আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া
الجامعة الإسلامية فتية | |
![]() | |
প্রাক্তন নাম | জমিরিয়া কাসেমুল উলুম |
---|---|
নীতিবাক্য | اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ পড় তোমার প্রভুর নামে |
ধরন | কওমি মাদ্রাসা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৩৮ (১৩৫৭ হিজরি) |
প্রতিষ্ঠাতা | মুফতি আজিজুল হক |
মূল প্রতিষ্ঠান | দারুল উলুম দেওবন্দ |
অধিভুক্তি | আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ |
ধর্মীয় অধিভুক্তি | দেওবন্দি |
বাজেট | ৮,১১,৭৫,০০০ (১৯-২০) |
আচার্য | আব্দুল হালিম বুখারী |
উপাচার্য | ওবায়দুল্লাহ হামযাহ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৫০+ (২০২০) |
শিক্ষার্থী | ৫০০০+ (২০২০) |
স্নাতক | উলা (ফাজিল) |
স্নাতকোত্তর | দাওরায়ে হাদীস (কামিল) |
ইফতা, আরবি সাহিত্য,বাংলা সাহিত্য,ক্বেরাত | |
অবস্থান | |
শিক্ষাঙ্গন | পৌরসভা |
সংক্ষিপ্ত নাম | পটিয়া মাদ্রাসা |
ওয়েবসাইট | jamiahislamiahpatiya |
![]() | |
![]() |
আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া (শুনুন (সাহায্য·তথ্য); আরবি: الجامعة الإسلامية فتية) সংক্ষেপে পটিয়া মাদরাসা চট্টগ্রামের পটিয়ায় অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কওমি মাদ্রাসা। দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিকে ভিত্তি করে পরিচালিত হয় মাদ্রাসাটি। মুফতি আজিজুল হক ১৯৩৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[১]
অবস্থান[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পূর্বে ২৫ কিলোমিটার দূরে পটিয়া পৌরসভায় মাদ্রাসাটি অবস্থিত। চট্টগ্রামের প্রধান সড়ক আরাকান রোড থেকে মাদ্রাসার দূরত্ব মাত্র ৩৫০ মিটার। পটিয়া রেলস্টেশনের একেবারে কাছেই। এর উত্তর পাশে রয়েছে আমির ভান্ডার মাজার [২] ও সাত গাউছিয়া মাজার, পূর্ব দিকে হারভাঙ্গিরী মাজার, দক্ষিণ দিকে আছে শাহচাঁন্দ আউলিয়া মাজার [৩] ও শাহজাহান আউলিয়া মাজার। পশ্চিম দিকে মকবুল শাহ মাজার ও শাহগদী মাজার। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আছে পটিয়া সরকারী কলেজ।।[৪][৫][৬]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৩৮ সালে জমিরুদ্দিন আহমদ মুফতি আজিজুল হক সাহেবকে পটিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেন।[৭] তিনি বললেন,
"পটিয়ার মেঘাচ্ছন্ন আকাশে দ্বীনের সূর্য উদিত হওয়ার সময় সমাসন্ন। পটিয়া হল কেন্দ্রীয় স্থান, এর মাধ্যমে আরো বহু এলাকা আলোকিত হতে পারে"
মুফতি আজিজুল হক তখন জিরি মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি হযরত আহমদ রহ. (ইমাম সাহেব হুজুর) সহ ১৯৩৮ সালের শাওয়াল মাসে এক জুমাবার কয়েকজন উলামায়ে কেরামকে নিয়ে দারুল উলূম দেওবন্দের আদলে ও এর চিন্তাধারার আলোকে পটিয়া সদরের অদূরে তুফান আলী মুনশী মসজিদে "জমিরিয়া কাসেমুল উলুম" নামে একটি মাদরাসার ভিত্তি স্থাপন করেন। [৮] কিছুদিন পর মাদরাসাটি পটিয়া সদরের পূর্বে "মনুমিয়া দফাদারের মসজিদে" স্থানান্তরিত হয়। তারও কিছুদিন পর বর্তমান জামিয়ার উত্তর পাশে একটি খালি দোকান ঘরে নিয়ে আসা হয় মাদরাসাটি। [৯] অতঃপর মাদরাসা স্থানান্তরিত হয় বর্তমান জায়গায়। নাম পরিবর্তন করে "আল জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া" রাখা হয় হাজী ইউনুস সাহেবের আমলে। [১]
স্বাধীনতা যুদ্ধে[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন তৎকালীন রাজনীতিবিদ পটিয়া মাদারাসার শিক্ষক খতিবে আযম মাওলানা ছিদ্দিক আহমদ ফতোয়া দিয়েছিলেন, "আমরা মজলুম, পাকিস্তানিরা জালেম, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যে করা ফরজ"।[১০][১১][১২] বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানিরা কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র ধ্বংস করতে চাইলে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ও তাঁর সঙ্গীরা পটিয়া মাদ্রাসায় আশ্রয় নেন।[১৩] এখানে তাঁরা ১ সপ্তাহ অবস্থান করেন।[১৩] মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ার কথা জানতে পারলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পটিয়া মাদ্রাসার একটি ভবনে জঙ্গি বিমান দিয়ে বোমা বর্ষণ করে। পরে এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।[১৪] এ হামলায় পটিয়া মাদ্রাসার তৎকালীন উপাচার্য আল্লামা দানেশ নিহত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে পটিয়া মাদ্রাসা সর্বাত্মক সহযোগিতা করে।[১৪]
অবকাঠামো[সম্পাদনা]
প্রবেশপথ[সম্পাদনা]
প্রায় ২০.০০ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসাটির তিনটি প্রবেশপথ রয়েছে।[১] তন্মধ্যে ২টি সবসময় খোলা থাকে। পাঁচ ওয়াক্তের নামাজের বাইরে প্রবেশ করতে চাইলে অনুমতি নিতে হয়। এর সামনের রাস্তাটি আল জামিয়া রোড নামে পরিচিত।[১]
মসজিদ[সম্পাদনা]
বিশাল এই মাদ্রাসাটিতে ২টি মসজিদ রয়েছে। একটি কেন্দ্রীয় মসজিদ ও অপরটি ওয়াক্তিয়া মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কেন্দ্রীয় মসজিদটি পটিয়া মাদ্রাসা মসজিদ নামেও পরিচিত।[১৫] ৩ তালার এই মসজিদটিতে একটি ৮ তালা উঁচু মিনার ও ৩ টি গম্বুজ রয়েছে। মিনার ও মসজিদের উপরিভাগ কারুকার্যে পরিপূর্ণ। বাংলাদেশের বৃহত্তম মসজিদগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।[১৬] এই মসজিদে একসাথে ১৫,০০০ জন একত্রে নামাজ আদায় করতে পারে। রমজানের সময় এই মসজিদে প্রায় ৩০০ জন ইতেকাফে অবস্থান করে। মিনারের ২য় তালা আযানখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মসজিদের ভিতর ২টি অযুখানা আছে। মসজিদটি তাবলীগ জামাতের মারকাজ হিসেবেও পরিচিত।[১] মসজিদের সামনে একটি কবরস্থান আছে। এটি মাকবারায়ে আজিজ নামে পরিচিত। অপর ওয়াক্তিয়া মসজিদটি মাদ্রাসার শেষ প্রান্তে অবস্থিত। এটি এক তালার মাঝারি মসজিদ।[১৫]
গ্রন্থাগার[সম্পাদনা]
এখানে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। এটি মাদ্রাসার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। অনেক দুর্লভ কিতাব রয়েছে এই গ্রন্থাগারে।[১] গ্রন্থাগারের নকশা আধুনিক স্থাপত্যশিল্পের করা। এর পরিচালক ছিলেন মাওলানা রহমতুল্লাহ কাউসার নিজামী।[১৭] ছাত্রদের এই গ্রন্থাগার থেকে বিনামূল্যে কিতাব সরবরাহ করা হয়।[১৮]
শিক্ষাভবন[সম্পাদনা]
মাদ্রাসার সবচেয়ে বৃৃহৎ ভবন হল শিক্ষাভবন। শিক্ষাভবনের ২য় তলা দারুল হাদীসের দরসগাহ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ৪র্থ তলায় আছে তাজবিদ ও ক্বেরাত বিভাগ। তাছাড়া বেশিরভাগ শ্রেণীকক্ষ এ ভবনে অবস্থিত। [১]
ছাত্রাবাস[সম্পাদনা]
মাদ্রাসার সব ছাত্রই আবাসিক, তাই মাদ্রাসায় বেশ কয়েকটি ছাত্রাবাস আছে। শিক্ষাভবনের পেছনের ছাত্রাবাস দুটিকে দারুল জাদীদ ও তিব্বিয়া ভবন বলা হয়। ৪ তলা। এখানে সর্টকোর্স বিভাগের ছাত্রদের শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। বড় পুকুরের পূর্বপাড়ে ৩ তলার একটি হেফজখানা ও নূরানী বিভাগ আছে।[১] হেফজখানার উত্তরে বিশাল ছাত্রাবাসের নাম দারে কাদীম। এর ৪র্থ তলায় আরবি সাহিত্যে বিভাগ। দারে কাদীম বর্গাকৃতির ভবন। মাঝখানে একটি পানি শোধনাগার রয়েছে। দারে কাদীমের পাশে নবনির্মিত দুটি ছাত্রাবাস রয়েছে। এদের নাম জদিদ মঞ্জিল। এছাড়া বড় পুকুরের পশ্চিমপাড়ে ৩ তলা বিশিষ্ট আরেকটি ছাত্রাবাস আছে। যা কেন্দ্রীয় মসজিদ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর নিচ তলায় আছে নাযেরা ও বাংলা বিভাগ। বাংলা বিভাগের পাশে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডাক বিভাগ আছে।[১৯] এই ভবনের প্রধান গেইট বরাবর ২য় তলায় ফতওয়া বিভাগ অবস্থিত। ফতওয়া বিভাগের পাশে বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থার প্রধান কার্যালয়। [২০]
মিলনায়তন[সম্পাদনা]
দারুল হাদীসের দরসগাহ মিলনায়তন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। একসাথে কয়েক হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। এখানে মাদ্রাসার নিয়মিত বিতর্ক অনুষ্ঠান, কুইজ প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা, সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থার পরীক্ষাকেন্দ্র এটি।[২০][২১]
মাঠ ও পুকুর[সম্পাদনা]
মাদ্রাসার ভিতরে দুটি মাঠ আছে। হেফজখানা সংশ্লিষ্ট মাঠে দুইদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।[২২][২৩] মাদ্রাসার ভিতরে দুটি পুকুর রয়েছে। মাদ্রাসার বাইরে ৪টি পুকুর আছে।[১]
অন্যান্য[সম্পাদনা]
মাদ্রাসার এলাকার বাইরে মাদ্রাসার মালিকানাধীন ৪তলার ৪টি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ। অন্য ৩টি ভাড়া দেওয়া হয়। দারে কাদীমের পেছনে আছে নও মুসলিম ফাউন্ডেশনের কার্যালয়।[২৪] ফাউন্ডেশনের পাশে একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান আছে। এর পাশে মাতবখ বা রান্নাঘর রয়েছে।
শিক্ষার ধরন[সম্পাদনা]
এই মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে তিন স্তরে ভাগ করা যায়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে গণিত, বিজ্ঞান, ইংরেজি, ভূগোল,ইতিহাস, রাজনীতি, দর্শন ইত্যাদি বিষয়সমূহ পড়ানো হয়। দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পরীক্ষা আল হাইআতুল উলয়ার অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। বাকি কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয় আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়্যার অধীনে।[২৫]
প্রথম স্তর[সম্পাদনা]
সাধারণ শিক্ষার প্লে, নার্সারী, কেজি (১-৩) এর পাঠ্যক্রমের মত এই স্তরে পাঠদান করা হয়।[২৬]
- নূরানী বিভাগ বা ইসলামী কিন্টার গার্ডেন
- নাজেরা বা কুরআন তেলওয়াত শিক্ষা
- হেফজ বিভাগ বা কুুুুরআন মুুখস্ত করানো
মেধার উপর ভিত্তি করে ৮ থেকে ৯ বছর বয়সে এই স্তর অতিক্রম করা যায়। তবে হেফজ বিভাগটি ঐচ্ছিক। [২৭]
দ্বিতীয় স্তর[সম্পাদনা]
এই স্তরকে সাধারণ শিক্ষার প্রাথমিক (৪-৫), নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক , উচ্চ মাধ্যমিক, অনার্স ও মাস্টার্সের সাথে তুলনা করা যায়। তবে এই শ্রেণীগুলো নবম,দশম, এইচএসসি ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ এভাবে বলা হয় না। কিছু পরিভাষা ব্যবহার করা হয়, যার আলাদা তাৎপর্য আছে।[২৮] এগুলো এক একটি জামাতঃ
- দোয়াজ দাহুম
- ইয়াজ দাহুম
- দাহুম
- নাহুম
- হাস্তুম
- হাপ্তুম
- শশুম
- পাঞ্জুম
- চাহারুম
- ছওম
- দওম
- উলা
- কামেলাইন
- দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স)
আবার নতুন হাফেজ ছাত্রদের জন্য একটি বিভাগ আছে যার নাম “মুতাফাররকা” যেখানে প্রথম তিন জামাত একসাথে পড়ানো হয়।[২৯][৩০]
তৃতীয় স্তর[সম্পাদনা]
এই স্তরটিকে এমফিল বা পিএইচডি ডিগ্রির সাথে তুলনা করা যায়। একে আরবিতে তাখাচ্ছুছাত বলা হয়। বিভিন্ন বিষয়ের উপর তাখাচ্ছুছাত সম্পন্ন করা যায়। [৩১]
- ইফতা ও ইসলামি আইন গবেষণা বিভাগ : এই বিভাগের মেয়াদ ২ বছর। ইসলামী আইন নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয় এই বিভাগে। এই বিভাগ উত্তীর্ণ ছাত্রদের নামের আগে মুফতি যুক্ত হয়। যারা বিভিন্ন ধর্মীয় সমস্যায় সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।
- তাফসীর বিভাগ : এই বিভাগে তাফসীর নিয়ে উচ্চতর গবেষণা হয়ে থাকে। এই বিভাগ উত্তীর্ণ ছাত্রদের মুফাসসির বলা হয়। এর মেয়াদ ১/২ বছর।
- ক্বেরাত বিভাগ : এই বিভাগে কুরআন শরীফের ৭ ক্বেরাতের শিক্ষা দেওয়া হয়। এই বিভাগে যতটা তত্ত্বীয় শিক্ষা রয়েছে, তার চেয়ে বেশি অনুশীলন করতে হয়। এই বিভাগের মেয়াদ ২ বছর। এই বিভাগে উত্তীর্ণদের ক্বারী বলা হয়।
- উলুমুল হাদীস বিভাগ : হাদীস বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার নিমিত্তে এই বিভাগটি খোলা হয়েছে। এর মেয়াদ ১ বছর। এই বিভাগে উত্তীর্ণদের মুহাদ্দিস বলা হয়।
- আরবি সাহিত্য বিভাগ : আরবি সাহিত্য নিয়ে উচ্চতর পড়াশোনা হয় এই বিভাগে। এর মেয়াদ ১ বছর।
- বাংলা সাহিত্য বিভাগ : বাংলা সাহিত্যের উপর উচ্চতর পড়াশোনা হয় এই বিভাগে। এর মেয়াদ ১/২ বছর। [৩২]
বিশেষ বিভাগ[সম্পাদনা]
এই বিভাগটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা হয়েছে যারা আলেম ইচ্ছুক। একে শর্টকোর্স বিভাগও বলা হয়। এসএসসি পাশের পর এই বিভাগে আবেদন করা যায়। সাধরন শিক্ষায় এসএসসি পাশের ৫ বছর পর ডিগ্রি ও ৭ বছর পর মাস্টার্স পাশ করা যায়। এই বিভাগের মেয়াদ ৫ বছর। ৫ বছর পর দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) বিভাগে ভর্তি হওয়া যায়।[৩৩]
উচ্চতর বিভাগ[সম্পাদনা]
দারুল ইফতা[সম্পাদনা]
দারুল ইফতা বা উচ্চতর ইসলামি আইন গবেষণা বিভাগ। একে ফতওয়া বিভাগও বলা হয়। এই বিভাগটি মা'আহাদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পাশের পর এই বিভাগে ভর্তির আবেদন করা যায়।[৩৪] এই কোর্সটি সমাপ্ত করলে তাঁদের মুফতি বলা হয়। কোর্সের মেয়াদ দুই বছর।[৩৫] একজন প্রধান মুফতি ও ৩ জন সহকারী মুফতির অধীনে বিভাগটি পরিচালিত হয়।
তাফসীর বিভাগ[সম্পাদনা]
মা’আহাদ ভবনের নিচতলায় বড় পুকুরের উত্তর-পশ্চিম দিকে তাফসীর বিভাগ অবস্থিত। কুরআনের সর্বাধিক সূক্ষ্ম ও বিশুদ্ধ ব্যাখ্যা করার জন্য এই বিভাগটি খোলা হয়েছে।
ক্বেরাত বিভাগ[সম্পাদনা]
ক্বেরাত বা তাজবীদ বিভাগ মাদ্রাসার শিক্ষাভবনের ৪র্থ তলায় অবস্থিত। উচ্চ আওয়াজে অনুশীলনের জন্য মসজিদের ২য় তালাও ব্যবহার করা হয়। এই বিভাগটি মূলত কুরআন শরীফ পাঠের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা দিয়ে থাকে। এর মেয়াদ দুই বছর।[৩৬] প্রথম বছর ক্বেরাতে হাফস ও দ্বিতীয় বছর বাকি ৬ ক্বেরাত শিক্ষা দেওয়া হয়। দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পাশের পর এই বিভাগে আবেদন করা যায়। এই বিভাগে মোট ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে ২ জনকে আন্তর্জাতিক ক্বারীর স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
উলুমুল হাদীস বিভাগ[সম্পাদনা]
হাদীস বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার নিমিত্তে এই বিভাগটি খোলা হয়েছে। এর মেয়াদ ১ বছর। এই বিভাগে উত্তীর্ণদের মুহাদ্দিস বলা হয়।
আরবী সাহিত্য বিভাগ[সম্পাদনা]
উচ্চতর আরবি ভাষা ও সাহিত্য গবেষণা বিভাগ সংক্ষেপে আদব বিভাগ নামে পরিচিত। দারে কদীমের ৩য় তলায় এই বিভাগটি অবস্থিত। ইসলাম পূর্ব আরবি সাহিত্য থেকে বর্তমান আরবি সাহিত্যের ইতিহাস, আরবি ভাষার অলংকার ইত্যাদি এই বিভাগের পঠিত বিষয়। এই বিভাগের মেয়াদ ১ বছর। [৩৭] দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পাশের পর এই বিভাগে ভর্তির আবেদন করা যায়।[৩৮] মোট ৫ জন আরবি ভাষাবিদের অধীনে এই বিভাগ পরিচালিত হয়।
বাংলা সাহিত্য বিভাগ[সম্পাদনা]
বাংলা বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য ১৯৬৫ সালে কওমি মাদ্রাসা সমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম পটিয়া মাদ্রাসায় এই বিভাগটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।[৩৯] মা'আহাদ ভবনের নিচতলায় বড় পুকুরের উত্তর-পশ্চিম কোণে এই বিভাগটি অবস্থিত। এর মেয়াদকাল ২বছর। [৪০] দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) পাশের পর এই বিভাগে ভর্তির আবেদন করা যায়। ৪ জন শিক্ষকের অধীনে বিভাগটি পরিচালিত হয়।
আচার্যবৃন্দ[সম্পাদনা]
নং | ছবি | নাম (জন্ম — মৃত্যু) |
কার্যকাল (থেকে — পর্যন্ত) |
তথ্যসূত্র | |
---|---|---|---|---|---|
১ | ![]() |
মুফতি আজিজুল হক ( ১৯০৩ — ১৯৬১ ) |
১৯৩৮ | ১৯৫৯ | [৪১] |
২ | ![]() |
হাজী মুহাম্মদ ইউনুস ( ১৯০৬ — ১৯৯২ ) |
১৯৫৯ | ১৯৯২ | [৪২] |
৩ | ![]() |
হারুন ইসলামাবাদী ( ১৯৩৮ — ২০০৩ ) |
১৯৯২ | ২০০৩ | [৪৩] |
৪ | ![]() |
নুরুল ইসলাম কদীম (১৯১৩ — ২০১১) |
২০০৩ | ২০০৭ | [৪৪] |
৫ | চিত্র:Halim Bukhari.jpg | আব্দুল হালিম বুখারী ( জ. ১৯৪৫ ) |
২০০৮ | বর্তমান |
পটিয়া মাদ্রাসায় এ পর্যন্ত ৫ জন আচার্য (মুহতামিম) দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ছিলেন মুফতি আজিজুল হক।[৪][৪৫] এরপর ১৯৫৭ সালে অস্থায়ীভাবে ও ১৯৫৯ সালে স্থায়ীভাবে হাজী মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২২ বছর দায়িত্ব পালনের পর ১৯৬০ সালে মুফতি আজিজুল হক মৃত্যুবরণ করলে হাজী মুহাম্মদ ইউনুস দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তিনি একাধারে ৩২ বছর আচার্যপদে ছিলেন।[৪৬] ১৯৯২ সালে হাজী মুহাম্মদ ইউনুসের মৃত্যুবরণের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী।[৪৭] তাঁর আমলে বর্তমান কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি নির্মিত হয়।[১৮] ২০০৩ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর দায়িত্ব পান নুরুল ইসলাম। তিনি কদীম সাহেব নামেও পরিচিত। ২০০৮ সালে এই দায়িত্ব পান আব্দুল হালিম বুখারী।[৪৫]
প্রকাশনা[সম্পাদনা]
ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইনের সম্পাদনায় জামিয়া থেকে বাংলা ভাষায় মাসিক আত-তাওহীদ প্রকাশিত হয়। এটি দীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে আসছে।[৪৮] আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্'র সম্পাদনায় আরবি ও ইংরেজি ভাষায় আরেকটি ত্রৈমাসিক বালাগ আশ-শরক প্রকাশিত হয়।[৪৯] এছাড়া বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুইটি সাময়িকী বের হয়।[৪৫]
জামিয়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত[সম্পাদনা]
- বগুড়া জামিল মাদ্রাসা : দেশের উত্তরাঞ্চলে দীনের দাওয়াত এবং ইসলামি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৬০ সালে পটিয়া মাদ্রাসা কর্তৃক বগুড়া কাসেমুল উলুম জামিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এটি উত্তরবঙ্গে সর্ববৃহৎ ও সর্বোচ্চ দীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[৫০][৫১][৫২]
- ইছাপুর ফয়জিয়া মাদ্রাসা: চট্টগ্রাম হাটহাজারী থানার অর্ন্তগত ইছাপুর এলাকায় অবস্থিত একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মাদরাসা ও এতিমখানা। ১৯৭৩ সালে পটিয়া মাদ্রাসা কর্তৃক এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্বিরাত বিভাগের জন্য প্রসিদ্ধ। [৫৩]
- ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র বান্দরবান: পটিয়া মাদ্রাসা কর্তৃক ১৯৮৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে আছে ত্রিতল বিশিষ্ট একটি সুুবিশাল জামে মসজিদ, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট দাতব্য চিকিৎসালয় ও ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র।[৫৪]
- ইসলামি মিশনারী সেন্টার, সুখবিলাস : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত একটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খ্রিস্টান মিশনারীদের মোকাবেলায় পটিয়া মাদ্রাসা কর্তৃক এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতে আছে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মাদরাসা, হেফজখানা, কৃষিখামার ও ৩০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক দাতব্য চিকিৎসালয় ও নও মুসলিম পুনর্বাসন প্রকল্প। [৫৫]
পরিচালিত সংস্থাসমূহ[সম্পাদনা]
- আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ : একটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। পটিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি আজিজুল হকের তত্ত্বাবধানে হাজী মুহাম্মদ ইউনুস ১৯৫৯ সালে এই বোর্ডটি গঠন করেন।[৫৬] বর্তমানে এই বোর্ডের অধীনে ৬০০ টি মাদ্রাসা আছে। প্রতি বছর বোর্ডের অধীনে ৬টি কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
- বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থা: ১৯৮০ সালে হেফজখানার মানোন্নয়ন ও সুষ্ঠ পরিচালনার লক্ষ্য হাজী মুহাম্মদ ইউনুস এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[৫৭] এর অধীনে হাফেজদের প্রশিক্ষণ ও প্রতি বছর হেফজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সাধারণত মাদ্রাসার বার্ষিক সভার পর এটি শুরু হয়। [৫৮][৫৯]
- আন্তর্জাতিক ইসলামি সম্মেলন সংস্থা: ইসলামি শিক্ষা প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৮৬ সালে মাদ্রাসা কর্তৃক এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর সারাদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইসলামি সম্মেলন করা এ সংস্থার মূল কাজ।[৬০][৬১]
- ইসলামি রিলিফ কমিটি : বিভিন্ন দূর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের এ সংস্থা থেকে সাহায্য করা হয়। ৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ে এর মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার সাহায্যে করা হয়। তাছাড়া ইসলাম ধর্ম সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন এর অন্যতম কাজ। [৬২]
- নও মুসলিম ফাউন্ডেশন : নও মুসলিমদের ইসলামি শিক্ষাদান ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৎকালীন সময়ে নও মুসলিমদের পুনর্বাসনে এটিই ছিল একমাত্র সংস্থা। [৬৩]
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষক[সম্পাদনা]
- ছিদ্দিক আহমদ : নেজামে ইসলাম পার্টির সাবেক সভাপতি ও পূর্ব বাংলা আইনসভার সদস্য
- হারুন ইসলামাবাদী : বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের ২য় সভাপতি
- আল্লামা সুলতান যওক নদভী : আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম বাংলাদেশী আরবি সাহিত্যিক। [৬৪]
- আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী : সংসদ সদস্য।
- মুফতি আবদুর রহমান : বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রবর্তক, প্রয়াত প্রধান মুফতি, বিশ্ববিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতার প্রথম ছাত্র, শরীয়াহ্ বোর্ডের চেয়ারম্যান ( ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড), ভাইস চেয়ারম্যান (সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড), প্রতিষ্ঠাতা (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ) [৬৫]
- মিজানুর রহমান সাঈদ : প্রতিষ্ঠাতা, শায়খ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার।
- আ ফ ম খালিদ হোসেন : আন্তর্জাতিক ইসলামি স্কলার।
- আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া : লেখক
- আব্দুল গণী : কারী
- আব্দুল হালিম বুখারী : অত্র জামিয়ার মহাপরিচালক
- আব্দুল মালেক হালিম : শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ
- ড. মাহমুদুল হাসান আল আজহারী : ইসলামী স্কলার, লন্ডন। [৬৬]
- আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ্ : আন্তর্জাতিক ইসলামি স্কলার, বহু ভাষাবিদ, ইসলামী অর্থনীতিবিদ, শরীয়াহ্ বোর্ড সদস্য ( সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড)।
- আবু তাহের মেসবাহ : জনপ্রিয় বাংলা সাহিত্যিক, খ্যাতিমান লেখক। [৬৭][৬৮]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
- দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত
- দারুল উলূম করাচী, পাকিস্তান
- দারুল উলুম হাটহাজারী, বাংলাদেশ
- দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামা, ভারত
- আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরি
- জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়া
- জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকা
- জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুর
- জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদ্রাসা, সিলেট
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ "জামিয়া পরিচিতি"। আল-জামেয়া আল- ইসলামীয়া পটিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৪।
- ↑ "আমির ভান্ডারের ওরশ"। দৈনিক প্রথম আলো।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "পটিয়ায় মাজারের তালিকা"। সরকারি পরিসংখ্যান। ১৭ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "পটিয়া মাদ্রাসা এখন বিশ্ব ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়"। ৩ জুলাই ২০১৭। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Bano, Masooda (২০০৮)। Working Paper No. 13: Allowing for Diversity: State-Madrasa Relations in Bangladesh (PDF)। ধর্ম ও উন্নয়ন গবেষণা প্রোগ্রাম, বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য। আইএসবিএন 0-7044-2567-X।
- ↑ "Creating a Practicing Muslim: A Study of Qawmi Madrasah in Bangladesh"। ResearchGate (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ শেষ প্যারা (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "যেভাবে এল কওমি মাদ্রাসা"। কালের কন্ঠ।
- ↑ "যেভাবে এলো কওমি মাদ্রাসা"। দৈনিক কালের কন্ঠ। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "জামিয়া পটিয়ার সোনালি ইতিহাস"। দৈনিক কালের কন্ঠ। ১৪ মার্চ ২০১৪।
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের অবদান"। দৈনিক ইনকিলাব। ৩ জানু ২০১৮।
- ↑ "বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আলেমসমাজের ভূমিকা"। দৈনিক কালের কন্ঠ। ১৪ মার্চ ২০১৪।
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধে আলেম সমাজের অবদান"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৩০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ ক খ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র (১৯৮৩)। লেখক বেলাল মোহাম্মদ। অনুপম প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৫৪,৫৫ ও ১০২।
- ↑ ক খ আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে (২০০৮)। শাকের হোসাইন শিবলির বই। আল এছহাক প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৩০০।
- ↑ ক খ "মসজিদ তালিকা পটিয়া উপজেলা"। সরকারী। ২৭ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি মসজিদ"। কালের কন্ঠ।
- ↑ "পটিয়ার মুহাদ্দিস রহমতুল্লাহ কাওছার নিজামীর ইন্তেকাল"। দৈনিক নয়া দিগন্ত। ১৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "আল জমেয়া আল ইসলমিয়া পটিয়ার গ্রন্থাগার"। কওমি মাদ্রাসা।
- ↑ "তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, পটিয়া উপজেলা"। তথ্য মন্ত্রণালয়, পটিয়া উপজেলা।
- ↑ ক খ "বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থা"। জামিয়া পটিয়া অফিসিয়াল।
- ↑ "বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থার উদ্যোগে চট্টগ্রামে শিক্ষা প্রতিযোগিতা"। ইকনা ইরান নিউজ।
- ↑ "পটিয়ায় আন্তর্জাতিক ইসলামি মহাসম্মেলন"। দৈনিক পূর্বকোণ।
- ↑ "জামিয়া পটিয়ার দু'দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন সফলভাবে সমাপ্ত"। মাসিক আত তাওহীদ। ৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "নও মুসলিম ফাউন্ডেশন"। জামিয়া পটিয়া অফিসিয়াল।
- ↑ "আধুনিক কওমি শিক্ষা: পদ্ধতি ও পর্যালোচনা"। দৈনিক যুগান্তর।
- ↑ "কী শিখছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা"। বাংলা ট্রিভিউন।
- ↑ "জামিয়া পটিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা"। ইশা বিডি।
- ↑ "'ঐতিহাসিক' পদ্ধতিতে শিক্ষা দিচ্ছে কওমি মাদ্রাসা"। বাংলা ট্রিবিউন।
- ↑ "আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার সোনালী ঐতিহ্য- রিদওয়ানুল হক শামসী"। iscabd.org। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০২০।
- ↑ "সাধারণ বিভাগে পাঠ্য বিষয়সমূহ"। আল-জামেয়া আল- ইসলামীয়া পটিয়া। ২০২০-০৬-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৪।
- ↑ "তাফসীরুল কুরআন বিভাগ"। আল-জামেয়া আল- ইসলামীয়া পটিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৪।
- ↑ "বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসায় কী পড়ানো হয়?"। বিবিসি নিউজ।
- ↑ "জামিয়া পটিয়ার শর্টকোর্স বিভাগ"। ইশা বিডি।
- ↑ "জামিয়া পটিয়ায় ভর্তি তথ্য"। আওয়ার ইসলাম। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সাদ প্রসঙ্গে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার ফতোয়া"। দৈনিক ইসলাম। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "শিক্ষা বিভাগ পরিচিতি"। ইশা বিডি।
- ↑ "বিভাগ পরিচিতি"। ইশা বিডি।
- ↑ "যেভাবে ভর্তি হবেন পটিয়ায়"। আওয়ার ইসলাম।
- ↑ "ভাষা চর্চায় এগিয়ে যাচ্ছে কওমি মাদ্রাসা"। সময়ের আলো। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "জামিয়ার বাংলা বিভাগ"। ইশা বিডি।
- ↑ কাদির, মাসউদুল (২০০৬)। (মানুষ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর মুফতি আজিজুল হক রহ.) । পটিয়ার দশ মনীষী (PDF)। আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম: আল মানার লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা ১২—২৯।
- ↑ কাদির, মাসউদুল (২০০৬)। (বিশ্ব বরেণ্য আলেমেদীন শায়খুল আরব ওয়াল আজম আল্লামা শাহ মুহাম্মদ ইউনুস রহ .) । পটিয়ার দশ মনীষী (PDF)। আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম: আল মানার লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা ৩০—৬১।
- ↑ ইবরাহীম আনোয়ারী, মুফতি (১ জানুয়ারী ২০১৭)। "ইসলামী ব্যক্তিত্ব আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ হারুন ইসলামাবাদী রহ."। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১৩।
- ↑ মাহমুদ, সুলতান (মে ২০১১)। "আল্লামা নুরুল ইসলাম কদীম রহঃ একজন শ্রদ্ধাভাজন মুরব্বির বিদায়" (PDF)। মাসিক আত তাওহীদ: ১৯, ২০।
- ↑ ক খ গ "জামিয়া পরিচিতি"। ইশা ডট ওআরজি।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "স্মৃতিচারণ : হাজী সাহেব হুজুর"। টাইমস বিডি। ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮। ২০২০-০৬-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ইসলামী ব্যক্তিত্ব আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ হারুন ইসলামাবাদী রহ."। দৈনিক ইনকিলাব। ১ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "প্রচ্ছদ"। আত্-তাওহীদ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৪।
- ↑ "غطاء"। بلاغ الشرق (আরবি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৪।
- ↑ "বগুড়া মাদ্রাসা তালিকা"। সরকারি পরিসংখ্যান।
- ↑ "বগুড়ার জামিল মাদরাসা: সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের অনন্য প্রতিষ্ঠান"। ইসলাম টাইমস।
- ↑ "বগুড়া জামিল মাদরাসার খতমে বোখারি অনুষ্ঠিত"। ডেইলি ইসলাম। ৭ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ইছাপুর মাদ্রাসা"। জামিয়া অফিশিয়াল।
- ↑ "বান্দরবানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা"। সরকারি পরিসংখ্যান। ১৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সুখবিলাস মাদ্রাসা পরিচিতি"। জামিয়া অফিশিয়াল।
- ↑ কাদির, মাসউদুল (২০০৬)। (শায়খুল আরব ওয়াল আজম হাজী মুহাম্মদ ইউনুস রহ.) । পটিয়ার দশ মনীষী (২য় সংস্করণ)। আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম: আল মানার লাইব্রেরী। পৃষ্ঠা ৪১।
- ↑ মাশায়েখে চাটগামী। ধর্মীয়: আহমদ প্রকাশন। ২০১৮। পৃষ্ঠা ২য় অধ্যায়।
- ↑ "বাংলাদেশ তাহফীজুল কুরআন সংস্থার পরিচিতি"। জামিয়া অফিশিয়াল।
- ↑ "হেফজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত"। ইকনা ইরান নিউজ।
- ↑ "ইসলামি সম্মেলনের তারিখ"। ইখবার অনলাইন পত্রিকা। ৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "আন্তর্জাতিক অতিথি"। আওয়ার ইসলাম অনলাইন।
- ↑ "জামেয়া পরিচিতি"। ইশা বিডি নিউজ।
- ↑ "নও মুসলিম ফাউন্ডেশন পরিচিতি"। জামিয়া অফিসিয়াল। ৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "আরবী সাহিত্য কোর্সের উদ্ভোদন"। বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর। ৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Shariah Council"। SIBL।
- ↑ "ড. মাহমুদুল হাসান"। নয়া দিগন্ত।
- ↑ "জনপ্রিয় লেখাসমূহ"। মাসিক আল কাউসার। ৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "আবু তাহের মেসবাহর বইসমূহ"। রকমারি।
গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]
- আজমী, নূর মুহাম্মদ (২০০৮)। হাদিসের তত্ত্ব ও ইতিহাস। বাংলাবাজার, ঢাকা: এমদাদিয়া পুস্তকালয়। পৃষ্ঠা ২৯৬।
- খসরু, আতাউর রহমান (২৬ মার্চ ২০২১)। "মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবাহী তিন মাদরাসা"। কালের কণ্ঠ।
- সাইয়েদ, আহসান (২০০৬)। বাংলাদেশে হাদীছ চর্চা উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ। সেগুনবাগিচা, ঢাকা: অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১০৫। আইএসবিএন 9842000184।
- পটিয়ায় ইসলাম ধর্ম নিয়ে সংঘর্ষ, আগুন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
উইকিমিডিয়া কমন্সে Al Jamia Al Islamia Patiya সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- মাদ্রাসার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পাটিয়া
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট - আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ