ক্যারল চ্যানিং

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্যারল চ্যানিং
Carol Channing
১৯৭৩ সালে চ্যানিং
জন্ম
ক্যারল এলাইন চ্যানিং

(১৯২১-০১-৩১)৩১ জানুয়ারি ১৯২১
মৃত্যু১৫ জানুয়ারি ২০১৯(2019-01-15) (বয়স ৯৭)
র‍্যাঞ্চো মিরেজ, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মাতৃশিক্ষায়তনবেনিংটন কলেজ
পেশাঅভিনেত্রী, গায়িকা, নৃত্যশিল্পী, কৌতুকাভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৪১-২০১৬
দাম্পত্য সঙ্গীথিওডোর নেইডিশ
(বি. ১৯৪১; বিচ্ছেদ. ১৯৪৪)

আলেক্স কারসন
(বি. ১৯৫৩; বিচ্ছেদ. ১৯৫৬)

চার্লস লু
(বি. ১৯৫৬; মৃ. ১৯৯৯)

হ্যারি কুলিজিয়ান
(বি. ২০০৩; মৃ. ২০১১)
সন্তান

ক্যারল এলাইন চ্যানিং (ইংরেজি: Carol Elaine Channing; ৩১ জানুয়ারি ১৯২১ - ১৫ জানুয়ারি ২০১৯)[১] ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রীম গায়িকা, নৃত্যশিল্পী ও কৌতুকাভিনেত্রী। সঙ্গীতধর্মী ব্রডওয়ে মঞ্চনাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত চ্যানিং তার অভিনয় জীবনে একটি টনি পুরস্কার ও একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং একটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

তিনি ১৯৪৯ ব্রডওয়ে মঞ্চে জেন্টলমেন প্রেফার ব্লন্ডিস সঙ্গীতধর্মী নাটকে অভিনয় দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৪ সালে হেলো, ডলি নাটকে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একটি টনি পুরস্কার অর্জন করেন। থরোলি মডার্ন মিলি (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল দ্য ফার্স্ট ট্রাভেলিং সেলসলেডি (১৯৫৬) ও স্কিডো (১৯৬৮)। টেলিভিশনে তিনি বিভিন্ন বিচিত্রানুষ্ঠানে বিনোদনদাতা হিসেবে কাজ করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে দ্য এড সুলিভান শোহলিউড স্কয়ারস

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

চ্যানিং ১৯২১ সালের ৩১শে জানুয়ারি ওয়াশিংটনের সিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জর্জ চ্যানিং (১৮৮৮-১৯৫৭) এবং মাতা অ্যাডিলেড (প্রদত্ত নাম: গ্লেজার, ১৮৮৬-১৯৮৪)। তার পিতা প্রকৃত নাম জর্জ ক্রিস্টিয়ান স্টাকার ছিলেন একজন বহুজাতির মিশ্রণ (আফ্রিকান-মার্কিন ও ককেসীয়)। তিনি ক্যারলের জন্মের পূর্বে তার বংশনাম পরিবর্তন করেন। তিনি খ্রিস্টধর্ম বিজ্ঞান অনুশীলনকারী, সম্পাদক ও শিক্ষক ছিলেন।[২][৩] জর্জের মাতা ক্লারা আফ্রো-মার্কিন এবং পিতা জর্জ স্টাকার একজন জার্মান অভিবাসীর পুত্র ছিলেন। ক্যারলের মাতামহ অটো গ্লেজার ও মাতামহী পলিনা অটমান, দুজনেই জার্মান বংশোদ্ভূত।[৪] ক্যারলের বয়স যখন দুই বছর, তখন তার পিতা জর্জ দ্য সিয়াটল স্টার-এর সম্পাদনা ছেড়ে সান ফ্রান্সিস্কো শহরে চাকরি নিলে তারা সপরিবারে ক্যালিফোর্নিয়া চলে যান।[২][৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৪৯ ব্রডওয়ে মঞ্চে জেন্টলমেন প্রেফার ব্লন্ডিস সঙ্গীতধর্মী নাটকে অভিনয় করেন। ১৯৬৪ সালে জেরি হারম্যানের হেলো, ডলি নাটকে অভিনয় দিয়ে তিনি জাতীয় অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করেন। এই নাটকে ডলি লেভি চরিত্রে তার কাজের জন্য তিনি সঙ্গীতনাট্যে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি এই নাটকে স্মরণে বলে যে নাট্যকার থর্নটন ওয়াইল্ডার এই নাটকটি এতটাই পছন্দ করেছিলেন যে তিনি প্রতি সপ্তাহে একবার দেখতে আসতেন। মূলত ওয়াইল্ডারের দ্য ম্যাচমেকার নাটক অবলম্বনেই এটি মঞ্চায়িত হয়েছিল।[৫] ওয়াইল্ডার তার ১৯৪২ সালে রচিত নাটক দ্য স্কিন অব আওয়ার টিথ পুনর্লিখন করে তাতে মিসেস অ্যান্ট্রোবাস ও সাবিনা চরিত্রে চ্যানিংকে দিয়ে কাজ করাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তা শেষ করার পূর্বেই তিনি মারা যান।[৫]

চ্যানিং ১৯৫৬ সালে জিঞ্জার রজার্সক্লিন্ট ইস্টউডের সাথে দ্য ফার্স্ট ট্রাভেলিং সেলস লেডি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি জুলি অ্যান্ড্রুজ, ম্যারি টাইলার মুর ও জন গ্যাভিনের সাথে থরোলি মডার্ন মিলি () চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন[৬] এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন।[৭] চ্যানিং তার এই চরিত্রের বিকাশের জন্য তিনি অ্যান্ডুজের কাছে কৃতজ্ঞ।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Overview for Carol Channing"টার্নার ক্লাসিক মুভিজ। ৬ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. "World is O.K., Says Church Lecturer", দ্য সিয়াটল টাইমস, ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪, পৃ. ৩২।
  3. "Channing, Religious Editor, Dies", দ্য সিয়াটল টাইমস, ২৯ মে ১৯৫৭, পৃ. ৩৩।
  4. চ্যানিং, ক্যারল (২০০২)। Just Lucky I Guess: A Memoir of Sorts। সিমন অ্যান্ড শুস্টার। পৃষ্ঠা ৫০। আইএসবিএন 0743216067 
  5. "Enchanting Channing: 'Oh, oh, oh, fellas; look at the old girl now, fellas"। দি ওরল্যান্ডো সেন্টিনেল (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ নভেম্বর ১৯৭৮। 
  6. "The 40th Academy Awards | 1968"অস্কার (ইংরেজি ভাষায়)। একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৯ 
  7. "Winners & Nominees 1968"গোল্ডেন গ্লোব (ইংরেজি ভাষায়)। হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন। ১৯ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৯ 
  8. শাপিরো, এডি (২০১৪)। Nothing Like a Dame: Conversations with the Great Women of Musical Theater। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৪। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]