রিচার্ড হ্যাডলি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্যার রিচার্ড হ্যাডলি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরিচার্ড জন হ্যাডলি
জন্ম (1951-07-03) ৩ জুলাই ১৯৫১ (বয়স ৭২)
সেন্ট আলবানস, ক্রাইস্টচার্চ, নিউজিল্যান্ড
ডাকনামপেডেল
উচ্চতা৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবাঁহাতি ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরনডান হাতি ফাস্ট
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কওয়াল্টার হ্যাডলি (পিতা)
ডেল হ্যাডলি (ভ্রাতা)
ব্যারি হ্যাডলি (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১২৭)
২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট৫ জুলাই ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ )
১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই২৫ মে ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭১ - ১৯৮৯ক্যান্টারবারি
১৯৭৮ - ১৯৮৭নটিংহ্যামশায়ার
১৯৭৯ - ১৯৮০তাসমানিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৮৬ ১১৫ ৩৪২ ৩১৮
রানের সংখ্যা ৩১২৪ ১৭৫১ ১২০৫২ ৫২৪১
ব্যাটিং গড় ২৭.১৬ ২১.৬১ ৩১.৭১ ২৪.৩৭
১০০/৫০ ২/১৫ ০/৪ ১৪/৫৯ ১/১৬
সর্বোচ্চ রান ১৫১* ৭৯ ২১০* ১০০*
বল করেছে ২১৯১৮ ৬১৮২ ৬৭৫১৮ ১৬১৮৮
উইকেট ৪৩১ ১৫৮ ১৪৯০ ৪৫৪
বোলিং গড় ২২.২৯ ২১.৫৬ ১৮.১১ ১৮.৮৩
ইনিংসে ৫ উইকেট ৩৬ ১০২
ম্যাচে ১০ উইকেট - ১৮ -
সেরা বোলিং ৯/৫২ ৫/২৫ ৯/৫২ ৬/১২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩৯/০ ২৭/০ ১৯৮/০ ১০০/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ আগস্ট ২০০৬

রিচার্ড জন হ্যাডলি (ইংরেজি: Richard Hadlee; জন্ম: ৩ জুলাই, ১৯৫১) ক্রাইস্টচার্চের সেন্ট আলবানস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিশ্বখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।[১] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন।

১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সময়কালে নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটএকদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতেন। সর্বকালের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডারসহ নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন ‘পেডেল’ ডাকনামে পরিচিত রিচার্ড হ্যাডলি

ঘরোয়া ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৭১ থেকে ১৯৮৯ সময়কালে ক্যান্টারবারির পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে, ১৯৭২-৭৩ মৌসুমের প্লাঙ্কেট শীল্ড প্রতিযোগিতায় ১৫.৬৪ গড়ে ২৮ উইকেট পান। ১৩.৫০ গড়ে ৩২ উইকেট লাভকারী সহোদর ডেল হ্যাডলি’র সাথে বোলিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন তিনি।[২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৭৩ সালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সদস্যরূপে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর থেকেই নাটকীয়ভাবে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট জয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। সিরিজের প্রথম টেস্টে রিচার্ড হ্যাডলি’র অভিষেক ঘটলেও সিরিজের শেষ দুই টেস্টে ডেল হ্যাডলি তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। তবে, কোন ভ্রাতাই খেলায় তেমন প্রভাববিস্তার করতে পারেননি। একই সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম-শ্রেণীর খেলায় প্রাপ্ত ৩৮ উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন। সিরিজের প্রথম টেস্টে উভয় ভ্রাতা একযোগে খেলেন। তবে, রিচার্ড হ্যাডলি ঐ সিরিজের এটিই একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।

১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ভারত দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। ওয়েলিংটন টেস্টে স্বাগতিক দলের বিজয়গাঁথায় এগারো উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। স্বীয় ভ্রাতা ডেল হ্যাডলি পেয়েছিলেন ৩ উইকেট।[৩] ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল নিউজিল্যান্ড সফরে আসে। ওয়েলিংটন টেস্টে নিউজিল্যান্ড দল ইংরেজদের বিপক্ষে ইতিহাসের প্রথম জয় তুলে নেয়। খেলায় তিনি ১০ উইকেট পেলেও ডেল হ্যাডলি তার শেষ টেস্টে উইকেটবিহীন অবস্থায় ছিলেন।[৪]

তিনি তার সময়কালে সেরা পেস বোলার হিসেবে গণ্য হতেন। ৮৬ টেস্ট খেলে ১৯৯০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এই ৮৬ টেস্টের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের জয়ের পরিসংখ্যান ছিল ২২ জয় ও ২৮ পরাজয়। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে ৪৮বার প্রাণান্তকর চেষ্টার পর প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় তার দল। ঐ খেলায় তিনি ১০ উইকেট লাভ করেছিলেন।

বিশ্বরেকর্ড[সম্পাদনা]

১৯৮৮ সালে ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত টেস্টে ভারতের বিরুদ্ধে রিচার্ড হ্যাডলি সর্বাধিক ৩৭৪ টেস্ট উইকেট সংগ্রহ করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। পরবর্তীতে কপিল দেব তার এ রেকর্ডটি ভঙ্গ করেন। এছাড়াও ১৯৯০ সালে ক্রাইস্টচার্চে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে হ্যাডলি ৪০০ উইকেট লাভ করেছিলেন।

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

১৯৮২ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন।

মাত্র দুইজন খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে রিচার্ড হ্যাডলি তিনবার (১৯৮১, ১৯৮৪ ও ১৯৮৭) পিসিএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন। অপরজন হলেন - মার্কাস ট্রেসকোথিক (২০০০, ২০০৯ ও ২০১১)।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

বিশিষ্ট নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ওয়াল্টার হ্যাডলি’র সন্তান তিনি। এছাড়াও প্রথিতযশা ক্রিকেটার ডেল হ্যাডলিব্যারি হ্যাডলি তার সহোদর ভাই। বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটা কারেন তার স্ত্রী ছিলেন ও নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।[৫] এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Murali 'best bowler ever'"BBC News। ডিসেম্বর ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২ 
  2. 1972-73 Plunket Shield bowling averages
  3. New Zealand v India, Wellington 1975-76
  4. New Zealand v England, Wellington 1977-78
  5. "Richard Hadlee"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১২ 
  6. "Aroha Awarau (15 July 2015). "Sir Richard Hadlee's look of love" – Women's Weekly (New Zealand). Retrieved 19 April 2016."। ১৬ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পুরস্কার ও স্বীকৃতি
পূর্বসূরী
ইয়ান বোথাম
বিশ্বরেকর্ড - টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেট লাভকারী
৪৩১ উইকেট (২২.২৯), ৮৬ টেস্টে
রেকর্ড ধারণ: ১২ নভেম্বর, ১৯৮৮ - ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪
উত্তরসূরী
কপিল দেব
নতুন পুরস্কার বর্ষসেরা নিউজিল্যান্ডীয় ক্রীড়াবিদ
১৯৮৭
১৯৮৯
উত্তরসূরী
মার্ক টড
পূর্বসূরী
মার্ক টড
উত্তরসূরী
পিটার ব্ল্যাক