আহলুল হাদীস
| সুন্নি ইসলাম ধারাবাহিকের একটি অংশ |
|---|
| ইসলাম |
|---|
| বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ |
| নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর একটি ধারাবাহিকের অংশ:
সালাফিবাদ |
|---|
|
|
ইসলামের ইতিহাসে আহলুল হাদীস ( আরবি: أهل الحديث) বলতে এমন একটি ইসলামি আকীদাগত গোষ্ঠীকে বোঝানো হয়, যারা ধর্মতাত্ত্বিক সিদ্ধান্ত ও শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কেবল কুরআন, সহিহ হাদিস ও সাহাবিদের ইজমা (ঐক্যমত্য) ব্যবহারের পক্ষে কথা বলে। এটি করে ইসলামের ইতিহাসের দ্বিতীয়/তৃতীয় শতাব্দীতে মুহাদ্দিস বা হাদীসের পণ্ডিতদের একটি আন্দোলন ছিল। [১] ইসলামের দ্বিতীয় শতাব্দীতে ইসলামী আকীদার উৎস নিয়ে বিতর্ককারী দুটি প্রধান দলের একটি ছিল আহলুল হাদিস এবং অন্যটি ছিল আহলে রায়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]আনুমানিক ইসলাম আগমনের তৃতীয় শতাব্দীর দিকে সমসাময়িক আইনশাস্ত্রের আলেমদের মতামত অপেক্ষা মুহাম্মাদ এর মতাদর্শ বা হাদিসের উপর অধিক জোর প্রদানের মাধ্যমে এই মতবাদের সূচনা হয়।[২] ৩য় শতাব্দীতে আহমদ ইবনে হাম্বলের নেতৃত্বে মুতাজিলা মতবাদের বিরোধিতার মাধ্যমে এই মতবাদের উদ্ভব ঘটে।[৩] কেভিন জাকুয়েসের মতে, আহলে হাদিসগণ খলিফা ইয়াজিদ কর্তৃক সঙ্ঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটি ধর্মীয় ইতিবাচক ব্যাখ্যার উন্মেষ ঘটিয়েছেন।[৪] অধ্যাপক 'সেরিল গ্লাসি' ইবনে হাজমকে আহলে হাদিস মতবাদের সবচেয়ে বড় দার্শনিক ও ধর্মতাত্ত্বিক বলে মনে করেন।[৫] ইবনে তাইমিয়া[৬], আল জাহাবি[৭], আহমদ ইবনে হাম্বল, ইবনে কাইয়িম আল জাওয়াজিয়া[৮], মুহাম্মাদ আল বুখারি, ইবনে হাজার আস্কালানি[৯], ইমাম কাজী আবুল ফযল ইয়াযসহ আরও অনেকেই এই মতবাদকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন। এই মতবাদের অনুসারীগণ নিজেদের রাশিদুন খলিফার মতবাদের অনুসারী বলে মনে করেন।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Esposito, John L. EspositoJohn L. (১ জানুয়ারি ২০০৩)। Esposito, John L. (সম্পাদক)। The Oxford Dictionary of Islam (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। ডিওআই:10.1093/acref/9780195125580.001.0001/acref-9780195125580-e-72। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫১২৫৫৮-০।
- ↑ "Ahl al-Hadith"। Oxford Islamic Studies। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ A Brief History of Islam by Karen Armstrong, Phoenix, London
- ↑ Jaque, R. Keven (২০০৪)। Martin, Richard C. (সম্পাদক)। Encylopedia of Islam and the Muslim World। Thomson Gale। পৃ. ২৭।
- ↑ Glasse, Cyril (২০০১)। The New Encyclopedia of Islam (revised সংস্করণ)। AltaMira Press। পৃ. ৩১।
- ↑ The Right Way- By Imam Ibn Taymiyyah, Darrussalam publishers KSA
- ↑ al-Dhahabi, Muhammad ibn Ahmad। al-Mu`allimi (সম্পাদক)। Tadhkirah al-Huffadh (Arabic ভাষায়)। খণ্ড ১। India। পৃ. ৪।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - ↑ Jonathan A.C. Brown। "Salafism - Islamic Studies - Oxford Bibliographies"। Oxford Bibliographies। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Al-`Asqalani, Ahmad ibn `Ali (২০০৫)। Abu Qutaybah al-Firyabi (সম্পাদক)। Fath al-Bari (Arabic ভাষায়)। খণ্ড ১ (first সংস্করণ)। Riyadh: Dar al-Taibah। পৃ. ২৯০। আইএসবিএন ১-৯০২৩৫০-০৪-৯।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক)