প্রবেশদ্বার:রাজনীতি
প্রধান | প্রাসঙ্গিক ও বিষয়শ্রেণী | কর্ম এবং প্রকল্প |
রাজনীতি প্রবেশদ্বার
রাজনীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যদিও রাজনীতি বলতে সাধারণত নাগরিক সরকারের রাজনীতিকেই বোঝানো হয়, তবে অন্যান্য অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখান মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেখানে রাজনীতি চর্চা করা হয়। রাজনীতি কতৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গঠিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞান হচ্ছে শিক্ষার এমন একটি শাখা যা রাজনৈতিক আচরণ শেখায় এবং ক্ষমতা গ্রহণ ও ব্যবহারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করে।
রাজনীতি সম্পর্কে বিস্তারিত… |
নির্বাচিত নিবন্ধ
নির্বাচন হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এমন একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জনগণ প্রশাসনিক কাজের জন্য একজন প্রতিনিধিকে বেছে নেয়। সপ্তদশ শতক থেকে আধুনিক প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি আবশ্যিক প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আইনসভার পদগুলি পূরণ করা হতে পারে, কখনও আবার কার্যনির্বাহী ও বিচারব্যবস্থা ছাড়াও আঞ্চলিক এবং স্থানীয় সরকারে প্রতিনিধি বাছাইও নির্বাচনের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার প্রয়োগ হয় বহু বেসরকারী সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও। ক্লাব বা সমিতি থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও কর্পোরেশন বা নিগমেও এই প্রক্রিয়ার ব্যবহার করা হয়। আধুনিক গণতন্ত্রে প্রতিনিধি বাছাইয়ের উপায় হিসেবে নির্বাচনের সার্বজনীন ব্যবহার করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের আদি চেহারা এথেন্সে নির্বাচনকে যেভাবে ব্যবহার হতো তার তুলনায় এটি অনেকটাই বিপরীত। নির্বাচনকে শাসকগোষ্ঠীর একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার বেশিরভাগ দপ্তরই পূরণ করা হতো বাছাইয়ের মাধ্যমে। এই নির্বাচন দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া বা অ্যালটমেন্ট নামেও পরিচিত ছিল, এর মাধ্যমেই পদাধিকারীদেরও বেছে নেওয়া হতো। যেখানে নির্বাচনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই সেখানে সুষ্ঠু ব্যবস্থা চালু করা অথবা বর্তমান ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতাকে আরো বাড়ানোর প্রক্রিয়াকেই নির্বাচনী সংস্কার বলে বর্ণনা করা হয়।
নির্বাচিত চিত্র
Located in Victoria, British Columbia, Canada, and officially opened in 1898 with a ৫০০ ফুট (১৫০ মি) long facade, central dome, two end pavilions, and a gold-covered statue of Captain George Vancouver, the British Columbia Parliament Buildings are home to the Legislative Assembly of British Columbia.
আপনি জানেন কি...
- ...১৯৯৮ সালে সমাজবাদী পার্টির এক সাংসদ সংসদে ‘মহিলা সংরক্ষণ বিল’-এর বিরোধিতা করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জামার কলার ধরে লোকসভার ওয়েলের বাইরে বের করে দেন?
- ...ভারত সরকার প্রথম দিকে মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীদের সমর্থন করলেও পুবে তাকাও নীতি গ্রহণের পর সেদেশের সামরিক সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে?
- ... অন্তরঙ্গ সম্পর্কের খাতিরে মহাত্মা গান্ধীকে "মিকি মাউস" বলে ডাকতেন সরোজিনী নাইডু?
- ...বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বাঙালি জাতি সম্পর্কে গোপালকৃষ্ণ গোখলে বলেছিলেন "বাঙালি আজ যা ভাবে, ভারত ভাবে আগামীকাল"?
- ...১৯৮৪ সালে যুক্তরাজ্যের ইউরো মানি পত্রিকার এক সমীক্ষায় ভারতীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পাঁচ অর্থমন্ত্রীর একজন হিসেবে নির্বাচিত হন?
- ...১৭৭০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির রাজত্বকালে বাংলার দুর্ভিক্ষটি ছিল বাংলার ইতিহাসে সব থেকে বড় দুর্ভিক্ষগুলির মধ্যে একটি এবং বাংলার এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল ১৭৭০ এবং তার পরবর্তী বছরগুলিতে?
নির্বাচিত জীবনী
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) (১৯ জানুয়ারি, ১৯৩৬ - ৩০ মে, ১৯৮১) বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে প্রথমে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন এবং চট্রগ্রাম, পার্বত্য চট্রগ্রাম, নোয়াখালী,রাঙ্গামাটি, মিরসরাই, রামগড়, ফেণী প্রভৃতি স্থানে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন। তিনি সেনা-ছাত্র-যুব সদস্যদের সংগঠিত করে পরবর্তীতে ১ম,৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এই তিনটি ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনীর প্রথম নিয়মিত সশস্ত্র ব্রিগেড জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমান, যুদ্ধ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিল হতে জুন পর্যন্ত ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার এবং তারপর জুন হতে অক্টোবর পর্যন্ত যুগপৎ ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করে। মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন এবং ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০শে মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন।
সংবাদ ও সমসাময়িক ঘটনাবলি
- এপ্রিল ১৬:ইউক্রেনীয় বাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছ থেকে বিমানবন্দরের পূণ:দখল নিয়েছে
- এপ্রিল ৫: আফগানিস্তানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে
- জানুয়ারি ২৭: তিউনিশিয়া নতুন সংবিধান অনুমোদন দিয়েছে
- জানুয়ারি ২৬: ইউক্রেনীয় বিরোধীরা ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি নাকচ করে দিয়েছে
- নভেম্বর ১২: ইরান পরমানু প্রকল্পে নজরদারি প্রসারিত করতে সম্মত হয়েছে
- নভেম্বর ৮: ফজলুল্লাহ পাকিস্তানের নতুন তালেবান প্রধান
- নভেম্বর ৬: ইলিনযয়ে সমকামী বিবাহ আইন পাশ
- নভেম্বর ২: ঝুঁকিতে ইরান-পাকিস্তান পাইপলাইন
- অক্টোবর ২৩: অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সমকামী বিবাহ আইন সিদ্ধ বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে
- সেপ্টেম্বর ৮: উইকিনিউজ উত্তর কোরিয়ার যৌথ বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ সংক্রান্ত বিষয়ে ডঃ রবার্ট ক্যালি ও ডঃ জিম গিলের সাক্ষাতকার নিয়েছে
অন্যান্য সমসাময়িক ঘটনাসমূহ:
- বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এর আত্মপ্রকাশ
- ইরানের পরমাণু প্রোগ্রাম
- যুক্তরাষ্ট্র ঋণ সিলিং সঙ্কট
- ইউরোপীয় সার্বভৌম-ঋণ সঙ্কট
এই মাসে
- এপ্রিল ২৮, ১৯৩৭ – ইরানের সাবেক রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হুসাইন জন্মগ্রহণ করেন।
- এপ্রিল ৩০, ১৯৪৫ – রেড আর্মি যখন বার্লিনের ফিউরে বাঙ্কারের দিকে অগ্রসর হয় তখন এডলফ হিটলার ও তার একদিনের স্ত্রী ইভা ব্রাউন আত্মহত্যা করেন।
- এপ্রিল ৯, ১৯৪৮ – কলোম্বিয়ার লিবারেল পার্টির নেতা জর্জ এলিয়েচার গাইতান খুন হন। পরবর্তীতে দশ বছর লিবারেল ও কজার্ভেটিভদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যহত থাকে। এ সময়কে লা ভায়োলেন্সিয়া নামে অবহিত করা হয়ে থাকে।
- এপ্রিল ১, ১৯৭৯ – ইরান সরকার ৯৮% ভোটে ইসলামীক প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, আনুষ্ঠানিকভাবে শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
- এপ্রিল ৯, ২০০৩ – ইরাকে আমেরিকান সৈন্যরা সাদ্দাম সরকারকে উৎক্ষাত করে।
- এপ্রিল ১৯, ২০০৬ – হান মাঙ সুক দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন।
- এপ্রিল ২৪, ২০০৫ – টগোর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফাউরে নাসিংবে ক্ষমতায় আসেন।