বিষয়বস্তুতে চলুন

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৬′৩০″ উত্তর ৮৯°০৩′১৯″ পূর্ব / ২৩.৭৭৪৯৭৫৮° উত্তর ৮৯.০৫৫১৭২৪° পূর্ব / 23.7749758; 89.0551724
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশর অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন।[][] জেলা সদরের ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামে অবস্থিত বলে গ্রামের নাম অনুসারে এই মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ। মসজিদটি নির্মাণে ইট, পাথর, বালি ও চিনামাটি ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতি শুক্রবারে এখানে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ধর্মীয় মনবাসনা পূরনের উদ্দেশ্যে আসে। এই জন্য প্রতি শুক্রবারে এখানে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মেলার আয়োজন করা হয়।

ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
শাখা/ঐতিহ্যমুঘল আমলে নির্মিত মসজিদ
জেলাকুষ্টিয়া জেলা
মালিকানাবাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর
অবস্থান
অবস্থানঝাউদিয়া, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা
দেশ বাংলাদেশ
ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ
বাংলাদেশে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২৩°৪৬′৩০″ উত্তর ৮৯°০৩′১৯″ পূর্ব / ২৩.৭৭৪৯৭৫৮° উত্তর ৮৯.০৫৫১৭২৪° পূর্ব / 23.7749758; 89.0551724
স্থাপত্য
ধরনমুঘলীয় স্থাপত্য
বিনির্দেশ
দৈর্ঘ্য১৪.২৬ মিটার
প্রস্থ৪.৬ মিটার
গম্বুজসমূহ
উপাদানসমূহচুন, সুরকি

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ঝাউদিয়া মসজিদ সম্পর্কে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত তবে এর সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় না। জনশ্রুতি অনুসারে, ইরাকের শাহ সুফি আদারি মিয়া ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে আস্তানা তৈরি করেন ও তিনিই এ সময় এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। তবে, প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এটাও মনে করা হয় যে, মসজিদটি অলৌকিকভাবে তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা এটাও মনে করেন মসজিদের পাশেই উক্ত সুফি সাধকের কবর রয়েছে।

বর্তমান মসজিদটির দ্বারপ্রান্তে এটি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় তৈরি করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি সম্পর্কেও প্রত্নতাত্ত্বিক কোন নথি পাওয়া যায়নি। ১৯৬৯ সালে এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাতে নথিভুক্ত করা হয়েছিল।[] প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চুক্তি অনুযায়ী এটি ঝাউদিয়া গ্রামের জনৈক হাসান আলী চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যগণ তত্ত্বাবধান করে আসছেন। তবে বর্তমানে মসজিদটি সরাসরিই বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পরিচালনা করে থাকে।

অবকাঠামো

[সম্পাদনা]

ঝাউদিয়া মসজিদটির মূল অবকাঠামোতে তিনটি গম্বুজ ও চারকোণায় চারটি অনতিউচ্চ মিনার রয়েছে।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Zahurul Islam, Kushtia (২০১৬-০৫-২১)। "Jhaudia Shahi Mosque in Kushtia"Bangladesh Pratidin। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৪ 
  2. Al-Amin Islam Nasim, Kushtia representative (২০২৩-০৬-১৬)। "Jhowdia Mosque in Kushtia"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৪ 
  3. "Traditional mosque of Kushtia district"The Dainik Janata। ২০২০-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-২৩ 

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  • মোঃ রেজাউল করিম (ডিসেম্বর ২০২২)। কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন। ৩৮/২ক বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: গতিধারা। পৃষ্ঠা ১৩৬–১৪১। আইএসবিএন 978-984-8950-41-8 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]