আদি ব্রাহ্মসমাজ
ভারতীয় নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায় ১৮২৮ সালের ২০শে আগস্ট একেশ্বরবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। বেদান্ত ছিল তার ধর্ম সাধনার মূল ভিত্তি। ১৮৩৩ সালে তার মৃত্যুর পর দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এই দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ব্রাহ্মসমাজই পরবর্তীকালে আদি ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিত হয়।[১]
সূত্রপাত
[সম্পাদনা]১৮৫৮ সালে তরুণ কেশবচন্দ্র সেন ব্রাহ্মসমাজে যোগ দিলে এই একেশ্বরবাদী আন্দোলন বৃহত্তর আকার লাভ করে। কিন্তু দেবেন্দ্রনাথের সামাজিক রক্ষণশীলতার প্রশ্নে একমত না হলে নিজে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ (১৮৬৬) গঠন করেন এবং তখন থেকে দেবেন্দ্রনাথের নেতৃত্বাধীন ব্রাহ্মসমাজ 'আদি ব্রাহ্মসমাজ' নামে পরিচিতি লাভ করে।[২]
ধর্মমত
[সম্পাদনা]একেশ্বরবাদী হলেও দেবেন্দ্রনাথ মনে করতেন যে, ব্রাহ্মধর্ম হিন্দু ধর্মই , বরং হিন্দু ধর্মের বিশুদ্ধতম রূপ । তিনি মূর্তিপূজা ব্যতীত হিন্দু ধর্মের জাতিভেদ বা অপর কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাজি ছিলেন না। রামমোহন রায়ের আদর্শেই তিনি ও তার অনুগামীরা ধর্মীয় সংস্কারে ব্রতী হন।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ব্রাহ্ম আন্দোলন — বিবর্তন, বিভাজন, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা"। www.bengalstudents.com। ২০২১-০৮-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।
- ↑ তেজস্বিনী, দুর্গেশ (২০১৯-০৩-০৪)। "প্রথম ব্রাহ্মসমাজ মন্দির ও একটি বাড়ি"। বঙ্গদেশ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।
- ↑ "ব্রাহ্মসমাজ"। onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২৯।