হংসেশ্বরী কালীমন্দির, বাঁশবেড়িয়া
হংসেশ্বরী কালীমন্দির পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার বাঁশবেড়িয়া নামক স্থানে অবস্থিত একটি বিখ্যাত কালী মন্দির।
বিবরণ[সম্পাদনা]
রাজা নৃসিংহদেব ১৭৯৯ খ্রিষ্টাব্দে হংসেশ্বরী কালীমন্দিরের নির্মাণ শুরু করেন এবং তার মৃত্যুর পর ১৮১৪ খ্রিষ্টাব্দে তার বিধবা পত্নী রাণী শঙ্করী মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন করেন। এই মন্দিরে তেরোটি রত্ন ও মিনার প্রতিটি প্রস্ফুটিত পদ্মের ন্যায় নির্মিত মন্দিরের গর্ভগৃহের উচ্চতা ৭০ ফুট। গোলাকার বেদীর ওপর পাথরে নির্মিত শায়িত শিব মূর্তির নাভি থেকে উদ্গত প্রস্ফুটিত পদ্মের ওপর দেবী হংসেশ্বরীর মূর্তি নির্মিত। দেবীমূর্তি নীলবর্ণা, ত্রিনয়নী, চতুর্ভূজা, খড়্গধারিণী ও নরমুণ্ডধারিণী। এই মন্দিরের পাশেই টেরাকোটা নির্মিত অনন্ত বাসুদেব মন্দির অবস্থিত।[১]:৯৮ দুটি মন্দিরই ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত।

মাতা হংসেশ্বরী দেবীর মন্দিরে নিত্য পূজাপাঠের ব্যবস্থা আছে। ভক্তজন প্রতিদিন মাতাকে ভোগ নিবেদন করতে পারেন। দ্বিপ্রহরে মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ থাকে ,সেই কারণে তখন মাতৃ বিগ্রহ দেখা যায় না -- যদিও মূল মন্দিরে প্রবেশের কোন বাধা নাই। বেলা আড়াই ঘটিকায় পুনরায় গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হয়। তখন মাতৃ প্রতিমা দর্শন করা যায় এবং মায়ের কাছে পূজা নিবেদনও করা যায়। ভক্তজন মায়ের ভোগ অন্ন গ্রহণ করতে চাইলে সকাল দশটার মধ্যে মন্দিরের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
মন্দিরের চিত্র[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে হংসেশ্বরী কালীমন্দির সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- ↑ তিন তীর্থে, শিবশঙ্কর ভারতী, সাহিত্যম্, ১৮বি, শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট, কলকাতা-৭৩, প্রথম প্রকাশ- ১৮ই জানুয়ারী, ২০০১
আরো পড়ুন[সম্পাদনা]
- Sikha Banerjee, "Story of the Hanseswari Temple, Banshberia", from Chitrolekha International Magazine on Art and Design, Vol. 2, No. 1, 2012 Special Issue on the Temples of Bengal.