মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৫′১৯″ উত্তর ৯০°২৩′৫৯″ পূর্ব / ২৩.৭৫৫৪° উত্তর ৯০.৩৯৯৬° পূর্ব |
স্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক নাম | মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভার |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | গাডার সেতু |
উপাদান | ইস্পাত ও কংক্রিট |
মোট দৈর্ঘ্য | ৮.২৫ কিলোমিটার |
ইতিহাস | |
নির্মাণকারী | তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, সিমপ্লেক্স-নাভানা ও এমসিসিসি-এসইএল-ইউডিসি |
নির্মাণ শুরু | ২০১৩ |
নির্মাণ শেষ | ২০১৭ |
চালু | ২৬ অক্টোবর ২০১৭ |
পরিসংখ্যান | |
টোল | না |
অবস্থান | |
ঢাকার পরিবহন |
---|
রাস্তা |
সড়ক |
সেতু ও উড়ালসেতু |
রেল পরিবহন |
গণপরিবহন |
গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো |
|
অন্যান্য |
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার বা মগবাজার-মৌচাক সমন্বিত ফ্লাইওভার বা মগবাজার-মৌচাক উড়ালসেতুটি একটি মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগের সমন্বিত উড়ালসেতু। রাজধানী ঢাকার মগবাজার, মৌচাক, বাংলামটর, রাজারবাগ, মালিবাগ, শান্তিনগর ও তেজগাঁওয়ের যানজট নিরসন ও অবাধ যান চলাচল নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে এ উড়ালসড়ক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
বিবরন
[সম্পাদনা]চার লেনের এ ওড়ালসড়কটি প্রায় ৮ দশমিক ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর ১৫ স্থানে উঠানামা করার ব্যবস্থা রয়েছে - এগুলো হলো তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বাংলামটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও শান্তিনগর মোড়। এ ওড়ালসড়কটির প্রতিটি পিলার পাইলের গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার।
অর্থায়ন
[সম্পাদনা]এ ওড়ালসড়কটির প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) ও ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) দিয়েছে ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, আর বাকী ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ প্রকল্পটির তদারকি প্রতিষ্ঠান হল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), এবং নির্মাণ কাজ করেছে তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, সিমপ্লেক্স-নাভানা ও চীনা কোম্পানি এমসিসিসি-এসইএল-ইউডিসি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন
[সম্পাদনা]২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওড়ালসড়কটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। এর পরে ধাপে ধাপে নকশা পরিবর্তন ও নির্মাণ ব্যয় বাড়তে থাকে এ প্রকল্পের।[১] প্রথমে ২০১৪ সালের মধ্যে এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ৩৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরে তা বেড়ে দ্বিতীয় ধাপে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৭৭২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কিন্তু তাতেও প্রকল্পটি সম্পন্ন না হওয়ায় সর্বশেষে ব্যয় দাড়ায় ১২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।[২]
এ ওড়ালসড়কটির কাজ তিন ভাগে শেষ করা হয়েছে। সর্বপ্রথম, ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল অংশের উদ্বোধন করেন। পরে ১৫ সেপ্টেম্বর ইস্কাটন-মৌচাক অংশের যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আর ১৭ মে ২০১৭, খুলে দেওয়া হয় ফ্লাইওভারটির এফডিসি মোড় থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত কারওয়ান বাজারমুখী অংশ। সবশেষে ২৬শে অক্টোবর রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওড়ালসড়কটির উদ্বোধন করে যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি খুলে দেন।[৩] পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগে প্রায় ৬ বছর।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নকশা নিয়ে 'প্রশ্ন'"। ২৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "সময় যাচ্ছে, খরচ ও দুর্ভোগ বাড়ছে"।
- ↑ "ভিডিও কনফারেন্সে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। ২৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]alo[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] ১১-০১-২০১৬