দ্য ক্যালকাট্টা কুরআন পিটিশন
![]() | |
লেখক | সীতা রাম গোয়েল , চাঁদমল চোপড়া |
---|---|
দেশ | ভারত |
ভাষা | ইংরেজি |
বিষয় | ছাড়পত্র |
প্রকাশক | ভয়েস অফ ইন্ডিয়া |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৮৬, ১৯৮৭, ১৯৯৯ |
আইএসবিএন | ৮১-৮৫৯৯০-৫৮-১ |
ওসিএলসি | ৫০০৩৫১৫৫ |
297/.1228 | |
এলসি শ্রেণী | KNS2162 .A49 1986 |
কলকাতা কুরআন পিটিশন (হিন্দি: कलकत्ता कुरान याचिका) সীতা রাম গোয়েল ও চাঁদমল চোপড়া রচিত এবং ভয়েস অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত একটি বই। এই বইয়ের বিষয়বস্তু হল বিবাচন, অন্যান্য বই ও কুরআন নিষিদ্ধকরণ।[১]
হিমাংশু কিশোর চক্রবর্তীর চিঠি[সম্পাদনা]
১৯৮৪ সালের ২০ শে জুলাই এইচকে চক্রবর্তী পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র বিভাগের সচিবকে কুরআন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে চিঠি দেন। সে বছর ১৪ আগস্ট তিনি আবার লিখেছিলেন, কিন্তু কোনও সাড়া পাননি। চক্রবর্তী কলকাতায় আসার আগে বাংলাদেশে করেতেন, এবং ভারত বিভাগের সময় এবং তার পরেও বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের প্রতি মুসলমানদের আচরণ প্রত্যক্ষ করেছিলেন। সম্পর্কে তার মনে বিরূপ ধারণা তৈরী করে। দেশবিভাগের সময় হিন্দু মুসলমান উভয়েই আক্রান্ত হয়েছিলো। এরপরে চক্রবর্তী চাঁদমল চোপড়ার সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি মার্চ, ১৯৮৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র সরকার বিভাগকেও লিখেছিলেন। তবে চোপড়ার চিঠির কোন উত্তর দেয়নি দপ্তর। তাই চোপড়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
চাঁদমল চোপড়ার পিটিশন[সম্পাদনা]
১৯৮৫ সালের ২৯ শে মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে চাঁদমল চোপড়া কোরআন নিষিদ্ধ করার আদেশ পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আবেদনে দাবি করা হয় যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ এবং ২৯৫ এ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৯৫ ধারা মুসলমানরা প্রায়শই ইসলামের সমালোচনামূলক প্রকাশনা নিষিদ্ধ বা সাফাই দেওয়ার জন্য ব্যবহার করে এবং বলেছিল যে "এ পর্যন্ত জনগণের সংবিধানের সুবিধা নিয়ে পৌত্তলিকদের পবিত্র সাহিত্য নিষিদ্ধ এবং পুড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নিচ্ছে" চাঁদমল চোপড়া ভেবেছিলেন যে, ধর্মের ভিত্তিতে কোরান "বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ, শত্রুতা, ঘৃণা এবং অবাধ্যতার অনুভূতিকে উত্সাহিত করে এবং মানুষকে সহিংসতা করতে এবং জনসাধারণের প্রশান্তির জন্য উদ্বুদ্ধ করে...। "
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ[সম্পাদনা]
এই পিটিশনের প্রতিবাদে সমগ্র বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোয় বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশ জুড়ে প্রচণ্ড বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতের কাশ্মীরে বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের সময় একজন ব্যক্তি নিহত ও অনেকে আহত হয়।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম থকে ১০ মে জুমার নামাজ শেষে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সেই মিছিলে লাঠিচার্জ করে এবং অনেকে গ্রেফতার হয়। পর দিন ১১ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। পুলিশ সেখানে জনতার উপর গুলী বর্ষণ করে। এতে স্কুল ছাত্র, কৃষক, রিকশাওয়ালা ও রেল শ্রমিকসহ গুলিবিদ্ধ হয়ে ৮ জন মৃত্যুবরণ করে।[২][৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ The Calcutta Quran petition। Voice of India। ২০১২-০১-০১। আইএসবিএন 8185990581।
- ↑ "আজ ঐতিহাসিক কুরআন দিবস"। The Daily Sangram। ২০১৭-০৫-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৪।
- ↑ "Quran Day: A legacy of blood and impunity | Progress Bangladesh" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৪।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- Quran Day: A legacy of blood and impunity ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ মে ২০১৭ তারিখে
- [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Full Online book The Calcutta Quran Petition[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- Negationism in India
- Book banning
- The Case of Inder Sain Sharma About the "poster"
- The story of the Quran petition at Faith Freedom International
- Book review by N.S. Rajaram
- Review by D. Kabir Das