চীনা কালী মন্দির

স্থানাঙ্ক: ২২°৩২′৫২″ উত্তর ৮৮°২৩′২৯″ পূর্ব / ২২.৫৪৭৮২৮° উত্তর ৮৮.৩৯১২৯৭° পূর্ব / 22.547828; 88.391297
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চীনা কালী মন্দির
ট্যাংরার চীনা কালী
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
অবস্থান
অবস্থানট্যাংরা, কলকাতা
স্থানাঙ্ক২২°৩২′৫২″ উত্তর ৮৮°২৩′২৯″ পূর্ব / ২২.৫৪৭৮২৮° উত্তর ৮৮.৩৯১২৯৭° পূর্ব / 22.547828; 88.391297

ট্যাংরার কালী বা চীনা কালী পূর্ব কলকাতার ট্যাংরায় ভারতীয় চীনাদের প্রতিষ্ঠিত কালী। আনুমানিক ৬০ বছর আগে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।[১] এছাড়া চীনারা টেরিটি বাজার অঞ্চলেও থাকেন।

কলকাতায় চীনারা চা শিল্পের জন্য এসেছিলো। পরে চিনি শিল্পের হাত ধরেও তাদের আগমন হয়। পরবর্তীতে তারা ক্রমে বাঙালি সংস্কৃতিতে থাকতে থাকতে তাদের নিজেস্ব সংস্কৃতির সাথে বাঙালি সংস্কৃতি আঁকড়ে ধরে। তারই একটি উদাহরণ এই ট্যাংরার কালী।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ষাট বছর আগে একজন চীনা ভদ্রলোক এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ধর্মে ছিলেন চৈনিক বৌদ্ধ। বর্তমানে তার তৃতীয় পুরুষ এই মন্দিরের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।[১] তিনি হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন। তবে পূজার দায়িত্বে একজন হিন্দু পুরোহিত আছেন।

মন্দিরের ইতিহাস প্রায় ষাট বছরের। সিঁদুর মাখানো দুটো কালো পাথর গাছের নিচে পূজা হতো। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই পাথর পুজো করতেন। পরবর্তীতে চৈনিকরাও সেটি অনুসরণ করা শুরু করেন। মন্দিরের বর্তমান প্রধান আইসন। বেশিরভাগ চৈনিক বাসিন্দাই বৌদ্ধ বা খ্রিষ্ঠান। তবুও তারা কালী ঠাকুরকে খুব মান্যতা দেয়।সেই থেকেই এই কালী মন্দির তাদের সংস্কৃতির অন্তর্গত হয়ে পড়ে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

পুজোর ভোগ[সম্পাদনা]

এখানে ভোগ হিসাবে মা কালীকে চাইনিজ খাবার দেওয়া হয়।[৩] তবে সেই নুডুলস নিরামিষ। অন্য সকল পূজার মতো ফল প্রসাদের সাথে নুডুলসকেও প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয়।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বসু, ঋজু। "কারণবারি আছে, মাংসে বারণ চিনেকালীর"anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২২ 
  2. রায়, শিশির। "চিনের সঙ্গে সম্পর্ক শুধু চাউমিন-ডাম্পলিংয়ের নয়"anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২২ 
  3. ScoopWhoop (২০১৬-১০-০৮)। "Here's A Look Inside Kolkata's Kali Temple That Serves Noodles As 'Prasad'"ScoopWhoop (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]