বিষয়বস্তুতে চলুন

শান্তিনিকেতন

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪১′ উত্তর ৮৭°৪১′ পূর্ব / ২৩.৬৮° উত্তর ৮৭.৬৮° পূর্ব / 23.68; 87.68
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(শান্তি নিকেতন থেকে পুনর্নির্দেশিত)
শান্তিনিকেতন
পাড়া বা ক্ষেত্র
শান্তিনিকেতন গৃহ
শান্তিনিকেতন গৃহ
শান্তিনিকেতন বোলপুর-এ অবস্থিত
শান্তিনিকেতন
শান্তিনিকেতন
শান্তিনিকেতন পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
শান্তিনিকেতন
শান্তিনিকেতন
শান্তিনিকেতন ভারত-এ অবস্থিত
শান্তিনিকেতন
শান্তিনিকেতন
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪১′ উত্তর ৮৭°৪১′ পূর্ব / ২৩.৬৮° উত্তর ৮৭.৬৮° পূর্ব / 23.68; 87.68
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাবীরভূম
শহরবোলপুর
প্রতিষ্ঠাতাদেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
উচ্চতা৫৬ মিটার (১৮৪ ফুট)
ভাষা
 • সরকারিবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+5:30)
ডাক সূচক সংখ্যা৭৩১২৩৫
টেলিফোন কোড+৯১ ৩৪৬৩
লোকসভা কেন্দ্রবোলপুর
বিধানসভা কেন্দ্রবোলপুর
প্রাতিষ্ঠানিক নামশান্তিনিকেতন
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: (iv)(vi)
সূত্র১৩৭৫
তালিকাভুক্তকরণ২০২৩ (৪৭তম সভা)
শান্তিনিকেতন আম্রকুঞ্জে সস্ত্রীক মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, ১৯৪০
শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবে বাউল সমাবেশ
পৌষমেলা বাজার

শান্তিনিকেতন হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের একটি পাড়া। পাড়াটি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তার পুত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে আরো বিকাশিত করেছিলেন। এখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে তার অবস্থানের ফলে শান্তিনিকেতন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহরে পরিণত হয়।[]২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে শান্তিনিকেতন। ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার সেই মর্মে ঘোষণা করে ইউনেস্কো তাদের ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের কমিটির ৪৫ তম অধিবেশনের সিদ্ধান্ত।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭–১৯০৫), শান্তিনিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা
উপাসনা গৃহ, শান্তিনিকেতন

১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে (১২৭০ বঙ্গাব্দে) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার ভুবন মোহন সিংহের কাছ থেকে দুটি ছাতিম গাছসহ ২০ একর (৮১,০০০ মি) জমি বার্ষিক  ৫ (ইউএস$ ০.০৬) ইজারায় কিনেছিলেন। তিনি একটি অতিথিশালা তৈরি করেছিলেন এবং নাম রেখেছিল "শান্তিনিকেতন" (শান্তির স্থান)। ক্রমশ সমগ্র এলাকাটি শান্তিনিকেতন হিসেবে পরিচিতি পায়।[]

বিনয় ঘোষের মতে উনিশ শতকের মাঝে বোলপুর একটি ছোট বসতি ছিল এবং শান্তিনিকেতনের বৃদ্ধির ফলে এটি প্রসারলাভ করেছিল। বোলপুরের কিছু অংশ রায়পুরের সিংহ পরিবারের জমিদারির অংশ ছিল। ভুবন মোহন সিংহ বোলপুরে একটি গ্রাম তৈরি করেছিলেন এবং তার নাম রাখলেন ভুবনডাঙ্গা। ভুবনডাঙ্গা কুখ্যাত ডাকাতদের ডেরা ছিল, যারা লোকদের মারার জন্য দ্বিতীয়বার ভাবতো না। এর ফলে লড়াই ও বিতর্কে‌র পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ডাকাতদের নেতা অবশেষে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল এবং এলাকার বিকাশের জন্য তারা তাঁকে সাহায্য করেছিল।সেখানে একটি ছাতিম গাছ ছিল যার তলায় দেবেন্দ্রনাথ তপস্যা করতেন। লন্ডনের হাইড পার্কের দ্য ক্রিস্টাল প্যালেসের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দেবেন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম উপাসনার জন্য এক ৬০ বাই ৩০ ফুট (১৮.৩ মি × ৯.১ মি) উপাসনা গৃহ তৈরি করেছিলেন। ছাদটি টালি করা এবং মেঝেটি সাদা মার্বেল পাথরের ছিল, কিন্তু বাকি ভবনটি কাচের ছিল। আদিকাল থেকেই এটি আশেপাশের লোকদের কাছে এক দর্শনীয় স্থান ছিল।[]

২৭ জানুয়ারি ১৮৭৮-এ (১৩ মাঘ ১২৮৪-এ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন। তখন তার বয়স ১৭ বছর। ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে (১২৯৫ বঙ্গাব্দে) দেবেন্দ্রনাথ একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে সমগ্র এলাকাটিকে একটি ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে (১৩০৮ বঙ্গাব্দে) রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম চালু করেছিলেন যা ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে (১৩৩২ বঙ্গাব্দে) পাঠ ভবন নামে পরিচিত।[][] ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।[] এটি ঠাকুর পরিবারের মাথায় নতুন পালক, যারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলার জীবন ও সমজের বিভিন্ন দিককে সমৃদ্ধ করেছিলেন।[] কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির পরিবেশ সাহিত্য, গান, চিত্রকলা ও নাটকে সমৃদ্ধ ছিল।[] ১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর (১৩২৮ বঙ্গাব্দের ৮ পৌষ) রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন এবং ১৯৫১ সালে এটি ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে।[]

ভূগোল

[সম্পাদনা]

শান্তিনিকেতন ২৩°৪১′ উত্তর ৮৭°৪১′ পূর্ব / ২৩.৬৮° উত্তর ৮৭.৬৮° পূর্ব / 23.68; 87.68 স্থানাঙ্কে অবস্থিত[১০] এবং এর গড় উচ্চতা ৫৬ মিটার (১৮৪ ফুট)। এলাকাটি অজয় নদকোপাই নদী দ্বারা আবদ্ধ। শান্তিনিকেতনে একদা গভীর অরণ্য ছিল কিন্তু মাটি ক্ষয়ের ফলে কিছু এলাকা খটখটে বলে মনে হয়। এটি স্থানীয়ভাবে খোয়াই নামে পরিচিত। তবে উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে ভারতের বাকি জায়গা থেকে উদ্ভিদ শান্তিনিকেতনের কিছু অংশে বিকশিত হয়। চারিদিকের এলাকার পরিবেশ সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত হলেও শান্তিনিকেতনের মূল অংশটি প্রকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।[১১]

দ্রষ্টব্য স্থল

[সম্পাদনা]

২০০৯ সালের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী শান্তিনিকেতন বছরে ১২ লাখ পর্যটককে আকর্ষিত করে।[১২]

শান্তিনিকেতন ভবন

[সম্পাদনা]

শান্তিনিকেতন ভবন আশ্রমের সবচেয়ে পুরনো বাড়ি। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬৪ সালে এই বাড়িটি তৈরি করিয়েছিলেন। বাড়িটি দালান বাড়ি। প্রথমে একতলা বাড়ি ছিল। পরে দোতলা হয়। বাড়ির উপরিভাগে খোদাই করা আছে সত্যাত্ম প্রাণারামং মন আনন্দং মহর্ষির প্রিয় উপনিষদের এই উক্তিটি। তিনি নিজে বাড়ির একতলায় ধ্যানে বসতেন। তার অনুগামীরাও এখানে এসে থেকেছেন। কৈশোরে বাবার সঙ্গে হিমালয়ে যাওয়ার পথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে কিছুদিন বাস করেন। ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয় স্থাপনের সময়ও রবীন্দ্রনাথ কিছুকাল সপরিবারে এই বাড়িতে বাস করেন। পরে আর কখনও তিনি এটিকে বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহার করেননি। এখন বাড়িটির সামনে রামকিঙ্কর বেইজ নির্মিত একটি বিমূর্ত ভাস্কর্য রয়েছে। শান্তিনিকেতন ভবনের অদূরে একটি টিলার আকারের মাটির ঢিবি আছে। মহর্ষি এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতেন। একসময় এই টিলার নিচে একটি পুকুরও ছিল।

উপাসনা মন্দির

[সম্পাদনা]

উপাসনা গৃহ বা ব্রাহ্ম মন্দির। ১৮৯২ সালে এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়। এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন থেকেই ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে প্রতি বুধবার সকালে উপাসনা হয়। মন্দির গৃহটি রঙিন কাচ দিয়ে নান্দনিক নকশায় নির্মিত। আর তাই স্থানীয় লোকজনের কাছে এটা কাচের মন্দির নামেও পরিচিত।

ছাতিমতলা

[সম্পাদনা]
ছাতিমতলা, পূর্ব দিক

মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন রায়পুরের জমিদারবাড়িতে নিমন্ত্রন রক্ষা করতে আসছিলেন তখন এই ছাতিমতলায় কিছুক্ষণ এর জন্য বিশ্রাম করেন এবং এখানে তিনি তার “প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তি” পেয়েছিলেন। তখন রায়পুরের জমিদারের কাছ থেকে ষোলো আনার বিনিময়ে ২০বিঘা জমি পাট্টা নেন। বর্তমানে ৭ই পৌষ সকাল ৭.৩০ ঘটিকায় এখানে উপাসনা হয়। কিন্তু সেকালের সেই ছাতিম গাছ দুটি মরে গেছে। তারপর ঐ জায়গায় দুটি ছাতিম গাছ রোপণ করা হয়। সেই ছাতিম তলা বর্তমানে ঘেরা আছে সেখানে সাধারনের প্রবেশ নিশেধ। দক্ষিণ দিকের গেটে “তিনি আমার প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তি” এই কথাটি লেখা আছে।

তালধ্বজ

[সম্পাদনা]
তালধ্বজ

"তালধ্বজ" শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীড়ভূম।

অনন্য সুন্দর গোলাকৃতির এই মাটির বাড়িটি শান্তিনিকেতন আশ্রমের সৌন্দর্যকে এক অন্য মাত্রা প্রদান করেছে। একটি তালগাছকে কেন্দ্র করে অপূর্ব পরিকল্পনায় এই বাড়িটি নির্মিত। তালগাছের পাতাগুলি 'ধ্বজা'র মত করে বাড়িটির উপরে শোভিত বলেই এর নাম "তালধ্বজ"। তেজশচন্দ্র সেন নামক এক বৃক্ষপ্রেমী এটির নির্মাতা॥

তিনপাহাড়

[সম্পাদনা]
তিনপাহাড়

দেহলী

[সম্পাদনা]
দেহলী

'দেহলী' আম্রকুঞ্জের ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত। বর্তমানে তা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর স্মরণে (মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা) নামকরণ করা হয়েছে। এটি শিশুদের পাঠশালা হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন বাড়ি

[সম্পাদনা]
নতুন বাড়ি

দেহলীর পাশেই যে খড়ের চালের বাড়ি রয়েছে তাকেই নতুন বাড়ি বলা হয়।

শালবীথি

[সম্পাদনা]
শালবীথি

আম্রকুঞ্জ

[সম্পাদনা]
আম্রকুঞ্জ

আম্রকুঞ্জ

মহারাজা মহতাব চাঁদ তার মালি রামদাস কে পাঠিয়ে এই বাগানের পত্তন ঘটান/রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তাকে এখানেই সংবর্ধিত করা হয়/তার বহু জন্মোত্সবও এখানেই পালিত হয়েছে/পাঠভবনের নিয়মিত ক্লাস হয় এখানে/বিশ্বভারতীর সমাবর্তনের অনুষ্ঠানও একসময় নিয়মিতভাবে এখানেই হত/এক কালে বসন্ত উত্সবও এখানেই অনুষ্ঠিত হয়/

সন্তোষালয়

[সম্পাদনা]

ঘণ্টাতলা

[সম্পাদনা]
ঘণ্টাতলা

শমীন্দ্র পাঠাগার

[সম্পাদনা]

১৯০৭ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি, বসন্তপঞ্চমীতে কবির কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, এখানেই ঋতুরঙ্গ নামে ঋতু উৎসবের সূচনা হয় যা 1930 এর দশকে কবির উদ্যোগে বসন্ত উৎসবে পরিণত হয়। শমী ঠাকুরের স্মৃতিতেই ভবনের নাম দেয়া হয় শমীন্দ্র পাঠাগার।

গৌরপ্রাঙ্গণ

[সম্পাদনা]

সিংহসদন

[সম্পাদনা]

পূর্ব ও পশ্চিম তোরণ

[সম্পাদনা]

চৈত্য

[সম্পাদনা]

দিনান্তিকা

[সম্পাদনা]

দ্বিজবিরাম

[সম্পাদনা]

কালোবাড়ি

[সম্পাদনা]

উত্তরায়ণ প্রাঙ্গণ

[সম্পাদনা]

শিল্পকীর্তি

[সম্পাদনা]
রামকিঙ্কর বেইজ নির্মিত রবীন্দ্র-ভাস্কর্য, শান্তিনিকেতন

নন্দলাল বসুর শিল্পকর্ম

[সম্পাদনা]

বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়-অঙ্কিত ভিত্তিচিত্র

[সম্পাদনা]

রামকিঙ্কর বেইজের ভাস্কর্য

[সম্পাদনা]

অন্যান্য শিল্পকর্ম

[সম্পাদনা]

শ্রীনিকেতন

[সম্পাদনা]

উৎসব-অনুষ্ঠান

[সম্পাদনা]

নববর্ষ ও রবীন্দ্র জন্মোৎসব

[সম্পাদনা]

ধর্মচক্র প্রবর্তন

[সম্পাদনা]

গান্ধী পুণ্যাহ

[সম্পাদনা]

রবীন্দ্র সপ্তাহ, বৃক্ষরোপণ ও হলকর্ষণ উৎসব

[সম্পাদনা]

স্বাধীনতা দিবস

[সম্পাদনা]

বর্ষামঙ্গল

[সম্পাদনা]

শিল্পোৎসব

[সম্পাদনা]

রাখীবন্ধন

[সম্পাদনা]

শারদোৎসব

[সম্পাদনা]

খ্রিষ্টোৎসব

[সম্পাদনা]

মহর্ষি স্মরণ

[সম্পাদনা]

পৌষ উৎসব

[সম্পাদনা]

মূল নিবন্ধ: পৌষমেলা

পৌষমেলা বা পৌষ উৎসব হল শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন অঞ্চলের প্রধান উৎসব।[১৩] দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষাগ্রহণ স্মরণে এই উৎসব পালিত হয়। উৎসব ও মেলা শুরু হয় প্রতি বছর ৭ পৌষ; চলে তিন দিন ধরে।[১৪]

বসন্তোৎসব

[সম্পাদনা]

শান্তিনিকেতনে সুশৃঙ্খল আনন্দগান ও নাচের অনুষ্ঠান। সকালে সবাই গাইছে, ‘‘ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল ...।’’ ধর্মের ছুঁতমার্গ, সামাজিক বিধিনিষেধ বা লোকাচারের বাড়াবাড়ি— এর কিছুই আসতে পারেনি রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে, শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসবে। এই উৎসব এখনও আন্তরিক, এখনও অমলিন আনন্দের উৎস।

১৯০৭ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি, বসন্তপঞ্চমীতে, শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, যে ঋতু উৎসবের সূচনা হয়, তারই পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত রূপ শান্তিনিকেতনের আজকের এই বসন্ত উৎসব বা বসন্তোৎসব। সরস্বতীর পূজার দিন শুরু হলেও পরবর্তী কালে সে অনুষ্ঠান বিভিন্ন বছর ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও তিথিতে হয়েছে। শান্তিনিকেতনের প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথের বিদেশযাত্রা বা অন্য আরও দিক মাথায় রেখে কোনও এক নির্দিষ্ট দিনে আশ্রমবাসী মিলিত হতেন বসন্তের আনন্দ অনুষ্ঠানে। [১৫]

শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসব

[সম্পাদনা]

দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ স্মরণ

[সম্পাদনা]

বর্ষশেষ

[সম্পাদনা]

অন্যান্য উৎসব

[সম্পাদনা]

যোগাযোগ

[সম্পাদনা]

শান্তিনিকেতন যেতে রেলপথ ও সড়কপথ একমাত্র মাধ্যম।

রেলপথে

[সম্পাদনা]

এখানে ২টি রেলস্টেশন রয়েছে। দক্ষিণভাগে বোলপুর শান্তিনিকেতন রেলওয়ে স্টেশন ও উত্তরভাগে প্রান্তিক। দুটি স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সম দূরত্বে অবস্থিত। বোলপুর তুলনামূলক ব্যস্ততম স্টেশন।

শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস প্রতিদিন হাওড়া ১২ নং প্লাটফর্ম থেকে ১০:১০ এ ছাড়ে। বোলপুর পৌঁছায় ১২:৩০ এ। ঐদিন বোলপুর থেকে দুপুর ১:১০ এ ছাড়ে। হাওড়া বিকেল ৩:৪০ এ পৌঁছায়।

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব

[সম্পাদনা]
  • মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭ - ১৯০৫) – ব্রাহ্ম শীর্ষনেতা ও জমিদার। ১৮৬৩ সালে শান্তিনিকেতনের গোড়াপত্তন করেন।
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১ – ১৯৪১) – দিকপাল বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সংগীতস্রষ্টা ও দার্শনিক। ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতন ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, কালক্রমে যা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ ধারণ করে।
  • অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১ - ১৯৫১) - প্রবাদপ্রতিম চিত্রকর ও ভাস্কর। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ।
  • ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় – ধর্মতত্ত্ববিদ, ব্রহ্মবিদ্যালয়ের স্বল্পকালীন শিক্ষক।
  • জগদানন্দ রায় – বিশ্বভারতীর গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষক।
  • বিধুশেখর শাস্ত্রী – সংস্কৃত পণ্ডিত, বিশ্বভারতীর বিশিষ্ট গবেষক।
  • হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়বঙ্গীয় শব্দকোষ গ্রন্থের প্রণেতা, শান্তিনিকেতনে বাংলা ও সংস্কৃতের শিক্ষক।
  • ক্ষিতিমোহন সেন – বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিদ। রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে একাধিক ভারতীয় ভাষা শিক্ষা করে বাংলা ও ভারতের লোকসাহিত্যের নানা নিদর্শন পুনরুদ্ধার করেন।
  • শিল্পাচার্য নন্দলাল বসু (১৮৮২ - ১৯৬৬) – বিশিষ্ট চিত্রকর ও ভাস্কর। শান্তিনিকেতনের অলংকরণে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল।
  • সুরেন্দ্রনাথ কর – বিশিষ্ট চিত্রকর। শান্তিনিকেতনের অঙ্কন শিক্ষক। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি বাড়ির নকশা অঙ্কন করেছিলেন।
  • রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর – রবীন্দ্রনাথের জ্যৈষ্ঠ পুত্র। বিশিষ্ট স্থপতি ও কৃষিবিজ্ঞানী। রবীন্দ্র-কীর্তি সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।
  • প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় – বিশ্বভারতীর অধ্যাপক। রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রামাণ্য জীবনীগ্রন্থ রবীন্দ্রজীবনী–র রচয়িতা। রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক আরও অনেক গ্রন্থও।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Pearson, WW.: Santiniketan Bolpur School of Rabindranath Tagore, illustrations by Mukul Dey, The Macmillan Company, 1916
  2. "ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন, ঘোষণা করল ইউনেস্কো"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-১৮ 
  3. Basak, Tapan Kumar, Rabindranath-Santiniketan-Sriniketan (An Introduction), p. 2, B.B.Publication
  4. Ghosh, Binoy, Paschim Banger Sanskriti, (বাংলা ভাষায়), part I, 1976 edition, pages 299-304, Prakash Bhaban, Kolkata
  5. "Visva Bharati"History। Visva Bharati। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৯ 
  6. {Citation|last=Hjärne |first=H|publication-date=10 December 1913|year=1913|title=The Nobel Prize in Literature 1913: Rabindranath Tagore—Award Ceremony Speech|publisher=Nobel Foundation|url=http://nobelprize.org/nobel_prizes/literature/laureates/1913/press.html%7Caccess-date=25 July 2019}}
  7. Deb, Chitra, Jorasanko and the Thakur Family, Pages 64-65, in Calcutta: The Living City, Volume I, edited by Sukanta Chaudhuri, Oxford University Press.
  8. Jorasanko and the Thakur Family by Chitra Deb in Calcutta, the Living City, edited by Sukanta Chaudhuri, Vol I, page 66
  9. "Visva Bharati"About Visva-Bharati। Visva Bharati। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৯ 
  10. Falling Rain Genomics, Inc - Santiniketan
  11. "Santiniketan" 
  12. "District Human Development Report: Birbhum, Chapter IV: Economic Opportunities and Security of Livelihood"Page 100: Tourism। Development & Planning Department, Government of West Bengal, 2009। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৯ 
  13. শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন: সংক্ষিপ্ত পরিচয়, অনাথনাথ দাস, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, পৃ. ৫৭
  14. শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন পরিচয়, কমলাপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়, সুবর্ণরেখা, শান্তিনিকেতন, পৃ. ৬২-৬৩
  15. "Dol" 

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  • রবীন্দ্রজীবনকথা; প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়; আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা; অগ্রহায়ণ, ১৩৮৮
  • শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন:সংক্ষিপ্ত পরিচয়; অনাথনাথ দাস; আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা; ১৯৮৮
  • শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন পরিচয়; কমলাপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়; প্রকাশক – সুতপা মুখোপাধ্যায়, গুরুপল্লী (দক্ষিণ), শান্তিনিকেতন; পরিবেশক – সুবর্ণরেখা, শান্তিনিকেতন, ১৪১৩ বঙ্গাব্দ

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

[সম্পাদনা]