বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক | |
---|---|
আর্মিজার | বাংলাদেশ |
গৃহীত | ১৯৭১ |
প্রতীকচিহ্নের বিবরণ | পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা এবং এর উভয় পার্শ্বে একটি করে ধানের শীষ, চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে তারকা |
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরেই বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক গ্রহণ করা হয়।[১][২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন দেশের জাতীয় প্রতিক ও বিভিন্ন মনোগ্রাম তৈরী করতে বাংলাদেশ সরকার শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসানের উপর দ্বায়িত্ব দেয়। মোহাম্মদ ইদ্রিস ও শামসুল আলমসহ বেশ কয়েকজনকে এই কাজগুলো তদারকির দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তিতে মোহাম্মদ ইদ্রিসের আঁকা ভাসমান শাপলা ও শামসুল আলমের দুই পাশে ধানের শীষবেষ্টিত পাটপাতা ও চারটি তারকা অংশটি মিলিয়ে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হয়।
ব্যবহার ও বিবরণ
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের কেন্দ্রে রয়েছে পানিতে ভাসমান একটি শাপলা ফুল যা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শাপলা ফুলটিকে বেষ্টন করে আছে ধানের দুটি শীষ। চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে মোট চারটি তারকা। পানি, ধান ও পাট প্রতীকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হয়েছে বাংলাদেশের নিসর্গ ও অর্থনীতি। এ তিনটি উপাদানের উপর স্থাপিত জলজ প্রস্ফুটিত শাপলা হলো অঙ্গীকার, সৌন্দর্য ও সুরুচির প্রতীক। তারকাগুলোতে ব্যক্ত হয়েছে জাতির লক্ষ্য ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা
সংবিধান অনুযায়ী:
প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক হইতেছে উভয় পার্শ্বে ধান্যশীর্ষবেষ্টিত, পানিতে ভাসমান জাতীয় পুষ্প শাপলা, তাহার শীর্ষদেশে পাটগাছের তিনটি পরস্পর-সংযুক্ত পত্র, তাহার উভয় পার্শ্বে দুইটি করিয়া তারকা৷ --বাংলাদেশের সংবিধান, ৪ (৩)[৩]
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক ব্যবহারের অধিকারী হবেন—
১। মহামান্য রাষ্ট্রপতি
২। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
৩। মাননীয় স্পিকার
৪। মাননীয় ডেপুটি স্পিকার
-
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সীলমোহর
-
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সীলমোহর
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ সিরাজুল ইসলাম (২০১২)। "জাতীয় প্রতীক"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "জাতীয় প্রতীক"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ জানুয়ারি ২০১৩। ২০১৮-০৫-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৮।
- ↑ "প্রথম ভাগ" (পিডিএফ)। ২০১৩-০৯-২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২০।