ব্রেট লি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্রেট লি
ব্যক্তিগত তথ্য
ডাকনামবিং, বিঙ্গা, দ্য স্পিডস্টার
উচ্চতা১.৮৭ মিটার (৬ ফুট ২ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কশেন লি (ভাই), গ্র্যান্ট লি
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৮৩)
২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৯ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৬ ডিসেম্বর ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪০)
৯ জানুয়ারি ২০০০ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই৭ জুলাই ২০১২ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই শার্ট নং৫৮
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৫–২০১২নিউ সাউথ ওয়েলস
২০০৮-২০১০কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব
২০১১–২০১৩কলকাতা নাইট রাইডার্স
২০১১ওয়েলিংটন
২০১১–২০১৫সিডনি সিক্সার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৭৬ ২২১ ১১৬ ২৬২
রানের সংখ্যা ১,৪৫১ ১,১৭৬ ২,১২০ ১,৩৬৫
ব্যাটিং গড় ২০.১৫ ১৭.৮১ ১৮.৫৯ ১৭.০৬
১০০/৫০ ০/৫ ০/৩ ০/৮ ০/৩
সর্বোচ্চ রান ৬৪ ৫৯ ৯৭ ৫৯
বল করেছে ১৬,৫৩১ ১১,১৮৫ ২৪,১৯৩ ১৩,৪৭৫
উইকেট ৩১০ ৩৮০ ৪৮৭ ৪৩৮
বোলিং গড় ৩০.৮১ ২৩.৩৬ ২৮.২২ ২৪.০৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ১০ ২০ ১০
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৫/৩০ ৫/২২ ৭/১১৪ ৫/২২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৩/– ৫৪/– ৩৫/– ৬২/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ৬ মে ২০১৭

ব্রেট লি (ইংরেজি: Brett Lee; জন্ম: ৮ নভেম্বর, ১৯৭৬) নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের ওলনগং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও অভিনেতা। এছাড়াও তিনি নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজ দলের পক্ষ হয়ে খেলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি তিন শতাধিক উইকেট লাভ করেছেন, একদিনের আন্তর্জাতিকেও তিনি তিন শতাধিক উইকেট লাভ করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট সংখ্যা ৭১৮টি। অস্ট্রেলিয়া দলে অবস্থানকালীন সময়ে ব্রেট লিকে খুবই দ্রুতগতির ফাস্ট বোলার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। তাকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ১০১.১ মাইলে বল করেন, যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২য় দ্রুততম বল। বল নিক্ষেপের ক্ষেত্রে তার অবস্থান পাকিস্তানের শোয়েব আখতারের পর। অভিষেকের পর প্রথম দুই বছর তার বোলিং গড় ছিল প্রতি ১০০ বলে ২০ রান। কিন্তু এরপর থেকেই তার বোলিং গড় দাঁড়ায় প্রতি ১০০ বলে ৩০ রানের চেয়ে খানিকটা বেশি।[১]

তিনি তার সহোদর তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় এবং প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে দুই ভাইয়ের সাথে খেলেছেন। 'বিঙ্গা' ডাক নামে লি পরিচিত যা বিং লি নামকে নির্দেশ করে। এ নামে নিউ সাউথ ওয়েলসে একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান রয়েছে।

ক্রিকেট জীবন[সম্পাদনা]

লি তার দূরন্ত গতির পেস বোলিংয়ের জন্য পরিচিত হয়ে আছেন। তিনি ২০০০ সালের দিকে নিয়মিতভাবে ১৫০ কিলোমিটার কিংবা তারও অধিক গতিতে বোলিং করতেন। কেবলমাত্র শোয়েব আখতারের ১৬১.৩ কিলোমিটার গতিবেগই তার বোলিংয়ের চেয়ে অগ্রসরমান ছিল।[২] তিনি ১৬১.৮ গতিতেও বল নিক্ষেপ করেছিলেন, কিন্তু ম্যাচটি আন্তর্জাতিক না হওয়ায় তা গণনায় আসেনি| ধারাবাহিকভাবে এ দ্রুতগতির বোলিংয়ের ফলে হাড়ে ফাটল ধরে এবং আঘাতের মুখোমুখি হয়। ফলে তিনি তার বোলিংয়ের ধরন পাল্টিয়ে ফেলেন যা বেশ কার্যকরী ছিল।[৩] ফিল্ডার হিসেবে বেশ দৌঁড়াতে পারেন তিনি। এছাড়াও দলের প্রয়োজনে নিচের সারির ব্যাটসম্যানরূপে টেস্ট ক্রিকেটে তার ব্যাটিং গড় ২০ রানেরও অধিক।

অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ে তিনি বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬ এবং ২০০৯ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করেন।

ক্রিকেট জীবনের শুরুতে ব্রেট লি অবৈধ বোলিং ভঙ্গিমার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে দূরীভূত হয়।[৪] ২০০৫ সালের একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজে ব্যাটসম্যানের দিকে অনেকগুলো বীমার ছোড়ায় বেশ সমালোচিত হন তিনি। পরে অধিনায়ক রিকি পন্টিংকে লি বলেছেন যে তিনি কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তা করেননি।[৫][৬] ২০০৫-০৬ মৌসুমে মাইক হাসি'র সাথে জুটি বেঁধে ৭ম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১২৩ রান করেছিলেন।[৭]

১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে কেপ টাউনের নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার সুপার-এইট পর্বের খেলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি হ্যাট্রিক করেন। সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজাঅলক কাপালিকে আউট করে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে প্রথম হ্যাট্রিক লাভকারী বোলারের মর্যাদা পান ব্রেট লি।[৮] ব্রেট লি, গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্নের সাথে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা বোলিং-ত্রয়ী জুটি গড়ে তুলেছিলেন| ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে তিনি কেনিয়ার বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষ হয়ে তিনি খেলেছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ বা আইপিএলের ৫ম মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে জয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল।[৯] ব্রেট লি নিউ সাউথ ওয়েলসের ব্লুজের হয়ে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয় করেন। তিনি ফাইনাল ও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় মনোনীত হন।

অবসর[সম্পাদনা]

২০০৮ সাল থেকেই শারীরিক অক্ষমতাজনিত কারণে ব্রেট লি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অনুপস্থিত ছিলেন। ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে তিনি তার বন্ধু এবং ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের পরামর্শ মোতাবেক টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন যে, 'পাঁচদিন ধরে দেড়শ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করা তার পক্ষে বেশ দূরূহ ব্যাপার'।[১০][১১] ৭৬ টেস্টে তিনি ৩১০ উইকেট লাভ করেছেন তিনি, যা অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ। তার উপরে আছেন শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং ডেনিস লিলি

১৩ জুলাই, ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তর থেকে অবসর গ্রহণের চূড়ান্ত ঘোষণা দেন লি।[১২] ইংল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলিয়ার একদিনের আন্তর্জাতিক দলে খেলার সময় হাঁটুর আঘাতপ্রাপ্তিই এর মূল কারণ। তারপরও লি আইপিএল এবং বিগ ব্যাশ লীগ টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় খেলে যান।[১৩]

২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিগ ব্যাশ লীগ শেষে ব্রেট লি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।

কোচিং[সম্পাদনা]

৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড দলকে নির্দেশনা দেয়ার জন্য ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড কর্তৃপক্ষ তাকে বোলিং কোচ হিসেবে নিযুক্ত করে।[১৪]

সম্মাননা[সম্পাদনা]

১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে উইজডেন বর্ষসেরা তরুণ ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন। অভিষেকের অল্প কিছুদিন পরই ২০০০ সালে অ্যালান বর্ডার পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান বছরের সেরা তরুণ খেলোয়াড় পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৫ ও ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের সেরা খেলোয়াড়রূপে আইসিসি পুরস্কার পান। ২০০৬ সালে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার হন।[১৫] ২০০৮ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে টেস্ট দলের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কার পান।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ব্রেট লি ২০০৬ সালে এলিজাবেথ কেম্পকে বিয়ে করেন। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে যার নাম প্রিস্টন। কিন্তু ২১ আগস্ট, ২০০৮ তারিখ থেকে তারা পৃথকভাবে বসবাস করতে শুরু করেন।[১৬] ২০০৯ সালে তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। পরে জানা যায়, কেম্প ব্রেট লির অস্টেলিয়া ক্রিকেট দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সময়সূচী নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। এই সময়ের একাকী জীবন তাকে কষ্ট দিত এবং তিনি একজন বেসবল খেলোয়াড়ের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৪ সালে ব্রেট লি আবার বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর নাম লানা অ্যান্ডারসন।

ব্যক্তিগত রেকর্ড[সম্পাদনা]

  • ব্রেট লি একমাত্র বোলার যিনি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপআইসিসি টি২০ বিশ্বকাপে হ্যাট্রিক করেন।
  • ব্রেট লি টি২০ ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম হ্যাট্রিক করেন।
  • ওয়ানডেতে অস্টেলিয়ার যৌথ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এবং পুরো বিশ্বে অস্টম, টেস্টে অস্টেলিয়ার চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
  • ব্রেট লি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন। এ সময়ে কখনোই তার দল হারেনি।
  • ব্রেট লি ওডিআইয়ে নয়বার ৫ উইকেট নেন, ফাস্ট বোলারদের মধ্যে শুধু ওয়াকার ইউনুস তার চেয়ে এগিয়ে, ১৩ বার ৫ উইকেট নেন।

দলীয় সাফল্য[সম্পাদনা]

  • ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন।
  • ২০০৬ ও ২০০৯ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চ্যাম্পিয়ন।
  • বিশ্বের ১ নম্বর টেস্ট দলের সদস্য (২০০০-২০০৮)। ব্রেট এ সময়ে ৭৬টি টেস্ট খেলেন ও ৫৪টিতেই জয়ী হন।
  • ২০১২ সালে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে বিগব্যাশ টি২০ লীগ চ্যাম্পিয়ন।
  • ২০০৯ সালে নিউ সাউথ ওয়েলজ ব্লুজের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টি২০ জয়।
  • ২০১২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন।

সঙ্গীত ও অভিনয়[সম্পাদনা]

ব্রেট লি গীটার বাজাতে পারদর্শী। অস্ট্রেলিয়ার ব্যান্ড সিক্স এন্ড আউটের সদস্য তিনি। ২০০৬ সালে ভারতের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আশা ভোঁসলের সঙ্গে একটি গান করেন। গানটি ক্রিকেট বিশ্বে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। এছাড়াও তিনি দুটি ভারতীয় ছবিতে অভিনয় করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "HowSTAT! Player Analysis by Year"। Howstat.com.au। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১১ 
  2. International Bowling Speeds আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ১৮ জুলাই ২০১২ তারিখে. Cricinfo. Retrieved 2 February 2007.
  3. "Farewell Brett Lee, a very modern purveyor of good old-fashioned pace"guardian.co.uk। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০। 
  4. Polack, John (২ আগস্ট ২০০০)। "Lee's action cleared by ICC panel"। Cricinfo 
  5. "Lee beamer lands him in hot water again"Cricinfo। ৪ জুলাই ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০০৭ 
  6. "Beamers are not intentional – Ponting"Cricinfo। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০০৭ 
  7. "HowSTAT! Partnerships (ODI)"। Howstat.com.au। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১১ 
  8. "Lee hat-trick in Australia romp"। BBC। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-১৬ 
  9. "Brett Lee heaps praise on KKR skipper Gautam Gambhir"। ২৯ মে ২০১২। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. "Brett Lee retires from Test cricket after talking to Andrew Flintoff"guardian.co.uk। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০। 
  11. "Andrew Flintoff convinces Brett Lee to call stumps"Sydney Morning Herald। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০। 
  12. "Brett Lee retires from international cricket"। ১৩ জুলাই ২০১২। ১৩ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১২ 
  13. "Lee calls time on international career"। Wisden India। ১৩ জুলাই ২০১২। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  14. Brett Lee: Ireland appoint ex-Australian star as bowling coach
  15. Wisden's Five Cricketers of the Year
  16. "Lee rules himself out of Bangladesh series | Cricket News | Australia v Bangladesh 2008 | ESPN Cricinfo"। Content-aus.cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
রিকি পন্টিং
অ্যালান বোর্ডার পদক
২০০৮
উত্তরসূরী
মাইকেল ক্লার্ক
রিকি পন্টিং