রাণীশংকৈল উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৩′১৮″ উত্তর ৮৮°১৫′৬″ পূর্ব / ২৫.৮৮৮৩৩° উত্তর ৮৮.২৫১৬৭° পূর্ব / 25.88833; 88.25167
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(রানীশংকৈল উপজেলা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রাণীশংকৈল
উপজেলা
মানচিত্রে রাণীশংকৈল উপজেলা
মানচিত্রে রাণীশংকৈল উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৩′১৮″ উত্তর ৮৮°১৫′৬″ পূর্ব / ২৫.৮৮৮৩৩° উত্তর ৮৮.২৫১৬৭° পূর্ব / 25.88833; 88.25167 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাঠাকুরগাঁও জেলা
আয়তন
 • মোট২৮৭.৭৪ বর্গকিমি (১১১.১০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট২,২২,২৮৪
 • জনঘনত্ব৭৭০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৬০%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৯৪ ৮৬
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

রাণীশংকৈল উপজেলা বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

রাণীশংকৈল উপজেলা শহরে শিবদীঘি তেমাথা, বামে জেড৫০০৪ সড়কের আরম্ভ।

রানীশংকৈল উপজেলাটি হলো ঠাকুরগাঁও জেলা এবং রংপুর বিভাগের অন্তর্গত। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম কর্ণরে অবস্থিত। এর আয়তন ২৮৭.৫৯ বর্গকিলোমিটার। রাজধানী ঢাকা থেকে রানীশংকৈলের দুরত্ব প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, দক্ষিণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে পীরগঞ্জ উপজেলাঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, পশ্চিমে হরিপুর উপজেলা

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাচীনকালে এই অঞ্চল বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। ১৭৯৩ সালে রানীশংকৈল অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[২] পরর্বতীতে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির সময় পূর্ব পাকিস্তান এবং পরে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্গত হয়। ১৯৮৪ সালের আগ পর্যন্ত রানীশংকৈল উপজেলাটি দিনাজপুর জেলার অধীনেই ছিলো ৮৪ সালে ঠাকুরগাঁও কে নতুন জেলা করা হলে রানীশংকৈল ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্যে আসে।

বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ীহাটে জমিদারদের স্বেচ্ছাচারমূলক তোলা আদায়ের বিরুদ্ধে কৃষকগণ সংগঠিত হন, যা রাজনৈতিক ইতিহাসে "তোলাবাটি" আন্দোলন নামে খ্যাত হয়। এই আন্দোলনে নেতৃত্বদানের দায়ে গ্রেফতারবরন করেন এবং তিনমাস বন্দী জীবন কাটান কৃষক নেতা কম্পরাম সিং। তোলাবটি আন্দোলন শেষ না হতেই সমগ্র উত্তরবঙ্গের সাথে ১৯৪৬ সালে রানীশংকৈল উপজেলায় তেভাগা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েএবং কম্পরাম সিং সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন।[৩] সে সময় কৃষক নারীরা লাঠি, ঝাঁটা, দা-বটি, কুড়াল যে যা হাতের কাছে পায় তাই দিয়ে পুলিশকে বাঁধা দেয়। একজন বন্দুকধারী পুলিস নারী ভলান্টিয়ারদের প্রতি অসম্মানজনক উক্তি করে গালি দেয়। কৃষক নেতা ও রাজবংশী নারী ভাণ্ডনীর নেতৃত্বে কৃষক নারীরা পুলিসটিকে গ্রেপ্তার করে সারারাত আটক রাখে। ভাণ্ডনী সারারাত বন্দুক কাঁধে করে তাকে পাহারা দেয়।[৪]

নদনদী[সম্পাদনা]

রাণীশংকৈল উপজেলার পূর্ব পাশ থেকে কুলিক নদীর দৃশ্য।

রাণীশংকৈল উপজেলায় চারটি নদী রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে নাগর নদী, কুলিক নদী, নোনা নদী এবং তীরনই নদী[৫][৬] এর মধ্যে কুলিক এবং নোনা হলো বাংলাদেশের দুটি নদী যেগুলো বাংলাদেশে উৎপন্ন হয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতে পৌছেছে। এছাড়া সারা দেশে অন্য যে নদীগুলো আছে সেগুলো ভারত থেকে এসেছে। অথবা ভারতে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশে এসেছে আবার ভারতে গেছে।

কৃষি[সম্পাদনা]

২২ হাজার ৪০৫ দশমিক ০৯ হেক্টর জমি চাষ যোগ্য, ৬ হাজার ১১৫ দশমিক ৭৪ হেক্টর জমি পতিত অবস্থায় আছে। চাষ যোগ্য জমিগুলোর মধ্যে বছরে একবার ফসল উৎপন্ন হয় ৩০% জমিতে, দুই বার উৎপন্ন হয় ৫৫% জমিতে আর তিনবার বার তার বেশি ফসল উৎপন্ন হয় ১৫% জমিতে। চাষ যোগ্য জমির মধ্যে ৬৯% জমিতে সেচ ব্যবস্থা আছে।

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

রাণীশংকৈল উপজেলা ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ইউনিয়নসমূহ হচ্ছে-

ইতিহাস[সম্পাদনা]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

রানিশনকৈল উপজেলার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক কৃষি কাজের সাথে জড়িত, আর বাকি অর্ধেক বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। এই উপজেলার অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী দেশর বিভিন্ন জেলা হতে এসেছেন।

ঐতিহাসিক স্থান[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]

বিবিধ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে রাণীশংকৈল"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. ধনঞ্জয় রায়, দিনাজপুর জেলার ইতিহাস, কে পি বাগচী অ্যান্ড কোম্পানি কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ২০০৬, পৃষ্ঠা ২১১
  3. হোসেন, সেলিনা; ইসলাম, নুরুল, সম্পাদকগণ (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭)। "কম্পরাম সিং" (ছাপা)বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান (পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত বিতীয় সংস্করণ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ১০৮। 
  4. সুপ্রকাশ রায়, তেভাগা সংগ্রাম; র‍্যাডিক্যাল কলকাতা, সংশোধিত দ্বিতীয় প্রকাশ, জানুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১১-১২
  5. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯
  6. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ৬১৭, ISBN 984-70120-0436-4.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]