রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড
গঠিত১৮৮১; ১৪২ বছর আগে (1881)
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
যে অঞ্চলে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা

রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন একটি যন্ত্রাংশ নির্মাতা সংস্থা যা চিনির কলগুলির জন্য মেশিন এবং যন্ত্রাংশ তৈরি করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড ১৮৮১ সালে সালে কুষ্টিয়ায় ৩ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১]

কাগজের শেয়ারকে বৈদ্যুতিক শেয়ারে রূপান্তর করতে বিলম্বের সৃষ্টির পর রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড কে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সংক্ষিপ্তসময়ের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়।[২]

রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড লোকসানের মধ্যে পরিচালিত হচ্ছিল এবং ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যে সংস্থাটির শ্রমিকদের কয়েকমাসের বেতন দেওয়া বাকী ছিল। এরপরও সংস্থাটি তুলনামূলক কম মূল্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলো থেকে স্ক্র্যাপ ধাতু কেনা বাদ দিয়ে একটি বেসরকারী ঠিকাদার কোম্পানি আজম অ্যান্ড সন্স-এর কাছ থেকে অধিক মূল্যে কাঁচামাল সংগ্ৰহ করে।[৩] ঢাকা ট্রিবিউনের মতে, সংস্থাটির তহবিল আত্মসাৎ করার সাথে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে যে সিন্ডিকেটটি কোম্পানির হিসাবরক্ষক, আলমগির হোসেন এবং পার্থ প্রতিম সাহা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।[১]

বাংলাদেশ সরকার সংস্থাটির ৫১% শেয়ারহোল্ডারের মালিক এবং বাকিগুলো সাধারণ জনগণের দখলে রয়েছে। পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের জন্য তাদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে পরিচালনা পর্ষদেও কোন পরিচালক নেই।[১] বিআরবি কেবল শেয়ার বাজার থেকে কোম্পানিটির ২৬.৮৯% শেয়ার কিনেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী ১৭.৩৮% শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন এবং বাকি ৩১.৬২% শেয়ার হোল্ডারদের মালিকানাধীন।[৪] বিআরবি কেবলস্ কোম্পানির বোর্ডে একজন পরিচালক রাখার আশা করেছিল। ইস্টার্ন কেবলস্ লিমিটেডের পর এটি ছিল দ্বিতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, যেখানে বিআরবি কেবল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার কিনেছিল।[৫]

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্রায় অর্ধ বিলিয়ন টাকা পাওনা ছিল। একটি অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি কলগুলি থেকে ঋণ সংগ্রহ না করলে এই সংস্থাটি বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে ছিল।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Renwick Jajneswar & Company (Bd) Ltd workers go unpaid for months"Dhaka Tribune। ২০১৯-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  2. "Ten delisted firms join main market Sunday"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০১-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  3. "Renwick Jajneswar & Company (Bd) Ltd workers go unpaid for months"Dhaka Tribune। ২০১৯-০১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  4. "BRB's growing interest in state-owned firms"bizbangladesh.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  5. "BRB eyes another SoE board buying 27pc Renwick shares"New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১ 
  6. "6 poor performing companies struggle to survive"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-১১