ডিমলা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বট বিষয়শ্রেণী ঠিক করেছে |
অ Fix URL prefix |
||
১১ নং লাইন: | ১১ নং লাইন: | ||
| area_total = ৩২৬.৮০ |
| area_total = ৩২৬.৮০ |
||
| literacy_rate = ৪২.৮৬% |
| literacy_rate = ৪২.৮৬% |
||
| website = |
| website = dimla.nilphamari.gov.bd/ |
||
| website_caption = উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট |
| website_caption = উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট |
||
| footnotes = |
| footnotes = |
১৩:২৬, ২২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ডিমলা উপজেলা | |
---|---|
স্থানাঙ্ক: ২৬°৭′২৮″ উত্তর ৮৮°৫৫′৪৭″ পূর্ব / ২৬.১২৪৪৪° উত্তর ৮৮.৯২৯৭২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | নীলফামারী জেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৩৫০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৭৩ ১২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ডিমলা বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
অবস্থান
ডিমলা নীলফামারী জেলাধীন উত্তর সীমামত্মবর্তী একটি অবহেলিত উপজেলা । উপজেলার উত্তরে ভারতের কুচবিহার জেলা, পূর্বে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা, দক্ষিণে জলঢাকা উপজেলা ও পশ্চিমে ডোমার উপজেলা ।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব দিক দিয়ে তিস্তা নদী, মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে নাউতারা নদী , পশ্চিম প্রান্তে বুড়িতিস্তা নদী প্রবাহিত । তিস্তা নদী এ উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের আংশিক এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত । দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প ‘তিস্তা সেচ প্রকল্প’ এ উপজেলায় বিদ্যমান । এছাড়া বুড়িতিস্তা নদীতেও একটি ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প রয়েছে ।
প্রশাসনিক এলাকা
- মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান
- ইউনিয়ন সমূহঃ
- ১নং পশ্চিম ছাতনাই
- ২নং বালাপাড়া
- ৩নং ডিমলা
- ৪নং খগাখড়িবাড়ী
- ৫নং গয়াবাড়ী
- ৬ নং নাউতারা
- ৭ নং খালিশা চাপানী
- ৮ নং ঝুনাগাছ চাপানী
- ৯ নং টেপাখড়িবাড়ী
- ১০ নং পূর্ব ছাতনাই
ইতিহাস
অতীত ইতিহাস ও নামকরণ
নামকরণ সম্পর্কে তিনটি জনশ্রুতি আছে। এগুলো হলো-
- ডিমলা মৌজায় তেলস্নাই নামক এটি বিল আছে । বহুকাল পূর্বে এবিলে দেশ- বিদেশ হতে বহু অতিথি পাখি আসতো এবং অসংখ্য ডিম দিত । কথিত আছে যে,এসব হাঁস ও ডিমের আকর্ষণে দুর দূরান্ত হতে অনেক সওদাগর আসতো। ডিমের প্রতুলতার কারণে স্থানের নাম দিয়েছিলেন ডিমলা ।
- বৃটিশ ভারত শাসনামলে অত্র এলাকায় মহারাজা ছিলেন শ্রী জানকি বল্লব সেন । তার ডিম্বাকৃতির একটি সুরম্য অট্টালিকা ছিল । ডিম্বাকৃতির অট্টালিকার আকার অনুসারে এলাকার নাম হয় ডিমলা ।
- কিংবদমিত্ম আছে যে-বহু পূর্বে অত্র এলাকা একটি সাঁওতাল পরগনা ছিল। পাশর্ববর্তী থানা ডোমার এলাকা ছিল ‘‘ডোম রাজা’’ । সাঁওতাল পরগনার রাজা ছিলেন ডিমল সাঁই । ডিমল সাঁই এক সুন্দরী এক দুহীতা ছিলো কমলাফুলি । কথিত আছে যে, কমলাফলিকে অপহরণ করে ডোমারের ডোমরাজা একদা ঘোড়ার কোচগাড়ীতে করে পশ্চিমবঙ্গের ‘‘ কোচবিহারে’’ বিহার করেন । ফলে সে স্থনের নাম করণ হয় কুচবিহার। এঘটনার পর হতে ডিমলসাই এর নামানুসারে অত্র এলাকার নাম হয় ডিমলা ।
ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলন
ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলন ডিমলা উপজেলা থেকে সংঘটিত হয় । যার নেতৃত্বে ছিলেন তন্বারায়ন রায়, জামশেদ আলী চাটি প্রমূখ । এক পর্যায়ে আন্দোলনে তন্বারায়ন শহীদ হন। এ উপজেলায় নুরলদীনের সারাজীবন গ্রন্থের নুরলদীনের পদচারনা ছিল এবং তিনি তেভাগা আন্দোলনকে সংগঠিত করেছিলেন । নুরলদীন ডিমলা উপজেলায় তেভাগা আন্দোলনের অনুপ্রেরণা ছিল ।
জনসংখ্যার উপাত্ত
- জনসংখ্যা
- মোট ২,৮০,৭৬ জন
- পুরুষঃ ১,৪২,০৫০ জন
- মহিলাঃ১,৩৮,০২৬ জন ।
- পরিবারের সংখ্যাঃ ৬২,৯৩৮ টি ।
- শিক্ষার হারঃ ৪২.৮৬% ।
- মোট ভোটার সংখ্যাঃ ১,৬৫,০৮৫ জন,
- পুরুষঃ ৮২,৫৪৪ জন,
- মহিলাঃ ৮২,৫৪১জন
শিক্ষা
শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্যঃ
- সরকারী প্রাথ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ৭২ টি
- রেজিষ্টার্ড বেসরকারী প্রাথ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ১০৯ টি
- কমিউনিটি প্রাথ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ০৩ টি
- কেজি স্কুলঃ ১৮ টি
- এজিও প্রাথ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ১১০ টি
- মাদ্রাসা ফাজিল / আলিম /দাখিলঃ ২৪
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ২৮ টি ( ২ টি সরকরী )
- নিমণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ১৫ টি
- মহাবিদ্যালয়ঃ ০৯ টি (ডিগ্রী-০৩,উচ্চ মাধ্যমিক-০৩,কারিগারিঃ০৩টি)
অর্থনীতি
ডিমলা উপজেলার প্রধান অর্থকরী ফসল ভূট্টা , আলু ও মরিচ । এ উপজেলায় ভূট্টার ফলন প্রচুর হয় । এছাড়া মসলা জাতীয় শস্য যেমন আদা, রসুন, মরিচ ও হলুদের ফলনও বেশী হয় । এসব কৃষি পন্যের উপর ভিত্তি করে এখানে ব্যবসা বানিজ্য গড়ে উঠেছে । ধান ও বাশ এর উপর ভিত্তি করেও এখানে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে।
- হাটবাজার
আরশাদগঞ্জ বাজার, কালীগঞ্জ বাজার, ঠাকুরগঞ্জ হাট, খোরারডাংগার হাট, বাবুর হাট, খগার হাট, টুনির হাট, শুটি বাড়ীর হাট, রহমানগঞ্জ বাজার, ফুটানির হাট, চাপানীর হাট, শালহাটি হাট, কলোনির হাট, নাউতারার হাট, একতা বাবুপাড়া হাট ও ডালিয়া গোডাউনের হাট
প্রাকৃতিক সম্পদ
ডিমলা উপজেলার উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ হল পাথর । এ উপজেলার মাটির নীচে প্রচুর পরিমাণে পাথর আছে । এ উপজেলার অন্য প্রাকৃতিক সম্পদ হল বালু ।
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- মশিউর রহমান যাদু মিয়াঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন।তিনি ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন । উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ ক্ষেত্রে তার অবদান অপরিসীম।
- শফিকুল গণি স্বপনঃ
তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন । তিনি খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে তার অবদান অপরিসীম।
- মরহুম আব্দুর রহমান চৌধুরীঃ
মরহুম আব্দুর রহমান চৌধুরী পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন।
- জনাব মোঃ আফসার আলী ( চাঁন )
বিশিষ্ট শিক্ষক ও সমাজ সেবক ছাতনাই কলোনী, ডিমলা, নীলফামারী।
নদ-নদী
তিস্তা নদী, নাউতারা নদী, বুড়ি তিস্তা নদী, কুমলাই নদী, ও ধুম নদী রয়েছে।
বিবিধ
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |