ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে | |
---|---|
ঢাকা সিটি বাইপাস | |
পথের তথ্য | |
এএইচ১-এর অংশ | |
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণকৃত | |
প্রধান সংযোগস্থল | |
উত্তর প্রান্ত: | কড্ডা, গাজীপুর |
দক্ষিণ প্রান্ত: | মদনপুর, নারায়ণগঞ্জ |
অবস্থান | |
প্রধান শহর | ঢাকা |
মহাসড়ক ব্যবস্থা | |
ঢাকার পরিবহন |
---|
রাস্তা |
সড়ক |
সেতু ও উড়ালসেতু |
রেল পরিবহন |
গণপরিবহন |
গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো |
|
অন্যান্য |
ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে হলো ঢাকা বিভাগে অবস্থিত ৪৮ কিমি (৩০ মা) বিশিষ্ট একটি নির্মাণাধীন নিয়ন্ত্রিত-প্রবেশযোগ্য মহাসড়ক। প্রকল্পটি এশিয়ান হাইওয়ে ১-এর একটি অংশ। এটি নির্মাণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ঢাকা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবেশ সড়ক ও মহাসড়কে ভারী যানজট কমানো।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের আগে এখানে ঢাকা বাড়ায়বাইপাস সড়ক নামে একটি রাস্তা ছিল। বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার অনেক আগে থেকেই এই সড়কটিকে এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তরের কথা ভাবছিলো এবং এ নিয়ে নানা আলোচনাও চলছিলো।[১] 'সাপোর্ট টু জয়দেবপুর–দেবগ্রাম–ভুলতা–মদনপুর রোড' নামের রূপান্তর প্রকল্পটি ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরর সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ৪ বছর পর প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়।[২] প্রাথমিকভাবে এই সড়কে সরকার ৪৫ কিলোমিটার উড়ালসেতু মহাসড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলো। এই উড়ালসড়ক প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৳২৮২১ কোটি। কিন্তু দুই মন্ত্রণালয়ের জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।[৩] ৬ ডিসেম্বর ২০১৮-এ সরকার সড়কটিকে একটি এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তর করার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ, শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সাথে একটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, সবাই প্রাথমিকভাবে সম্মত হয় যে এই চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি ৳৩৫০০ কোটি নির্মিত হবে। এতে সরকারের বিনিয়োগ ছিলো ৳২৩০ কোটি। নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে ওভারপাস, আন্ডারপাস ও সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ছিলো।[১] এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এই প্রকল্পের আর্থিক পরামর্শের জন্য দায়বদ্ধ।[৪] যাইহোক, ভূমি অধিগ্রহণ এবং অর্থায়ন কাজের জন্য জুন ২০২০-এর প্রকল্পের সময়সীমা পেরিয়ে যায়। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ আরও ৪ বছর বাড়ানো হয়। এছাড়াও সরকার প্রকল্প বাজেটে তার অংশে বিনিয়োগ আরো ৳৬৭৪.৩৪ কোটি বাড়ায়।[২] ২২ জুন ২০২১ তারিখে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি সংশোধনের পরে প্রকল্পটি আবার অনুমোদন করে।[৫] ২৪ এপ্রিল ২০২২-এ বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের জন্য ৳১০৭৫ কোটি ঋণ সহায়তা ঘোষণা করে এবং তারা ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে ঋণের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৳৪২.৫০ কোটি প্রদান করে। সরকার বাজেটে তার নিজস্ব বিনিয়োগ আরও ৳২৭৫.৬৬ কোটি বাড়ায়।[৬] সিচুয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ গ্রুপ, শামীম এন্টারপ্রাইজ ও ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড যৌথভাবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি গঠন করে। প্রকল্পের জন্য গঠিত কোম্পানিকে এক্সপ্রেসওয়ে স্থাপনের পর ২৩ বছর ধরে টোল আদায়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।[৭]
নির্মাণ
[সম্পাদনা]২০২১ সালের জুনে দ্য ডেইলি স্টার জানায় যে প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ ৭৩% সম্পূর্ণ হয়েছে।[২] ২৪ এপ্রিল ২০২২-এর পর বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের ঋণ সহায়তার কারণে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের গতি বেড়ে যায়।[৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ হক, নিজামুল (২০ জানুয়ারি ২০১৯)। "ঢাকা বাইপাস রূপান্তর হচ্ছে এক্সপ্রেস সড়কে"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ গ অধিকারী, তুহিন শুভ্র (২২ জুন ২০২১)। "ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ অবশেষে শুরু"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ সাদিক, মফিজুল (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "৪৫ কিলোমিটার উড়াল মহাসড়ক নিয়ে ২ বিভাগের টানাপড়েন!"। বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "ঢাকা বাইপাস সড়ক উন্নয়নের দায়িত্ব পেল ৩ কোম্পানি"। নয়া দিগন্ত। ৪ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে"। জনকণ্ঠ। ২৭ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "গাজীপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ এক্সপ্রেস বাইপাস হচ্ছে"। যুগান্তর। ২৪ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ ক খ শিকদার, খলিল (১ জুন ২০২২)। "৮ লেনের ঢাকা বাইপাস"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২।