আনডেসিম্বর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আনডেসিম্বর (ইংরেজি: Undecimber) বা আনডিসেম্বর (ইংরেজি: Undecember) হলো বর্ষপঞ্জিকার ১৩ তম মাসের জন্য একটি নাম যদিও সাধারণ পঞ্জিকাতে মোট বারটি মাস থাকে। তেমনি ডিউডেসিম্বর (Duodecimber) বা ডিউডিসেম্বর (Duodecember) হলো ১৪ তম মাসের একটি নাম।

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

আনডেসিম্বর শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে লাতিন শব্দ undecim (আনডেসিম) থেকে, যার অর্থ এগারো। ডিসেম্বর এর সাথে সদৃশ্যতা রেখে নামটি গঠিত হয়েছে যদিও, গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি এ ব্যবহৃত decem (ডিসেম) অর্থ “দশ”। অক্সফোর্ড ল্যাটিন ডিকশনারি অনুযায়ী আনডিসেম্বর শব্দটি (সংক্ষিপ্ত রূপ Vnde) রোমান শিলালিপি হতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, যা ডিসেম্বর মাসের পরের মাসকে (কল্পিত) সংজ্ঞায়িত করে।[১]

বিশ্ব পঞ্জিকা সংঘ[২] এবং আইজাক আসিমভ[৩] সহ সাম্প্রতিক বেশ কয়েকজন লেখক "আনডিসেম্বর" এবং "ডিউডিসেম্বর"কে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৪ সালে গৃহীত জুলীয় বর্ষপঞ্জির নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যবর্তী দুটি মাস বলে উল্লেখ করেছেন। এই দাবির কোন সমসাময়িক প্রমাণ নেই। সিসারো তার নিজের ভাষায় মাসগুলোকে intercalaris prior (ইন্টারক্যালারিস প্রিওর) এবং intercalaris posterior (ইন্টারক্যালারিস পোস্টেরিওর) নামে উল্লেখ করেছেন।[৪]

ইতিহাসবিদ ক্যাসিয়াস ডিও বলেছেন যে, গলের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি লিসিনাস খ্রিস্টপূর্ব ১৫ সালে দুটি মাস পঞ্জিকাতে যোগ করেছিলেন। কারণ তখনকার সময়ে প্রতি মাসে কর দিতে হতো। গ্রিক ভাষায় লেখার সময় ডিও মাস দুটির নাম উল্লেখ না করলেও আগস্ট ইম্যানুয়েল বেকার প্রস্তাব করেছিলেন যে, এগুলো আনডিসেম্বর এবং ডিউডিসেম্বর নামে ডাকা হয়ে থাকতে পারে।[৫] এটিই হতে পারে দাবিটির মূল কেন্দ্র।

গণনা[সম্পাদনা]

জাভা প্ল্যাটফর্মের স্ট্যান্ডার্ড এডিশনের java.util.Calendar ক্লসে ১৩ মাসের পঞ্জিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[৬] যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ অংশেই বার মাস ভুক্ত গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি ব্যবহৃত হয়, তবুও কিছু চন্দ্র পঞ্জিকা রয়েছে যে গুলো চন্দ্র মাসে বিভক্ত, যেখানে রয়েছে ইন্টারক্যালারি বা "লিপ" মাস যুক্ত কিছু বছর। উদাহরণস্বরূপ, হিব্রু বর্ষপঞ্জীতে প্রতি উনিশ বছরের মধ্যে সাত বছর (৩৭%) "এম্বোলিজমিক মাস" “Adar I” (আদর ১) থাকে।[৬][৭] কনস্ট্যান্ট java.util.Calendar.UNDECIMBER তেমনি একটি মাস উপস্থাপন করে।[৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Glare, P.G. (২০০২)। অক্সফোর্ড ল্যাটিন ডিকশনারি। Clarendon Press। আইএসবিএন 0-19-864224-5 
  2. Jézéquel, Jules (১৯৩৭)। "Why the World Needs This Reform"। জার্নাল অফ ক্যালেন্ডার রিফর্মনিউ ইয়র্ক শহর: ওয়ার্ল্ড ক্যালেন্ডার অ্যাসোসিয়েশন। : ৬৪। 
  3. Asimov, Isaac; John Bradford (১৯৬৩)। The clock we live on (সংশোধিত সংস্করণ)। Collier Books। পৃষ্ঠা ১১৮। আইএসবিএন 0-200-71100-8 
  4. Heitland, W.E. (১৯০৯)। "Chap LVIII: From the Battle of Thapsus to the death of Caesar: 46–44 B.C."। The Roman Republic। ৩য় খণ্ড। কেমব্রিজ: কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৪৭ §১২৬৯। আইএসবিএন 0-89005-577-7 
  5. Cassius Dio (১৯১৪–১৯২৭)। "LIV ২১.৫"। Roman History। Loeb Classical Library (ইংরেজি ভাষায়)। আর্নেস্ট ক্যারি কর্তৃক অনূদিত। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৩৩৫। আইএসবিএন 0-665-72855-7 
  6. Janert, Philipp K. (২০০৭-০৬-০৪)। "Making Sense of Java's Dates"অন জাভা (ইংরেজি ভাষায়)। ও'রেইলি মিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-১৩ 
  7. "In a leap year, is the extra month Adar I or Adar II?"Mi Yodeya StackExchange (ইংরেজি ভাষায়)। 
  8. "java.util Class Calendar: UNDECIMBER"Java Platform, Standard Edition 6: API Specification (ইংরেজি ভাষায়)। সান মাইক্রোসিস্টেম্‌স। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৫-২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]