বিষয়বস্তুতে চলুন

মিরপুর উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′৫৪″ উত্তর ৮৯°০′১৫″ পূর্ব / ২৩.৯৩১৬৭° উত্তর ৮৯.০০৪১৭° পূর্ব / 23.93167; 89.00417
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(মীরপুর উপজেলা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
মিরপুর
উপজেলা
মানচিত্রে মিরপুর উপজেলা
মানচিত্রে মিরপুর উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৫′৫৪″ উত্তর ৮৯°০′১৫″ পূর্ব / ২৩.৯৩১৬৭° উত্তর ৮৯.০০৪১৭° পূর্ব / 23.93167; 89.00417 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাকুষ্টিয়া জেলা
জাতীয় সংসদ আসনবাংলাদেশ-৭৬,কুষ্টিয়া-২
সরকার
 • সংসদ সদস্যহাসানুল হক ইনু (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ)))
আয়তন
 • মোট২৯৬.৩১ বর্গকিমি (১১৪.৪১ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা []
 • মোট২,৮২,৭৬০
 • জনঘনত্ব৯৫০/বর্গকিমি (২,৫০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৮৭%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ৫০ ৯৪
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

মিরপুর উপজেলা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন

[সম্পাদনা]

মিরপুর উপজেলা (কুষ্টিয়া জেলা) আয়তন: ৩১৭.৩৫ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪৫´ থেকে ২৪°০০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৫০´ থেকে ৮৯°০৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এর উত্তরে ভেড়ামারা উপজেলাপাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা, দক্ষিণে আলমডাঙ্গা উপজেলাকুষ্টিয়া সদর উপজেলা, পূর্বে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা, পশ্চিমে দৌলতপুর উপজেলা, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলাচুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রশাসনিক এলাকা

[সম্পাদনা]

প্রশাসন মিরপুর থানা গঠিত হয় ১৮৮৫ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১ আগস্ট ১৯৮৩ সালে। মিরপুর থানায় ১১৬টি মৌজা এবং ১৯২টি মৌজা রয়েছে। এছাড়াও ১টি পৌরসভা এবং ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

পৌরসভা

[সম্পাদনা]
নং নাম আয়তন(বর্গ কি.মি.) জনসংখ্যা (২০১১) প্রতিষ্ঠাকাল(ইং)
০১ মিরপুর পৌরসভা ৯.২২ ২১,৬৫৩ জন ১৭ই মে, ১৯৯৮

ইউনিয়নসমূহ

[সম্পাদনা]
নং নাম আয়তন(বর্গ কি.মি.) প্রতিষ্ঠাকাল(ইং)
০১ চিথলিয়া ইউনিয়ন ৮২.৮৮ ২০১২
০২ বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ৪৬.১৭
০৩ তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন ৪২.১১ ১৯৪৩
০৪ বারুইপাড়া ইউনিয়ন ৭৪.৮৮
০৫ ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন
০৬ আমলা ইউনিয়ন
০৭ সদরপুর ইউনিয়ন ৭৭.৫২
০৮ ছাতিয়ান ইউনিয়ন
০৯ পোড়াদহ ইউনিয়ন ৭৩.০৪
১০ কুর্শা ইউনিয়ন ২৫.৩৮ ১৯৩৭
১১ মালিহাদ ইউনিয়ন ৭৫ .৮১
১২ আমবাড়ীয়া ইউনিয়ন
১৩ ধুবইল ইউনিয়ন ২৫.৩৮

জনসংখ্যা

[সম্পাদনা]

২০১১-এর আদমশুমারী অনুসারে, এর জনসংখ্যা ৩,১৫,০০০। এর মধ্যে মুসলিম ২৭৮৭৫৭, হিন্দু ৬২৫২ এবং অন্যান্য ৮০। এ উপজেলায় কোল ও বুনো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

নদীসমূহ

[সম্পাদনা]
নং নাম চিত্র উৎপত্তি স্থল
০১ পদ্মা নদী
পদ্মা নদী
গঙ্গোত্রী হিমবাহ
০২ কুমার নদ
০৩ গড়াই নদী
গড়াই নদী
পদ্মা নদী
০৪ সাগরখালী নদী
সাগরখালী নদী।

স্বাস্থ্য

[সম্পাদনা]

উপজেলাটিতে "৫০শয্যা বিশিষ্ট মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স" রয়েছে।

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

শিক্ষার দিক দিয়ে মিরপুর উপজেলা অনেক এগিয়ে।এখানে ২ টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে । আমলা সরকারি কলেজ ও মিরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়। এছাড়া দেশের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যালয় আমলা সদরপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় যা ১৮৯৯ সালে স্থাপিত। এছাড়া অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

কৃষিকাজ হল এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম। তাছাড়া কিছু আঞ্চলে এখুনও পুরানো তাত শিল্পের প্রচলন আছে। নতুন করে এখানে ছোট ও মাঝারি মানের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

[সম্পাদনা]

এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা ভালো না হলেও চলাচল উপযোগী। তবে বর্ষা কালে এখান কার বেশকিছু গ্রামের রাস্তা বৃষ্টির ফলে কাদা হয়ে যায়। তার ফলে এখান কার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। তবে এখন এর উন্নয়ন কাজ চলছে। খুব তরাতারি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে। তাছাড়া শহরের রাস্তার অবস্থা অনেক ভালো। এবং অনেক ধরনের গাড়ি চলাচল করে। তেমন: বাস,টাক,অটো,সিএনজি, পাখি-ভ্যান সহ নানা ধরনের গাড়ি চলাচল করে। যাতে খুব সহজে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।

উল্লেখযোগ্য রাস্তা

[সম্পাদনা]
  • কুষ্টিয়া মিরপুর হাইওয়ে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

[সম্পাদনা]
  • ড.রাধা বিনোদ পাল: বিখ্যাত আইনবিদ, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ২য় মহাযুদ্ধের সময় হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের অন্যতম প্রধান বিচারক।
  • মোঃ আফতাব উদ্দিন খান, মুক্তিযুদ্ধের আন্যতম সংগঠক, কুষ্টিয়া জেলার সর্ববৃহত গেরিলা য়ুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী গেরিলা কমান্ডার, এই যুদ্ধে ২৬ নভেম্বর ভোর ৫টায় উভয় পক্ষ পরস্পর মুখোমুখি হয়। ৬ ঘণ্টাব্যাপী তুমুল যুদ্ধের পর পাকবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ যুদ্ধে ৬০ জন পাক সৈন্য নিহত হয়। ৮ ডিসেম্বর ভোরে ই-৯ এর গ্রুপ কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান ১৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মিরপুর থানায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা গান স্যালুটের মাধ্যমে উত্তোলন করেন।
  • কাজী আরেফ - মুক্তিযুদ্ধের আন্যতম সংগঠক।
  • আব্দুর রউফ চৌধুরী - রাজনীতিবিদ
  • প্যারীসুন্দরী দেবী - মিরপুর উপজেলার সদরপুরের অধিবাসী। (জন্ম-১৮০০, মৃত্যু-১৮৭০। নীলকর টমাস আইভান কেনির কৃষকদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন করেন।)
  • বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম-মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের অধিবাসী।
  • মারফত আলী - মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগটক। বিএলএফ প্রধান,জনদরদী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত।
  • কামারুল আরেফিন -রাজনীতিবিদ ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান।
  • ডঃ ইমদাদুল হক খান- নাসা গবেষক।
  • সিপাহী সজিব আলী মালিথা - সদস্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
  • বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকি -সুপ্রিমকোট।
  • মো টিপু সুলতান -অতিরিক্ত সচিব,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
  • মো মোমিনুর রহমান মোমিন - আবহাওয়া অফিসার।

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা

[সম্পাদনা]
  • বি এ ডি সি ফার্ম।
  • আমলা মিরপুর কুষ্টিয়া।
  • ভগবান নিবাস - আমলা।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার (জুন ২০১৪)। "এক নজরে মিরপুর"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি ও বেসিস। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারী ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]