নামাজগাঁও

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নামাজগাঁও
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা
জেলাঝিনাইদহ জেলা
উপজেলাকালীগঞ্জ উপজেলা
আয়তন
 • মোট১.৯৬৮ বর্গকিমি (০.৭৬০ বর্গমাইল)
মাত্রা
 • দৈর্ঘ্য.০৪৮ কিলোমিটার (০.০৩০ মাইল)
 • প্রস্থ.০৪১ কিলোমিটার (০.০২৫ মাইল)

নামাজগাঁও বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি ঝিনাইদহ শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাত দৌলতপুর গ্রামে অবস্থিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৯৭ সালে খনন কাজ চালিয়ে এখানে ৭টি ইট নির্মিত কবরসহ একটি প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করে। ২০০১ সালে পুনরায় খনন করে ১৬টি ইট নির্মিত কবরসহ একটি সমাধিক্ষেত্রের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। এখানে প্রাচীনকালে কোন বসতবাড়ি ছিল বলে অনুমান করা হয়।[২]

নামকরণ[সম্পাদনা]

ঢিবিটির পূর্ব পাশে স্থানীয় জনগণ ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য একটি ঈদগাহ নির্মাণ করে। সেই থেকে স্থানটি নামাজগাঁও নামে পরিচিত।[৩]

বিবরণ[সম্পাদনা]

আয়তাকৃতির এই ঢিবিটি ৪৮ মিটার দীর্ঘ এবং ৪১ মিটার প্রশস্ত। পার্শ্ববর্তী নিচু জমি থেকে ঢিবিটির উচ্চতা ২ মিটার। ঢিবিতে প্রাপ্ত সমাধিটি ৩৬ মিটার × ২৪ মিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। সমাধিক্ষেত্রে ১৬টি ইটনির্মিত কবর, ১টি কাঁচা কবর ও ১টি ইট বিছানো উন্মুক্ত অঙ্গন পাওয়া যায়। এখানে ধনুকাকৃতির ছাদ বিশিষ্ট ও করবেল ছাদ বিশিষ্ট ইটের তৈরি কবরের সন্ধান মেলে। ধনুকাকৃতির ছাদ বিশিষ্ট কবর পাওয়া যায় ১১টি ও করবেল ছাদ বিশিষ্ট কবর পাওয়া যায় ৫টি।[২] ঢিবিটি শিশুসহ বিভিন্ন রকমের গাছপালায় পূর্ণ।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আরিফুর রহমান। "ঝিনাইদহ : ৭ম পর্ব- বারোবাজারের প্রাচীন নিদর্শন"সাপ্তাহিক। ৩ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  2. শফিকুল আলম। "বারোবাজার"বাংলাপিডিয়া। ২৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  3. "ঝিনাইদহ জেলার ঐতিহ্য"যশোর ইনফো। ১৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬