মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার
মোস্তাফিজুর রহমান | |
---|---|
দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৬ – ১৯৮৮ | |
পূর্বসূরী | শওকত আলী |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ সোয়াইব |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ – ১৯৯৬ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ সোয়াইব |
উত্তরসূরী | এ জেড এম রেজওয়ানুল হক |
কাজের মেয়াদ জুন ১৯৯৬ – বর্তমান | |
পূর্বসূরী | এ জেড এম রেজওয়ানুল হক |
| |
কাজের মেয়াদ ২০০৯ – জুন ২০০৯ | |
| |
কাজের মেয়াদ ৩১ জুলাই ২০০৯ – ২১ নভেম্বর ২০১৩ | |
| |
কাজের মেয়াদ ১২ জানুয়ারী ২০১৪ – ৭ জানুয়ারী ২০১৯ [১] | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | দিনাজপুর, বাংলাদেশ | নভেম্বর ২৯, ১৯৫৩
নাগরিকত্ব | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | রাজিনা রহমান |
সন্তান |
|
পিতামাতা | মোবারক হোসেন (বাবা), শাহেদা খাতুন (মা) |
শিক্ষা | স্নাতকোত্তর |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতি |
মন্ত্রীসভা | মন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় |
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (২৯ নভেম্বর ১৯৫৩)[২] বাংলাদেশের দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৮ সালে সপ্তম বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।[৩] তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন।[১] ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা (এফ.এফ) হিসেবে তালিকাভুক্ত হন, এবং সেক্টর-৭ এর অধীনে যুদ্ধ করেন।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]
মোস্তাফিজুর রহমানের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২৯ নভেম্বর দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার জামগ্রাম গ্রামে। তার বাবার নাম মোবারক হোসেন এবং মায়ের নাম শাহেদা খাতুন। তিনি ১৯৬৮ সালে সুজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৭০ সালে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে তিনি ফুলবাড়ি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৭ সালে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে আইন বিষয়েও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
১৯৭৭ সালে মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য হন এবং ফুলবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকও নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে তিনি দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৯২ সাল পর্যন্ত উক্ত পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে মোস্তাফিজুর রহমান দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মত দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ি- পার্বতীপুর) থেকে জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ৩১ জুলাই ২০০৯ থেকে ২১ নভেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করে ৭ জানুয়ারী ২০১৯ পর্যন্ত এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।[১] তিনি ১৫ বছর যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এবং ১০ বছর পাবলিক অ্যাকাউন্টস্ কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।[৪]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ "সাবেক মন্ত্রীবৃন্দ"। mopme.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০২১।
- ↑ "Profile Of Ministers"। The Daily Star। ২০০৯-০১-০৯। ২০১৩-০১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২৮।
- ↑ "নির্বাচনী এলাকাঃ ১০ দিনাজপুর-৫"। www.parliament.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-৩১।
- ↑ "মাননীয় মন্ত্রী |Ministry of Primary and Mass Education- | প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২২।

- ১৯৫৩-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- দিনাজপুর জেলার রাজনীতিবিদ
- তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য
- পঞ্চম জাতীয় সংসদ সদস্য
- সপ্তম জাতীয় সংসদ সদস্য
- অষ্টম জাতীয় সংসদ সদস্য
- নবম জাতীয় সংসদ সদস্য
- দশম জাতীয় সংসদ সদস্য
- একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য
- শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার সদস্য