জ্যাকুইলিন বিসেট
জ্যাকুইলিন বিসেট | |
---|---|
![]() ১৯৮৯ সালে একাডেমি পুরস্কারের লাল গালিচায় বিসেট | |
জন্ম | উইনিফ্রেড জ্যাকুইলিন ফ্রেইজার-বিসেট |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৬৫ – বর্তমান |
জ্যাকুইলিন বিসেট (ইংরেজি: Jacqueline Bisset) (জন্ম: ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪) একজন ব্রিটিশ অভিনেত্রী। তিনি চারবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও একবার এমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তার অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে আছে, বুল্লিট (১৯৬৮), এয়ারপোর্ট (১৯৭০), দ্য ডিপ (১৯৭৭), এবং ক্লাস (১৯৮৩)। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাকে বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ২০০৬ সালে কয়েকবার দেখা গেছে এফএক্স টেলিভিশন চ্যানেলের ধারাবাহিক নিপ/ট্রাক-এ।
প্রাথমিক জীবন ও পরিবার[সম্পাদনা]
যুক্তরাজ্যের সারে জেলার, ওয়েইবার্গে বিসেটের জন্ম। তার জন্ম নাম ছিলো উইনিফ্রেড জ্যাকুইলিন ফ্রেইজার-বিসেট। তার মা আর্লেট আলাক্সান্ডার পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবি, বাবা ম্যাক্স ফ্রেইজার বিসেট ছিলেন একজন চিকিৎসক।[১] বার্কশায়ারের টাইলহার্স্টে তিনি বেড়ে ওঠেন। বিসেটের বাবা ছিলেন স্কটিশ ও মা ছিলেন একাধারে ফরাসি ও ইংরেজ বংশদ্ভূত।[২][৩] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিসেটের মা জার্মানদের কাছ থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী যানের সাথে সাইকেলে করে ফ্রান্স থেকে ইংল্যান্ডে আসেন।[৪] ম্যাক্স ফ্রেইজার বিসেট নামে বিসেটের এক ভাই আছে। মায়ের শিক্ষাদানের কারণে বিসেট জড়তাহীনভাবে ফরাসি ভাষায় কথা বলতে পারেন। তিনি লন্ডনের একটি ফরাসি মাধ্যমের স্কুল লাইসি ফ্রনসোঁয়া চার্লস দ্য গ্যালে-তে পড়াশোনা করেছেন। বিসেট যখন কিশোরী, তখন তার মা'র মাল্টিপল স্কেলেরোসিস রোগ ধরা পড়ে। ২৮ বছর সংসার জীবনের পর, ১৯৬৮ সালে বিসেটের মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[৪] এরপর বিসেট তার মাকে সাহায্য করার জন্য মায়ের কাছে চলে যান। তিনি ব্যালে নৃত্যের পাঠ নেওয়া শুরু করেন, এবং এই পাঠগ্রহণের খরচ যোগাতে ফ্যাশন মডেলিং শুরু করেন। ব্রেইন টিউমার-এ আক্রান্ত হয়ে ১৯৮২ সালে ৭১ বছর বয়সে বিসেটের বাবার মৃত্যু হয়, এবং তার মায়ের মৃত্যু হয় ১৯৯৯ সালে।[৫]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে জ্যাকুইলিন বিসেট সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |