বিতর নামাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
'''বিতর নামাজ''' রাতে ইশার নামাজ আদায়ের পরে পড়তে হয়। ইশার নামাজের পর থেকে [[ফজরের নামাজ|ফজরের নামাজের]] পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় বিতর নামাজ পড়া যায়। |
'''বিতর নামাজ''' রাতে ইশার নামাজ আদায়ের পরে পড়তে হয়। ইশার নামাজের পর থেকে [[ফজরের নামাজ|ফজরের নামাজের]] পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় বিতর নামাজ পড়া যায়। |
||
বিতর শব্দের অর্থ বিজোড়। [[ইশার নামাজ|ইশার নামাজের]] পর |
বিতর শব্দের অর্থ বিজোড়। [[ইশার নামাজ|ইশার নামাজের]] পর ৩ রাকআত বিতর নামাজ আদায় করা [[ওয়াজিব]]।<ref>দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পৃষ্ঠা - ২৭১</ref> |
||
==হাদীস== |
==হাদীস== |
১৭:১৯, ১১ মে ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বিতর নামাজ রাতে ইশার নামাজ আদায়ের পরে পড়তে হয়। ইশার নামাজের পর থেকে ফজরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় বিতর নামাজ পড়া যায়।
বিতর শব্দের অর্থ বিজোড়। ইশার নামাজের পর ৩ রাকআত বিতর নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।[১]
হাদীস
বিতর নামাজ সম্পর্কে ইসলামের রাসুল মুহাম্মদ(সাঃ) বলেছেন:
- " আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে আরও একটি অতিরিক্ত নামাজ দিয়েছেন, যা তোমাদের সর্বাধিক প্রিয় লাল রঙের উটের চেয়েও উত্তম।সেটা হচ্ছে বিতর নামাজ। "[২]
- " বিতর নামাজ ওয়াজিব। যে ব্যক্তি বিতর আদায় করবে না, আমাদের জামায়াতের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। "[৩][যাচাই প্রয়োজন][৪]
বিতর নামাজের পদ্ধতি
বিতর নামায এক রাকাত থেকে এগারো রাকআত পড়া যায়। তিন রাকআত বিতরের নামাযের পদ্ধতি নিয়ে মুসলিদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। অধিকাংশ অনেকের মতে, সাহাবী মাগরিবের মতই বিতির আদায় করতেন। অর্থাৎ তিন রাকাআত বিতর নামাজে মাগরিবের ন্যায় দুরাকায়াত পড়ে তাশাহুদ পড়ে সালাম না ফিরিয়ে দাড়িয়ে তৃতীয় রাকায়াত পড়ে তারপর সালাম ফিরাবে। অনেকের মতে নবী (সাঃ) দ্বিতীয় রাকআতে বৈঠকে না বসে ও তাশাহুদ না পড়ে তিন রাকআত বিতর সালাত আদায় করতেন।
তৃতীয় রাকআতে উঠে সূরা ফাতেহার পর অন্য কোন সূরা বা আয়াত পড়তে হবে। তারপর দোয়া কূনুত পাঠ করে রুকুতে যেতে হবে, আবার রুকুর পরেও দোয়া কূনুত পড়া যায়। এবং অন্যান্য নামাজের মতো শেষ করতে হবে।
দোয়া কুনুত
দোয়া কুনুত (আরবি: القنوت বিতর নামাজের শেষ রাকাতে পড়তে হয়।[৫] শেষ রাক্বাতে সূরা পাঠ শেষে কানের লতি অবধি হাতে উঠিয়ে তাকবির দিয়ে পুনরায় পেটের ওপর হাত বাঁধতে হয় এবং অনুচ্চ স্বরে দোয়া কুনুত পাঠ করতে হয়। দোয়া কুনুত পড়ার পর তাকবির অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে রুকুতে যেতে হয়। হানাফি মাজহাব অনুযায়ী প্রধান কুনুত হল নিম্নোক্ত যা কুনুতে নাজেলা বা বিপদকালীন কুনুত নামে পরিচিতঃ
اَللَّهُمَّ اِنَّ نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তায়ীনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু'মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস'আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক।[৬]
এছাড়াও হাদীসে আরও কতিপয় কুনুতের উল্লেখ রয়েছে।
তথ্যসূত্র
- ↑ দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পৃষ্ঠা - ২৭১
- ↑ মুমিনের জীবনযাপন পদ্ধতি, ডাঃ মাহমূদ (অনুবাদক- মহিউদ্দিন খান) পৃষ্ঠা -২৯৩
- ↑ আবু দাউদ শরীফ, সূত্রঃ মিশকাত, পৃষ্ঠা -১১৩
- ↑ বেসিক নলেজ অব ইসলাম,আ ন ম শহীদুল ইসলাম, পৃষ্ঠা -১০৬
- ↑ "দোয়া কুনুত ও ফজিলত - ইসলাম"। Premier News Syndicate Limited (PNS)। ২০১৬-০২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-০২।
- ↑ "দোয়া কুনুত"। ২০১৮-০৫-০২।