২০১৯–২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগউয়েফা কর্তৃক আয়োজিত ইউরোপীয় দলগুলোর ফুটবল প্রতিযোগিতার ৬৫তম আসর এবং ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ক্লাব হতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নামে পরিবর্তন করার পর ২৮তম আসর।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, এই আসরের প্লে-পর্ব হতে ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করা হবে।[৩]
লিভারপুল হচ্ছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সর্বমোট ৬ বার এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন,[৪] যারা ১৬ দলের পর্বে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে হেরে এই আসর থেকে বিদায় নিয়েছে।
১৬ দলের পর্বে দ্বিতীয় লেগের প্রথম চারটি ম্যাচ আয়োজনের পর ইউরোপে ইউরোপে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এই আসরটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল।[৫][৬] মূলত ২০২০ সালের ৩০শে মে তারিখে তুরস্কেরইস্তাম্বুলেরআতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে এই আসরের ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনে কথা ছিল, যা ২০২০ সালের ২৩শে মার্চ তারিখে স্থগিত করা হয়েছিল।[৭] ২০২০ সালের ১৭ই জুন তারিখে, উয়েফা এক ঘোষণায় জানায় যে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের সকল ম্যাচ ২০২০ সালের আগস্ট মাসে পর্তুগালে আগস্ট পর্তুগালে অনুষ্ঠিত হবে, অন্যদিকে ২০২০–২১ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচ ইস্তাম্বুল আয়োজন করবে।[৮]
উয়েফার ৫৫টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ৫৪টি রাষ্ট্রের সর্বমোট ৭৯টি দল ২০১৯–২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহণ করেছে (শুধু লিশটেনস্টাইন এর ব্যতিক্রম, কারণ তারা কোনো ঘরোয়া লিগ আয়োজন করে না)। উয়েফা দেশ গুণাঙ্ক নিয়ম অনুযায়ী উয়েফার এসোসিয়েশন র্যাঙ্কিং করা হয়, যার মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক এসোসিয়েশন হতে কতটি দল অংশগ্রহণ করবে তা নির্ধারণ করা হয়েছে:[৯]
এসোসিয়েশন ১–৪ হতে ৪টি করে দল খেলার যোগ্যতা লাভ করবে।
এসোসিয়েশন ৫–৬ হতে ৩টি করে দল খেলার যোগ্যতা লাভ করবে।
এসোসিয়েশন ৭–১৫ হতে ২টি করে দল খেলার যোগ্যতা লাভ করবে।
এসোসিয়েশন ১৬–৫৫ (ব্যতিক্রম লিশটেনস্টাইন) হতে ১টি করে দল খেলার যোগ্যতা লাভ করবে।
২০১৮–১৯ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ২০১৮–১৯ উয়েফা ইউরোপা লিগের বিজয়ীদের এই আসরে খেলার একটি অতিরিক্ত প্রবেশাধিকার রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা যদি তাদের ঘরোয়া লিগের মাধ্যমে ২০১৯–২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন না করেও এই আসরে খেলতে পারবে। কারণ একটি এসোসিয়েশন হতে সর্বোচ্চ ৫টি দল চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারে, যদি চ্যাম্পিয়নস লিগের বিজয়ী এবং ইউরোপা লিগের বিজয়ী উভয়ই উয়েফার শীর্ষ ৩ সদস্য রাষ্ট্রের যেকোনো একটির অন্তর্ভুক্ত হয় এবং তাদের নিজস্ব ঘরোয়া লিগে তারা শীর্ষ ৪-এর বাহিরে থেকে লিগ শেষ করে তবে উক্ত লিগে ৪র্থ স্থান অর্জনকারী দলটি ইউরোপা লিগে প্রবেশ করবে।
২০১৯–২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য, ২০১৮ সালে উয়েফা দেশ গুণাঙ্ক অনুযায়ী প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র হতে কতটি দল খেলবে তা বরাদ্দ করা হয়েছে, যেটি ২০১৩–১৪ হতে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় তাদের কর্মক্ষমতার অপর ভিত্তি করে নির্ধারিত।[১০]
এই দেশ গুণাঙ্কের দল বরাদ্দ ছাড়াও, চ্যাম্পিয়নস লিগে এসোসিয়েশন হতে অতিরিক্ত দলও খেলতে পারে, নিম্নে উল্লিখিত:
(ইউসিএল) – ২০১৮–১৯ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী দলের জন্য অতিরিক্ত স্থান।
(ইউইএল) – ২০১৮–১৯ উয়েফা ইউরোপা লিগ বিজয়ী দলের জন্য অতিরিক্ত স্থান।
২০১৯–২০ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য এসোসিয়েশন র্যাঙ্কিং
এসোসিয়েশন ২০–৫১ থেকে ৩১টি চ্যাম্পিয়ন (ব্যতিক্রম লিশটেনস্টাইন)
প্রাথমিক পর্ব থেকে ১টি বিজয়ী
দ্বিতীয় বাছাইপর্ব
চ্যাম্পিয়নস পথ (২০টি দল)
এসোসিয়েশন ১৬–১৯ থেকে ৪টি চ্যাম্পিয়ন
প্রথম বাছাইপর্ব থেকে ১৬টি বিজয়ী
লিগ পথ (৪টি দল)
এসোসিয়েশন ১২–১৫ থেকে ৪টি রানার-আপ
তৃতীয় বাছাইপর্ব
চ্যাম্পিয়নস পথ (১২টি দল)
এসোসিয়েশন ১৪–১৫ থেকে ২টি চ্যাম্পিয়ন
দ্বিতীয় বাছাইপর্ব (চ্যাম্পিয়নস পথ) থেকে ১০টি বিজয়ী
লিগ পথ (৮টি দল)
এসোসিয়েশন ৭–১১ থেকে ৫টি রানার-আপ
এসোসিয়েশন ৬ থেকে ১টি ৩য় স্থান অধিকারী
দ্বিতীয় বাছাইপর্ব (লিগ পথ) থেকে ২টি বিজয়ী
প্লে-অফ পর্ব
চ্যাম্পিয়নস পথ (৮টি দল)
এসোসিয়েশন ১২–১৩ থেকে ২টি বিজয়ী
তৃতীয় বাছাইপর্ব (চ্যাম্পিয়নস পথ) থেকে ৬টি বিজয়ী
লিগ পথ (৪টি দল)
তৃতীয় বাছাইপর্ব (লিগ পথ) থেকে ৪টি বিজয়ী
গ্রুপ পর্ব (৩২টি দল)
এসোসিয়েশন ১–১১ থেকে ১১টি বিজয়ী
এসোসিয়েশন ১–৬ থেকে ৬টি রানার-আপ
এসোসিয়েশন ১–৫ থেকে ৫টি তৃতীয় স্থান অধিকারী
এসোসিয়েশন ১–৪ থেকে ৪টি চতুর্থ স্থান অধিকারী
প্লে-অফ পর্ব থেকে ৪টি বিজয়ী (চ্যাম্পিয়নস পথ)
প্লে-অফ পর্ব থেকে ২টি বিজয়ী (লিগ পথ)
নকআউট পর্ব (১৬টি দল)
গ্রুপ পর্ব থেকে ৮টি গ্রুপ বিজয়ী
গ্রুপ পর্ব থেকে ৮টি গ্রুপ রানার-আপ
পূর্বনির্ধারিত প্রবেশ তালিকায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়, যেহেতু চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং / অথবা ইউরোপা লিগের শিরোপাধারী তাদের ঘরোয়া লিগের মাধ্যমে টুর্নামেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে। যদি চ্যাম্পিয়নস লিগের কোনও জায়গা ফাঁকা থাকে, উপযুক্ত পথে আগের রাউন্ডে সর্বোচ্চ পদযুক্ত সংস্থার দলকে সেই অনুযায়ী পদোন্নতি দেওয়া হয়।
সাধারণ প্রবেশ তালিকায়, চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাধারী দল গ্রুপ পর্বে প্রবেশ করবে। যাহোক, যেহেতু লিভারপুল ইতোমধ্যেই গ্রুপ পর্বে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে (২০১৮–১৯ প্রিমিয়ার লিগে ২য় স্থান অর্জনকারী হিসেবে), তাই নিম্নে উল্লেখিত কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে:
এসোসিয়েশন ১১-এর (অস্ট্রিয়া) বিজয়ী দল প্লে-অফ রাউন্ডে খেলার পরিবর্তে সরাসরি গ্রুপ পর্বে প্রবেশ করেছে।
এসোসিয়েশন ১৩-এর (চেক প্রজাতন্ত্র) বিজয়ী দল তৃতীয় বাছাইপর্বে খেলার পরিবর্তে সরাসরি প্লে-অফ রাউন্ডে প্রবেশ করেছে।
এসোসিয়েশন ১৫-এর (গ্রিস) বিজয়ী দল দ্বিতীয় বাছাইপর্বে খেলার পরিবর্তে তৃতীয় বাছাইপর্বে প্রবেশ করেছে।
এসোসিয়েশন ১৮ এবং ১৯-এর (ইসরায়েল এবং সাইপ্রাস) বিজয়ী দল প্রথম বাছাইপর্বে খেলার পরিবর্তে দ্বিতীয় বাছাইপর্বে প্রবেশ করেছে।
এছাড়াও, ইউরোপা লিগ শিরোপাধারী দল গ্রুপ পর্বে প্রবেশ করবে। যাহোক, যেহেতু চেলসি ইতোমধ্যেই গ্রুপ পর্বে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে (২০১৮–১৯ প্রিমিয়ার লিগে ৩য় স্থান অর্জনকারী হিসেবে), তাই নিম্নে উল্লেখিত কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে:
এসোসিয়েশন ৫-এর (ফ্রান্স) ৩য় স্থান অর্জনকারী দল তৃতীয় বাছাইপর্বে খেলার পরিবর্তে সরাসরি গ্রুপ পর্বে প্রবেশ করেছে।
এসোসিয়েশন ১০ এবং ১১-এর (তুরস্ক এবং অস্ট্রিয়া) রানার-আপ দল দ্বিতীয় বাছাইপর্বে খেলার পরিবর্তে তৃতীয় বাছাইপর্বে প্রবেশ করেছে।
এই আসরের সকল পর্বের সময়সূচী নিম্নে উল্লেখ করা হলো (সকল ড্র উয়েফার প্রধান সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডেরনিওঁ-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যদি না অন্যথায় হওয়ার জন্য বিবৃতি প্রদান করা হয়)।[১২]
প্রাথমিক পর্বে, দলগুলোকে ২০১৯ উয়েফা ক্লাব গুণাঙ্কের ওপর ভিত্তি করে বাছাই এবং অ-বাছাই নামে দুইটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে[১৩] এবং পরবর্তীতে এক লেগের ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
বাছাইপর্বে এবং প্লে-অফ পর্বে, দলগুলোকে ২০১৯ উয়েফা ক্লাব গুণাঙ্কের ওপর ভিত্তি করে বাছাই এবং অ-বাছাই নামে দুইটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে,[১৩] এবং তারপরে দুই লেগের হোম এবং অ্যাওয়ে সমতায় ভাগ করা হয়েছে। একই এসোসিয়েশনের দলগুলোকে কখনো একে অপরের বিপক্ষে ড্র করা হয় না।
২০১৯ সালের ১৮ই জুন, উয়েফার প্রধান সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডেরনিঁও-এ প্রথম বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বাছাইপর্বের প্রথম লেগের খেলা ২০১৯ সালের ৯ এবং ১০ই জুলাই এবং দ্বিতীয় লেগের খেলা ২০১৯ সালের ১৬ এবং ১৭ই জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বাছাইপর্বের হেরে যাওয়া দল ২০১৯–২০ উয়েফা ইউরোপা লিগের তৃতীয় পর্বে প্রবেশ করেছে।
দ্বিতীয় বাছাইপর্ব দুটি আলাদা বিভাগে বিভক্ত: চ্যাম্পিয়নস পথ (লিগ চ্যাম্পিয়নদের জন্য) এবং লিগ পথ (নন-লিগ চ্যাম্পিয়নদের জন্য)। ২০১৯ সালের ১৯শে জুন তারিখে, উয়েফার প্রধান সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডেরনিওঁ-এ দ্বিতীয় বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বাছাইপর্বের প্রথম লেগের খেলা ২০১৯ সালের ২৩ এবং ২৪শে জুলাই এবং দ্বিতীয় লেগের খেলা ২০১৯ সালের ৩০ এবং ৩১শে জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বাছাইপর্বের চ্যাম্পিয়নস পথ এবং লিগ পথে হেরে যাওয়া দল ২০১৯–২০ উয়েফা ইউরোপা লিগের তৃতীয় পর্বে প্রবেশ করেছে।
তৃতীয় বাছাইপর্ব দুটি আলাদা বিভাগে বিভক্ত: চ্যাম্পিয়নস পথ (লিগ চ্যাম্পিয়নদের জন্য) এবং লিগ পথ (নন-লিগ চ্যাম্পিয়নদের জন্য)। ২০১৯ সালের ২২শে জুলাই তারিখে, উয়েফার প্রধান সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডেরনিঁও-এ তৃতীয় বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বাছাইপর্বের প্রথম লেগের খেলা ২০১৯ সালের ৬ এবং ৭ই আগস্ট এবং দ্বিতীয় লেগের খেলা ২০১৯ সালের ১৩ই আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বাছাইপর্বের চ্যাম্পিয়নস পথে হেরে যাওয়া দল ২০১৯–২০ উয়েফা ইউরোপা লিগের প্লে-অফ পর্বে প্রবেশ করেছে; অন্যদিকে লিগ পথে হেরে যাওয়া দল ২০১৯–২০ উয়েফা ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্বে প্রবেশ করেছে।
প্লে-অফ পর্ব দুটি আলাদা বিভাগে বিভক্ত: চ্যাম্পিয়নস পথ (লিগ চ্যাম্পিয়নদের জন্য) এবং লিগ পথ (নন-লিগ চ্যাম্পিয়নদের জন্য)। ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট তারিখে, উয়েফার প্রধান সদরদপ্তর সুইজারল্যান্ডেরনিঁও-এ প্লে-অফ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বাছাইপর্বের প্রথম লেগের খেলা ২০১৯ সালের ২০ এবং ২১শে আগস্ট এবং দ্বিতীয় লেগের খেলা ২০১৯ সালের ২৭ এবং ২৮শে আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পর্বের চ্যাম্পিয়নস পথ এবং লিগ পথে হেরে যাওয়া দল ২০১৯–২০ উয়েফা ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্বে প্রবেশ করেছে।
২০১৯ সালের ২৯শে আগস্ট, ১৮টায় সিইএসটিউয়েফার প্রধান সদরদপ্তর মোনাকোরগ্রিলমালদি ফোরামে গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৩০] সর্বমোট ৩২টি দলকে ৮টি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি গ্রুপে ৪টি করে দল রয়েছে। উক্ত ড্র-এ নিয়ম ছিল যে একই এসোসিয়েশনের দলগুলোকে পরস্পরের বিপক্ষে ড্র করা যাবে না। ড্রয়ের জন্য, দলগুলোকে ৪টি পাত্রে নিম্নলিখিত নীতির উপর ভিত্তি করে ভাগ করা হয়েছে:[৩১][৩২]
পাত্র ১-এ চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ইউরোপা লিগ শিরোপাধারী দল এবং ২০১৮ উয়েফা দেশ গুণাঙ্কের উপর ভিত্তি করে শীর্ষ ৬টি এসোসিয়েশনের চ্যাম্পিয়নদের রাখা হয়েছে। যদি এক চ্যাম্পিয়ন অথবা উভয় চ্যাম্পিয়ন দল শীর্ষ ৬ এসোসিয়েশনের মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবে পরবর্তী শীর্ষ ক্রমের এসোসিয়েশনের চ্যাম্পিয়ন দল পাত্র ১-এ স্থান পাবে।
প্রত্যেক গ্রুপে, দলগুলো প্রত্যেক দলের সাথে রাউন্ড-রবিন নিয়মে নিজস্ব মাঠে এবং বিপরীত দলের মাঠে ম্যাচ খেলবে। প্রত্যেক গ্রুপের বিজয়ী দল এবং রানার-আপ দল ১৬ দলের পর্বের জন্য উন্নীত হবে, যখন প্রত্যেক গ্রুপের তৃতীয় স্থান অধিকারী দলগুলো ২০১৯–২০ উয়েফা ইউরোপা লিগের ৩২ দলের পর্বে প্রবেশ করেছে। এই পর্বের ম্যাচদিনগুলো হলো: ১৭–১৮ সেপ্টেম্বর, ১–২ অক্টোবর, ২২–২৩ অক্টোবর, ৭–৮ নভেম্বর, ২৬–২৭ নভেম্বর এবং ১০–১১ ডিসেম্বর ২০১৯।
যেসকল ক্লাবগুলো গ্রুপ পর্বে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে তাদের যুব দলগুলোও ২০১৯–২০ উয়েফা যুব লিগে একই দিনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে, যেখানে দলগুলো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ পথ (শীর্ষ ৩২ এসোসিয়েশনের ঘরোয়া চ্যাম্পিয়ন দল প্লে-অফের পূর্ব পর্যন্ত আলাদা ঘরোয়া চ্যাম্পিয়নস পথে অংশগ্রহণ করেছে।
সর্বমোট ১৬টি জাতীয় এসোসিয়েশন এইবারের আসরের গ্রুপ পর্বে প্রতিনিধিত্ব করছে। আতালান্তা এই আসরের গ্রুপ পর্বে খেলার মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক করেছে।
টাইব্রেকার
প্রত্যেক দলের পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে দলের অবস্থান নির্নয় করা হয় (জয়ের জন্য ৩ পয়েন্ট, ড্রয়ের জন্য ১ পয়েন্ট, হারের জন্য ০ পয়েন্ট), এবং যদি পয়েন্টের সমতা হয় তবে গ্রুপ পর্বের সবগুলো খেলা শেষে নিম্নে বর্ণিত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে শীর্ষ দুই দল নির্ণয় করা হবে (নিয়ম-কানুন নিবন্ধ ১৭.০১):[৯]
যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে পয়েন্ট;
যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল পার্থক্য;
যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোল সংখ্যা;
যেসকল দলের পয়েন্ট সমান, তাদের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচে অ্যাওয়ে গোলের সংখ্যা;
যদি দুইয়ের অধিক দলের পয়েন্ট সমান হয় এবং উপরে বর্ণিত একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচের সকল নিয়ম প্রয়োগ পরও যদি একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হয়, উপরের একে-অপরের বিরুদ্ধে ম্যাচের সকল নিয়ম পুনরায় প্রয়োগ করা হবে;
গ্রুপ পর্বের সকল ম্যাচে উক্ত দলসমূহের গোল পার্থক্য;
গ্রুপ পর্বের সকল ম্যাচে উক্ত দলসমূহের গোল সংখ্যা;
গ্রুপ পর্বের সকল ম্যাচে উক্ত দলসমূহের অ্যাওয়ে গোল সংখ্যা;
গ্রুপ পর্বের সকল ম্যাচে উক্ত দলসমূহের জয়ের সংখ্যা;
গ্রুপ পর্বের সকল ম্যাচে উক্ত দলসমূহের অ্যাওয়ে জয়ের সংখ্যা;
শাস্তিমূলক পয়েন্ট (লাল কার্ড = ৩ পয়েন্ট, হলুদ কার্ড = ১ পয়েন্ট, এক ম্যাচে দুটি হলুদ কার্ডের জন্য বহিষ্কার = ৩ পয়েন্ট);