কেরানীগঞ্জ উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪১′ উত্তর ৯০°২০′ পূর্ব / ২৩.৬৮৩° উত্তর ৯০.৩৩৩° পূর্ব / 23.683; 90.333
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কেরানীগঞ্জ
উপজেলা
মানচিত্রে কেরানীগঞ্জ উপজেলা
মানচিত্রে কেরানীগঞ্জ উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪১′ উত্তর ৯০°২০′ পূর্ব / ২৩.৬৮৩° উত্তর ৯০.৩৩৩° পূর্ব / 23.683; 90.333 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাঢাকা জেলা
সংসদীয় আসনঢাকা-২, ঢাকা-৩
আয়তন
 • মোট১৬৬.৮৭ বর্গকিমি (৬৪.৪৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট৬,০৩,১১৪
 • জনঘনত্ব৩,৬০০/বর্গকিমি (৯,৪০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৮৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৩০ ২৬ ৩৮
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

কেরানীগঞ্জ ঢাকা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। কেরানীগঞ্জের সাবেক আয়তন বর্তমান কেরানীগঞ্জ থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর সহ গাজীপুরের একাংশ- এই বৃহত্তর এলাকাটি কেরানীগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত ছিলো।

আয়তন ও অবস্থান[সম্পাদনা]

কেরানীগঞ্জ ২৩.৬৮৩৩° উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৯০.৩১২৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। ঢাকা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর উপকন্ঠে কেরানীগঞ্জ অবস্থিত। ১৬৬.৮৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত কেরানিগঞ্জ উপজেলার উত্তরে সাভার উপজেলা এবং মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলা, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা, পূর্বে সাভার উপজেলা, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, কোতোয়ালী, সূত্রাপুর, শ্যামপুর এবং নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা, পশ্চিমে নবাবগঞ্জ উপজেলা, মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলামুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলা। প্রধান নদী বুড়িগঙ্গা এবং ধলেশ্বরী। তিনটি আধুনিক সেতু (বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু যা বুড়িগঙ্গা সেতু-১ নামেও পরিচিত, বাবুবাজার ব্রিজ যা বুড়িগঙ্গা সেতু-২ নামে পরিচিত ও শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু, যা বুড়িগঙ্গা সেতু-৩ নামেও পরিচিত) দ্বারা রাজধানী ঢাকার সাথে কেরানীগঞ্জ সংযুক্ত।

তবে কেরানীগঞ্জের সাবেক আয়তন বর্তমান কেরানীগঞ্জ থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর সহ গাজীপুরের একাংশ- এই বৃহত্তর এলাকাটি কেরানীগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত ছিলো।

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

পুলিশ প্রসাশনের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ এখন দু’টি থানায় বিভক্ত যথাঃ কেরানীগঞ্জ মডেল থানাদক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা

এবং ইউনিয়নগুলো হল -

  1. হযরতপুর,
  2. কলাতিয়া,
  3. তারানগর,
  4. শাক্তা,
  5. রোহিতপুর,
  6. বাস্তা,
  7. কালিন্দী,
  8. জিনজিরা,
  9. শুভাঢ্যা,
  10. তেঘরিয়া,
  11. কোন্ডা এবং
  12. আগানগর ইউনিয়ন

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কেরানীগঞ্জ নামকরণের পেছনে যে দুটি সম্ভাব্য ঐতিহাসিক ঘটনাকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয় তার পেছনে ইতিহাস ভিত্তিক কোন শক্ত সমর্থন পাওয়া যায় না। নবাব শায়েস্তা খানের শাসনামলে নবাবের পাইক-পেয়াদা এবং কেরানীরা বুড়িগঙ্গার ওপারে থাকতেন। এজন্য ধারণা করা হয় এই কেরানীদের নামানুসারে কেরানীগঞ্জের নামকরণ হয়েছে। এছাড়া ভিন্ন একটি মত অনুসারে, মোগল আমলে ঢাকার তৃতীয় গভর্নর ইব্রাহীম খাঁনের দুজন কর্মচারী বুড়িগঙ্গার দক্ষিণ পাড়ে বসবাস করতেন। সে থেকে এ এলাকার নাম কেরানিগঞ্জ নামকরণ করা হয়। কেরানীগঞ্জ দ্বীপাকার বলে মোঘল আমলের এক পর্যায়ে এই স্থানের নাম হয় পারজোয়ার। কেরানীগঞ্জের উত্তর ও পূর্ব সীমান্তে রয়েছে বুড়িগঙ্গা, পশ্চিম- দক্ষিণ সীমান্তে রয়েছে ধলেশ্বরী। মোঘল আমলে ধলেশ্বরী নদীর নাম ছিল ঢল সওয়ার। জোয়ার শব্দের অর্থ অঞ্চল এবং পার শব্দের অর্থ তট। সম্ভবত এই জন্যই মোঘল আমলে এই এলাকার নাম রাখা হয়েছিল পারজোয়ার যা আজও কেরানীগঞ্জের ছোট একটি এলাকার নাম হিসেবে বিদ্যমান।

ঐতিহাসিকভাবে, ১৭৫৭ সালে শাসক পরিবর্তনের পর নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রী এবং তার এক খালা কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরাতে কারাবন্দী ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় কৌশলগতভাবে বিশেষত গেরিলা যুদ্ধের ক্ষেত্রে কেরানীগঞ্জ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকা শহরে পরিচালিত অধিকাংশ গেরিলা যুদ্ধ পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা হয় কেরানীগঞ্জ থেকে এবং এজন্য অনেক মূল্যও দিতে হয়েছে। পাকিস্থানি সেনারা কোনাখোলা, বাস্তা, ব্রাক্ষ্মণকৃর্থ, ঘাটারচর, মনোহরিয়া, জয়নগর, গোয়ালখালি, খাগাইল ও খোলামোড়ার বহু বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। গেরিলারা পরবর্তীতে এখান হতে পাকিস্থানি সেনাদের ওপরে ব্যাপক গেরিলা আক্রমণ চালায়।

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কেরানীগঞ্জের জনসংখ্যা ছিল ৫,৩০,১৭৪ জন। এর মধ্যে ৫৪.৬ শতাংশ পুরষ এবং ৪৫.৪ শতাংশ নারী। ১৮ উর্দ্ধ জনসংখ্যা ছিল ২,৮৩,৯৯৭ জন। সেসময় এই উপজেলায় ৭-উর্দ্ধ বয়সী জনসংখ্যার ৩৭.৭% স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন ছিল যা জাতীয় গড় সাক্ষরতার ৩২.৪ শতাংশ।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২২ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]