অ্যাঞ্জেলিনা জোলি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Maksud (আলোচনা | অবদান)
৫৮ নং লাইন: ৫৮ নং লাইন:
২০০৩ সালে জোলি ছয় দিনের সফরে [[তানজানিয়া|তানজানিয়ার]] পশ্চিম সীমান্তে যান, যেখানে মূলত [[কঙ্গো|কঙ্গোর]] শরণার্থীরা অবস্থান করেন। এছাড়া তিনি [[শ্রীলংকা|শ্রী লংকাতেও]] এক সপ্তাহব্যাপী একটি সফর করেন। [[নর্থ ককেশাস]] অঞ্চলে ভ্রমণের ইতি টানার জন্য চারদিনের সফরে [[রাশিয়া|রাশিয়াও]] ভ্রমণ করেন। ''বিয়ন্ড বর্ডারস'' চলচ্চিত্রের প্রকাশের সাথে সাথে তিনি ''[[নোটস ফ্রম মাই ট্রাভেলস]]'' নামের একটি দিনলিপি প্রকাশ করেন, যেটিতে ২০০১-২০০২ বছরে তাঁর বিভিন্ন সফরের ক্রমানুক্রমিক দিনলিপি বিধৃত ছিলো। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৩-এর ডিসেম্বরে [[জর্ডান|জর্ডানে]] সময় কাটানোর সময় তিনি জর্ডানের পূর্ব মরুভূমিতে অবস্থিত ইরাকী শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করেন, এবং তার পরের মাসে তিনি সুদানী শরণার্থীদের সাথে দেখা করতে মিশর যান।
২০০৩ সালে জোলি ছয় দিনের সফরে [[তানজানিয়া|তানজানিয়ার]] পশ্চিম সীমান্তে যান, যেখানে মূলত [[কঙ্গো|কঙ্গোর]] শরণার্থীরা অবস্থান করেন। এছাড়া তিনি [[শ্রীলংকা|শ্রী লংকাতেও]] এক সপ্তাহব্যাপী একটি সফর করেন। [[নর্থ ককেশাস]] অঞ্চলে ভ্রমণের ইতি টানার জন্য চারদিনের সফরে [[রাশিয়া|রাশিয়াও]] ভ্রমণ করেন। ''বিয়ন্ড বর্ডারস'' চলচ্চিত্রের প্রকাশের সাথে সাথে তিনি ''[[নোটস ফ্রম মাই ট্রাভেলস]]'' নামের একটি দিনলিপি প্রকাশ করেন, যেটিতে ২০০১-২০০২ বছরে তাঁর বিভিন্ন সফরের ক্রমানুক্রমিক দিনলিপি বিধৃত ছিলো। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৩-এর ডিসেম্বরে [[জর্ডান|জর্ডানে]] সময় কাটানোর সময় তিনি জর্ডানের পূর্ব মরুভূমিতে অবস্থিত ইরাকী শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করেন, এবং তার পরের মাসে তিনি সুদানী শরণার্থীদের সাথে দেখা করতে মিশর যান।


জোলি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে তাঁর প্রথম জাতিসঙ্ঘ সফরের অংশ হিসেবে ২০০৪ সালে [[অ্যারিজোনা]] সফর করেন। সেখানকার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র দক্ষিণপূর্বীয় অঞ্চলের মূল কর্মকাণ্ডগুলোর একটি—[[ফিনিক্স, অ্যারিজোনা|ফিনিক্সের]] উদ্বাস্তু শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ২০০৪ সালে তিনি [[শাদ|শাদের]] সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে পশ্চিম সুদানের [[দারফুর]] সংকটের কারণে সৃষ্ট উদ্বাস্তুদের শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন। চার মাস পর তিনি সরাসরি দারফুরেই সফর করেন। ২০০৪ সালে তিনি থাইল্যান্ডে অবস্থিত আফগান শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বড়দিনের ছুটিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে [[লেবানন|লেবাননের]] রাজধানী [[বেইরুট|বেইরুটে]] ইউএনএইচসিআর-এর আঞ্চলিক দপ্তর পরিদর্শন করেন। সেই সাথে এ সফরে তিনি বেইরুটের কিছু অল্পবয়সী শরণার্থী ও ক্যান্সার রোগীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।<ref>ইউএনএইচসিআর। [http://www.unhcr.org/news/NEWS/41d2b32f4.html জোলি উৎসবের সময়টি লেবাননে, শরণার্থীদের সাথে পার করলেন]। ইউএনএইচসিআর। ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৪। নিশ্চিতকরণ: ২২ নভেম্বর, ২০০৮।</ref>
জোলি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে তাঁর প্রথম জাতিসঙ্ঘ সফরের অংশ হিসেবে ২০০৪ সালে [[অ্যারিজোনা]] সফর করেন। সেখানকার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র দক্ষিণপূর্বীয় অঞ্চলের মূল কর্মকাণ্ডগুলোর একটি—[[ফিনিক্স, অ্যারিজোনা|ফিনিক্সের]] উদ্বাস্তু শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ২০০৪ সালে তিনি [[শাদ|শাদের]] সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে পশ্চিম সুদানের [[দারফুর]] সংকটের কারণে সৃষ্ট উদ্বাস্তুদের শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন। চার মাস পর তিনি সরাসরি দারফুরেই সফর করেন। ২০০৪ সালে তিনি থাইল্যান্ডে অবস্থিত আফগান শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বড়দিনের ছুটিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে [[লেবানন|লেবাননের]] রাজধানী [[বৈরুত|বৈরুতে]] ইউএনএইচসিআর-এর আঞ্চলিক দপ্তর পরিদর্শন করেন। সেই সাথে এ সফরে তিনি বেইরুটের কিছু অল্পবয়সী শরণার্থী ও ক্যান্সার রোগীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।<ref>ইউএনএইচসিআর। [http://www.unhcr.org/news/NEWS/41d2b32f4.html জোলি উৎসবের সময়টি লেবাননে, শরণার্থীদের সাথে পার করলেন]। ইউএনএইচসিআর। ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৪। নিশ্চিতকরণ: ২২ নভেম্বর, ২০০৮।</ref>


২০০৫ সালে জোলি [[পাকিস্তান|পাকিস্তানে]] অবস্থিত আফগান শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন, এবং সেই সাথে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি [[পারভেজ মোশাররফ]] ও প্রধানমন্ত্রী [[শওকত আজিজ|শওকত আজিজের]] সাথে সাক্ষাৎ করেন। [[কাশ্মির ভূমিকম্প ২০০৫|২০০৫ সালের কাশ্মির ভূমিকম্পের]] প্রভাব ও ভূমিকম্প পরবর্তী অবস্থা পরিদর্শনের জন্য তিনি থ্যাংকসগিভিং-এর সাপ্তাহিক ছুটিতে ব্রাড পিটের সাথে আরেকবার পাকিস্তান সফর করেন। ২০০৬-এ জোলি ও পিট [[হাইতি|হাইতিতে]] যান ইয়েলা হাইতি নামের একটি দাতব্য সংগঠনের অর্থায়িত স্কুল পরিদর্শনের জন্য। এই দাতব্য সংগঠনটি প্রতিষ্ঠাতা হিপহপ সঙ্গীতশিল্পী [[ওয়াইক্লেফ জন]]। ভারতে ''আ মাইটি হার্ট'' চলচ্চিত্রের চিত্র ধারণের সময় তিনি [[নয়া দিল্লী|নয়া দিল্লীতে]] আফগান ও [[বার্মা|বার্মিজ]] শরণার্থীদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন। ২০০৬ সালের [[বড়দিন]] তিনি [[কোস্টা রিকা|কোস্টা রিকার]] [[স্যান জোসে, কোস্টারিকা|স্যান জোসেতে]] কলম্বীয় শরণার্থীদের সাথে পালন করেছেন। সেখানে তিনি তাঁদের মাঝে উপহারও বিতরণ করেন। ২০০৭-এ জোলি [[দারফুর|দারফুরের]] অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিমাপের জন্য দুই দিনের সফরে [[শাদ]] সফর করেন। শাদ ও দারফুরের তিনটি ত্রান সংগঠনকে জোলি ও পিট ১ মিলিয়ন ডলার করে অনুদান দেন।<ref>ইউএনএইচসিআর। [http://www.alertnet.org/thenews/newsdesk/UNHCR/dc35790f8bdb81d4b2df69046a0af36b.htm জোলি-পিট ফাউন্ডেশন ডোনেটস ওয়ান মিলিয়ন ইউএস ডলার টু গ্রুপস ওয়ার্কিং দারফুর]। রয়টার্স অ্যালার্টনেট। ১০ মে, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> সেই বছরে জোলি প্রথমবারের মতো [[সিরিয়া]] সফর করেন, এবং দুইবার [[ইরাক]] সফর করেন। ইরাকে তিনি শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাতের পাশাপাশি বহুজাতিক সৈন্য ও মার্কিন সৈন্যদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।<ref>সিএনএন। [http://edition.cnn.com/2008/WORLD/meast/02/07/iraq.jolie/?iref=mpstoryview জোলি ইন ইরাক: টুএম রেফিউজিস নিড হেলপ]। সিএনএন ডট কম। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। নিশ্চিতকরণ: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
২০০৫ সালে জোলি [[পাকিস্তান|পাকিস্তানে]] অবস্থিত আফগান শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন, এবং সেই সাথে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি [[‍পারভেজ মুশাররফ]] ও প্রধানমন্ত্রী [[শওকত আজিজ|শওকত আজিজের]] সাথে সাক্ষাৎ করেন। [[কাশ্মির ভূমিকম্প ২০০৫|২০০৫ সালের কাশ্মির ভূমিকম্পের]] প্রভাব ও ভূমিকম্প পরবর্তী অবস্থা পরিদর্শনের জন্য তিনি থ্যাংকসগিভিং-এর সাপ্তাহিক ছুটিতে ব্রাড পিটের সাথে আরেকবার পাকিস্তান সফর করেন। ২০০৬-এ জোলি ও পিট [[হাইতি|হাইতিতে]] যান ইয়েলা হাইতি নামের একটি দাতব্য সংগঠনের অর্থায়িত স্কুল পরিদর্শনের জন্য। এই দাতব্য সংগঠনটি প্রতিষ্ঠাতা হিপহপ সঙ্গীতশিল্পী [[ওয়াইক্লেফ জন]]। ভারতে ''আ মাইটি হার্ট'' চলচ্চিত্রের চিত্র ধারণের সময় তিনি [[নয়া দিল্লী|নয়া দিল্লীতে]] আফগান ও [[বার্মা|বার্মিজ]] শরণার্থীদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন। ২০০৬ সালের [[বড়দিন]] তিনি [[কোস্টা রিকা|কোস্টা রিকার]] [[স্যান জোসে, কোস্টারিকা|স্যান জোসেতে]] কলম্বীয় শরণার্থীদের সাথে পালন করেছেন। সেখানে তিনি তাঁদের মাঝে উপহারও বিতরণ করেন। ২০০৭-এ জোলি [[দারফুর|দারফুরের]] অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিমাপের জন্য দুই দিনের সফরে [[শাদ]] সফর করেন। শাদ ও দারফুরের তিনটি ত্রান সংগঠনকে জোলি ও পিট ১ মিলিয়ন ডলার করে অনুদান দেন।<ref>ইউএনএইচসিআর। [http://www.alertnet.org/thenews/newsdesk/UNHCR/dc35790f8bdb81d4b2df69046a0af36b.htm জোলি-পিট ফাউন্ডেশন ডোনেটস ওয়ান মিলিয়ন ইউএস ডলার টু গ্রুপস ওয়ার্কিং দারফুর]। রয়টার্স অ্যালার্টনেট। ১০ মে, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> সেই বছরে জোলি প্রথমবারের মতো [[সিরিয়া]] সফর করেন, এবং দুইবার [[ইরাক]] সফর করেন। ইরাকে তিনি শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাতের পাশাপাশি বহুজাতিক সৈন্য ও মার্কিন সৈন্যদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।<ref>সিএনএন। [http://edition.cnn.com/2008/WORLD/meast/02/07/iraq.jolie/?iref=mpstoryview জোলি ইন ইরাক: টুএম রেফিউজিস নিড হেলপ]। সিএনএন ডট কম। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। নিশ্চিতকরণ: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>


[[Image:2005 06 15 rice-jolie 600.jpg|left|thumb|200px|জুন ২০০৫ সালে [[বিশ্ব শরণার্থী দিবস]]-এ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও [[কন্ডোলিৎসা রাইস]]]]
[[Image:2005 06 15 rice-jolie 600.jpg|left|thumb|200px|জুন ২০০৫ সালে [[বিশ্ব শরণার্থী দিবস]]-এ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও [[কন্ডোলিৎসা রাইস]]]]
সময়ের সাথে সাথে জোলি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, মানবতার পক্ষে সংশ্লিষ্টতা বাড়ানোর কাজে আরো বেশি সময় দেওয়া শুরু করেন। তিনি নিয়মিত [[ওয়াশিংট ডি.সি.]]-তে [[বিশ্ব শরণার্থী দিবস|বিশ্ব শরণার্থী দিবসে]] অংশগ্রহণ করে আসছেন। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে [[সুইজারল্যান্ড|সুইজারল্যান্ডের]] [[ডাভোস|ডাভোসে]] অনুষ্ঠিত [[বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থা|বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থার]] অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে মানবতার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তদ্বির শুরু করেন, এবং ২০০৩ সালে তিনি কমপক্ষে ২০ বার বিভিন্ন কংগ্রেস সদস্যের সাথে দেখা করেন।<ref name="Bad Girl Interrupted">সুইবেল, ম্যাথিউ। [http://www.forbes.com/forbes/2006/0703/118_print.html ব্যাড গার্ল ইন্টারাপ্টেড]। ''ফোর্বস''। ১২ জুন, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</ref> ''[[ফোর্বস]]'' ম্যাগাজিনকে এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “ওয়াশিংটন দেখার কোনো সেরকম ইচ্ছা আমার ছিলো না, আমি যা করেছি তা শুধু বলটা নড়ানোর জন্যই।”<ref name="Bad Girl Interrupted">সুইবেল, ম্যাথিউ। [http://www.forbes.com/forbes/2006/0703/118_print.html ব্যাড গার্ল ইন্টারাপ্টেড]। ''ফোর্বস''। ১২ জুন, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</ref>
সময়ের সাথে সাথে জোলি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, মানবতার পক্ষে সংশ্লিষ্টতা বাড়ানোর কাজে আরো বেশি সময় দেওয়া শুরু করেন। তিনি নিয়মিত [[ওয়াশিংটন ডি.সি.]]-তে [[বিশ্ব শরণার্থী দিবস|বিশ্ব শরণার্থী দিবসে]] অংশগ্রহণ করে আসছেন। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে [[সুইজারল্যান্ড|সুইজারল্যান্ডের]] [[ডাভোস|ডাভোসে]] অনুষ্ঠিত [[বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থা|বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থার]] অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে মানবতার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তদ্বির শুরু করেন, এবং ২০০৩ সালে তিনি কমপক্ষে ২০ বার বিভিন্ন কংগ্রেস সদস্যের সাথে দেখা করেন।<ref name="Bad Girl Interrupted">সুইবেল, ম্যাথিউ। [http://www.forbes.com/forbes/2006/0703/118_print.html ব্যাড গার্ল ইন্টারাপ্টেড]। ''ফোর্বস''। ১২ জুন, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</ref> ''[[ফোর্বস]]'' ম্যাগাজিনকে এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “ওয়াশিংটন দেখার কোনো সেরকম ইচ্ছা আমার ছিলো না, আমি যা করেছি তা শুধু বলটা নড়ানোর জন্যই।”<ref name="Bad Girl Interrupted">সুইবেল, ম্যাথিউ। [http://www.forbes.com/forbes/2006/0703/118_print.html ব্যাড গার্ল ইন্টারাপ্টেড]। ''ফোর্বস''। ১২ জুন, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</ref>


২০০৫ সালে তিনি [[ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব (যুক্তরাষ্ট্র)|ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের]] অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যেখানে তিনি ''ন্যাশনাল সেন্টার ফর রেফিউজি এন্ড ইমিগ্রান্ট চিলড্রেন'' নামে একটি সংস্থার গোড়াপত্তনের ঘোষণা দেন। এই সংগঠনের কাজ হবে এতিমখানায় থাকা যেসব শিশুর আইনগত অধিকার পাবার সুযোগ নেই, তাঁদেরকে আইনগত সুবিধাদি প্রদান করা। এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম দুই বছরের জন্য জোলি ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেন।<ref>ইউএনএইচসিআর। [http://www.unhcr.org/cgi-bin/texis/vtx/news/opendoc.htm?tbl=NEWS&id=422f33944 অ্যাঞ্জেলিনা জোলি মাতৃ-পিতৃহারা শিশুদের জন্য সাহায্যকেন্দ্র খুলেছেন]। ইউএনএইচসিআর ডট ওআরজি। ৯ মার্চ, ২০০৫। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই জোলি শরণার্থীদের সাহায্যার্থে ও শিশুদের বিভিন্ন কাজে এমন অর্থ অনুদান দিয়ে আসছেন।<ref name="Bad Girl Interrupted">সুইবেল, ম্যাথিউ। [http://www.forbes.com/forbes/2006/0703/118_print.html ব্যাড গার্ল ইন্টারাপ্টেড]। ''ফোর্বস''। ১২ জুন, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</ref> যেহেতু তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয়, তাই তার এই পরিচিতিকে তিনি মানবতার দাবী গণমাধ্যমে সামনে আনার জন্য ব্যবহার করেন। ''দ্য ডায়েরি অফ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এন্ড ড. জেফরি স্যাচেস ইন আফ্রিকা'' নামে [[এমটিভি|এমটিভির]] জন্য তিনি একটি বিশেষ অনুষ্ঠান তৈরি করেন। এর কাহিনী গড়ে উঠেছে জোলি ও বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ [[ড. জেফরি স্যাচ|ড. জেফরি স্যাচের]] পশ্চিম কেনিয়ার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে সফরকে কেন্দ্র করে। ২০০৬ সালে জোলি দাতব্য সংগঠন “জোলি/পিট ফাউন্ডেশন”-এর গোড়াপত্তন করেন, যা [[গ্লোবাল অ্যাকশন ফর চিলড্রেন]] এবং [[ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস]] নামের দুটি সংগঠনের প্রত্যেককে এক মিলিয়ন ডলার করে অনুদান দেয়।<ref>গ্রীন, ম্যারি। [http://www.people.com/people/article/0,26334,1537302,00.html ব্রাড এন্ড অ্যাঞ্জেলিনা স্টার্ট চ্যারিটেবল গ্রুপ]। ''পিপল'' ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> সেই বছরেই জোলি [[ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ|ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের]] স্থাপিত ''এজুকেশন পার্টনারশিপ ফর চিলড্রেন অফ কনফ্লিক্ট''-এর সহ-চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করেন। এ প্রতিষ্ঠানটির কাজ হচ্ছে বিভিন্ন সংঘর্ষের শিকার শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে অর্থ সহায়তা প্রদান করা।<ref>[http://www.educationpartnership.org/about-founders গোড়াপত্তনকারীদের সম্পর্কে তথ্য]। এজুকেশন পার্টনারশিপ ফর চিলড্রেন কনফ্লিক্ট। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>
২০০৫ সালে তিনি [[ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব (যুক্তরাষ্ট্র)|ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের]] অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যেখানে তিনি ''ন্যাশনাল সেন্টার ফর রেফিউজি এন্ড ইমিগ্রান্ট চিলড্রেন'' নামে একটি সংস্থার গোড়াপত্তনের ঘোষণা দেন। এই সংগঠনের কাজ হবে এতিমখানায় থাকা যেসব শিশুর আইনগত অধিকার পাবার সুযোগ নেই, তাঁদেরকে আইনগত সুবিধাদি প্রদান করা। এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম দুই বছরের জন্য জোলি ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেন।<ref>ইউএনএইচসিআর। [http://www.unhcr.org/cgi-bin/texis/vtx/news/opendoc.htm?tbl=NEWS&id=422f33944 অ্যাঞ্জেলিনা জোলি মাতৃ-পিতৃহারা শিশুদের জন্য সাহায্যকেন্দ্র খুলেছেন]। ইউএনএইচসিআর ডট ওআরজি। ৯ মার্চ, ২০০৫। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই জোলি শরণার্থীদের সাহায্যার্থে ও শিশুদের বিভিন্ন কাজে এমন অর্থ অনুদান দিয়ে আসছেন।<ref name="Bad Girl Interrupted">সুইবেল, ম্যাথিউ। [http://www.forbes.com/forbes/2006/0703/118_print.html ব্যাড গার্ল ইন্টারাপ্টেড]। ''ফোর্বস''। ১২ জুন, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮</ref> যেহেতু তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয়, তাই তার এই পরিচিতিকে তিনি মানবতার দাবী গণমাধ্যমে সামনে আনার জন্য ব্যবহার করেন। ''দ্য ডায়েরি অফ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এন্ড ড. জেফরি স্যাচেস ইন আফ্রিকা'' নামে [[এমটিভি|এমটিভির]] জন্য তিনি একটি বিশেষ অনুষ্ঠান তৈরি করেন। এর কাহিনী গড়ে উঠেছে জোলি ও বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ [[ড. জেফরি স্যাচ|ড. জেফরি স্যাচের]] পশ্চিম কেনিয়ার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে সফরকে কেন্দ্র করে। ২০০৬ সালে জোলি দাতব্য সংগঠন “জোলি/পিট ফাউন্ডেশন”-এর গোড়াপত্তন করেন, যা [[গ্লোবাল অ্যাকশন ফর চিলড্রেন]] এবং [[ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস]] নামের দুটি সংগঠনের প্রত্যেককে এক মিলিয়ন ডলার করে অনুদান দেয়।<ref>গ্রীন, ম্যারি। [http://www.people.com/people/article/0,26334,1537302,00.html ব্রাড এন্ড অ্যাঞ্জেলিনা স্টার্ট চ্যারিটেবল গ্রুপ]। ''পিপল'' ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref> সেই বছরেই জোলি [[ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ|ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের]] স্থাপিত ''এজুকেশন পার্টনারশিপ ফর চিলড্রেন অফ কনফ্লিক্ট''-এর সহ-চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করেন। এ প্রতিষ্ঠানটির কাজ হচ্ছে বিভিন্ন সংঘর্ষের শিকার শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে অর্থ সহায়তা প্রদান করা।<ref>[http://www.educationpartnership.org/about-founders গোড়াপত্তনকারীদের সম্পর্কে তথ্য]। এজুকেশন পার্টনারশিপ ফর চিলড্রেন কনফ্লিক্ট। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।</ref>

১২:৪১, ১৬ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
জন্ম
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ভয়ঘট্‌
পেশাচলচ্চিত্র অভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৮২; ১৯৯৩ – বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীজনি লী মিলার (১৯৯৬ – ১৯৯৯)
বিলি বব থর্নটন (২০০০ – ২০০৩)
সঙ্গীব্রাড পিট (২০০৫ – বর্তমান)

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি (ইংরেজি ভাষায়: Angelina Jolie) (জন্ম: ৪ জুন, ১৯৭৫) একজন মার্কিন অভিনেত্রীজাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (UNHCR)-এর একজন শুভেচ্ছাদূত (Goodwill Ambassador)। তিনি তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুইবার স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং একবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। জোলি বিশ্বব্যাপী মানবতার প্রচারে, এবং শরণার্থীদের জন্য ইউএনএইচসিআর-এর সাথে কাজ করার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। একাধিকবার তিনি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নারী হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, এবং পর্দার বাইরে তাঁর জীবন সবসময়ই গণমাধ্যমের অন্যতম আকর্ষণের বিষয় ও যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে তা প্রচার পায়।[১]

বাবা জন ভয়ঘট্‌-এর ১৯৮২ সালের চলচ্চিত্র লুকিন' টু গেট আউটের মাধ্যমে শিশু অভিনেত্রী হিসেবে জোলির চলচ্চিত্র অভিষেক ঘটে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পেশাদার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর পেশাজীবন শুরু হয় অল্প বাজেটের ছবি সাইবর্গ ২ (১৯৯৩)-এর মাধ্যমে। হ্যাকারস (১৯৯৫) চলচ্চিত্রে দিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বড় ধরনের কোনো চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় শুরু করেন। পরবর্তীতে তাঁকে জর্জ ওয়ালেস (১৯৯৭) ও জিয়া (১৯৯৮)-এর মতো সমালোচক নন্দিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়, এবং নাট্য চলচ্চিত্র গার্ল, ইন্টারাপ্টেড (১৯৯৯)-এ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ভিডিও গেমের নায়িকা লারা ক্রফ্‌ট চরিত্র নিয়ে লারা ক্রফ্‌ট: টুম্ব রেইডার (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয় তাঁর খ্যাতির সীমানা আরো বাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকেই জোলি হলিউডের অন্যতম ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত একজন অভিনেত্রী হিসেবে বিবেচিত।[২] তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের সর্বোচ্চ ব্যবসায়িক সাফল্য যে দুইটি চলচ্চিত্র থেকে এসেছে, তা হচ্ছে অ্যাকশন-কমেডি মি. এন্ড মিসেস. স্মিথ (২০০৫) এবং কুং ফু পান্ডা (২০০৮)।[৩]

অভিনেতা জনি লী মিলারবিলি বব থ্রনটনের সাথে বিবাহবিচ্ছেদের পর জোলি বর্তমানে বাস করছেন আমেরিকান অভিনেতা ব্রাড পিটের সাথে, যদিও অনেকদিন এক সাথে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা এখনো বিবাহিত নন। তাঁদের এই সম্পর্ক বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের নজর কেড়েছে। ম্যাডক্স, প্যাক্স, এবং জাহারা নামে জোলি-পিট দম্পতির দত্তক নেওয়া তিনটি সন্তান আছে; সেইসাথে আছে তাঁদের নিজস্ব জন্মদানকৃত তিন সন্তান, শিলোহ, নক্স, এবং ভিভিয়ান।

প্রাথমিক জীবন ও পরিবার

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাঙ্গেলিস-এ জোলির জন্ম। তাঁর মা মার্শেলিন বার্ট্রান্ড ও বাবা জন ভয়ঘট নিজেরাও অভিনয়শিল্পী ছিলেন। জোলি চিপ টেইলরের ভ্রাতুষ্পুত্রী, জেমস হ্যাভেনের বোন, এবং জ্যাকুইলিন বিসেটম্যাক্সিমিলিয়ান শেলের ধর্মকন্যা। বাবার দিক থেকে জোলি চেকোস্লোভাকীয়জার্মান বংশদ্ভূত,[৪][৫] এবং মায়ের দিক থেকে ফরাসী কানাডীয় বংশদ্ভূত, যাকে বলা হয় ইরোকুইশের অংশ।[৬][৭] যদিও ভয়ঘট্‌ দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী বার্ট্রান্ড “ঠিক ইরোকুইশ নয়”, কিন্তু তাঁরা এটা বলে স্রেফ তাঁর সাবেক স্ত্রীর বংশকে চমকপ্রদ হিসেবে প্রচার করা স্বার্থে।[৮]

১৯৭৬ সালে তাঁর মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদের পর, জোলি ও তাঁর ভাই তাঁদের মায়ের কাছে বেড়ে ওঠেন। তখন তাঁর মা অভিনয়ের আশা বাদ দিয়ে, তাঁদেরকে সাথে নিয়ে নিউ ইয়র্কের প্যালিসেডে চলে যান।[৯] শিশু অবস্থায় জোলি নিয়মিতভাবে ছবি দেখার পর অভিনয়ের প্রতি তাঁর উৎসাহের কথা বলতেন; তিনি কখনোই তাঁর বাবার কারণে অভিনয়ের প্রতি আকর্ষিত হন নি।[১০] জোলির এগারো বছর বয়সে তাঁর পরিবার আবারো লস অ্যাঞ্জেলসে ফিরে আসে, এবং তিনি ঠিক করেন যে, তিনি অভিনয়ের সাথে যুক্ত হবেন। এরই প্রেক্ষিতে তিনি লী স্ট্র্যাসবার্গ থিয়েটার ইন্সটিটিউটে ভর্তি হন, এবং দুই বছর সেখানে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। এসময় তিনি বেশকিছু মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন।

১৪ বছর বয়সে তিনি তাঁর অভিনয়ের পাঠ থেকে সরে যান, এবং একজন অন্তেষ্টিক্রিয়া পরিচালক হবার স্বপ্ন দেখতে থাকেন।[১১] তখন জোলি কালো পোশাক পরিধান করা শুরু করেন, তাঁর চুলের রং পরিবর্তন করে পার্পল করেন, এবং তখনকার প্রেমিকের সাথে মোশিং-এ যেতেন।[১০] দুই বছর পর তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যাবার পর তিনি তাঁর মায়ের বাড়ির কয়েক ব্লক দূরে একটি বাসা ভাড়া নেন।[৯] তিনি আবার মঞ্চের পড়াশোনায় ফিরে আসেন এবং হাই স্কুল থেকে তাঁর স্নাতক শেষ করেন; যদিও এ সময়গুলোতে তিনি কয়েকবার সেমিস্টার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন। কিন্তু এগুলো সম্মন্ধে জোলির বক্তব্য “আমি মূলত এখনো—এবং আমি থাকবোও—উল্কিওয়ালা এক বদমাশ বাচ্চা”।[১২]

পরবর্তীতে জোলি বেভারলি হিল্‌স হাই স্কুলে (পরবর্তীতে মরেনো হাই স্কুল) পড়াশোনা করতে যান। সেখানে তিনি থাকতেন অনেকটা বিচ্ছিন্ন, একাকী অবস্থায়, কারণ সেখানে যেসকল ছেলেমেয়েরা পড়তো তারা সবাই ছিলো সে এলাকার অবস্থাপন্ন ঘরের সন্তান। এদিকে জোলির মা তাঁর স্বল্প আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, অধিকাংশ সময়ই জোলিকে অন্যের ব্যবহৃত পুরোনো জামাকাপড় পরতে হতো। স্বাতন্ত্রসূচক বেশভূষার (যেমন: হ্যাংলা স্বাস্থ্য, রোদচশমা ও ব্রেস পরে থাকা ইত্যাদি[১০]) জন্য স্কুলের অন্যান্য ছেলেমেয়েরা জোলিকে উত্যক্ত করতো। মডেল হওয়ার জন্য তাঁর প্রথম চেষ্টাটি বিফলে যাওয়ায় তাঁর আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরে। তিনি নিজের শরীর কাটাকাটি করার মাধ্যমে নিজেকে রক্তাক্ত করা শুরু করেন। পরে তিনি এ সম্মন্ধে বলেন, “আমি সবসময়ই ছুরি সংগ্রহ করতাম আর এগুলো আমার আশেপাশেই থাকতো। কিছু কারণে, কাটাকাটি করার এই আচরণটি, এবং ব্যথা অনুভব করা; আমাকে অনুভব করাতো যে আমি বেঁচে আছি, এবং আমি কিছুটা মুক্তি পেয়েছি। এটা আমার কাছে ছিলো কিছুটা রোগনিরাময়ের মতো।”[১৩]

১৯৮৮ সালে অস্কার অনুষ্ঠানে জন ভয়ঘট্‌, পেছনে জোলিকে দেখা যাচ্ছে

জোলির সাথে তাঁর বাবার সম্পর্ক অত্যন্ত দূরত্বপূর্ণ। তাঁরা দুজন পরবর্তীতে এই দূরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন এবং লারা ক্রফ্‌ট: টুম্ব রেইডার চলচ্চিত্রে তাঁরা একত্রে অভিনয়ও করেন,[৯] কিন্তু ২০০২-এর জুলাইয়ে জোলি তাঁর নামের শেষাংশ থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে “ভয়ঘ্‌ট” শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু “অ্যাঞ্জেলিনা জোলি” করার আবেদন করেন।[১৪] ১২ সেপ্টেম্বর, ২০০২-এ তাঁর নাম আইনত পরিবর্তিত হয়ে শুধু “অ্যাঞ্জেলিনা জোলি” হয়। ওই বছরেই অ্যাকসেস হলিউড নামের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ভয়ঘট্‌ দাবি করেন তাঁর মেয়ে “মারত্মক মানসিক সমস্যা” আছে। এই কথার প্রেক্ষিতে জোলি পরে বলেন যে, তিনি তাঁর বাবার সাথে আর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে অপারগ। তিনি বলেন, “আমার বাবার সাথে আমি কথা বলি না, আমি তাঁর সামনে রাগারাগিও করি না। আমি বিশ্বাস করি না কারো পরিবার তাঁদের বংশধর তৈরি করে, কারণ আমার ছেলে দত্তকৃত, আর পরিবারটি অর্জিত”। তিনি বলেন যে, তিনি তাঁর বাবার সাথে দূরত্বের কারণগুলো সম্মন্ধে গণমাধ্যমের সাথে কথাবার্তা চালিয়ে যেতে চান নি, কিন্তু তাঁর একটা দত্তককৃত ছেলে আছে, এবং এবং তিনি মনে করেন না ভয়ঘটের সম্পর্কটা চালিয়ে এখন আর খুব ভালো হবে।[১৫]

প্রাথমিক কাজ (১৯৯৩—১৯৯৭)

চৌদ্দ বছর বয়স থেকে জোলি একজন ফ্যাশন মডেল হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি মডেলিং করতেন মূলত লস অ্যঞ্জেলস, নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনে। সেই সময় তাঁকে বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে দেখা যায়। যেমন: মিট লোফের (“রক অ্যান্ড রোল ড্রিমস কাম থ্রু”), অ্যানতোনেল্লো ভেনেডিত্তি (“আলতা মারিয়া”), লেনি ক্রাভিট্‌জ (“স্ট্যান্ড বাই মাই ওমেন”), এবং দ্য লেমনহেডস (“ইট'স অ্যাবাউট টাইম”)। ১৬ বছর বয়সে জোলি মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন, এবং তাঁর প্রথম চরিত্রটি ছিলো একজন জার্মান ডোমিন্যাট্রিক্স-এর। তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে অভিনয় শেখা শুরু করেন। তিনি তাঁর বাবার শিখন প্রক্রিয়া লক্ষ্য করতেন যে, কীভাবে ঐ চরিত্রের মতো হয়ে ওঠা যায়। সে সময় বাবার সাথে জোলির সম্পর্ক পরবর্তীকালের মতো এতোটা শীতল ছিলো না। তখন জোলি মনে করতেন তাঁরা দুজনেই হচ্ছে নাট্যজগতের রাজা-রানী।[১০]

জোলির ভাই যখন ইউএসসি স্কুল অফ সিনেম্যাটিক আর্টস-এ শিক্ষার্থী, তখন তাঁর পাঁচটি পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্রে জোলি অভিনয় করেন, কিন্তু তাঁর পেশাজীবন শুরু হয় মূলত ১৯৯৩ সালে; অল্প বাজেটের চলচ্চিত্র সাইবর্গ ২-এ মূল ভূমিকায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। তাঁর চরিত্রের নাম ছিলো ক্যাসেলা "ক্যাশ" রীজ, যে কিনা মানুষের কাছাকাছি একটি রোবট। রোবটটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিলো যেনো সে নিজেকে একটি প্রতিদ্বন্দী প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় সদরদপ্তরে নিয়ে যেতে প্রলুব্ধ করে, অতঃপর নিজেকে ধ্বংস করে ফেলে। পরবর্তীতে জোলি উইদাউট এভিডেন্স-এ কেট "এসিড বার্ন" লিবি চরিত্রে পার্শ্বভূমিকায় অভিনয় করেন। এটি ছিলো জোলির অভিনয় জীবনের প্রথম হলিউড চলচ্চিত্র। এছাড়া তিনি অভিনয় করেন হ্যাকারস (১৯৯৫)-এ, এবং এখানেই জোলির সাথে পরবর্তীতে তাঁর প্রথম স্বামী জনি লী মিলারের সাথে পরিচয় ঘটে। চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর মন্তব্য ছিলো, “কেট (অ্যাঞ্জেলিনা জোলি) দাঁড়িয়ে গেছে”

প্রধান সাফল্য (১৯৯৭—২০০০)

১৯৯৭ সালে জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র জর্জ ওয়ালেস-এ কর্নেলিয়া ওয়ালেস চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর পরিচিতি বাড়তে শুরু করে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন ও এমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। এই চলচ্চিত্রে আলাবামার গভর্নর জর্জ ওয়ালেসের চরিত্রে অভিনয় করেন গ্যারি সিনাইস। পরিচাল জন ফ্রাঙ্কেনহাইমার সমালোচকদের দৃষ্টিতে প্রশংসিত হন, ও বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেন; এর মধ্যে আছে সেরা মিনি ধারাবাহিক/টেলিচলচ্চিত্র বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জয়। এই চলচ্চিত্রে জোলির জোলির চরিত্রটি ছিলো বিচ্ছিন্ন এক সাবেক গভর্নরের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে, এবং ১৯৭২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার সময় এই গভর্নর গুলিবিদ্ধ ও পক্ষাঘাতগ্রস্থ হন।

১৯৯৮ সালে তিনি এইচবিও প্রযোজিত চলচ্চিত্র জিয়া-তে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন, যেখানে তাঁর চরিত্রটি ছিলো সুপারমডেল জিয়া কারাঞ্জির। ছবিটির মুখ্য বিষয়গুলো ছিলো যৌনতা, মাদক, আবেগ, এবং মাদকাসক্তির কারণে কারাঞ্জির শারীরিক ও পেশাগত জীবনের ক্রম অধঃপতন; অবশেষে সবকিছু থেকে তাঁর হাল ছেড়ে দেওয়া ও এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ। রীল ডট কমের ভেনেসা ভেন্সি বলেন, “অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জিয়া চরিত্রে অভিনয় করে ভালো পরিচিতি লাভ করেছেন, এবং এটা কেনো, তা আমরা সহজেই উপলব্ধি করতে পারি। জোলি তাঁর চরিত্রাভিনয়ে ছিলেন বিপ্লবী—তাঁর অংশগুলো তিনি চিত্রিত করেছেন এক ধরনের দৃঢ়তা, আকর্ষণীয়তা, এবং বেপরোয়াত্বের সাথে—এই চলচ্চিত্রে তাঁর ভূমিকাটি খুব সম্ভবত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে অপ্রতিরোধ্য অভিনয়।”[১৬] দ্বিতীয় বছরের জন্য জোলি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং এমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন লাভ করেন। সেই সাথে তিনি তাঁর প্রথম স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারটি লাভ করেন। জিয়াতে অভিনয়ের সময় জোলি তাঁর স্বামী জনি লী মিলারকে বলেছিলেন যে তিনি তাঁকে ফোন করতে পারবেন না: “আমি তাঁকে বলতাম: ‘আমি নিঃসঙ্গ, আমি মারা যাচ্ছি, আমি সমকামী; তোমার সাথে আমার সামনের কয়েক সপ্তাহ দেখা হবে না।’”

জিয়া-তে অভিনয় করার পর জোলি তাঁর আবাসস্থল পরিবর্তন করে নিউ ইয়র্কে চলে যান এবং কিছু দিনের জন্য অভিনয় থেকে বিরতি নেন, কারণ তিনি তখন এমনটি অনুভব করছিলেন যে তাঁর “কিছুই দেবার নেই”। তিনি নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে চলচ্চিত্র পরিচালনার ওপর পড়াশোনা শুরু করেন এবং লিখিত ক্লাসগুলোতে নিয়মিত অংশ নিতে থাকেন। ইনসাইড দ্য অ্যাক্টরস স্টুডিও নামে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমাকে আবার টেনে তোলার জন্য এটাই ভালো উপায়”।[১৭]

১৯৯৮ সালে জোলি পুনরায় চলচ্চিত্রে ফিরে আসেন হেল'স কিচেন চলচ্চিত্রে গ্লোরিয়া ম্যাকনিয়ারি চরিত্রে অভিনয়ের মাধমে, এবং পরে তাঁকে দেখা যায় চলচ্চিত্র প্লেয়িং বাই হার্ট-এ। সেখানে তাঁকে নেওয়া হয়েছিলো গ্রুপের সদস্য হিসেবে, এবং গ্রুপে আরো ছিলেন শন কনারি, জিলিয়ান অ্যান্ডারসন, রায়ান ফিলিপজন স্টুয়ার্ট। চলচ্চিত্রটি সমাদৃত হয়; বিশেষ করে জোলির অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়।

পরবর্তীতে জোলি গার্ল ইন্টারাপ্টেড (১৯৯৯) চলচ্চিত্রে পার্শ্বঅভিনেত্রী হিসেবে লিসা রো চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবির কাহিনী ছিলো সুসানা কায়জেন নামক একজন মানসিক রোগীকে ঘিরে, যা নেওয়া হয়েছিলো তাঁরই স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ গার্ল ইন্টারাপ্টেড থেকে। ভিনোনা রাইডার এখানে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন, এবং আশা করা হয়েছিলো এর মাধ্যমেই তিনি আবার ভালোভাবে অভিনয়ে ফিরে আসবেন, কিন্তু বাস্তবে এটি জোলির জন্য বর হয়ে আসে, এবং তিনি হলিউডে তাঁর শেষ আলোচিত সাফল্যটি লাভ করেন।[১৮] এটির জন্য তিনি পার্শ্বঅভিনেত্রী হিসেবে, তৃতীয়বারের মতো গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দ্বিতীয়বারের মতো স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার, এবং প্রথমবারের মতো একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এই চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় সম্পর্কে ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনের মন্তব্য, “ফ্ল্যামবয়ান্ট ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হিসেবে জোলি অসাধারণ, কিন্তু এখানে জোলির অভিনয় ছিলো পুর্নবাসন কেন্দ্রে ডাক্তারের চেয়েও অনেক বেশি যান্ত্রিক।”[১৯] গার্ল ইন্টারাপ্টাড-এ জোলির অভিনয় সমালোচকদের দ্বারাও প্রশংসিত হয়। বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক রজার এবার্ট এ ছবিতে তাঁর অভিনয় সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন:[২০]

২০০০ সালে, গ্রীষ্মকালে তাঁর জীবনের প্রথম ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র গন ইন সিক্সটি সেকেন্ডস-এ অভিনয় করেন, যেখানে তাঁর চরিত্রটি ছিলো গাড়ি চোর নিকোলাস কেজের সাবেক প্রেমিকা “সারা "সোয়ে" ওয়েল্যান্ড”-এর। ছবিতে জোলির ভূমিকা ও উপস্থিতি ছিলো খুবই অল্প এবং ওয়াশিংটন পোস্ট সমালোচনা করে।[২১] পরবর্তীতে জোলি ব্যাখ্যা করে বলেন, লিসা রো-এর মতো একটি গুরুগম্ভীর চরিত্রে অভিনয়ের পর সেটা ছিলো অনেকটা স্বাগত উপস্থিতির মতো। এটি এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত সবচেয়ে বেশি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। বিশ্বব্যাপী এটির আয় ছিলো ২৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১,৬৫৯ কোটি টাকা)।[৩]

আন্তর্জাতিক সাফল্য (২০০১—বর্তমান)

উঁচুমানের অভিনয় প্রতিভা ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও জোলির অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো প্রায়ই আন্তর্জাতিকভাবে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হতো; তাঁর এই অপূর্ণতা পূর্ণ হয় ২০০১ সালে লারা ক্রফ্‌ট: টুম্ব রেইডার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। চলচ্চিত্রটি ছিলো জনপ্রিয় ভিডিওগেম টুম্ব রেইডার-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এই চলচ্চিত্রে লারা ক্রফ্‌ট চরিত্রে অভিনয় করার জন্যে জোলিকে ব্রিটিশ উচ্চারণে ইংরেজি বলা শিখতে হয়েছিলো ও মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিলো। জোলি তাঁর অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন, কিন্তু চলচ্চিত্রটির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মন্তব্যই আসে অনুৎসাহমূলক।

মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ড

কম্বোডিয়াতে যখন জোলি টুম্ব রেইডার চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন, তখন থেকেই জোলি ব্যক্তিগতভাবে মানবতার অভাবকে উপলব্ধি করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে এসে আন্তর্জাতিকভাবে পীড়িত ও দুঃস্থঅঞ্চলগুলো সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য জোলি ইউএনএইচসিআর-এর দ্বারস্থ হন।[২২] মানবতার এই বিপর্যয়কে ভালোভাবে জানা ও বাস্তবতা উপলব্ধির জন্য সামনের কয়েক মাস জোলি বিশ্বের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ও দূর্গত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। ফেব্রুয়ারি ২০০১-এ তাঁর প্রথম সফরে জোলি ১৮ দিনের জন্য সিয়েরা লিওনতানজানিয়া ভ্রমণ করেন। এ সম্পর্কে তাঁর ব্যাথাতুর উপলব্ধির কথা তিনি পরবর্তীতে গণমাধ্যমকে জানান।[২২] পরবর্তী মাসগুলোতে তিনি যেসকল স্থানে সফর করেন তার মধ্যে, দুই সপ্তাহের জন্য কম্বোডিয়া সফর ও পরবর্তীতে পাকিস্তানের আফগান শরণার্থী শিবির পরিদর্শন। ইউএএইচসিআর এর জরুরী অনুদান প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে তিনি সেখানে আফগান শরণার্থীদের জন্য ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার (৭ কোটি টাকা) অনুদান দেন।[২৩] এসমস্ত ক্ষেত্রে তাঁর সকল সফরের ব্যয়ভার তিনি নিজেই বহন করেন এবং তিনি ঠিক সেই সুযোগ-সুবিধাটুকুই গ্রহণ করেন, যা ইউএনএইচসিআর একজন মাঠপর্যায়ের কর্মীর জন্য বরাদ্দকৃত।[২২] ২০০১ সালের ২৭ আগস্ট জেনেভায় অবস্থিত ইউএনএইচসিআর-এর সদরদপ্তরে জোলিকে ইউএনএইচসিআর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ভূষিত করা হয়।[২৪] ঐ বছরেই ইউএনএইচসিআর-এ তাঁর যোগদানের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন:[২২]

মাঠপর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জোলি পরিদর্শন করেছেন এবং ২০টিরও বেশি দেশে তিনি শরণার্থী ও আন্তর্জাতিকভাবে উচ্ছেদ হওয়া মানুষের সাথে দেখা করেছেন।[২৫] তিনি এর মাধ্যমে কী বাস্তবায়ন করতে চাইছেন, তা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “এই দুর্দশাগ্রস্থ মানুষদের ব্যাপারে সচেতনা সৃষ্টি করতে চাই। আমার মনে হয় আমাদের উচিত তাঁদের বেঁচে থাকার এই সংগ্রামের প্রশংসা করা, নাক সিঁটকানো নয়।”[২৬] ২০০২ সালে জোলি থাইল্যান্ডের থাম হিন শরণার্থী শিবির ও ইকুয়েডরের কলম্বীয় শরণার্থীদের দেখতে যান।[২৭] পরবর্তীতে জোলি কসভোতে অবস্থিত বিভিন্ন ইউএনএইচসিআর শিবির পরিদর্শন করেন এবং কেনিয়ার কাকুমা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন। কেনিয়ার এই শিবিরের শরণার্থীরা প্রধানত সুদান থেকে আগত। নামিবিয়াতে বিয়ন্ড বর্ডারস চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় তিনি সেখানকার অ্যাঙ্গোলান শরণার্থীদের সাথেও দেখা করেন।

২০০৩ সালে জোলি ছয় দিনের সফরে তানজানিয়ার পশ্চিম সীমান্তে যান, যেখানে মূলত কঙ্গোর শরণার্থীরা অবস্থান করেন। এছাড়া তিনি শ্রী লংকাতেও এক সপ্তাহব্যাপী একটি সফর করেন। নর্থ ককেশাস অঞ্চলে ভ্রমণের ইতি টানার জন্য চারদিনের সফরে রাশিয়াও ভ্রমণ করেন। বিয়ন্ড বর্ডারস চলচ্চিত্রের প্রকাশের সাথে সাথে তিনি নোটস ফ্রম মাই ট্রাভেলস নামের একটি দিনলিপি প্রকাশ করেন, যেটিতে ২০০১-২০০২ বছরে তাঁর বিভিন্ন সফরের ক্রমানুক্রমিক দিনলিপি বিধৃত ছিলো। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৩-এর ডিসেম্বরে জর্ডানে সময় কাটানোর সময় তিনি জর্ডানের পূর্ব মরুভূমিতে অবস্থিত ইরাকী শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের আগ্রহ প্রকাশ করেন, এবং তার পরের মাসে তিনি সুদানী শরণার্থীদের সাথে দেখা করতে মিশর যান।

জোলি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে তাঁর প্রথম জাতিসঙ্ঘ সফরের অংশ হিসেবে ২০০৪ সালে অ্যারিজোনা সফর করেন। সেখানকার তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র দক্ষিণপূর্বীয় অঞ্চলের মূল কর্মকাণ্ডগুলোর একটি—ফিনিক্সের উদ্বাস্তু শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ২০০৪ সালে তিনি শাদের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে পশ্চিম সুদানের দারফুর সংকটের কারণে সৃষ্ট উদ্বাস্তুদের শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন। চার মাস পর তিনি সরাসরি দারফুরেই সফর করেন। ২০০৪ সালে তিনি থাইল্যান্ডে অবস্থিত আফগান শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বড়দিনের ছুটিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইউএনএইচসিআর-এর আঞ্চলিক দপ্তর পরিদর্শন করেন। সেই সাথে এ সফরে তিনি বেইরুটের কিছু অল্পবয়সী শরণার্থী ও ক্যান্সার রোগীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।[২৮]

২০০৫ সালে জোলি পাকিস্তানে অবস্থিত আফগান শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন, এবং সেই সাথে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ‍পারভেজ মুশাররফ ও প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ২০০৫ সালের কাশ্মির ভূমিকম্পের প্রভাব ও ভূমিকম্প পরবর্তী অবস্থা পরিদর্শনের জন্য তিনি থ্যাংকসগিভিং-এর সাপ্তাহিক ছুটিতে ব্রাড পিটের সাথে আরেকবার পাকিস্তান সফর করেন। ২০০৬-এ জোলি ও পিট হাইতিতে যান ইয়েলা হাইতি নামের একটি দাতব্য সংগঠনের অর্থায়িত স্কুল পরিদর্শনের জন্য। এই দাতব্য সংগঠনটি প্রতিষ্ঠাতা হিপহপ সঙ্গীতশিল্পী ওয়াইক্লেফ জন। ভারতে আ মাইটি হার্ট চলচ্চিত্রের চিত্র ধারণের সময় তিনি নয়া দিল্লীতে আফগান ও বার্মিজ শরণার্থীদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন। ২০০৬ সালের বড়দিন তিনি কোস্টা রিকার স্যান জোসেতে কলম্বীয় শরণার্থীদের সাথে পালন করেছেন। সেখানে তিনি তাঁদের মাঝে উপহারও বিতরণ করেন। ২০০৭-এ জোলি দারফুরের অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরিমাপের জন্য দুই দিনের সফরে শাদ সফর করেন। শাদ ও দারফুরের তিনটি ত্রান সংগঠনকে জোলি ও পিট ১ মিলিয়ন ডলার করে অনুদান দেন।[২৯] সেই বছরে জোলি প্রথমবারের মতো সিরিয়া সফর করেন, এবং দুইবার ইরাক সফর করেন। ইরাকে তিনি শরণার্থীদের সাথে সাক্ষাতের পাশাপাশি বহুজাতিক সৈন্য ও মার্কিন সৈন্যদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।[৩০]

জুন ২০০৫ সালে বিশ্ব শরণার্থী দিবস-এ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও কন্ডোলিৎসা রাইস

সময়ের সাথে সাথে জোলি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, মানবতার পক্ষে সংশ্লিষ্টতা বাড়ানোর কাজে আরো বেশি সময় দেওয়া শুরু করেন। তিনি নিয়মিত ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে বিশ্ব শরণার্থী দিবসে অংশগ্রহণ করে আসছেন। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে মানবতার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তদ্বির শুরু করেন, এবং ২০০৩ সালে তিনি কমপক্ষে ২০ বার বিভিন্ন কংগ্রেস সদস্যের সাথে দেখা করেন।[২৪] ফোর্বস ম্যাগাজিনকে এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “ওয়াশিংটন দেখার কোনো সেরকম ইচ্ছা আমার ছিলো না, আমি যা করেছি তা শুধু বলটা নড়ানোর জন্যই।”[২৪]

২০০৫ সালে তিনি ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যেখানে তিনি ন্যাশনাল সেন্টার ফর রেফিউজি এন্ড ইমিগ্রান্ট চিলড্রেন নামে একটি সংস্থার গোড়াপত্তনের ঘোষণা দেন। এই সংগঠনের কাজ হবে এতিমখানায় থাকা যেসব শিশুর আইনগত অধিকার পাবার সুযোগ নেই, তাঁদেরকে আইনগত সুবিধাদি প্রদান করা। এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম দুই বছরের জন্য জোলি ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেন।[৩১] তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই জোলি শরণার্থীদের সাহায্যার্থে ও শিশুদের বিভিন্ন কাজে এমন অর্থ অনুদান দিয়ে আসছেন।[২৪] যেহেতু তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয়, তাই তার এই পরিচিতিকে তিনি মানবতার দাবী গণমাধ্যমে সামনে আনার জন্য ব্যবহার করেন। দ্য ডায়েরি অফ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এন্ড ড. জেফরি স্যাচেস ইন আফ্রিকা নামে এমটিভির জন্য তিনি একটি বিশেষ অনুষ্ঠান তৈরি করেন। এর কাহিনী গড়ে উঠেছে জোলি ও বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. জেফরি স্যাচের পশ্চিম কেনিয়ার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীতে সফরকে কেন্দ্র করে। ২০০৬ সালে জোলি দাতব্য সংগঠন “জোলি/পিট ফাউন্ডেশন”-এর গোড়াপত্তন করেন, যা গ্লোবাল অ্যাকশন ফর চিলড্রেন এবং ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস নামের দুটি সংগঠনের প্রত্যেককে এক মিলিয়ন ডলার করে অনুদান দেয়।[৩২] সেই বছরেই জোলি ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের স্থাপিত এজুকেশন পার্টনারশিপ ফর চিলড্রেন অফ কনফ্লিক্ট-এর সহ-চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করেন। এ প্রতিষ্ঠানটির কাজ হচ্ছে বিভিন্ন সংঘর্ষের শিকার শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে অর্থ সহায়তা প্রদান করা।[৩৩]

জোলি তাঁর মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য ভালো পরিচিত ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন। ২০০৩ সালে ইউনাইটেড নেশন্স করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে নতুন ঘোষিত পুরস্কার সিটিজেন অফ দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার, প্রথমবারের মতো প্রদান করে। ২০০৫ সালে তিনি ইউএনএ-ইউএসএ কর্তৃক গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান পুরস্কার লাভ করেন।[৩৪] কম্বোডিয়ার রাজা নরোডোম শিয়ামনি ১২ আগস্ট, ২০০৫-এ তাঁর দেশে সংরক্ষণমূলক কাজ করার জন্য জোলিকে কম্বোডিয়ার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেন। জোলি কম্বোডিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ ব্যাটামবং-এ একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩৫ কোটি টাকা) দেবার প্রতিশ্রুতি দেন, এবং সেখানে বেশকিছু সম্পত্তি ক্রয় করেন।[৩৫] ২০০৭-এ তিনি কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স-এর একজন সদস্য হন,[৩৬] এবং ইন্টারন্যাশটাল রেসকিউ কমিটি কর্তৃক ফ্রিডম পুরস্কারে ভূষিত হন।[৩৭]

সম্পর্ক

২৮ মার্চ, ১৯৯৬-এ জোলি হ্যাকারস (১৯৯৫) চলচ্চিত্রে তাঁর সহশিল্পী, ব্রিটিশ অভিনেতা জনি লী মিলারকে বিয়ে করেন। বিয়েতে জোলি রাবারের তৈরি কালো প্যান্ট ও সাদা শার্ট পরিহিত অবস্থায় অংশ নেন, এবং সেখানে তিনি নিজের রক্তে বরের নাম লিখেছিলেন।[৩৮] জোলি ও মিলার ঐ বছরেই আলাদা বসবাস করতে শুরু করেন এবং ৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯-এ তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের নিষ্পত্তি ছিলো শান্তিপূর্ণ, এবং তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক এখনো যথেষ্ট ভালো। এ সম্পর্কে জোলির বিবৃতি, “সময়ের সাথে সাথেই এটি শেষ হয়ে যায়। আমার কাছে সে অত্যন্ত ভালো একজন স্বামী, এবং যেকোনো পেয়েই তাঁকে এভাবে পেতে চাইবে। আমি সবসময়ই তাঁকে ভালোবাসবো। আসলে আমাদের বয়সের ব্যবধানটা ঠিক ছিলো না।”[৩৯]

পুশিং টিন (১৯৯৯) চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় তাঁর পরিচয় হয় আমেরিকান অভিনেতা বিলি বব থ্রনটনের সাথে, পরবর্তীতে ৫ মে, ২০০০ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধিত হন। তাঁদের সম্পর্কটি বিনোদনমূলক গণমাধ্যমের একটি অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে।[৪০] ২৭ মে, ২০০৩ তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাঁদের বিয়ের এমন হঠাৎ বিচ্ছেদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে জোলি বলেন, “এটা আশ্চর্যজনক ছিলো আমার কাছেও, কারণ রাতের শেষে আমরা দুজনই পুরোপুরি পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয় আমাদের মধ্যে মিলে যাবার মতো একরকম কিছুই কোনোদিন ছিলো না। এবং এটা ভয় লাগানোর মতো, কিন্তু... আমার ধারণা এটা আপনি তখনি বুঝবেন যখন এটা আপনার জীবনে ঘটবে, এবং আদৌ আপনি নিজের সম্মন্ধে ভালোভাবে জানবেন না।”[৪১]

চিত্র:Jolie-pitt2.png
২০০৭ সালে ডুয়াভিল অ্যামেরিকান চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে ফ্রান্সে জোলি ও ব্রাড পিট

জোলি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে তিনি একজন উভকামী, এবং তিনি এও বলেছেন যে, ফক্সফায়ার চলচ্চিত্রে তাঁর সহঅভিনেত্রী জেনি শিমিজুর সাথে তাঁর যৌনসম্পর্ক ছিলো। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমার স্বামীর সাথে বিবাহিত না থাকলে সম্ভবত আমি তাঁকে বিয়ে-ই করতাম। দ্বিতীয়বার দেখার পরই আমি প্রথমবারের মতো তাঁর প্রেমে পড়ে যাই।”[৪২] ২০০৩ সালে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি উভকামী কী না, তখন জোলি বলেন, “অবশ্যই। যদি আমি কালকে এক নারীর প্রেমে পড়ি, তাহলে আমার কী এমন অনুভূতি আসবে যে তাঁকে আমি চুমু বা স্পর্শ করতে চাই? বা আমি তাঁর প্রেমে পড়ে গেছি? হ্যাঁ! অবশ্যই!”[৪৩]

২০০৫ সালের শুরুর দিকে জোলি একটি বড় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিতর্কটি ছিলো অভিনেতা ব্রাড পিট ও অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্কিত এবং জোলি ছিলেন এই বিচ্ছেদের কারণ। এই বিতর্কটি গণমাধ্যমে ব্যপক প্রচারণা পায়। বিবাহবিচ্ছেদের কারণ ছিলো জোলি ও পিটের প্রেমের শুরু, আর এ প্রেম শুরু হয় মি. এন্ড মিসেস. স্মিথ (২০০৫) চলচ্চিত্রে একসাথে কাজ করার সময় থেকে। জোলি বিভিন্ন সময় এর সত্যতা অস্বীকার করেছিলেন, কিন্তু তিনি এটুকু স্বীকার করেন যে, চলচ্চিত্রটিতে কাজ করার সময় তাঁরা “ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়েন”।[৪৪] ২০০৫-এ এক সাক্ষাৎকারে এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “কোনো বিবাহিত পুরুষের সাথে ভালোবাসায় জড়ানো; যেখানে আমার নিজের বাবা আমার মায়ের সাথে প্রতারণা করেছে—এটা এমন কিছু না যা আমি ক্ষমা করতে পারি। এমনটি করলে আমি চাইবো সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিজেকে যেনো আমি আর না দেখি। আমি এমন কোনো পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হবো না, যে কি না তাঁর স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করে।”[৪৩]

জোলি ও পিট গণমাধ্যমের কাছে কখনো তাঁদের সম্পর্কের প্রকৃতি বা বিশেষত্ত্ব নিয়ে কোনো মন্তব্য করেন না, এবং তাঁরা বিবাহিতও নন, যদিও ২০০৫ সাল থেকে তাঁরা একসঙ্গে বসবাস করছেন। পাপারাৎসিদের তোলা তাঁদের প্রথম প্রকাশ্যে একসাথে সময়কাটানোর আলোকচিত্রটি প্রকাশ পায় ২০০৫-এর এপ্রিলে, জেনিফার অ্যানিস্টন তাঁর ডভোর্সের কাগজপত্র জমা দেওয়ার এক মাস পর। ছবিটি তোলা হয়েছিলো কেনিয়ার একটি সমুদ্রসৈকতে, এবং সেখানে জোলি, পিট, ও তাঁদের সন্তান ম্যাডক্সকে একসাথে দেখা যায়। ঐ বছরের-ই গ্রীষ্মকালে জোলি ও পিটকে প্রকাশ্যে বিভিন্ন স্থানে দেখা যাবার হার বাড়তে থাকে, এবং গণমাধ্যমও তাঁদেরকে একটি জুড়ি হিসেবে পরিচয় করাতে থাকে। তাঁদের নাম একত্রিত করে এই সম্পর্কের নাম দেওয়া হয় “ব্রাঞ্জেলিনা”। অবশেষে, ১১ জানুয়ারি, ২০০৬-এ পিপল ম্যাগাজিনকে তিনি জানান যে, তিনি পিটের সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন, এবং সেখানেই তিনি প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের কাছে তাঁদের সম্পর্ক থাকার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেন।[৪০]

সন্তানাদি

১০ মার্চ, ২০০২-এ সাত মাস বয়সী ম্যাডক্স শিভানকে দত্তক নেন।[১৪] তাঁর জন্ম হয়েছিলো ২০০১ সালে ৫ আগস্ট কম্বোডিয়ার র‌্যাথ ভিবোল-এ, এবং সে প্রথম থেকেই ব্যাটামব্যাঙ্গের একটি স্থানীয় এতিমখানায় বাস করতো। টুম্ব রেইডার চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণ ও ২০০১ সালে ইউএনএইচসিআর-এর মাঠপর্যায়ের কাজ, এই দুই কারণে দুই বার কম্বোডিয়া ভ্রমণের পর জোলি দত্তকগ্রহণের জন্য দরখাস্ত করবেন বলে মনোস্থ করেন। দ্বিতীয় স্বামী বিলি বব থ্রনটনের সাথে বিচ্ছেদের পর জোলি ম্যাডক্সের সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব লাভ করেন। জোলির অন্যান্য সন্তানদের মতোই ম্যাডক্স নিজেও একজন সেলিব্রেটি, এবং প্রায়ই তাঁর সংক্রান্ত খবরাখবর বিভিন্ন ক্রোড়পত্রগুলোতে স্থান পায়।[৪৫]

ছয়মাস বয়সী জাহারা মার্লেকে জোলি দত্তক নেন ৬ জুলাই, ২০০৫। তার জন্ম হয়েছিলো ৮ জানুয়ারি, ২০০৫। জাহারার পূর্ব নাম ছিলো “ইয়েম্সর‌্যাচ”, যা তাঁর জন্মদাত্রী মায়ের রাখা,[৪৬] কিন্তু এতিমাখানায় এসে তাঁর বৈধ নাম হয় টিনা আদম।[৪৭] আদ্দিস আবাবার ওয়াইড হরাইজন্স ফর চিলড্রেন এতিমখানা থেকে জোলি তাঁকে দত্তক নেন। ২০০৭ সালে, তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে সে অপুষ্টি ও পানিশূণ্যতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে মিডিয়ায় খবর প্রচারিত হয় যে জাহারার জন্মদাত্রী মা মেন্টেওয়ারিব ডোয়াইট এখনো জীবিত, এবং তিনি তাঁর মেয়েকে নিজের কাছে ফিরে পেতে চান। অবশ্য জোলি এই খবর অস্বীকার করে বলেন, জাহারার “খুবই সৌভাগ্য” যে সে জোলির দ্বারা দত্তককৃত হয়েছে।[৪৬]

ব্রাড পিট জাহারাকে দত্তক নেওয়ার আইনগত কাজ সমাধা করার সময় জোলির সাথে ছিলেন;[৪০] পরে জোলি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে জোলি ও পিট সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা দুজনে মিলেই জাহারাকে দত্তক নেবেন।[৪৮] ১৯ জানুয়ারি, ২০০৬-এ পিটের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্যালিফোর্নিয়ায় একজন বিচারক আইনগতভাবে জোলির দুই সন্তানকে দত্তক নেওয়ার জন্য পিটের আবেদন মঞ্জুর করেন। তখন থেকেই তাঁদের নামের শেষাংশ “জোলি-পিট”-এ পরিবর্তিত হয়।[৪৯]

২৭ মে, ২০০৬-এ নামিবিয়ার সোকপমুন্ডে সিজারিয়ানের মাধ্যমে জোলির মেয়ে শিলোহ নোভেলের জন্ম হয়। জোলি ও পিটের সদ্যজন্মজাত কন্যা যে নামিবিয়ার নাগরিকত্বধারী, গণমাধ্যমের কাছে পিট তা নিশ্চিত করেন।[৫০] যেহেতু শিলোহের প্রথম ছবিটি গণমাধ্যমের কাছে যথেষ্ট মূল্যবান, তাই পাপারাৎসিদের কাছে চলে যাবার আগেই জোলি তাঁর মেয়ের প্রথম ছবিটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গেটি ইমেজেসের মাধ্যমে গণমাধ্যমে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে ছবিটির উত্তর আমেরিকা স্বত্ত্বের জন্য পিপল ম্যাগাজিন ৪.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৮ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা), এবং ব্রিটিশ ম্যাগাজিন হ্যালো! বিশ্বব্যাপী স্বত্ত্বের জন্য প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন ডলার (২৪ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা) সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে।[৫১] ছবিটির মাধ্যমে প্রাপ্ত এ বিপুল অর্থ জোলি-পিট দম্পতি একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করে দেন।[৫২]

২০০৭-এর ১৫ মার্চ জোলি ভিয়েতনাম থেকে তিন বছর বয়সী প্যাক্স থিয়েনকে দত্তক নেন।[৫৩] তাঁর জন্ম হয়েছিলো ২৯ নভেম্বর, ২০০৩-এ, এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালে, যেখানে তাঁর প্রথমে নামকরণ করা হয় ফ্যাম ক্যাং স্যাং।[৫৪] হো চি মিন সিটির ট্যাম বিন এতিমখানা থেকে জোলি তাঁকে দত্তক নেন।[৫৫] জোলি ছেলেটির নামের প্রথম অংশ রাখেন “প্যাক্স”, কারণ মৃত্যুর পূর্বে প্যাক্সের মা এই নামটি রাখার অনুরোধ করে গিয়েছিলেন।[৫৬]

ট্যাবলয়েডগুলোতে বেশ কয়েক মাসের গুজবের পর ২০০৮ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে জোলি নিশ্চিত করেন যে সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি এবার একটি যমজ সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন। অবশেষে ১২ জুলাই, ২০০৮-এ ফ্রান্সের নিসের লেনভাল হাসপাতালে তিনি নক্স লিওন নামে এক পুত্র ও ভিভিয়েন মার্শেলিন নামে এক কন্যার জন্ম দেন।[৫৭] যৌথভাবে পিপলহ্যালো! ম্যাগাজিনের কাছে বিক্রি করা এই যমজের প্রথম ছবিটির মূল্যমান ছিলো ১৪ মিলিয়র মার্কিন ডলার (প্রায় ৯৮ কোটি টাকা)—এখন পর্যন্ত তারকাদের ছবির মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল। এখানেও বিক্রিলব্ধ সমুদয় অর্থ দাতব্য সংগঠন জোলি-পিট ফাউন্ডেশনে দান করে দেওয়া হয়।[৫৮]

গণমাধ্যমে উপস্থিতি

২০০৫ সালে ওয়াশিংটন, ডি.সি.-তে জোলি

তাঁর বিখ্যাত বাবা ভয়ঘটের প্রেক্ষিতে অল্প বয়স থেকেই জোলিকে গণমাধ্যমে দেখা যেতো। সাত বছর বয়সে জোলি যে লুকিন' টু গেট আউট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তাঁর সহ চিত্রনাট্যকার ও মূলঅভিনেতা ছিলেন তাঁর বাবা। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে, তাঁর কিশোরী বয়সেই দুইবার তাঁর বাবার সাথে একাডেমি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। যদিও যখন জোলি তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন, তখন মঞ্চে তিনি “ভয়ঘট্‌” নামটি ব্যবহার করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন, কারণ তিনি অভিনেত্রী হিসেবে নিজের পরিচয় নিজেই তৈরি করতে চেয়েছিলেন।[৪০] তাঁর পেশাজীবনের প্রথম বছরেও কিশোরী বয়সে তাঁর “পাহাড়ে মেয়ে” ধরনের ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে কোনো বিতর্ক নিয়ে বা এ বিষয়ে কথা বলতে তিনি কখনো অপ্রস্তুত বা লজ্জা বোধ করেন নি। ২০০০ সালে একাডেমি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এক বক্তব্যে জোলি ঘোষণা দেন, “আমি বর্তমানে আমার ভাইয়ের প্রেমে মজে আছি”, সেই সাথে সেই রাতে তাঁর ভাইয়ের প্রতি তাঁর খুব মত্ততার মতো আচরণ প্রকাশ পায়। এর প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমগুলো জোলির ভাই জেমস হ্যাভেনের সাথে জোলির অজাচারমূলক সম্পর্ক আছে বলে প্রচার শুরু করে। জোলি দৃঢ়তার সাথে এই গুজবকে প্রত্যাক্ষান করেন এবং পরে জোলি ও জোলির ভাই এক যৌথ সাক্ষাৎকারে ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করে বলেন যে, তাঁদের মা-বাবার বিচ্ছেদের পর তাঁরা একজন অপরজনের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, কিন্তু তা ছিলো মানসিক; জোলি সেই অর্থেই কথাটি বলেছিলেন।[৪০]

জোলির কোনো মুখপাত্র বা এজেন্ট নেই।[৫৯] নিজের জীবন সম্পর্কে খোলামেলাভাবে বিভিন্নরকমের আলোচনা করা, সাক্ষাৎকার দেওয়া, এমনকি বিডিএসএম-এর প্রতি তাঁর আগ্রহ ব্যক্ত করা[৭]–এসব তাঁকে খুব দ্রুত গণমাধ্যমের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। একবার তিনি দাবি করেছিলেন যে, “তিনি তাঁর এক নারী ভক্তের সাথে যৌনসম্পর্ক করতে চান”।[৪৩] তাঁর শরীরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও উল্লেখযোগ্য দিক, তাঁর ঠোঁটজোড়া গণমাধ্যমে ব্যাপক মনোযোগের কারণ। যেসকল নারী কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে তাঁদের ঠোঁটের পরিবর্তন ঘটাতে চান তাঁদের ক্ষেত্রে এটাকে তিনি “পশ্চিমের সৌন্দর্যের বর্তমান স্বর্ণমানদণ্ড” হিসেবে বর্ণনা করেন।[৬০] সবাইকে জানিয়ে বিলি বব থর্নটনকে বিয়ে করা, মানবতার প্রচার ও বিশ্বব্যাপী মানবতার সপক্ষে কথা বলার জন্য তিনি বেশ কয়েকবার পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন। ইউএনএইচসিআর-এর একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মর্যাদা পাবার পর তিনি তাঁর তারকা ব্যক্তিত্বকে বিশ্বব্যাপী মানুষকে মানবতার সপক্ষে কাজ করার প্রচারে ব্যবহার করা শুরু করেন। ২০০৪ সাল থেকে জোলি উড়োজাহাজ চালনা শিক্ষা করা শুরু করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ চালানোর লাইসেন্স আছে (ইন্সট্রুমেন্টাল রেটিংসহ), এবং তিনি একটি সাইরাস এসআর২২ উড়োজাহাজের মালিক।[৬১] গণমাধ্যমে প্রায়ই বলা হয় যে তিনি বৌদ্ধধর্মের অনুসারী, কিন্তু তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর ছেলেকে বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা দিয়েছেন, কারণ তিনি মনে করেন এটা তাঁর সংস্কৃতির একটি অংশ। জোলি আসলেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কী না, তা তিনি স্পষ্ট করেন নি। ২০০০ সালে তাঁকে যখন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এটি সেসমস্ত মানুষের জন্য যাঁরা এটিতে বিশ্বাস করে। আমার জন্য কোনো ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই।”[৬২]

ফেব্রুয়ারি ২০০৯-এ ৮১তম একাডেমি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জোলি ও ব্রাড পিট

২০০৫-এ শুরু হওয়া হলিউড অভিনেতা ব্রাড পিটের সাথে তাঁর সম্পর্ক এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি তারকাসংক্রান্ত খবরাখবরের উৎস। ২০০৬ সালের শুরুতে জোলি যখন তাঁর গর্ভধারণের খবর প্রকাশ করেন, তখন গণমাধ্যম তাঁদেরকে নিয়ে বিভিন্নভাবে আতিশয়োক্তি করা শুরু করে। “দ্য ব্রাঞ্জেলিনা ফিভার” নিবন্ধে রয়টার্স যেমন বর্ণনা করেছে “পাগলামির চূড়া স্পর্শ” বলে।[৬৩] গণমাধ্যমের মনোযোগ থেকে দূরে থাকতে শিলোহের জন্মদানের জন্য এই জুটি নামিবিয়াকে বেছে নেন। শিলোহ-কে বর্ণনা করা হয় “যীশু খ্রীস্টের পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত শিশু হিসেবে”।[৬৪] দুই বছর পর জোলির দ্বিতীয় গর্ভধারণের খবর গণমাধ্যমে আবারো ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত করে। ফ্রান্সের নিসের সমুদ্রপারের যে হাসপাতালে জোলি দুই সপ্তাহ অবস্থান করেছেন, হাসপাতালের বাইরে সেই দুই সপ্তাহ সাংবাদিকরা রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে বাচ্চার জন্মের খবর নেবার জন্য অপেক্ষা করেছেন।[৬৫]

বর্তমানে জোলি, বিশ্বের অন্যতম পরিচিত একজন তারকা ব্যক্তিত্ব। কিউ স্কোর-এর ভাষ্যমতে ২০০০ সালে অস্কার জয়ের পর জোলি পরিচিত ছিলেন ৩১% আমেরিকানের কাছে; পরবর্তীতে ২০০৬ সালে এসে দেখা যায় ৮১% আমেরিকানের কাছে জোলি এক পরিচিত মুখ।[২৪] ২০০৬ সালে এসিনিলসেন পরিচালিত বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রশিল্পের এক জরিপে দেখা যায়, ৪২টি আন্তজার্তিক বাজারে জোলি-পিট জুটি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও পণ্যের প্রচারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এন্ডোর্সার।[৬৬] ২০০৬ ও ২০০৮ সালে জোলি টাইম ১০০-এ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের তালিকায় ছিলেন।[৬৭][৬৮] ২০০৬ সালে পিপল-এর “ওয়ান হানড্রেড মোস্ট বিউটিফুল” সংখ্যায় তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।[১] ২০০৭-এ ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ফোরের টেলিভিশন অনুষ্ঠান দ্য ওয়ান হান্ড্রেড গ্রেটেস্ট সেক্স সিম্বল্‌স-এ তিনি সর্বকালের সেরা সেক্স সিম্বল নির্বাচিত হন।[৬৯] দ্য হলিউড রিপোর্টার জোলিকে ২০০৮ সালের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক গ্রহণকারী অভিনেত্রী হিসেবে উল্লেখ করে; প্রতি ছবিতে তাঁর আয় ছিলো ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১০৫ কোটি টাকা)।[৭০] সেই সাথে তিনি ২০০৯ সালের ফোর্বস -এর বার্ষিক সেলিব্রেটি ওয়ান হানড্রেড-এ শীর্ষস্থানে ছিলেন। ২০০৭ ও ২০০৮-এ এই তালিকায় তাঁর অবস্থান ছিলো যথাক্রমে ১৪[৭১] এবং ৩[৭২]

উল্কি

জুন ২০০৭-এ নিউ ইয়র্ক সিটিতে জোলি; শরীরে থাকা বিভিন্ন রকমের উল্কি দৃশ্যমান।

জোলির শরীরে থাকা বিভিন্ন রকমের উল্কি প্রায়ই গণমাধ্যমের মনোযোগের কারণ এবং সাক্ষাৎকারপ্রার্থীদের আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। জোলি এ সম্পর্কে বলেন যে, তিনি চলচ্চিত্রে নগ্নতার বিপক্ষে নন, তাঁর শরীরে থাকা অনেক রকমের এই উল্কিগুলো কোনো নগ্ন বা ভালোবাসার দৃশ্যধারণের সময় নির্মাতাকে আরো বেশি সৃষ্টিশীল করে তোলে।[৭৩] তাঁর অনেক চলচ্চিত্রেই উল্কি আড়াল করার জন্য বাড়তি রূপসজ্জার প্রয়োজন হয়েছে। এখন পর্যন্ত জানামতে জোলির শরীরে তেরোটি উল্কি রয়েছে।

তাঁর শরীরে থাকা বিভিন্নরকম উল্কির মধ্যে আছে, উদ্ধৃতিমূলক, ভূ-স্থানাঙ্কমূলক, চিত্রমূলক প্রভৃতি উল্কি। উদ্ধৃতিমূলকের মধ্যে রয়েছে, আমেরিকান নাট্যকার টেনেসি উলিয়ামসের রচিত উদ্ধৃতি—“A prayer for the wild at heart, kept in cages” (হৃদয়ের বন্যতার প্রার্থনা, খাচায় বদ্ধ থাকে)। এই উদ্ধৃতিটি তিনি পেয়েছিলেন তাঁর মায়ের সাথে একত্রে একটি আরবি শব্দগুচ্ছের সাথে; শব্দগুচ্ছটি ছিলো: “العزيمة” (করার স্পৃহা)। এছাড়া আছে ল্যাটিন প্রবাদquod me nutrit me destruit” (যা আমাকে লালন করে, তাই আমাকে ধ্বংস করে),[৭৪] এবং তাঁর ছেলে ম্যাডক্স-এর জন্য একটি ইয়ান্ত্রা প্রার্থনা যা লেখা হয়েছে প্রাচীণ খ্‌মের লিপিতে[৭৫] এছাড়া তাঁর বাম হাতের উপরে ছয়টি ভৌগলিক স্থানাঙ্কের উল্লেখ আছে, যা নির্দেশ করছে তাঁর ছয় সন্তানের জন্মস্থান।[৭৬] সময়ের সাথে সাথে তিনি তাঁর অনেক উল্কি ঢেকে বা মুছে ফেলেছেন। এর মধ্যে আছে তাঁর সাবেক স্বামী বিলি বব থ্রনটনের “Billy Bob” (বিলি বব) নামাঙ্কিত উল্কিটি। আরো আছে মৃত্যু প্রকাশক চৈনিক অক্ষর (死), এবং তাঁর পেছন দিকে আঁকা একটি জানালার উল্কি। এই জানালার উল্কিটি মুছে ফেলার কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, একসময় বাইরে বেরোনোর আকাঙ্ক্ষায় তিনি তাঁর সম্পূর্ণ সময়টি জানালার ধারে বসে কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে আজ তিনি প্রায় পুরো সময়টা বাইরেই কাটাচ্ছেন।[১৭]

চলচ্চিত্রতালিকা

বছর চলচ্চিত্র চরিত্রের নাম মন্তব্য
১৯৮২ লুকিন' টু গেট আউট টোশ
১৯৯৩ অ্যাঞ্জেলা এন্ড ভিরিলি অ্যাঞ্জেলা ২ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
অ্যালিস এন্ড ভিরিলি অ্যালিস ২ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
সাইবর্গ ২ ক্যাসেলা "ক্যাশ" রীজ
১৯৯৫ উইদাউট এভিডেন্স জোডি সোয়ারিনজেন
হ্যাকারস কেট "এসিড বার্ন" লিবি
১৯৯৬ মোজাভে মুন এলিয়ানর "এলি" রিগবি
লাভ ইজ অল দেয়ার ইজ জিনা মালাসিসি
ফক্স ফায়ার মার্গারেট "লেগস" স্যাডোভস্কি
১৯৯৭ ট্রু উইমেন (টিভি) জর্জিয়া ভার্জিনিয়া লশি উডস
জর্জ ওয়ালেস (টিভি) কর্নেলিয়া ওয়ালেস গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী - ধারবাহিক, মিনি ধারাবাহিক, বা টেলিচলচ্চিত্র)
মনোনীত – প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার (সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী - মিনি ধারাবাহিক বা চলচ্চিত্র)
প্লেয়িং গড ক্লেয়ার
১৯৯৮ জিয়া (টিভি) জিয়া মারি কারাঞ্জি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - ধারবাহিক, মিনি ধারাবাহিক, বা টেলিচলচ্চিত্র)
স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - মিনি ধারাবাহিক, বা টেলিচলচ্চিত্র)
মনোনীত – প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - মিনি ধারাবাহিক বা চলচ্চিত্র)
হেল'স কিচেন গ্লোরিয়া ম্যাকনিয়ারি
প্লেইং বাই হার্ট জোয়ান ন্যাশনাল বোর্ড অফ রিভিউ পুরস্কার - সাফল্যমণ্ডিত অভিনেত্রী
পুশিং টিন ম্যারি বেল
১৯৯৯ দ্য বোন কালেক্টর অ্যামেলিয়া ডোনাঘি
গার্ল, ইন্টারাপ্টেড লিসা রো একাডেমি পুরস্কার (সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী)
ব্রডকাস্ট ফিল্ম ক্রিটিক্‌স অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার (সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী)
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী - চলচ্চিত্র)
স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার (সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী - চলচ্চিত্র)
মনোনীত – শিকাগো ফিল্মস ক্রিটিক্‌স অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
২০০০ গন ইন সিক্সটি সেকেন্ডস সারা "সোয়ে" ওয়েল্যান্ড
২০০১ লারা ক্রফ্‌ট: টুম্ব রেইডার লারা ক্রফ্‌ট মনোনীত – এমটিভি মুভি পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – এমটিভি মুভি পুরস্কার (সেরা যুদ্ধকৌশল)
অরিজিনাল সিন জুলিয়া রাসেল
২০০২ লাইফ অর সামথিং লাইক ইট লেনি কেরিগ্যান
২০০৩ লারা ক্রফ্‌ট টুম্ব রেইডার: দ্য
ক্রেডেল অফ লাইফ
লারা ক্রফ্‌ট
বিয়ন্ড বর্ডারস সারাহ জর্ডান
২০০৪ টেকিং লাইভস ইলিয়ানা স্কট
শার্ক টেল লোলা কণ্ঠদান
স্কাই ক্যাপ্টেন এন্ড দ্য
ওয়ার্ল্ড অফ টুমরো
ফ্রান্সেসকা "ফ্র্যাঙ্কি" কুক পিপল'স চয়েজ পুরস্কার – জনপ্রিয় নারী অ্যাকশন তারকা
দ্য ফিভার (টিভি) রেভ্যুলিউশনারি অতিথি উপস্থিতি
আলেক্সান্ডার অলিম্পাস
২০০৫ মি. এন্ড মিসেস. স্মিথ জেন স্মিথ এমটিভি মুভি পুরস্কার (সেরা যুদ্ধকৌশল)
মনোনীত – এমটিভি মুভি পুরস্কার (সেরা চুম্বন)
মনোনীত – পিপল'স চয়েজ পুরস্কার – জনপ্রিয় নারী চলচ্চিত্র তারকা
মনোনীত – পিপল'স চয়েজ পুরস্কার – জনপ্রিয় নারী অ্যাকশন তারকা
মনোনীত – পিপল'স চয়েজ পুরস্কার – জনপ্রিয় পর্দার জুটি (ব্রাড পিটের সঙ্গে একত্রে)
২০০৬ দ্য গুড শেপার্ড মার্গারেট রাসেল
২০০৭ আ মাইটি হার্ট মারিয়ান পার্ল মনোনীত – ব্রডকাস্ট ফিল্ম ক্রিটিক্‌স অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – শিকাগো ফিল্ম ক্রিটিক্‌স অ্যাসোসিয়েশন (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - নাট্য চলচ্চিত্র)
মনোনীত – ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কার (সেরা মূল নায়িকা)
মনোনীত – লন্ডন ফিল্ম ক্রিটিক্‌স পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – অনলাইন ফিল্ম ক্রিটিক্‌স পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - চলচ্চিত্র)
বিআউলফ গ্রেন্ডালের মা মনোনীত – এমটিভি মুভি পুরস্কার (সেরা খলনায়ক)
২০০৮ কুং ফু পান্ডা মাস্টার টিগ্রেস কণ্ঠদান
ওয়ান্টেড ফক্স পিপল'স চয়েজ পুরস্কার – জনপ্রিয় নারী অ্যাকশন তারকা
মনোনীত – পিপল'স চয়েজ পুরস্কার – জনপ্রিয় নারী চলচ্চিত্র তারকা
মনোনীত – এমটিভি মুভি পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – এমটিভি মুভি পুরস্কার (সেরা চুম্বন)
মনোনীত – এমটিভি মুভি পুরস্কার (সেরা ডব্লিউটিএফ মুহুর্ত)
চেঞ্জলিং ক্রিস্টিন কলিন্স স্যাটার্ন পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – একাডেমি পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – বাফটা পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – ব্রডকাস্ট ফিল্ম ক্রিটিক্‌স অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – শিকাগো ফিল্ম ক্রিটিক্‌স অ্যাসোসিয়েশন (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - নাট্য চলচ্চিত্র)
মনোনীত – লন্ডন ফিল্ম ক্রিটিক্‌স পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী)
মনোনীত – স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - চলচ্চিত্র)
২০১০ সল্ট ইভলিন সল্ট (কাজ চলছে)

পুরস্কার

বছর পুরস্কার বিভাগ চলচ্চিত্র ফলাফল
১৯৯৮ এমি পুরস্কার সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী - মিনি ধারাবাহিক বা চলচ্চিত্র জর্জ ওয়ালেস মনোনীত
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী - ধারাবাহিক/মিনি ধারাবাহিক/টেলিচলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত
ন্যাশনাল বোর্ড অফ রিভিউ পুরস্কার সাফল্যমণ্ডিত অভিনেত্রী প্লেইং বাই হার্ট পুরস্কারপ্রাপ্ত
এমি পুরস্কার সেরা অভিনেত্রী - মিনি ধারাবাহিক বা চলচ্চিত্র জিয়া মনোনীত
১৯৯৯ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার সেরা অভিনেত্রী - ধারাবাহিক/মিনি ধারাবাহিক/টেলিচলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত
স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী - মিনি ধারাবাহিক/টেলিচলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত
২০০০ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী - চলচ্চিত্র গার্ল, ইন্টারাপ্টেড পুরস্কারপ্রাপ্ত
স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী - চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত
একাডেমি পুরস্কার সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত
২০০৪ পিপল'স চয়েজ পুরস্কার জনপ্রিয় নারী অ্যাকশন তারকা স্কাই ক্যাপ্টেন এন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অফ টুমরো পুরস্কারপ্রাপ্ত
২০০৮ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার সেরা অভিনেত্রী - নাট্য চলচ্চিত্র আ মাইটি হার্ট মনোনীত
স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার সেরা অভিনেত্রী - চলচ্চিত্র মনোনীত
২০০৯ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার সেরা অভিনেত্রী - নাট্য চলচ্চিত্র চেঞ্জলিং মনোনীত
স্ক্রীন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার সেরা অভিনেত্রী - চলচ্চিত্র মনোনীত
বাফটা পুরস্কার সেরা অভিনেত্রী মনোনীত
একাডেমি পুরস্কার সেরা অভিনেত্রী মনোনীত
–তথ্যসূত্র: আইএমডিবি ডট কম

তথ্যসূত্র

  1. পিপল। ২৬ এপ্রিল, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  2. গ্র্যাবিকি, মিশেল। উইদারস্পুন হচ্ছে হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। রয়টার্স। ৩০ নভেম্বর, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  3. অ্যাঞ্জেলিনার জোলির চলচ্চিত্রের বক্স অফিস ফলাফল। বক্স অফিস মোজো। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  4. উইল দ্য রিয়াল জন ভয়ঘট প্লিজ স্ট্যান্ড আপ?ইন্টারভিউ; ১ মে, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  5. জোসেফ ক্যাম্প; নিউ ইয়র্ক টাইমস; ২০ জুন, ১৯৪৪, পৃ. ১৯।
  6. নেভিন, চার্লস; দ্য গ্ল্যামার অফ সোয়াইডন: বিলি পাইপার, মেলিন্ডাদ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ড; ১৮ জুলাই, ২০০৫। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  7. সেসামস, কেভিন; ওয়াইল্ড অ্যাট হার্টঅলিউর; নভেম্বর ২০০৪। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  8. টেলিগ্রাফ ইন্টারভিউ উইথ জন ভয়ঘট্‌টেলিগ্রাফ। ২ অক্টোবর, ২০০১। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  9. ভ্যান মিটার, জনাথন; অ্যাঞ্জেলিনা জোলি: বডি বিউটিফুলভোগ; এপ্রিল ২০০২। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  10. উইলস, ডোমিনিক; অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জীবনী। টিসকালি ডট সিও ডট ইউকে। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  11. হিথ, ক্রিস। ব্লাড, শুগার, সেক্স, ম্যাজিকরোলিং স্টোন। জুলাই ২০০১। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮
  12. স্ট্রেজেক, জিঞ্জার। অ্যাট্রাক্টিং দি আইস অফ দ্য ওয়ার্ল্ডসিজন ম্যাগাজিন। গ্রীষ্মকাল ২০০৫। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  13. পলা ঝ্যান এখন। সিএনএন ডট কম। ৯ জুন, ২০০৫। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  14. গ্রোসবার্গ, জশ। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি'স নেইম ইন্টারাপ্টেড। ই! অনলাইন। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০০২। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  15. শুরুয়ের্‌স, ফ্রেড। অ্যাঞ্জেলিনা জোলিপ্রিমিয়ার ম্যাগাজিন। অক্টোবর ২০০৪। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  16. ভেন্সি, ভেনেসা। জিয়া (১৯৯৮)। রীল ডট কম। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  17. ইনসাইড দ্য অ্যাক্টরস স্টুডিও, ১৬৯তম পর্ব। ব্রাভো। ৫ জুন, ২০০৫। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  18. আইএমডিবি, আজকের চলচ্চিত্র। আইএমডিবি ডট কম। ৭ মার্চ, ২০০৩। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  19. লেভি, ইমানুয়েল ভ্যারাইটি ডট কম - রিভিউ - গার্ল, ইন্টারাপ্টেডভ্যারাইটি। ১০ ডিসেম্বর, ১৯৯৯। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  20. এবার্ট, রজার। রিভিউ: গার্ল, ইন্টারাপ্টেডশিকাগো সান-টাইমস। ১৮ জানুয়ারি, ২০০০। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  21. হান্টার, স্টিফেন। গন ইন সিক্সটি সেকেন্ড: লস্ট ইন দি এক্সজস্টওয়াশিংটন পোস্ট। ৯ জুন, ২০০০। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  22. ইউএনএইচসিআর ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির নাম ঘোষিত, ইউএনএইচসিআর ডট ওআরজি। ২৩ আগস্ট, ২০০১। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  23. ইউএনএইচসিআর। জোলি ইউএনএইচসিআর-এর জরুরী আহবানে সাড়া দিয়েছেন। ইউএসএইচসিআর ডট ওআরজি। ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০০১। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  24. সুইবেল, ম্যাথিউ। ব্যাড গার্ল ইন্টারাপ্টেডফোর্বস। ১২ জুন, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮
  25. ইউএনএইচসিআর। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ইউএনএইচিসিআর কর্মতালিকা। ইউএনএইচসিআর ডট ওআরজি। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  26. ইউএনএইচসিআর। অ্যাঞ্জেলিনার জোলির সাক্ষাৎকার। ইউএনএইচসিআর ডট ওআরজি। ২১ অক্টোবর, ২০০২। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  27. ইউএনএইচসিআর। শুভেচ্ছাদূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তাঁর ইকুয়েডর মিশন শেষ করেছেন। ইউএনএইচসিআর ডট ওআরজি। ১০ জুন, ২০০২। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  28. ইউএনএইচসিআর। জোলি উৎসবের সময়টি লেবাননে, শরণার্থীদের সাথে পার করলেন। ইউএনএইচসিআর। ২৯ ডিসেম্বর, ২০০৪। নিশ্চিতকরণ: ২২ নভেম্বর, ২০০৮।
  29. ইউএনএইচসিআর। জোলি-পিট ফাউন্ডেশন ডোনেটস ওয়ান মিলিয়ন ইউএস ডলার টু গ্রুপস ওয়ার্কিং দারফুর। রয়টার্স অ্যালার্টনেট। ১০ মে, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  30. সিএনএন। জোলি ইন ইরাক: টুএম রেফিউজিস নিড হেলপ। সিএনএন ডট কম। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮। নিশ্চিতকরণ: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  31. ইউএনএইচসিআর। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি মাতৃ-পিতৃহারা শিশুদের জন্য সাহায্যকেন্দ্র খুলেছেন। ইউএনএইচসিআর ডট ওআরজি। ৯ মার্চ, ২০০৫। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  32. গ্রীন, ম্যারি। ব্রাড এন্ড অ্যাঞ্জেলিনা স্টার্ট চ্যারিটেবল গ্রুপপিপল ২০ সেপ্টেম্বর, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  33. গোড়াপত্তনকারীদের সম্পর্কে তথ্য। এজুকেশন পার্টনারশিপ ফর চিলড্রেন কনফ্লিক্ট। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  34. জোলি অনার্ড ফর রিফিউজি রোলবিবিসি নিউজ। ১২ অক্টোবর, ২০০৫। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  35. জোলি গিভেন কম্বোডিয়ান সিটিজেনশিপবিবিসি নিউজ। ১২ আগস্ট, ২০০৫। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  36. গ্রীন, মেরি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জয়েন্‌স কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সপিপল। ৭ জুন, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  37. ইউএনএইচসিআর। হাই কমিশনার এন্ড অ্যাঞ্জেলিনা জোলি টু রিসিভ আইআরসি ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড। ইউএনএইচসিআর ডট ওআরজি। ৬ নভেম্বর, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  38. ব্যান্ডন, আলেক্সান্দ্রা। ফলোইং, অ্যাম্বিভ্যালেন্টলি, ইন মম অর ড্যাড'স ফুটস্টেপসদ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ২৫ আগস্ট, ১৯৯৬। নিশ্চিতকরণ: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯।
  39. জনি লী মিলার সম্পর্কিত অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সাক্ষাৎকার। জনিলিমিলার ডট সিও ডট ইউকে। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  40. ডব্লিউইএনএন নিউজ ফর অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। আইএমডিবি ডট কম। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  41. ভ্যান মিটার, জনাথন। লার্নিং টু ফ্লাইভোগ। মার্চ ২০০৪। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  42. 'টিস দ্য সিজন টু বি জোলি। গার্লফ্রেন্ডস ম্যাগাজিন। ডিসেম্বর ১৯৯৭।
  43. কেসনার, জুলিয়ান এবং মেগনা মিশেল। অ্যাঞ্জেলিনা, সাধু বনাম পাপীনিউ ইয়র্ক টাইমস। ২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  44. হ্যারিস, মার্ক। দ্য মমি ট্র্যাকদ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ১৫ অক্টোবর, ২০০৮। নিশ্চিতকরণ: ১৮ অক্টোবর, ২০০৮।
  45. ব্যাঙ্গ মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল। ম্যাডক্স কিউটেস্ট কিডলাইফ স্টাইল এক্সট্রা। ২০ জুলাই, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  46. পিফ্ল্যান্জ, মাইক। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির দত্তককৃত সন্তবান 'ধর্ষণের খবর'টেলিগ্রাফ। ২০ নভেম্বর, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  47. বেল, জন। অ্যাঞ্জেলিনা'স বেবি জাহারা: হার টাচিং ফ্যামিলি স্টোরি। ইয়াহু মুভিজ। ১৪ জুলাই, ২০০৫। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  48. অ্যান্ডারসন কুপার ৩৬০ - অ্যাঞ্জেলিনা জোলি: হার মিশন এন্ড মাদারহুড। সিএনএন ডট কম। ২০ জুন, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  49. বিচারক রায় দিয়েছেন জোলির সন্তানেরা পিটের নামে পরিচিত হতে পারবে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। ১৯ জানুয়ারি, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  50. রশলাউ ফারুকি। লিটল শিলোহ উইল বি নামিবিয়ান: অ্যাঞ্জেলিনা এন্ড ব্রাড। ডয়েচশে প্রেসে-আজেন্টার। ৭ জুন, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  51. জোলি'স টুইন টু সেট নিউ রেকর্ডদ্য টাইমস। ৮ জুন, ২০০৮। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  52. এনওয়াইসি ওয়াক্স মিউজিয়াম শোজ অফ জোলি-পিট বেবিইউএসএ টুডে। ২৭ জুলাই, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  53. কেন লী। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি'স সান লিগালি নেমড প্যাক্স থিয়েন জোলি-পিট পিপল। ৩১ মে, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  54. এএফপি। জোলি সরি টু থ্রো মিডিয়া স্পটলাইট অন এডপ্টেড বয়নাইন নিউজ। ১৭ মার্চ, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  55. অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এডপ্টস ভিয়েতমান বয়বিবিসি নিউজ।১৫ মার্চ, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  56. নরমান, পিট। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি: ব্রাড এন্ড আই মে ওয়ান্ট আপ টু ফরটিন কিডসপিপল। ১৫ জুন, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  57. এপি। ইট'স আ বয় এন্ড আ গার্ল ফর জোলি এন্ড পিট। এমএসএনবিসি ডট কম। ১৩ জুলাই, ২০০৮। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  58. কার্লসন, এরিন। পারসন ক্লোজ টু ডিল: জোলি-পিট পিক্স ফর ডলার ফরটিন মিলিয়ন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। ১ আগস্ট, ২০০৮। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  59. বার্নেস, ব্রুকস। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি'স কেয়ারফুলি অর্ক্রেস্ট্রেটেড ইমেজদ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ২০ নভেম্বর, ২০০৮। নিশ্চিতকরণ: ২৪ নভেম্বর, ২০০৮।
  60. এএপি। সবাই জোলির মতো হতে চায়দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। ১২ এপ্রিল, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  61. নরমান, পিট। অ্যাঞ্জেলিনা জেলি টেকিং আ ইয়ার অফ ওয়ার্কপিপল। ২২ মে, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  62. থম্পসন, স্টিফেন। ইজ দেয়ার আ গড?দি এ.ভি. ক্লাব। ৬ সেপ্টেম্বর, ২০০০। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  63. দ্য ব্রাঞ্জেলিনা ফিভার। রয়টার্স। ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  64. লিওনার্ড, টেরি। নামিবিয়া শিল্ডিং পিট এন্ড জোলি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। ২৫ মে, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  65. গ্রুবার, বেন। জোলি টুইন্‌স ডক্টর অ্যাডমিট্‌স টু প্রি-বার্থ প্রেসার। রয়টার্স, ১৫ জুলাই, ২০০৮। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  66. এসিনিলসেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, ব্রাড পিট টপ দ্য চার্ট, অ্যাজ ফেবারিট সেলিব্রেটি এন্ডোর্সারসএজেন্সি ফ্যাক্টস। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  67. ব্রাউন, মেলক। দ্য টাইম ওয়ান হান্ড্রেডটাইম। ৩০ এপ্রিল, ২০০৬। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  68. ক্লুনি, জর্জ। দ্য টাইম হান্ড্রেডটাইম। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  69. জোলি নেমড ‘সেক্সিয়েস্ট পারসন এভার’বিবিসি নিউজ। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  70. উইমেন ইন এন্টারটেইমেন্টদ্য হলিউড রিপোর্টার। নিশ্চিতকরণ: ২৬ মার্চ, ২০০৯।
  71. দ্য সেলিব্রেটি ওয়ান হান্ড্রেডফোর্বস। ১৪ জুন, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  72. দ্য সেলিব্রেটি ওয়ান হান্ড্রেডফোর্বস। ১১ জুন, ২০০৮। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  73. কির্কল্যান্ড, ব্রুস। দ্য নিউ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। জ্যাম! শোবিজ। ১৯ অক্টোবর, ২০০৩। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  74. থমাস, কারেন। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, উল্কা প্রেমীইউএসএ টুডে। ৭ জুলাই, ২০০৩। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  75. জোলি থাই উল্কি আঁকিয়েছেন। বিবিসি নিউজ। ২৪ এপ্রিল, ২০০৩। নিশ্চিতকরণ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮।
  76. অ্যাঞ্জেলিনা তাঁর নতুন ভূ-উল্কি প্রদর্শন করেছেনদ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। ৭ অক্টোবর, ২০০৭। নিশ্চিতকরণ: ২২ অক্টোবর, ২০০৮

আরো পড়ুন

বহিঃসংযোগ

  • [১] ইউএনএইচসিআর-এর দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে শুভেচ্ছাদূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
  • [২] ইউএনএইচসিআর ডট ওআরজি-তে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির শরণার্থী গবেষণাপত্র (২০০২-২০০৫)
  • [৩] পশ্চিম কঙ্গোর ভেতর দিয়ে যাত্রা; জোলির নিজস্ব বিবৃতি দ্বারা তৈরি একটি মাল্টিমিডিয়া গবেষণাপত্র।