কাপাসিয়া উপজেলা
কাপাসিয়া | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে কাপাসিয়া উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৭′ উত্তর ৯০°৩২′ পূর্ব / ২৪.১১৭° উত্তর ৯০.৫৩৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | গাজীপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৫৬.৯৮ বর্গকিমি (১৩৭.৮৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৩,২১,৪৫৪ |
• জনঘনত্ব | ৯০০/বর্গকিমি (২,৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৬.৪১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৩৩ ৩৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
কাপাসিয়া বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।[১]
নামকরণ
[সম্পাদনা]সংস্কৃত ও হিব্রু ভাষায় তুলার অপর নাম কার্পাস। হিন্দি ভাষায় কার্পাস। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদিত হতো। প্রচুর পরিমাণে কার্পাস বা তুলা উৎপাদন হওয়ায় এই স্থানের নাম করা হয় কাপাসিয়া। [২]
অবস্থান ও আয়তন
[সম্পাদনা]এ উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪.১০° উত্তর অক্ষাংশ ও ৯০.৫৭° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। অবস্থান উত্তরে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা, দক্ষিণে কালীগঞ্জ উপজেলা ও নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলা, পূর্বে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলা ও শিবপুর উপজেলা, পশ্চিমে শ্রীপুর উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
[সম্পাদনা]এ উপজেলায় মোট ১১ টি ইউনিয়ন রয়েছে।
- কাপাসিয়া ইউনিয়ন
- তরগাঁও ইউনিয়ন
- রায়েদ ইউনিয়ন
- সিংহশ্রী ইউনিয়ন
- বারিষাব ইউনিয়ন
- টোক ইউনিয়ন
- কড়িহাতা ইউনিয়ন
- সনমানিয়া ইউনিয়ন
- ঘাগটিয়া ইউনিয়ন
- দূর্গাপুর ইউনিয়ন, কাপাসিয়া
- চাদঁপুর ইউনিয়ন, কাপাসিয়া
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কাপাসিয়া উপজেলা একটি প্রাচীন জনপদ। এ জনপদের ভূমি গঠিত হয়েছে ২৫ লক্ষ বছর আগে। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকে এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তুলা উৎপাদিত হতো। উল্লেখযোগ্য প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম একডালা দুর্গ উপজেলা সদর হতে ৫ কি.মি. দূরে কালী বানার, শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত। অনুমান করা হয় ৬০০ খ্রিঃ কোন হিন্দু রাজা এ দুর্গটি নির্মাণ করেন। এর দৈর্ঘ্য ৫ কি.মি., প্রস্থ ২ কি.মি.। পান্ডুয়ার শাসনকর্তা হাজী শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ দুর্গটি ১৩৪২ খ্রিঃ হতে ১৩৫২ খ্রিঃ সময়ে সংস্কার করেছিলেন। পৌনে দু‘শ‘ বছর পর ১৫১৮ খ্রিঃ হতে ১৫৩২ খ্রিঃ আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র নাসির উদ্দিন শাহ পুনরায় দুর্গটি সংস্কার করেন। রায়েদ ইউনিয়নে কালী বানার নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত দ্বার-ই দরিয়া (দরদরিয়া) দুর্গ ছিল একডালা দুর্গের শাখা দুর্গ। মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে রাজা টোডরমল এ অঞ্চলকে ভাওয়াল পরগণায় অন্তর্ভুক্ত করেন। ব্রিটিশ রাজত্বের সময় কাপাসিয়া থানা ২৮টি ইউনিয়ন ছিল বলে জানা যায়। ১৯২৪ সালে কাপাসিয়া থানাকে কালিগঞ্জ ও শ্রীপুর থানায় বিভক্ত করা হয়। ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় কাপাসিয়া থানা। ১৫-১২-১৯৮২ সালে কাপাসিয়া থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। [২] এই উপজেলার মোট আয়তন ৩৫৬.৯৮ব:কি:মি:।
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]আদমশুমারী ২০১১ অনুসারে মোট জনংখ্যা ৩,২১,৪৫৪। পুরুষ – ১,৬২,৩০৩ এবং মহিলা – ১,৫৯,১৫১।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]কাপাসিয়া উপজেলায় শিক্ষার হার – ৫৬.৪১%। পুরুষ- ৫৭.৩৫% এবং মহিলা – ৫৫.৪৭%।
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৪০।
- রেজিষ্টার্ড বেসরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৭টি।
- আন রেজি: বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ০১টি।
- কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ০৭টি।
- ক্লাষ্টার সংখ্যা ০৮ টি।
(ঘ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ০৭ টি।
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৪টি।
- স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসার সংখ্যা ৩০টি।
- মাদরাসার সংখ্যা ৬৭টি।
- কারিগরি কলেজের সংখ্যা ০৩টি।
- কারিগরি বিদ্যালয় ও মাদরাসার সংখ্যা ০৪টি।
- মহাবিদ্যালয়ের সংখ্যা ০৬টি।
- উপবৃত্তিভূক্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কলেজ-৯, স্কুল-৬৫, মাদরাসা-৬৬।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]প্রগতি কো-অপারেটিভ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, সংক্ষেপে, প্রগতি ব্যাংক কাপাসিয়া উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক।[৩]
বর্তমানে কাপাসিয়ায় মোট ব্যাংক আছে ৬টি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]সড়ক পথে ঢাকা থেকে ফুলবাড়িয়া ও মহাখালী বাসষ্টেন্ড থেকে কাপাসিয়াগামী বাস সিএনজি,পাওয়া যায়, যেগুলো চান্দনা চৌরাস্তা ও রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা হয়ে কাপাসিয়া উপজেলায় যাতায়াত করে।
নৌপথে ঢাকা হতে শীতলক্ষ্যা নদী পথে কাপাসিয়া উপজেলায় যাতায়াত করা যায়। রেলপথে কমলাপুর রেলস্টেশন হতে রাজেন্দ্রপুর স্টেশনে নেমে সড়ক পথে কাপাসিয়া উপজেলায় যাতায়াত করা যায়।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
[সম্পাদনা]- তাজউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
- হান্নান শাহ, বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
- ফকির আবদুল মান্নান শাহ: সাবেক মন্ত্রী
- তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী।
- এডভোকেট নাদিম মাহমুদ প্রধান - বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবক
- এম এ কাদের সরকার, সাবেক সচিব।
- ফকির শাহাবুদ্দীন: রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী।
- আবদুল বাতেন খান (বীর প্রতীক), বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
বিবিধ
[সম্পাদনা]- মসজিদের সংখ্যা ৫৮৯ টি।
- মন্দিরের সংখ্যা ০৭ টি।
- ডাকঘরের সংখ্যা ২৮ টি।
- টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিস ০১ টি।
- সিনেমা হলের সংখ্যা ০১ টি।
- নবনির্মিত ইউপি কমপ্লেক্স ০৫টি
- জনসংখ্যার ঘনত্ব ৯০০ প্রতি কিঃ মিঃ।
- আদিবাসীর সংখ্যা ৭৩২৮ জন।
- ধর্মাবলম্বীর হার মুসলমান- ৯৪% এবং হিন্দু – ৫.৬%
- জেলা থেকে দূরত্ব ৩১কি:মি:।
- রাজধানী থেকে দূরত্ব ৬৫ কি:মি:।
- নদীর সংখ্যা ০৩ টি।
- ডাকবাংলোর সংখ্যা ০২ টি।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "কাপাসিয়া উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ১০ আগস্ট ২০১৪। ৩ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ "এক নজরে কাপাসিয়া উপজেলা গাজীপুর জেলা তথ্য বাতায়ন"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ "পরিচিতি"। প্রগতি কো-অপারেটিভ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড। ২০১৪-০২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |