রেইকিয়াভিক
রেইকিয়াভিক Reykjavík Reykjavíkurborg | |
---|---|
From upper left: View of old town and Hallgrímskirkja from Perlan, rooftops from Hallgrímskirkja, Reykjavík from Hallgrímskirkja, Fríkirkjan, panorama from Perlan | |
![]() আইসল্যান্ডে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৬৪°০৮′ উত্তর ২১°৫৬′ পশ্চিম / ৬৪.১৩৩° উত্তর ২১.৯৩৩° পশ্চিম | |
সংসদীয় এলাকা | উত্তর রেইকিয়াভিক দক্ষিণ রেইকিয়াভিক |
সরকার | |
• মেয়র (Borgarstjóri) | ডাগুর এগার্টসন |
আয়তন | |
• শহর | ২৭৪.৫ বর্গকিমি (১০৬ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৭৭৭ বর্গকিমি (৩০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (১লা ডিসেম্বর, ২০০৭) | |
• শহর | ১,১৭,৭২১ |
• জনঘনত্ব | ৪২৮/বর্গকিমি (১,১১০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১,৯৬,১৬১ |
• মহানগর জনঘনত্ব | ২৬০/বর্গকিমি (৭০০/বর্গমাইল) |
এলাকা কোড | ১০১ - ১৫৫ |
ওয়েবসাইট | http://www.rvk.is/ |
রেইকিয়াভিক (আইসল্যান্ডীয়: Reykjavík; /ˈreɪkjəvɪk,
রেইকিয়াভিক একটি আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন শহর। শহরের বেশিরভাগ দালান কংক্রিট দিয়ে নির্মিত। নিকটবর্তী ভূ-গর্ভস্থ উষ্ণ প্রস্রবণের পানি নলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত করে দালানগুলিকে গরম রাখা হয়। একই গরম পানি আউটডোর সাঁতার কাটার পুলগুলিতেও ব্যবহার করা হয়।
এই শহরে আইসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (১৯১১), আইসল্যান্ডের আইনসভা আলথিং, রেইকিয়াভিক সঙ্গীতশালা (১৯৩০), লুথেরান ক্যাথিড্রাল, জাতীয় গ্রন্থাগার, জাতীয় সংগ্রহশালা, এবং জাতীয় নাট্যশালা অবস্থিত। আর্নি মাগ্নুসন ইন্সটিটিউট আইসল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ এবং এখানে আর্নি মাগ্নুসনের লেখা খসড়ার একটি সংগ্রহ আছে (আগে এগুলি কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল)। শহরের বহু জাদুঘর ও গ্যালারির মধ্যে তিনটি দালান নিয়ে গঠিত রেইকিয়াভিক শিল্পকলা জাদুঘর এবং সিগুরজন ওলাফসন জাদুঘর দুইটি উল্লেখযোগ্য। আইসল্যান্ডের রাষ্ট্রপতির বাসভবন বেসাস্টাডহির শহরের বাইরে অবস্থিত।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর, জাতীয় জাদুঘর, হালগ্রিমুরের গির্জা, এবং লেইফ এরিকসনের একটি মূর্তি। মূর্তিটি ১৯৩০ সালে আলথিঙের সহস্রতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইসল্যান্ডকে উপহার দেয়।
রেইকিয়াভিক শব্দটির অর্থ "ধোঁয়ার উপসাগর"। আইসল্যান্ডীয় ঐতিহ্য অনুসারে ইনগোলফুর আর্নারসন নামের এক ভাইকিং নাবিক প্রথম ৮৭৪ সালে এখানে বসতি স্থাপন করেন। বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্তও এটি একটি ক্ষুদ্র জেলে শহর ছিল। ১৭৮৬ সালে এটিকে পৌর শহরের মর্যাদা দেয়া হয় এবং ডেনীয়-শাসিত আইসল্যান্ডের প্রশাসনিক কেন্দ্র বানানো হয়। ১৮৪৩ সালে শহরটিতে আইসল্যান্ডের আইনসভা আলথিং স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯১৮ সালে এটিকে ডেনীয় রাজার অধীনে স্বায়ত্বশাসিত আইসল্যান্ডের রাজধানী বানানো হয়। ১৯৪৪ সালে শহরটি স্বাধীন আইসল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের রাজধানীতে পরিণত হয়। সমগ্র বিংশ শতাব্দী জুড়ে শহরটির অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে। শহরে বর্তমানে এক লক্ষের কিছু বেশি লোক বাস করেন।