজ করে, যা গোনাহের হাত থেকে বাঁচায়।[১৮]

রোজার ফযিলত

রমজানের একটি বিশেষ ফজিলত বা মাহাত্ম হচ্ছে,এই পবিত্র রমজান মাসে আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। রমজান মাসের রোজা মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়,মানুষের কুপ্রবৃত্তি ধুয়ে মুছে দেয় এবং আত্মাকে দহন করে ঈমানের শাখা প্রশাখা সঞ্জিবীত করে। সর্বোপরি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। এই মর্মে মহানবী (সা) ইরশাদ করেছেন,

"রোজাদারের জন্য দুটি খুশি। একটি হলো তার ইফতারের সময়, আর অপরটি হলো আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।"

— (বুখারী ও মুসলিম)

রোজার শর্ত

রোজার কিছু মৌলিক আচার আছে। যা ফরজ বলে চিহ্নিত। সুস্থ-সবল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমকে অবশ্যই রোজা রাখতে হবে। কিন্তু শারীরিক অসমর্থতার কারণে সে এ দায়িত্ব থেকে আপাতভাবে মুক্তি পেতে পারে। এর প্রতিবিধানে রয়েছে কাজা ও কাফফারার বিধান। নিচে রোজার ফরজ ও শর্তগুলো দেওয়া হলো-

রোজার ৩ ফরজ :

  • নিয়ত করা
  • সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা
  • যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা।

রোজা রাখার ৪ শর্ত :

  • মুসলিম হওয়া
  • বালেগ হওয়া
  • অক্ষম না হওয়া
  • ঋতুস্রাব থেকে বিরত থাকা নারী।

রোজা ভঙ্গ হলে

বিনা কারণে রোজা ভঙ্গ করলে তাকে অবশ্যই কাজা-কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব। যতটি রোজা ভঙ্গ হবে, ততটি রোজা আদায় করতে হবে। কাজা রোজা একটির পরিবর্তে একটি অর্থাৎ রোজার কাজা হিসেবে শুধু একটি রোজাই যথেষ্ট। কাফফারা আদায় করার তিনটি বিধান রয়েছে।

  • একটি রোজা ভঙ্গের জন্য একাধারে ৬০টি রোজা রাখতে হবে। কাফফারা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজার মাঝে কোনো একটি ভঙ্গ হলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।
  • যদি কারও জন্য ৬০টি রোজা পালন সম্ভব না হয় তবে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে। কেউ অসুস্থতাজনিত কারণে রোজা রাখার ক্ষমতা না থাকলে ৬০ জন ফকির, মিসকিন, গরিব বা অসহায়কে প্রতিদিন দুই বেলা করে পেটভরে খাওয়াতে হবে।
  • গোলাম বা দাসী আজাদ করে দিতে হবে।

যেসব কারণে রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা যাবে কিন্তু পরে কাজা করতে হয় তা হচ্ছে

  • মুসাফির অবস্থায়
  • রোগ-ব্যাধি বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে
  • মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে
  • এমন ক্ষুধা বা তৃষ্ণা হয়, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকতে পারে
  • শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে
  • কোনো রোজাদারকে সাপে দংশন করলে।
  • মহিলাদের মাসিক হায়েজ-নেফাসকালীন রোজা ভঙ্গ করা যায়

যেসব কারণে শুধু কাজা আদায় করতে হয়

  • স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করার কারণে যদি বীর্যপাত হয়
  • ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে
  • পাথরের কণা, লোহার টুকরা, ফলের বিচি গিলে ফেললে
  • ডুশ গ্রহণ করলে
  • বিন্দু পরিমান কোন খাবার খেলে তবে অনিচ্ছাকৃত ভাবে বা মনের ভুলে খেলেও রোজা ভাংবে না তবে মনে আসা মাত্রই খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে
  • নাকে বা কানে ওষুধ দিলে (যদি তা পেটে পেঁৗছে)
  • মাথার ক্ষতস্থানে ওষুধ দেওয়ার পর তা যদি মস্তিষ্কে বা পেটে পেঁৗছে
  • যোনিপথ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে সহবাস করার ফলে বীর্য নির্গত হলে
  • স্ত্রী লোকের যোনিপথে ওষুধ দিলে

তথ্যসূত্র

  1. দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম । ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দশম সংস্করণ : ফেব্রুয়ারি ২০১২, পৃষ্ঠা: ৩০৬-৩০৭ আইএসবিএন ৯৮৪-০৬-০৫৬০-৭
  2. কুরআন ২:১৮৩
  3. ফাতহুল বারী ৪র্থ খণ্ড ১০২-১০৩ পৃষ্ঠা
  4. টেমপ্লেট:Ihadis
  5. নাসাঈ ১ম খণ্ড ২৫০ পৃষ্ঠা, বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১৭৯ পৃষ্ঠা
  6. মুসনাদে ইবনে হাম্বল: ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ: ২৪৪
  7. টেমপ্লেট:Ihadis, তাওহীদ পাবলিকেশন্স
  8. সহীহ বুখারী: কিতাবুস সওম, ১ম খন্ড, পৃ: ১৬২
  9. "রোজার ইতিহাস এবং শুরু" 
  10. টেমপ্লেট:বাইবেল উদ্ধৃতি
  11. টেমপ্লেট:বাইবেল উদ্ধৃতি
  12. টেমপ্লেট:বাইবেল উদ্ধৃতি
  13. টেমপ্লেট:বাইবেল উদ্ধৃতি
  14. টেমপ্লেট:বাইবেল উদ্ধৃতি
  15. টেমপ্লেট:বাইবেল উদ্ধৃতি
  16. টেমপ্লেট:বাইবেল উদ্ধৃতি
  17. কুরআন 2:185, HadithBD
  18. "রোজার উদ্দেশ্য" 

বহিঃসংযোগ