মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ইতিহাস: বানান সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎ইতিহাস: বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫৭ নং লাইন: ৫৭ নং লাইন:


==ইতিহাস==
==ইতিহাস==
প্রায় অর্ধশত বছর আগে বৃহত্তর ময়মনসিংহ এর নারীশিক্ষাকে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে এই কলেজ স্থাপিত হয়। সর্বজনপরিচিত সমাজসেবক এম.আর খানের মা মুমিনুন্নিসা এর নামে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই কলেজের অবকাঠামোর সিংহভাগ অর্থই তিনি প্রদান করেন। তিনি বিভিন্ন ধনী ব্যাক্তিগণের নিকট হতেও কলেজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। গণশিক্ষা অধিদপ্ত্রের পরিচালক মোঃ শামসুল হক ২৯ শে জুলাই ১৯৫৯ সালে এই কলেজ উদ্বোধন করেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন শিক্ষাবিদ আলহ্বাজ রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।
প্রায় অর্ধশত বছর আগে বৃহত্তর ময়মনসিংহ এর নারীশিক্ষাকে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে এই কলেজ স্থাপিত হয়। সর্বজনপরিচিত সমাজসেবক এম.আর খানের মা মুমিনুন্নিসা এর নামে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।মুমিনুন্নিসা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এম.আর. খান এর পুরো নাম হচ্ছে মজুতের রহমান খান। ১৯৫২ সালে মুমিনুন্নিসা কলেজের ভূমি ক্রয় করেন এম. আর. খান কোম্পানি। এই কোম্পানিটি চার সহোদর ভাই এর সমন্বয়ে পার্টনারশিপ কোম্পানি যা ব্রিটিশ আমল থেকে চা, পাটের ব্যাবসা সহ অনেক ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই কলেজের অবকাঠামোর সিংহভাগ অর্থই তিনি প্রদান করেন। তিনি বিভিন্ন ধনী ব্যাক্তিগণের নিকট হতেও কলেজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। গণশিক্ষা অধিদপ্ত্রের পরিচালক মোঃ শামসুল হক ২৯ শে জুলাই ১৯৫৯ সালে এই কলেজ উদ্বোধন করেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন শিক্ষাবিদ আলহ্বাজ রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।
বিজ্ঞান শাখা চালু হয় ১৯৬১ সালে। কলেজটি ডিগ্রী কলেজে উন্নীত হয় ১৯৬৩ সালে। ১৯৮০ সালের মার্চে কলেজটি সরকারীকরণ করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৮-৯৯ সেশনে ছয়টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। মাস্টার্স কোর্স শুরু হয় ২০০১-২০০২ সেশনে। উদ্ভিদবিদ্যায় ২০১৩-১৪ সেশনে ও প্রাণীবিদ্যায় অনার্স ২০১৪-১৫ সেশনে চালু হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| url=http://www.muminunnisacollege.com/history |title=ইতিহাস}}</ref>
বিজ্ঞান শাখা চালু হয় ১৯৬১ সালে। কলেজটি ডিগ্রী কলেজে উন্নীত হয় ১৯৬৩ সালে। ১৯৮০ সালের মার্চে কলেজটি সরকারীকরণ করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৮-৯৯ সেশনে ছয়টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। মাস্টার্স কোর্স শুরু হয় ২০০১-২০০২ সেশনে। উদ্ভিদবিদ্যায় ২০১৩-১৪ সেশনে ও প্রাণীবিদ্যায় অনার্স ২০১৪-১৫ সেশনে চালু হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| url=http://www.muminunnisacollege.com/history |title=ইতিহাস}}</ref>



০৮:৩৬, ২২ জুন ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ
Muminunnisa Govt. Mohila College
মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের প্রধান দরজা
ধরনপাবলিক
স্থাপিত১৯৫৯
অধিভুক্তিজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
অধ্যক্ষএন. এম. শাহজাহান সরকার
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৮০
শিক্ষার্থী৭,০০০+ [১]
অবস্থান
ময়মনসিংহ
,
ঢাকা
,
বাংলাদেশ
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
ওয়েবসাইটঅফিশিয়াল ওয়েবসাইট
মানচিত্র

মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটি সরকারী কলেজ। শহরের টাউনহলের বিপরীতে এই কলেজটির অবস্থান। এই কলেজটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। বৃহত্তর ময়মনসিংহ এর নারীশিক্ষা বাস্তবায়নে এই কলেজ অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

ইতিহাস

প্রায় অর্ধশত বছর আগে বৃহত্তর ময়মনসিংহ এর নারীশিক্ষাকে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে এই কলেজ স্থাপিত হয়। সর্বজনপরিচিত সমাজসেবক এম.আর খানের মা মুমিনুন্নিসা এর নামে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।মুমিনুন্নিসা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এম.আর. খান এর পুরো নাম হচ্ছে মজুতের রহমান খান। ১৯৫২ সালে মুমিনুন্নিসা কলেজের ভূমি ক্রয় করেন এম. আর. খান কোম্পানি। এই কোম্পানিটি চার সহোদর ভাই এর সমন্বয়ে পার্টনারশিপ কোম্পানি যা ব্রিটিশ আমল থেকে চা, পাটের ব্যাবসা সহ অনেক ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই কলেজের অবকাঠামোর সিংহভাগ অর্থই তিনি প্রদান করেন। তিনি বিভিন্ন ধনী ব্যাক্তিগণের নিকট হতেও কলেজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। গণশিক্ষা অধিদপ্ত্রের পরিচালক মোঃ শামসুল হক ২৯ শে জুলাই ১৯৫৯ সালে এই কলেজ উদ্বোধন করেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন শিক্ষাবিদ আলহ্বাজ রিয়াজউদ্দিন আহমেদ। বিজ্ঞান শাখা চালু হয় ১৯৬১ সালে। কলেজটি ডিগ্রী কলেজে উন্নীত হয় ১৯৬৩ সালে। ১৯৮০ সালের মার্চে কলেজটি সরকারীকরণ করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৮-৯৯ সেশনে ছয়টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। মাস্টার্স কোর্স শুরু হয় ২০০১-২০০২ সেশনে। উদ্ভিদবিদ্যায় ২০১৩-১৪ সেশনে ও প্রাণীবিদ্যায় অনার্স ২০১৪-১৫ সেশনে চালু হয়।[২]

প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা

দুইটি অনুষদে বিভাগের সংখ্যা ১৪ টি। বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৮০ জন। বর্তমানে ৩ জন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ১৩ জন, সহকারী অধ্যাপক ২০ জন, প্রভাষক ৩৫ জন, প্রদর্শক ৪ জন এবং একজন করে শরীরচর্চা শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, সহগ্রন্থাগারিক কর্মরত রয়েছেন।[৩]

শিক্ষা ব্যবস্থা

উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক ও বিজ্ঞান শাখায়,স্নাতক (পাস) কোর্সে বিএ, বিএসএস, বিএসসি,স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভূগোল ও পরিবেশ, উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যা এবং স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর কোর্সে বাংলা, ইংরেজী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, গণিত, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন ও অর্থনীতি পড়ানো হয়।[৪]

ছাত্রীনিবাস

ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থার জন্য দুইটি ছাত্রী হোস্টেল আছে।[৫]

গ্রন্থাগার

সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারটিতে পুস্তকসংখ্যা প্রায় ১৬০০০ ।

অর্জন

১৯৯৭ সালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুরস্কার পায়। ১৯৯৮ সালে কলেজের প্রিন্সিপাল শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে পুরষ্কার পান। ঢাকা বোর্ড কর্তৃক আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায়ে ভলিবলে চ্যাম্পিয়ন এবং দ্বৈত ব্যাডমিন্টনে রানার্সআপ হয় কলেজের মেয়েরা।[৬]

কৃতী শিক্ষার্থী

বিশিষ্ট সাহিত্যিক ইফফাত আরা এই কলেজ থেকে ১৯৬৮ অনার্স পাস করেন।

তথ্যসূত্র

  1. "ছাত্রী সংখ্যা" 
  2. "ইতিহাস" 
  3. "প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা" 
  4. "শিক্ষা ব্যবস্থা" 
  5. "ছাত্রীনিবাস" 
  6. "অর্জন"