ক্লেয়ার ডেইন্স

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্লেয়ার ডেইন্স
Claire Danes
২০১৫ সালে প্যালিফেস্টে ডেইন্স
জন্ম
ক্লেয়ার ক্যাথরিন ডেইন্স

(1979-04-12) ১২ এপ্রিল ১৯৭৯ (বয়স ৪৪)
মাতৃশিক্ষায়তনইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৯০–বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীহিউ ড্যান্সি (বি. ২০০৯)
সন্তান
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ক্লেয়ার ক্যাথরিন ডেইন্স (ইংরেজি: Claire Catherine Danes জন্ম: ১২ই এপ্রিল, ১৯৭৯)[১] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি তিনটি এমি পুরস্কার, চারটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার জয় করেছেন। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে, এবং ২০১৫ সালে হলিউড ওয়াক অব ফেমে তার নামে একটি তারকা খচিত হয়।

ডেইন্স ১৯৯৪ সালে ব্যাপক প্রশংসিত কিশোর নাট্যধর্মী ধারাবাহিক মাই সো-কলড লাইফ-এ অ্যাঞ্জেলা চেজ চরিত্রে অভিনয় করেন।[২] এই ভূমিকার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং নাট্যধর্মী ধারাবাহিক সেরা মুখ্য অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। একই বছর লিটল উইমেন (১৯৯৪) চলচ্চিত্র দিয়ে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল রোমিও + জুলিয়েট (১৯৯৬), দ্য রেইনমেকার (১৯৯৭), লে মিজেরাবল (১৯৯৮), ব্রোকডাউন প্যালেস (১৯৯৯), প্রিন্সেস মোনোনোকে (১৯৯৭)-এর ইংরেজি ডাবিং, ইগবি গোজ ডাউন (২০০২), দি আওয়ার্স (২০০২), টার্মিনেটর থ্রি: রাইজ অব দ্য মেশিনস্‌ (২০০৩), শপগার্ল (২০০৫) এবং স্টারডাস্ট (২০০৭)।

১৯৯৮ থেকে ২০০০ সালে ডেইন্স ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, কিন্তু তিনি পড়াশোনা সমাপ্ত করতে পারেননি এবং পুনরায় অভিনয়ে ফিরে আসেন। তিনি ২০০০ সালে অফ-ব্রডওয়ে প্রডাকশনের দ্য ভ্যাজিনা মনোলগ্‌স-এ অভিনয় করেন এবং ২০০৭ সালে পিগম্যালিয়ন নাটকে এলিজা ডুলিটল চরিত্রে অভিনয় দিয়ে তার ব্রডওয়েতে অভিষেক হয়। ২০১০ সালে তিনি এইচবিওর টেলিছবি টেম্পল গ্র্যান্ডিন-এ নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন প্রশংসিত হয় এবং তার দ্বিতীয় গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতেন এবং সীমিত ধারাবাহিক বা চলচ্চিত্রে সেরা মুখ্য অভিনেত্রী বিভাগে প্রথম এমি পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১১ সালে তিনি নাট্যধর্মী হোমল্যান্ড ধারাবাহিকে ক্যারি ম্যাথিসন চরিত্রে কাজ করেন, যার জন্য তিনি দুবার নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা মুখ্য অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার ও দুবার নাট্যধর্মী টেলিভিশন ধারাবাহিকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং একটি টেলিভিশন ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার লাভ করেন।[৩][৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

স্টারডাস্ট (২০০৭)-এর প্রচারণায় টরন্টোতে ডেইন্স।

ডেইন্স লিটল উইমেন মঞ্চনাটকের চলচ্চিত্রায়নে (১৯৯৪) বেথ মার্চ চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৫ সালে এবিসির মাই সো-কলড লাইফ ধারাবাহিকটি বাতিল হলে, এই ধারাবাহিকের সফলতা তাকে আরও কয়েকটি চলচ্চিত্র পাইয়ে দেয়, তন্মধ্যে রয়েছে ১৯৯৫ সালের হোম ফর দ্য হলিডেজ এবং ১৯৯৬ সালের আই লাভ ইউ, আই লাভ ইউ নটটু জিলিয়ান অন হার থার্টি সেভেন্থ বার্থডে

মুখ্য চরিত্রে তার প্রথম সফল চলচ্চিত্র হল রোমিও + জুলিয়েট (১৯৯৬)। ব্যাজ লুরমান পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে তিনি জুলিয়েট চরিত্রে অভিনয় করেন এবং লুরমান ১৬ বছর বয়সী ডেইন্সকে "তার প্রজন্মের মেরিল স্ট্রিপ" হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এই বছরের শেষের দিকে তিনি টাইটানিক চলচ্চিত্রের মুখ্য অভিনেত্রী হিসেবে কাজের প্রস্তাব পান, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।[৫][৬]

১৯৯৭ সালে তিনি ফ্রান্সিস ফোর্ড কোপলার দ্য রেইনমেকার ছবিতে কেলি রিকার এবং অলিভার স্টোনের নোয়া চলচ্চিত্র ইউ টার্ন ছবিতে জেনি চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি লে মিজেরাবল চলচ্চিত্রে কোজেত চরিত্রে এবং পোলিশ ওয়েডিং চলচ্চিত্রে একজন পোলীয় অভিবাসীর অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী কন্যা চরিত্রে অভিনয় করেন।

ডেইন্স ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য চলচ্চিত্র থেকে সাময়িক বিরতি নেন এবং পাঁচ বছরে মাত্র ১৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে রয়েছে ব্রোকডাউন প্যালেস (১৯৯৯), ও প্রিন্সেস মোনোনোকে (১৯৯৭)-এর ইংরেজি ডাবিং।

২০০২ সালে তিনি চলচ্চিত্রে নিয়মিত হন এবং ইগবি গোজ ডাউন (২০০২) ছবিতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। একই বছর তিনি দি আওয়ার্স (২০০২) চলচ্চিত্রে মেরিল স্ট্রিপ অভিনীত ক্ল্যারিসা ভনের কন্যা চরিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তী কালে তিনি টার্মিনেটর থ্রি: রাইজ অব দ্য মেশিনস্‌ (২০০৩) ও স্টেজ বিউটি (২০০৪) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ২০০৫ সালে শপগার্লদ্য ফ্যামিলি স্টোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন। ২০০৭ সালে তিনি কল্পনাধর্মী স্টারডাস্ট ছবিতে কাজ করেন, ছবিটিকে তিনি "প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক ধরনের ধ্রুপদী মডেল" বলে বর্ণনা করেন।[৭] একই বছর তিনি নাট্যধর্মী ইভনিংদ্য ফ্লোক ছবিতে অভিনয় করেন। পরের বছর তিনি মি অ্যান্ড অরসন ওয়েলস চলচ্চিত্রে কাজ করেন।

চলচ্চিত্র তালিকা[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

বছর চলচ্চিত্র ভূমিকা টীকা
১৯৯৪ লিটল উইমেন বেথ মার্চ
১৯৯৫ হাউ টু মেক অ্যান আমেরিকান কুইল্ট গ্লেডি জো ক্লিরি
১৯৯৫ হোম ফর দ্য হলিডেজ কিট লারসন
১৯৯৬ আই লাভ ইউ, আই লাভ ইউ নট ডেইজি / কিশোরি নানা
১৯৯৬ টু জিলিয়ান অন হার থার্টিসেভেন্‌থ বার্থডে র‍্যাচেল লুইস
১৯৯৬ রোমিও + জুলিয়েট জুলিয়েট কাপুলেট
১৯৯৭ ইউ টার্ন জেনি
১৯৯৭ দ্য রেইনমেকার কেলি রিকার
১৯৯৮ লে মিজেরাবল কোসেট
১৯৯৮ পোলিশ ওয়েডিং হালা
১৯৯৯ প্রিন্সেস মনোনোকে স্যান কণ্ঠ (ইংরেজি ডাবিং)
২০০২ ইগবি গোজ ডাউন সুকি স্যাপারস্টেইন
২০০২ দি আওয়ার্স জুলিয়া ভন
২০০৩ ইট্‌স অল অ্যাবাউট লাভ এলেনা
২০০৩ দ্য রেজ ইন প্লাসিড লেক সেমিনারে বালিকা
২০০৩ টার্মিনেটর থ্রি রাইজ অব দ্য মেশিনস্‌ কেট ব্রেউস্টার
২০০৪ স্টেজ বিউটি মারিয়া
২০০৫ শপগার্ল মিরাবেল বাটারসফিল্ড
২০০৫ দ্য ফ্যামিলি স্টোন জুলি মর্টন
২০০৭ ইভনিং যুবতি অ্যান
২০০৭ স্টারডাস্ট ইভাইন
২০০৭ দ্য ফ্লোক অ্যালিসন
২০০৮ মি অ্যান্ড অরসন ওয়েলস সোনিয়া জোন্স
২০১৩ অ্যাজ কুল অ্যাজ আই অ্যাম লাইনি ডায়মন্ড
২০১৭ ব্রিগসবি বিয়ার এমিলি
২০১৮ আ কিড লাইক জেক আলেক্স হুইলার

টেলিভিশন[সম্পাদনা]

বছর শিরোনাম ভূমিকা টীকা
১৯৯৪ ল অ্যান্ড অর্ডার ট্রেসি ব্র্যান্ট পর্ব: "স্কিন ডিপ"
১৯৯৪ লাইফস্টোরিজ: ফ্যামিলিজ ইন ক্রাইসিস ক্যাটি লেইটার পর্ব: "মোর দ্যান ফ্রেন্ডস: দ্য কামিং আউট অব হেইডি লেইটার"
১৯৯৪-১৯৯৫ মাই সো-কলড লাইফ অ্যাঞ্জেলা চেজ মুখ্য চরিত্রে (১৯ পর্ব)
১৯৯৭ স্যাটারডে নাইট লাইভ উপস্থাপক পর্ব: "ক্লেয়ার ডেইন্স/মারিয়া কেরি"
২০১০ টেম্পল গ্র্যান্ডিন টেম্পল গ্র্যান্ডিন টিভি চলচ্চিত্র
২০১১-বর্তমান হোমল্যান্ড ক্যারি ম্যাথিসন মুখ্য চরিত্রে
২০১৫ মাস্টার অব নান নিনা স্ট্যান্টন পর্ব: "দি আদার ম্যান"
২০১৭ পোর্টল্যান্ডিয়া জোন পর্ব: "দ্য স্টোরিটেলারস"

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Claire Catherine Danes: United States Public Records, 1970-2009"ফ্যামিলি সার্চ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮ 
  2. বেলাফান্তে, জিনা (২৮ অক্টোবর ২০০৭)। "A Teenager in Love (So-Called)"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮ 
  3. "Bios: Claire Danes"এমি পুরস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮ 
  4. "Claire Danes"গোল্ডেন গ্লোব (ইংরেজি ভাষায়)। হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন। ২১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৮ 
  5. ওয়ারিংটন, রুবি (২৯ নভেম্বর ২০০৯)। "Claire Danes: the secretive starlet"দ্য টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। লন্ডন। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৯ 
  6. "Titanic. Man Overboard! After a production as lavish and pricey as the doomed ship itself, James Cameron finally unveils his epic film. But will it be unsinkable?"এন্টারটেইনমেন্ট উয়িকলি (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ নভেম্বর ১৯৯৭। পৃষ্ঠা ১–৭। ২৫ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৯ 
  7. থর্প, ভানেসা (৩ মার্চ ২০১২)। "Claire Danes: getting under the skin of Homeland's troubled CIA agent"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। লন্ডন। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]