মুহাম্মদ ইউনুস (পণ্ডিত)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শায়খুল আরব ওয়াল আজম

হাজী মুহাম্মদ ইউনুস
হাজী মুহাম্মদ ইউনুস
মহাপরিচালক, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া
অফিসে
১৯৫৯ – ১৯৯২
পূর্বসূরীআজিজুল হক
উত্তরসূরীহারুন ইসলামাবাদী
সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ
অফিসে
১৯৭৮ – ১৯৯২
উত্তরসূরীহারুন ইসলামাবাদী
সদস্য, বিশ্ব মুসলিম লীগ, মসজিদ শাখা
অফিসে
১৯৭৪ – ১৯৯২
সভাপতি, ইদারাতুল মাআরিফ
অফিসে
১৯৬৯ – ১৯৭৬
পূর্বসূরীশামসুল হক ফরিদপুরী
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৯০৬
মৃত্যু১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২(1992-02-14) (বয়স ৮৫–৮৬)
চট্টগ্রাম উপশম হাসপাতাল
সমাধিস্থলমাকবারায়ে আজিজী, জামিয়া পটিয়া
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাবাংলাদেশি
সন্তান
  • মুহাম্মদ ইউসুফ
  • মুহাম্মদ হাসান
  • মুহাম্মদ হুসাইন
  • মুহাম্মদ জাহেদুল্লাহ
  • মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান
  • হাফেজ মুজ্জাম্মিল
  • মুহাম্মদ খালেদ
পিতামাতা
  • আব্দুল জাব্বার চৌধুরী (পিতা)
  • রিয়াযুন্নিসা (মাতা)
জাতিসত্তাবাঙালি
যুগআধুনিক
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহহাদিস, ইসলামি ইতিহাস, তাসাউফ, সমাজসেবা, দাওয়াহ
উল্লেখযোগ্য কাজ
  • মাসিক আত তাওহীদ
  • বালাগুশ শরক
  • বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থা
  • ইসলামি সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ
  • ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র বান্দরবান
  • সুখবিলাস ইসলামি মিশনারী সেন্টার
  • ফয়জিয়া তাজবিদুল কুরআন মাদ্রাসা ইছাপুর
যেখানের শিক্ষার্থী
ঊর্ধ্বতন পদ

হাজী মুহাম্মদ ইউনুস ( ১৯০৬ — ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ ) ছিলেন একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, দায়ী, সমাজসেবক, দানশীল ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার ২য় মহাপরিচালক ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বিশ্ব মুসলিম লীগের মসজিদ কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন। তিনি প্রায় ১৫০০ মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ ও সংস্কার করেছিলেন। মক্কার মসজিদুল হারামের ইমাম তাকে ‘শায়খুল আরব ওয়াল আজম’ (আরব ও অনারবদের অভিভাবক) উপাধিতে ভূষিত করেন। অত্যধিক বার হজ্জ করার কারণে তিনি ‘হাজী সাহেব’ নামেই সুপরিচিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সকল মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষক এবং কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক সংস্থার সভাপতি ছিলেন।[১]

জন্ম ও বংশ[সম্পাদনা]

ইউনুস ১৯০৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাস্থ উত্তর মেখল রহিমপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল জব্বার চৌধুরী ছিলেন একজন জমিদার ও তার মাতা রিয়াযুন্নিসা। তিনি ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকরের বংশধর। চার বছর বয়সে তার পিতা মারা যান।[২]

শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

পাঁচ বছর বয়সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়। ছয় বছর বয়সে জনৈক মিয়াজির[ক] কাছে কুরআন শিক্ষা আরম্ভ করেন। দুই বছরে কুরআন শিক্ষা সমাপ্ত করলেও তা বিশুদ্ধ না হওয়ায় মায়ের পরামর্শে দারুল উলুম হাটহাজারীতে কারী মকবুল আহমদ বরিশালীর তত্ত্বাবধানে আবার কুরআন শিক্ষা শুরু করেন। পৌনে ৯ বছর বয়সে বিশুদ্ধ কুরআন শিক্ষা সমাপ্তির পর দারুল উলুম হাটহাজারীতে এর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম কারী ইব্রাহিমের কাছে বেহেশতী জেওর’ ও অন্যান্য গ্রন্থ পড়েন। এসময় বেহেশতী জেওরের লেখক আশরাফ আলী থানভীর প্রতি প্রভাবিত হয়ে পড়েন। পরের বছর ফার্সি বই পড়া শুরু করেন। রমজানে হাবিবুল্লাহ কুরাইশীর কাছে গুলিস্তা পড়েন। এরপর দারুল উলুম হাটহাজারীতে জামাতে হাশতুমে (মাধ্যমিক) ভর্তি হয়ে জামাতে উলা (স্নাতক) পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। এসময় জমিরুদ্দিন আহমদের সাথে তার আধ্যাত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।[২]

উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য জমিরুদ্দিনের পরামর্শে আনু. ১৯৩২ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দ গমন করেন। দেওবন্দে তিনি পাঁচ বছর অধ্যায়ন করেন। এখানে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স), দর্শনতাফসীরের উচ্চশিক্ষা লাভের পর আতিকুর রহমানের কাছে কুরআনের হেফজ (মুখস্থ) সম্পন্ন করেন।[২]

তার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে: হাবিবুল্লাহ কুরাইশি, সাইদ আহমদ সন্দ্বীপি, শাহ আব্দুল ওয়াহহাব,মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, ছিদ্দিক আহমদ, আসগর হুসাইন দেওবন্দি, মুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি, হুসাইন আহমদ মাদানি, মুহাম্মদ শফী উসমানি, মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভি, ইজাজ আলী আমরুহী, শাব্বির আহমেদ উসমানি, কারী মুহাম্মদ তৈয়বের মত প্রমুখ খ্যাতিমান ব্যক্তি।[২]

তাসাউফ[সম্পাদনা]

দারুল উলুম হাটহাজারীতে অধ্যায়নকালে ১১ বছর বয়সে জমিরুদ্দিন আহমদের নিকট আধ্যাত্মিক দীক্ষা নেন। দেওবন্দ যাওয়ার সময় জমিরুদ্দিন তাকে খেলাফত[খ] প্রদান করেন। দেওবন্দে অধ্যায়নকালে তিনি আশরাফ আলী থানভীর সান্নিধ্যে যেতেন এবং রমজানের শেষ দশ দিন থানভীর সাথে ইতিকাফ করতেন। এছাড়াও তিনি থানভীর খলিফা মুসা মুহাজিরে মক্কীর খেলাফত পেয়েছিলেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

দেওবন্দ থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর তিনি জমিরুদ্দিন আহমদআজিজুল হকের সাথে হজ্জে গমন করেন। এই সফরে পটিয়ায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। আজিজুল হক হজ্জ শেষে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া প্রতিষ্ঠা করেন এবং মুহাম্মদ ইউনুস মক্কায় থেকে যান। কিছুকাল মক্কা-মদিনায় অবস্থানের পর ১৯৪৫ সালে দেশে ফিরে তিনি আজিজিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগ দেন।[গ] এরপর আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ায় চলে আসেন। জামিয়া পটিয়ায় বিভিন্ন মেয়াদে শিক্ষাসচিব, উপপরিচালকের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৫৯ সালে তিনি মহাপরিচালক নিযুক্ত হন এবং আমৃত্যু এই পদে ছিলেন।[৩]

অবদান[সম্পাদনা]

১৯৭৪ সালে তিনি মক্কাভিত্তিক বিশ্ব মুসলিম লীগের মসজিদ কমিটির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের ২০—২৩ সেপ্টেম্বর মক্কায় অনুষ্ঠিত উক্ত সংস্থার চারদিন ব্যাপী সম্মেলনে তিনি ভাষণ দেন। ১৯৮৭ সালে করাচিতে অনুষ্ঠিত মসজিদ কমিটির এশিয়া সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৭৯ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক সীরাত সম্মেলনে বিশ্বের ৫১টি দেশের বাছাই করা ব্যক্তিবর্গের মধ্যে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।[৪] ১৯৭৯ সালে তিনি কোন আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই মসজিদ আল-হারামের ইমামকে পটিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় দাওয়াত প্রদান করেন। জামিয়া পটিয়াকে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এজন্য তিনি প্রথমে জামিয়ার শিক্ষা সংস্কার করেন। জামিয়ার শিক্ষাব্যবস্থাকে তিনি কয়েকটি ভাগে ভাগ করেন :[২]

  • কিন্ডার গার্টেন
  • প্রাথমিক স্তর
  • মাধ্যমিক স্তর
  • উচ্চমাধ্যমিক
  • স্নাতক স্তর

স্নাতকোত্তর পরবর্তী তিনি তাজবীদ ও তাফসির বিভাগ, উচ্চতর ইসলামি আইন ও গবেষণা বিভাগ, উচ্চতর বাংলা সাহিত্য ও গবেষণা বিভাগ, উচ্চতর উলুমুল হাদিস ও গবেষণা বিভাগ, উচ্চতর আরবি সাহিত্য ও গবেষণা বিভাগ চালু করেন। তার মধ্যে ইসলামি আইন ও গবেষণা বিভাগ এবং বাংলা সাহিত্য ও গবেষণা বিভাগ ছিল বাংলাদেশে প্রথম।[২] ১৯৬০ সালে তিনি জামিয়া পটিয়ার একটি সংবিধান রচনা করেন।[৫]

উপাধি

মসজিদ আল-হারামের ইমাম তাকে শায়খুল আরব ওয়াল আজম (আরব ও অনারবদের অভিভাবক) উপাধিতে ভূষিত করেছিল। তিনি ৫৭ বার হজ্জ করেছিলেন। মুফতি আজিজুল হক তাকে হাজী সাহেব নামে ডাকতেন। পরবর্তীতে তিনি এ নামেই সমাধিক পরিচিত হন।[৬] আবুল হাসান আলী নদভী তাকে আলেমদের অভিভাবক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।[৭]

মাসিক আত-তাওহীদ

প্রকাশের পর থেকে যে সমস্ত ইসলামি পত্রিকা ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে তার মধ্যে মাসিক আত তাওহীদ অন্যতম। প্রায় ৪৯ বছর ধরে চট্টগ্রামের আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া থেকে প্রকাশিত হচ্ছে এই পত্রিকা। ১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন হাজী ইউনুস। বর্তমানে ইসলামি পত্র-পত্রিকার মধ্যে মাসিক মদীনার পরেই এর অবস্থান।[২]

আরও কয়েকটি পত্রপত্রিকা

তার পৃষ্ঠপোষকতায় জামিয়া পটিয়ার বাংলা বিভাগ থেকে ‘দর্পণ’ নামে একটি বাংলা পত্রিকা বের হত। তবে এটি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বাংলাদেশে আরবি ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘আরবি ভাষা কমপ্লেক্স বাংলাদেশ’। তবে এটি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এখান থেকে সুলতান যওক নদভীর সম্পাদনায় ‘আস-সুবহুল জাদীদ’ নামে একটি আরবি পত্রিকা বের করা হয়। এটি বন্ধ হয়ে ‘আত-তাবলীগ’ নামে আরেকটি আরবি পত্রিকা চালু হয়। এটিও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৮০ সালের দিকে ‘আল-আজিজ’ নামে একটি আরবি দেয়ালিকা বের হত। তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ‘আল-ফাজরুল জাদীদ’ নামে আরেকটি দেয়ালিকা বের হয়। পরবর্তীতে এটিও বন্ধ হয়ে যায়।[৮]

তার উদ্যোগে একটি সফল প্রকাশনা ‘বালাগুশ শরক’। এই আরবি-ইংরেজি পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ হামযাহ। এর প্রকাশনা এখনো অব্যাহত রয়েছে।[২]

অবকাঠামো

বাংলাদেশের বড় মসজিদের তালিকায় আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার কেন্দ্রীয় মসজিদ অন্যতম। সাত তলা মিনার ও তিনতলা বিশিষ্ট এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন মুহাম্মদ ইউনুস। জামিয়া পটিয়ার দক্ষিণ পাশে তিনি নির্মাণ করেন একটি বৃহদাকারের শিক্ষা ভবন। যার তৃতীয় তলায় একটি মিলনায়তন রয়েছে এবং এর ধারণক্ষমতা প্রায় ৫০০০। শিক্ষা ভবনের পেছনে চারতলা বিশিষ্ট ‘দারে জাদীদ’ নামে একটি ছাত্রাবাস ও একটি মসজিদ নির্মাণ করেন, যা ছোট মসজিদ নামে পরিচিত। তার জীবদ্দশায় এর দুইতলা সম্পন্ন হয়েছিল। শিক্ষা ভবনের সামনে কারুকার্যখচিত তিনতলা বিশিষ্ট একটি হেফজখানা ও ১৯৮৭ সালের দিকে চারতলা ফাউন্ডেশনের একটি ভবন নির্মাণ শুরু করেন। এছাড়াও তিনি জামিয়ার দুই তলা বিশিষ্ট শৌচাগার, গভীর নলকূপ, পাঁচটি কোয়ার্টার নির্মাণ ও জামিয়ার অভ্যন্তরে ছোট-বড় দুটি পুকুর খনন করেছিলেন।[২]

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

বাংলাদেশের মুসলমানদের সাথে আন্তর্জাতিক মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্পর্ক বিনির্মানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।[৯] ১৯৮০ সালে তার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ আসেন তৎকালীন মসজিদ আল-হারামের ইমাম আব্দুল্লাহ বিন সুবাইল। ১৯৭৯ সালে এসেছিলেন মিশরের বিখ্যাত ইসলামি পণ্ডিত ইউসূফ আল-কারযাভী। এছাড়াও যেসব খ্যাতনামা ইসলামি পণ্ডিত জামিয়া পটিয়া ভ্রমণ করেছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:[২]

শিক্ষা চুক্তি

১৯৭১ সালে তিনি সৌদি আরব ভ্রমণে যান। তার সফরসঙ্গী ছিলেন মুফতি আব্দুর রহমান, আমজাদ আলী খান ও রমিজ উদ্দিন। এই সফরে তিনি মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসির সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। হাজী ইউনুসের অল্প কথায় তিনি জামিয়া পটিয়ার সাথে শিক্ষাচুক্তি সম্পাদনে রাজি হয়ে যান। তখন থেকে জামিয়া পটিয়ার ছাত্ররা মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনে যেতে পারে।[২]

বেফাক ও ইত্তেহাদ

বাংলাদেশে কওমি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ সবচেয়ে বড়, যা বেফাক নামে পরিচিত। হাজী ইউনুস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৯ সালে আজিজুল হক প্রতিষ্ঠা করেন আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ যা ইত্তেহাদ নামে পরিচিত। প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মধ্যে আজিজুল হক মারা যাওয়ার পর তিনি এই বোর্ডের হাল ধরেছিলেন।[৪]

আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ইসলামি মহাসম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ’। তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আব্দুল হালিম বুখারী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজ ময়দানে সর্ববৃহৎ গণজামায়েতের মধ্য দিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এই সংস্থার মাধ্যমে সারাদেশে আন্তর্জাতিক ইসলামি মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।[২][১০]

মসজিদ ও মাদ্রাসা

তিনি প্রায় ১৫০০ মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ ও সংস্কার করেন। তিনি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সকল মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯৭৯ সালে জামিয়া জিরির জন্য সহিহ বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ কিনে অধিকাংশ খন্ড নিজের কাঁধে বহন করে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার মজলিসে শুরার সদস্য ছিলেন। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ইসলামী গণজাগরণের নেতা শাহ আহমদ শফীকে তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক নিযুক্ত করেছিলেন।[২]

ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র বান্দরবান।

পার্বত্য অঞ্চল হওয়ায় বান্দরবান শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক পিছিয়ে ছিল এবং এর পরিবেশ মুসলিমদের অনূকূলে ছিল না। এই বৈরী পরিবেশে ইসলামী শিক্ষা প্রচারের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র বান্দরবান। বর্তমানে এখানে কিতাব বিভাগ, নাদি সাকাফি সাহিত্য সংগঠন, শেখ ইউনুস ছাত্র পাঠাগার, আবুল হাসান আলী নদভী মিলনায়তন, এতিমখানা, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হাসপাতাল ইত্যাদি রয়েছে। বর্তমানে এর অধ্যক্ষ হুসাইন মুহাম্মদ ইউনুস।[৩]

ইসলামি মিশনারি সেন্টার সুখবিলাস

খ্রিস্টান মিশনারীদের মোকাবেলায় ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানার সিনাই পর্বতের কাছাকাছি এলাকায় তিনি এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার সাথে সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন একটি হাসপাতাল, নওমুসলিম পুনর্বাসন প্রকল্প, কৃষি খামার ও মহিলা মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। বর্তমানে মাদ্রাসাটি রাঙ্গুনিয়ার একটি বৃহৎ ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর অধ্যক্ষ মীর কাসেম।[৩]

ফয়জিয়া তাজবীদুল কুরআন মাদ্রাসা ইছাপুর

১৯৭৩ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি রোডের দক্ষিণে একটি ইবাদাতখানার পাশে মাদ্রাসাটি নির্মাণ করেন। স্বীয় পীর মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহর নামানুসারে তিনি এর নাম রাখেন ‘ফয়জিয়া তাজবীদুল কুরআন মাদ্রাসা’। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় ৩১জন শিক্ষক ও প্রায় ৭০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এবং এর বর্তমান অধ্যক্ষ জাহেদুল্লাহ।[৩]

হাসপাতাল নির্মাণ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দানশীল ব্যক্তিত্ব আলি সালেমের সহয়তায় ১৯৮৩ সালে তিনি সুখবিলাস, রাঙ্গুনিয়ায় একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৮ সালে এর নির্মাণ সম্পন্ন হয়। ১৯৯০ সালের দিকে এটি ৩০ শয্যায় উন্নীত হয়।[২]

আরও কয়েকটি সংস্থা [২]
  • বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থা: হেফজ মাদ্রাসা সমূহের একটি সংগঠন, ১৯৭৬ সালে হাজী ইউনুস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি প্রতি বছর জাতীয় হেফজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।[১১]
  • ইসলামি ত্রাণ কমিটি: ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর সমাজসেবার উদ্দেশ্যে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
  • আঞ্জুমানে তাহাফফুজে ইসলাম: সমাজতন্ত্রের মোকাবেলায় ইসলামি মতাদর্শ প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত।
  • তানযীমে আহলে হক: ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটিও একটি ইসলামি সংগঠন।
  • ফুরকানিয়া সংস্থা: শিশুদের ইসলামি শিক্ষা প্রদানের নিমিত্তে প্রতিষ্ঠিত।
বিবিধ

তিনি শামসুল হক ফরিদপুরীর প্রতিষ্ঠিত ইদারাতুল মাআরিফের ২য় সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুর দুই মাস পূর্বে তিনি বাংলাদেশ ইসলামি গবেষণা পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নেন। তার মৃত্যুর পর হারুন ইসলামাবাদী এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[৮]

দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা]

১৯৭০ সালে মুহাম্মদ ইউনুস তৎকালীন পূর্বপশ্চিম পাকিস্তানের আহলে সুন্নাত বা দেওবন্দি, বেরলভি, আহলে হাদিস, শিয়াসহ বিভিন্ন মতের ২৩১ জন শীর্ষস্থানীয় আলেমগণের সাথে এক যুক্ত ফতওয়া প্রদান করেন। এ ফতওয়ার মাধ্যমে তিনি ইসলাম ও পাকিস্তানের পক্ষে সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদকে সবচেয়ে বড় বিপদ ও ফিতনা আখ্যায়িত করেন এবং এসবের বিরুদ্ধে জিহাদ করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ বলে ঘোষণা দেন।[১২]

ঐতিহাসিক এ ফতওয়ায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, যেসব দল সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে খাঁটি ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তারা সবাই জিহাদে লিপ্ত, তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা ও ভোট দেয়া শরীয়ত মতে জিহাদের পর্যায়ভুক্ত। ফতওয়ায় স্বাক্ষরকারী ওলামাদের মতে সমাজতন্ত্রের দাবীদার দলগুলো কুরআনসুন্নাহ এবং ইসলামের বিদ্রোহী। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা, তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া প্রভৃতি কুফরের সহযোগিতারই নামান্তর ও কঠোরভাবে হারাম। তদ্রূপ আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদের প্রচার ও তাতে সাহায্য-সহযোগিতা করাও নাজায়েজ ও পাপ।[১২]

রাজনীতি[সম্পাদনা]

১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের করাচিতে জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের সংবাদ সম্মেলনে হাজী ইউনুস (বাম দিক থেকে ২য়)

ছিদ্দিক আহমদ, আতহার আলি প্রমুখ ছিলেন তার রাজনৈতিক গুরু।[১৩] সাহিত্যিক সিরাজুদ্দিন ইমাম লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক ময়দানে তার পদচারণাও বড় চমৎকার। তিনি ধর্ম ও রাজনীতিকে বিভক্ত করতেন না। ছাত্রজীবনের পর তিনি জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের নেতৃত্বে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।’ [১৪] তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সারাজীবন রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও পাকিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।[১৫] তিনি ১৯৬৯ সালে করাচিতে অনুষ্ঠান নেজামে ইসলাম পার্টির সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছিলেন। ১৯৮৬ সালে জমিয়ত উলামায়ে ইসলামনেজামে ইসলাম পার্টির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির পৃষ্ঠপোষক নির্বাচিত হন। রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “যদি মাদ্রাসাধর্ম বাঁচাতে চাও তাহলে প্রত্যেক মাদ্রাসা থেকে বেতন নির্ধারণ করে রাজনীতিতে একজন করে কর্মী দাও”। বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রসমাজ প্রতিষ্ঠায় তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।[১৬] ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানকে তিনি জামিয়া পটিয়ায় আশ্রয় দেন। এ কারণে পাকিস্তানি সৈন্যরা মাদ্রাসার উপর বোমা নিক্ষেপ করেছিল।[১৭]

পরিবার[সম্পাদনা]

হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর ৩০ বছর বয়সে তিনি নিজ গ্রামের আব্দুল আজিজ নামক এক ব্যক্তির কন্যার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই সংসারে তার সাত ছেলে ও তিন মেয়ের জন্ম হয়েছিল। তিনি স্বীয় পীর জমিরুদ্দিন আহমদের কন্যা রাশেদা মুরশিদা বেগমকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন, বিবাহের পরের বছর তার এই স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন।[৩]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৯২ সালের শুরুর দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের উপশম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন জামিয়া পটিয়ার মাঠে আলী আহমদ বোয়ালভির ইমামতিতে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর মাকবারায়ে আজিজীতে আজিজুল হকের পাশে তাকে কবরস্থ করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।[৩]

উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

তার মৃত্যুর পর সৌদি আরবের বহুল প্রচলিত পত্রিকা আল ওকাজআল মদীনায় তার জীবনবৃত্তান্ত ছাপানো হয়েছিল।[৩] ২০১৪ সালে মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ কর্তৃক “আল্লামা শাহ হাজী মুহাম্মদ ইউনুস রহ: জীবন, কর্ম, অবদান” শিরোনামে তার একটি জীবনীগ্রন্থ রচিত হয়েছে। তার স্মরণে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন সমূহের মধ্যে হাটহাজারীর “আল্লামা শাহ ইউনুস রহ. একাডেমি” অন্যতম।[১৩]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. তৎকালীন সময়ে যারা ধর্মীয় শিক্ষাদানে নিয়োজিত থাকত।
  2. উত্তরসূরি মনোনীত করা।
  3. আব্দুস সালাম চাটগামীর মতে, তিনি সরাসরি পটিয়া মাদ্রাসায় চলে এসেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. চৌধুরী, আহমদুল ইসলাম (১৫ আগস্ট ২০২১)। "দ্বিন প্রচারে হাজি ইউনুস (রহ.) - এর অবদান"দৈনিক কালের কণ্ঠ 
  2. আহমদুল্লাহ, মুফতি; রিদওয়ানুল কাদির, মুফতি (ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। (কুতুবে জামান শায়খুল আরব ওয়াল আজম আল্লামা শাহ মুহাম্মদ ইউনুস আব্দুল জাব্বার রহ. (১৯০৬—১৯৯২) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী)মাশায়েখে চাটগাম — ২য় খণ্ড (১ম সংস্করণ)। ১১/১, ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: আহমদ প্রকাশন। পৃষ্ঠা ৮৪ — ১২৭ পৃষ্ঠা। আইএসবিএন 978-984-92106-4-1 
  3. কাদির, মাসউদুল (২০০৯)। (বিশ্ববরেণ্য আলেমেদ্বীন শায়খুল আরব ওয়াল আজম আল্লামা শাহ মুহাম্মদ ইউনুস আব্দুল জাব্বার রহ.)পটিয়ার দশ মনীষী (২য় সংস্করণ)। আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম: আল মানার লাইব্রেরী। পৃষ্ঠা ৩০ — ৬১। 
  4. নিজামপুরী, আশরাফ আলী (২০১৩)। (শায়খুল আরব ওয়াল আজম আল্লামা শাহ মুহাম্মদ ইউনুস আব্দুল জাব্বার রহ.)দ্যা হান্ড্রেড (বাংলা মায়ের একশত কৃতী সন্তান) (১ম সংস্করণ)। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: সালমান প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ১৮৬ — ১৯৫। আইএসবিএন 112009250-7 
  5. "জামিয়ার সংবিধান"আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫ 
  6. উদ্দিন, মুহাম্মদ জসিম (২০১৬)। "মুফতি ফয়জুল্লাহ'র উল্লেখযোগ্য ছাত্রগণ"। ফিক্হশাস্ত্রে মুফতী মুহাম্মদ ফয়যুল্লাহ-এর অবদান :একটি পর্যালোচনা (পিএইচডি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৫৮ – ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ-এর মাধ্যমে। 
  7. আবুল হাসান আলী নদভী কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যায়ন পত্র
  8. হোসাইন, সাঈদ (মার্চ ২০১৬)। "ইসলামী সাহিত্য - সাংবাদিকতায় হাজী মাওলানা ইউনুস ( রহ . ) - এর কালজয়ী কর্মযজ্ঞ" (পিডিএফ)মাসিক আত তাওহীদ: ৩৪, ৩৫ পৃষ্ঠা। 
  9. আব্দুর রহমান, মুফতি (৪ এপ্রিল ২০১৪)। "শাহ মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুসের (রহ.) জীবন ও কর্ম"কালের কণ্ঠ 
  10. "ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশের কমিটি পুনর্গঠন"বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৬ 
  11. "বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থার পরিচিতি"আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৬ 
  12. খালিদ হোসেন, আ ফ ম (মার্চ ১৯৮৯)। খতিবে আজম মাওলানা ছিদ্দিক আহমদ: একটি যুগ বিপ্লব উৎস। চিন্থাধারা প্রকাশন। পৃষ্ঠা ১৩১–১১৪। 
  13. হাবীবুল্লাহ, মুহাম্মাদ (ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। আল্লামা শাহ হাজী মুহাম্মদ ইউনুস রহ: জীবন, কর্ম, অবদান (১ম সংস্করণ)। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ: আল্লামা শাহ ইউনুস রহ . একাডেমি। পৃষ্ঠা ২৪৫। আইএসবিএন 112009250-7 
  14. "আলহাজ্ব মাওলানা শাহ মুহাম্মদ ইউনুস স্মরণে বিশেষ ক্রোড়পত্র"। দৈনিক সংগ্রাম। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩। 
  15. "হাজী মুহাম্মদ ইউনুস রহ. বিশেষ সংখ্যা"। মাসিক আত তাওহীদ। আগস্ট ১৯৯২। 
  16. দৈনিক জঙ্গ, করাচী ০৪/০৯/৬৯ ; ঢাকা মহানগর সম্মেলন স্মারক'৯০, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ, ২৯-৩০ পৃষ্ঠা
  17. শিবলি, শাকের হোসাইন (জুন ২০০৮)। (মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে দাড়িয়ে আছে পটিয়া মাদ্রাসা)আলেম মুক্তিযুদ্ধার খোঁজে (পিডিএফ)বাংলাবাজার, ঢাকা: আল এছহাক প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ২৪৮, ২৪৯। 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]