উপবন এক্সপ্রেস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উপবন এক্সপ্রেস
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পরিষেবা ধরনআন্তঃনগর ট্রেন
অবস্থাপরিচালিত হচ্ছে
প্রথম পরিষেবা৪ মে ১৯৮৮; ৩৫ বছর আগে (4 May 1988)
বর্তমান পরিচালকপূর্বাঞ্চল রেলওয়ে
যাত্রাপথ
শুরুকমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
বিরতি( ৭৪০* ৯টি এবং ৭৩৯* ১০টি স্টেশনে)
শেষসিলেট রেলওয়ে স্টেশন
ভ্রমণ দূরত্ব২৯৬.৯৭ কিলোমিটার (১৮৪.৫৩ মাইল)
যাত্রার গড় সময়৭ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
পরিষেবার হারসপ্তাহে ৬ দিন
রেল নং৭৩৯/৭৪০
যাত্রাপথের সেবা
শ্রেণীশোভন চেয়ার, এসি চেয়ার, এসি বার্থ
আসন বিন্যাসআছে
ঘুমানোর ব্যবস্থাআছে
খাদ্য সুবিধাআছে
বিনোদন সুবিধাআছে
মালপত্রের সুবিধাআছে
কারিগরি
গাড়িসম্ভারবর্তমানে এই ট্রেনটিকে ইন্দোনেশিয়ান পিটি ইনকা রেক বা কোচ দ্বারা পরিচালনা করা হয়। এই ট্রেনটিতে ১৪টি বগি রয়েছে, যার মধ্যে ২টি গার্ড কার+শোভন চেয়ার+খাবার গাড়ি , ২টি এসি চেয়ার, ১টি এসি স্লিপার , ১টি পাওয়ার কার, ৮টি শোভন চেয়ার বগি।
ট্র্যাক গেজমিটারগেজ
রক্ষণাবেক্ষণসিলেট রেলওয়ে স্টেশনকমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
রেক ভাগকরণজয়ন্তিকা এক্সপ্রেস

উপবন এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ৭৩৯/৭৪০) বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে পরিচালিত ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন। উপবন এক্সপ্রেস উদ্বোধন হয় ৪ই মে ১৯৮৮ খিস্টাব্দে। এ রূটে আরো তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসকালনী এক্সপ্রেস চলাচল করে।[১][২][৩][৪][৫][৬]

সময়সূচী[সম্পাদনা]

(বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচী পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নিম্নোক্ত সময়সূচীটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচী অনুযায়ী, যা ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি হতে কার্যকর।)

ট্রেন

নং

উৎস প্রস্থান গন্তব্য প্রবেশ সাপ্তাহিক

ছুটি

৭৩৯ কমলাপুর ২২:০০ সিলেট ০৫:০০ বুধবার
৭৪০ সিলেট ২৩:৩০ কমলাপুর ০৫:৪৫ সোমবার

যাত্রাবিরতি[সম্পাদনা]

(অনেকসময় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক কোনো ট্রেনের যাত্রাবিরতি পরিবর্তিত হতে পারে। নিম্নোক্ত তালিকাটি ২০২০ সাল অব্দি কার্যকর।)উপবন এক্সপ্রেস আগে আখাউড়া জংশনে স্টপেজ দিতো কিন্তু বাইপাস হওয়ার পর আর আখাউড়ায় স্টপেজ না দিয়ে আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন স্টপেজ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতের বেলা আজমপুর স্টেশনে প্রবেশ করায় নিরাপত্তার জন্য আজমপুর স্টেশনে স্টপেজ বাতিল করা হয়।

দূর্ঘটনা[সম্পাদনা]

উপবন এক্সপ্রেস ২০১৯ সালের ২৩ জুন সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে রাত সাড়ে এগারোটার সময় বরমচালে কুলাউড়া রেল দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এই দূর্ঘটনায় ৭-১০ জন নিহত হয় এবং আহত হয় প্রায় শতাধিক ব্যক্তি। এ ঘটনায় প্রায় ২৪+ ঘণ্টা ঢাকার সাথে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিছিন্ন ছিল।[৭][৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "নতুন কোচ যুক্ত হলো জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেসে"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. রিপোর্টার, স্টাফ। "ঢাকা-সিলেট রুটে নতুন কোচে জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেস"দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৮ 
  3. "সিলেট-ঢাকা রুটে নামলো জয়ন্তিকা-উপবন"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৮ 
  4. "উপবন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৮ 
  5. "উপবন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত : তদন্ত কমিটি গঠন"জাগো নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৮ 
  6. "নতুন কোচ দিয়ে যাত্রা শুরু জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেসের"বার্তা২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৮ 
  7. খান, কমল জোহা। "উপবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  8. "কুলাউড়ায় দুর্ঘটনায় উপবন এক্সপ্রেস, নিহত ৪"bdnews24.com। ২০২২-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৮