ঢাকা মেট্রোরেল
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।(জানুয়ারি ২০২৪) |
ঢাকা মেট্রো | |
---|---|
| |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
অবস্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
পরিবহনের ধরন | দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা |
লাইনের (চক্রপথের) সংখ্যা | ১ (সক্রিয়) ২ (নির্মাণাধীন) ৩ (পরিকল্পিত) |
লাইন সংখ্যা |
|
বিরতিস্থলের (স্টেশন) সংখ্যা | ১৬ (সক্রিয়) ১০৪ (পরিকল্পিত) (পাতাল ৫৩টি এবং উড়াল ৫১টি) [১] |
দৈনিক যাত্রীসংখ্যা | ৬০,০০০ (প্রতি ঘণ্টায়)[২] (এমআরটি লাইন ৬) |
প্রধান কার্যালয় | ঢাকা, বাংলাদেশ |
ওয়েবসাইট | www |
চলাচল | |
চালুর তারিখ | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ |
পরিচালক সংস্থা | ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড |
কারিগরি তথ্য | |
মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য | ২১.২৬ কিমি[৩] ১২৮.৭৪১ (পরিকল্পিত) |
রেলপথের গেজ | আদর্শ গজ |
ঢাকার পরিবহন |
---|
রাস্তা |
সড়ক |
সেতু ও উড়ালসেতু |
রেল পরিবহন |
গণপরিবহন |
গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো |
|
অন্যান্য |
ঢাকা মেট্রোরেল হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।[৪]
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে এমআরটি লাইন ৬-এর উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও অংশ বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকায় মেট্রোরেল আংশিক চালু হয় এবং তিনি মেট্রোরেলের প্রথম আনুষ্ঠানিক যাত্রার অংশ ছিলেন,[৫][৬][৭] যা ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়।[৮][৯] ৫ নভেম্বর, ২০২৩ এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাও থেকে মতিঝিল অংশে যাত্রী চলাচল শুরু হয়। এর মাধ্যমে ৬০তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মেট্রোরেলে যুক্ত হয়। (তথ্যসূত্র : DMTCL'র বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২৩, পৃষ্ঠা ১০ ও ৮২)
ইতিহাস
[সম্পাদনা]অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকায় স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (এসটিপি) তৈরি করে মেট্রোরেল নির্মাণের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়। উক্ত এসটিপি প্রণয়ন, অনুমোদন এবং শহরের পরিবহন নেটওয়ার্কের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিলো। এ পরিকল্পনায় ৩টি এমআরটি ও ৩ টি বিআরটি লাইন নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়। পরবর্তী তে ২০১৩ সালে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার অধীনে ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের চূড়ান্ত কাজ শুরু হয়। ২০১৬ সালে সংশোধিত "কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা অনুসারে ঢাকায় নির্মিতব্য মেট্রো রেলের লাইনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন ৬-কে নির্বাচন করা হয়। ২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
প্রকল্প বর্ণনা
[সম্পাদনা]২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট তথা মেট্রো রেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন লাভ করে।
এমআরটি লাইন ১ (বিমানবন্দর রুট)
[সম্পাদনা]২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর এমআরটি ১ নামক লাইনটির নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এমআরটি-১ প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর ও নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত মোট ৩১.২৪ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল নির্মিত হবে। এ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান সরকার দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে। এমআরটি-১ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩.৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন লাইনসহ ৩১.২৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এই মেট্রোরেলের ১২টি স্টেশন থাকবে মাটির নিচে এবং ৭টি থাকবে উড়াল সেতুর ওপর।[১০] এমআরটি লাইন-১ হবে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল।[১১][১২]
এমআরটি লাইন ১ (পূর্বাচল রুট)
[সম্পাদনা]নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত[১৩] ১১.৩৭ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে যার কাজ ২০২৮ সাল নাগাদ শেষ হতে পারে। এর ফলে খুব দ্রুত সময়ে প্রায় ২০ মিনিটে নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ যাওয়া যাবে [১২]
এমআরটি লাইন ২
[সম্পাদনা]২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ জি২জি ভিত্তিতে পিপিপি পদ্ধতিতে এমআরটি লাইন ২ নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে জাপান ও বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।[১১] এই রুটের স্টেশনগুলো হলো- গাবতলী, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঝিগাটোলা, সায়েন্স ল্যাব, নিউমার্কেট, আজিমপুর, পলাশী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, গুলিস্তান, মতিঝিল, কমলাপুর, মান্দা, দক্ষিণগাঁও, দামরিপাড়া, সাইনবোর্ড, ভুইঘর, জালকুড়ি এবং নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রস্থল প্রধান লাইনে এবং শাখা লাইনে গুলিস্তান, গোলাপ শাহ মাজার, নয়াবাজার ও সদরঘাট।
এমআরটি লাইন ৪
[সম্পাদনা]পিপিপি পদ্ধতিতে কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে ট্রাকের পাশ দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল মেট্রোরেল হিসেবে এমআরটি লাইন ৪ নির্মাণের উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন, যা শেষ করা হবে ২০৩০ সালের মধ্যে ।[১১] এই লাইনের স্টেশনগুলো হলো কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড, কাঁচপুর ও মদনপুর।
এমআরটি লাইন ৫ (উত্তর)
[সম্পাদনা]এমআরটি লাইন ৫ নির্মাণ প্রকল্পে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা দেবে জাপান আর বাকি ১২ হাজার ১২১ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। এতে 14টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে 9টি স্টেশন হবে আন্ডারগ্রাউন্ড। গাবতলী, দারুস সালাম, মিরপুর ১, মিরপুর ১০, মিরপুর ১৪, কচুক্ষেত, বনানী, গুলশান ২ ও নতুন বাজারে এসব আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ করা হবে। ৫টি স্টেশন এলিভেটেড করা হবে। হেমায়েতপুর, বলিয়ারপুর, বিলমালিয়া, আমিন বাজার এবং ভাটারায় (বসুন্ধরা R/A) 5টি এলিভেটেড স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) সাভার উপজেলার হেমায়েতপুরে ডিপো থাকবে।।[১০]
এমআরটি লাইন ৫ (দক্ষিণ)
[সম্পাদনা]২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ১৭.৪০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। তার মধ্যে পাতাল ১২ দশমিক ৮০ কিলোমিটার এবং উড়াল ৪ দশমিক ৬০ কিলোমিটার।[১১] এটি গাবতলীকে দশেরকান্দির সাথে সংযুক্ত করবে। এই রুটের স্টেশনগুলো হলো গাবতলী, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, শ্যামলী, কলেজ গেট, আসাদ গেট, রাসেল স্কয়ার, কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল, তেজগাঁও, আফতাবনগর, আফতাবনগর কেন্দ্র, আফতাবনগর পূর্ব, নাসিরাবাদ এবং সর্বশেষ দশেরকান্দি। গাবতলীতে MRT লাইন 5 (উত্তর রুট) এবং MRT লাইন 2 এর সাথে, কারওয়ান বাজারে MRT লাইন 6 এর সাথে interchange করা সম্ভব।
এমআরটি লাইন ৬
[সম্পাদনা]প্রথম পর্যায়
[সম্পাদনা]প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য এমআরটি-৬ নামক ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথকে নির্ধারন করা হয়।। এ রুটের ১৭টি স্টেশন হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর। ট্রেন চালানোর জন্য ঘণ্টায় দরকার হবে ১৩.৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যা নেওয়া হবে জাতীয় গ্রিড থেকে। এর জন্য উত্তরা, পল্লবী, তালতলা, সোনারগাঁ ও বাংলা একাডেমি এলাকায় পাঁচটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থাকবে।
২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্পের নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে শুরু হয় ঢাকা মেট্রোর নির্মাণকাজের সূচনা। এমআরটি-৬ এর স্টেশন ও উড়ালপথ নির্মাণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় ২০১৭ সালের ২ আগস্ট। এদিন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারের উড়ালপথ ও স্টেশন নির্মাণ শুরু হয়।[১৪] ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের স্টেশন ও উড়ালপথ নির্মাণ শুরু হয়।[১৫]
অবশেষে, এমআরটি-৬ লাইনের প্রথম পর্যায়ের দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ জনসাধারণের চলাচলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন এবং তিনিই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম যাত্রাটি করেন।[৫][৬][৭] এটিই বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মেট্রোরেল, যা ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া হয়।[১৬][১৭][১৮][১৯][২০][৮] এমআরটি-৬ লাইনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে ৫ নভেম্বর ২০২৩ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে যাত্রী পরিবহন চলমান রয়েছে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ কমলাপুর পর্যন্ত চালু হতে পারে।[২১]
প্রভাব
[সম্পাদনা]যাত্রীরা মেট্রোরেলের সময়ানুবর্তীতায় খুশি হলেও অফিস ছুটির পরে অতিরিক্ত ভীড়ে অতিষ্ঠ।
যাত্রাপথের মানচিত্র
[সম্পাদনা]মার্চ ২০২০ অনুযায়ী, মেট্রোরেলের যাত্রাপথগুলোর সর্বশেষ মানচিত্র:
লাইন ৬ | লাইন ১ (বিমানবন্দর যাত্রাপথ) | লাইন ১ (পূর্বাচল যাত্রাপথ) | লাইন ৫ (উত্তর যাত্রাপথ) | লাইন ৫ (দক্ষিণ যাত্রাপথ) | লাইন ২ |
---|---|---|---|---|---|
|
|
|
|
|
|
ভাড়া সমস্যা
[সম্পাদনা]এমআরটি লাইন ৬-এর টিকেটের ভাড়া চূড়ান্ত করার জন্য ডিএমটিসিএল একটি ভাড়া নির্ধারণ কমিটি গঠন করে, ১০ জানুয়ারি ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে কমিটি কিলোমিটার প্রতি ৳২.৪০ ভাড়া প্রস্তাব করেছিলো। লাভক্ষতির সাম্যাবস্থা বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে এই ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছিলো। প্রস্তাব অনুসারে উত্তরা উত্তর হতে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া হওয়ার কথা ছিলো ৳৪৮.২৫।[২২] ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে ওবায়দুল কাদের কিলোমিটার প্রতি ৳৫ ও সর্বনিম্ন ৳২০ ভাড়া ঘোষণা করেন। নির্ধারিত এই ভাড়া ভারতের কলকাতা ও দিল্লি মেট্রো এবং পাকিস্তানের লাহোর মেট্রোর ভাড়ার চেয়ে বেশি।[২৩]
১৭ ডিসেম্বর ২০২২ সালে যাত্রীদের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব কিলোমিটার প্রতি ও সর্বনিম্ন ভাড়া অর্ধেকে নামিয়ে আনার দাবি করেন।[২৪] অন্যদিকে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউট রেলপথটি ব্যবহারে যাত্রীদের উৎসাহিত করতে ভাড়া ৩০% কমানোর দাবি জানায়।[২৫] এর পরের দিন অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভাড়া বাড়ানোর কারণ হিসেবে বিদ্যুতের দাম ও মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যকে প্রদর্শন করেন।[২৬]
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে একই দিনে আয়োজিত একটি বৈঠকে নজরুল ইসলাম খান দাবি করেছিলেন যে নির্ধারিত ভাড়ার এই হার 'মেট্রোরেল আইন, ২০১৫'-এর সাথে সাংঘর্ষিক। বৈঠকে তিনি দেশের বাস ভাড়ার চেয়ে মেট্রোর ভাড়া বেশি নির্ধারণ করার এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।[২৭] ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বরে ওবায়দুল কাদের বলেন যে মেট্রোরেলের ভাড়া এখানে আলোচনা করার মতো ব্যাপার নয় এবং থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থার সাথে তুলনা করলে ঢাকার নির্ধারিত ভাড়া কম।[২৮] ২৪ আগস্ট ২০২৩ সালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান জানান যে টিকেটের দাম কমানোর জন্য সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যেন সাধারণ মানুষের জন্য মেট্রোরেলে ভ্রমণ করা সম্ভব হয়।[২৯]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
এমআরটি-৬ - এর কাজ চলছে, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, পরীবাগ (জুন ২০২১)
-
ঢাবিতে (২০২১)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ঢাকা মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক"। dmtcl.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ODhaka Metrorail to carry 60,000 people per hour"। Bdnews24। ২৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Metro rail route faces modification"। The Daily Star। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "২০৩০ সালের পরই কেবল স্বস্তি মিলবে যাত্রীদের"। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ২০২১-১০-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৭।
- ↑ ক খ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (২০২২-১২-২৮)। "ঘুরলো দেশের প্রথম মেট্রোরেলের চাকা"। ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৮।
- ↑ ক খ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দিয়াবাড়ি থেকে যাত্রা করল মেট্রোরেল"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৮।
- ↑ ক খ "মেট্রোরেল দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার আরেকটি সংযোজন : প্রধানমন্ত্রী"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০২২-১২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৮।
- ↑ ক খ "মেট্রোরেলে প্রথম যাত্রায় স্বপ্নপূরণের আবেগ"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩০।
- ↑ "প্রথমদিনে মেট্রোরেলে ৩ হাজার ৮৫৫টি টিকিট বিক্রয়"। বাংলা ট্রিবিউন। ২০২২-১২-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-৩০।
- ↑ ক খ "লক্ষ কোটি টাকায় হবে আরও দুটি মেট্রোরেল"। BDNews24.com। ১৫ অক্টোবর ২০১৯। ২২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ Dhakatimes24.com। "মেট্রোরেল স্টেশনে পদে পদে প্রযুক্তি, শেষের পথে ৯ স্টেশন"। Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৭।
- ↑ ক খ "Dhaka's first underground metro work begins in December"। The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৭।
- ↑ "DHAKA MASS TRANSIT COMPANY LIMITED (DMTCL)"। www.dmtcl.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "মেট্রোরেলের স্টেশন ও উড়ালপথ নির্মাণকাজ উদ্বোধন"। দৈনিক জনকন্ঠ। ২ আগস্ট ২০১৭। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০২০।
- ↑ "মেট্রোরেলের কাজ কবে শেষ, জানালেন কাদের"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০২০।
- ↑ "উদ্বোধনের পর প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা চলবে মেট্রোরেল"। www.jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৭।
- ↑ প্রতিনিধি, বিশেষ। "মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে এলাকাবাসীর জন্য পুলিশের ৭ নির্দেশনা"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৭।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মেট্রোরেল উদ্বোধন ২৮ ডিসেম্বর"। bdnews24। ২০২২-১২-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৭।
- ↑ "২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী"। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ২০২২-১২-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৭।
- ↑ হোসেন, আনোয়ার। "প্রযুক্তির চমক মেট্রোরেলে"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-২৭।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পরীক্ষামূলক যাত্রায় মেট্রোরেল"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৭ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২৩।
- ↑ "মেট্রোরেলের ভাড়া কিলোমিটারে ২ টাকা ৪০ পয়সার প্রস্তাব"। সমকাল। ১২ জানুয়ারি ২০২১। ১৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৩।
- ↑ "ঢাকার মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া দিল্লির দ্বিগুণ, কলকাতার তিন গুণ, লাহোরের আড়াই গুণ"। দ্য ডেইলি স্টার। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৩।
- ↑ "মেট্রোরেলের ভাড়া ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি"। বাংলানিউজ২৪.কম। ১৭ ডিসেম্বর ২০২২। ২১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৩।
- ↑ "মেট্রোরেলের ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানোর পরামর্শ আইপিডির"। নয়া দিগন্ত। ২৬ ডিসেম্বর ২০২২। ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৩।
- ↑ "যে কারণে ঢাকা মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি"। বাংলা ট্রিবিউন। ২৭ ডিসেম্বর ২০২২। ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৩।
- ↑ "মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণে আইন ও বিধি মানা হয়নি: বিএনপি"। বাংলা ট্রিবিউন। ২৭ ডিসেম্বর ২০২২। ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৩।
- ↑ "মেট্রোরেলের ভাড়া নিয়ে মোটেও সমস্যা হবে না: কাদের"। জনকণ্ঠ। ২৯ ডিসেম্বর ২০২২। ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৩।
- ↑ "মেট্রোরেল দিয়ে ব্যবসা করতে চাই না: পরিকল্পনামন্ত্রী"। দৈনিক বাংলা। ২৪ আগস্ট ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২৩।