বিষয়বস্তুতে চলুন

কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস বধ্যভূমি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস বধ্যভূমি কুষ্টিয়া শহরে অবস্থিত একটি বধ্যভূমি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি অন্যতম ঘাঁটি ছিল।[১][২]

অবস্থান[সম্পাদনা]

বধ্যভূমিটি কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় কুষ্টিয়া পুলিশ লাইসনে অবস্থিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে যশোরথেকে মেজর শোয়েব-এর নেতৃত্বে ২৭ বালচু রেজিমেন্ট-এর প্রায় দুইশ পাকিস্তানি সৈন্য এসে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস ও আড়য়াপড়ায় ওয়ারলের্স কার্যালয়ে ঘাটি স্থাপন করে।[২]

পাক-সেনারা বিহারী ও রাজাকারদের সহায়তায় সন্দেহভাজন বাঙালিদের কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে ধরে নিয়ে আসতো। ধরে এনে তাদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালাত। পা ঝুলিয়ে প্রহার করা হতো, হাত-পায়ের আঙুলে আলপিন ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। যাঁদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, তাদেরকে রাজাকার ও বিহারীদের কাছে হস্তান্তর করত। এসব মানুষকে নিয়ে যাওয়া হতো পার্শ্ববর্তী রেললাইনের নির্জন স্থানে। তারপর তারা গুলি চালিয়ে, জবাই করে হত্যা করতো।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আবু সাঈদ (২০১৯-১২-২১)। "একাত্তরে কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরে পাকিস্তান বাহিনীর গণহত্যা ছিল ভয়াবহ"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৯ 
  2. ইমাম মেহেদী, গণমাধ্যমকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক। "মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স"চাতাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-০৯