কুষ্টিয়া পৌর জাদুঘর
পূর্ব নাম | সতীশ সাহার কাছারি বাড়ি |
---|---|
স্থাপিত | ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৭ |
অবস্থান | গির্জানাথ মজুমদার সড়ক, কুষ্টিয়া |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫৪′৩৭″ উত্তর ৮৯°০৭′২০″ পূর্ব / ২৩.৯১০২৯৮০° উত্তর ৮৯.১২২২৬৬৫° পূর্ব |
ধরন | প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর |
কুষ্টিয়া পৌর জাদুঘর কুষ্টিয়া শহরে অবস্থিত একটি জাদুঘর। ১৯৯৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর জাদুঘরটি যাত্রা শুরু করে। কলকাতা পৌরসংস্থার তৎকালীন মেয়র প্রসন্ত চ্যাটার্জী জাদুঘরটি উদ্ভোধন করেন। পূর্বে জাদুঘরটি কুষ্টিয়ার জমিদার সতীশ সাহার কাছারি ঘর ছিল।[১]
অবস্থান
[সম্পাদনা]জাদুঘরটি কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকায় কুষ্টিয়া পৌরসভার কার্যালয়ে অবস্থিত। ভবনের-
- পূর্ব দিকে রয়েছে বিজয় উল্লাস ভাস্কর্য
- পশ্চিম দিকে কুষ্টিয়া পৌর ভবন অবস্থিত
- দক্ষিণ দিকে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি অবস্থিত
- উত্তর দিকে মহাম্মদ আব্দুর রহিম মিলনায়তন অবস্থিত
ইতিহাস
[সম্পাদনা]জাদুঘরটি পূর্বে সতীশ সাহার কাছারি ঘর ছিল। তিনি তার জমিদারির কার্যক্রম এখানে পরিচালনা করতেন। ভবনটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত কিন্তু সঠিক নির্মাণ সাল জানা যায় না। ভবনটি ১৯৬৬-১৯৯৭ পর্যন্ত কুষ্টিয়া পৌরসভার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতো। ১৯৯৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভবনটিতে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
জাদুঘর ভবনের গঠন
[সম্পাদনা]জাদুঘর ভবনটি একতলা বিশিষ্ট। ভবনটি ইউরোপীয় স্থাপত্য-নকশায় নির্মিত। তবে ভবনটির পেডিমেন্টের উপরের মুকুট ও প্যারাপেটের নকশা ভারতীয় রীতিতে নির্মিত।
সংগ্রহশালা
[সম্পাদনা]জাদুঘরে ১৫টি দেশের কাগজের মুদ্রা, ভারতবর্ষের ব্রিটিশ আমল, মুঘল ও সুলতানি আমলের ধাতব মুদ্রা, টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন, বিভিন্ন মন্দিরের অলংকরণে ব্যবহৃত টেরাকোটা ফলক, কালো রঙের গ্রানাইট পাথরের কৃষ্ণমূর্তি, ছোট আকৃতির যুগল বিগ্রহ, কালো পাথরের একটি প্লেট এবং একটি গামলা। শতবর্ষী পুরনো একটি কলিং বেল, ফেলে পাথরের একটি যাঁতা, একটি পকেট ঘড়ি, একটি হামান দস্তা, একটি পুরাতন কম্পিউটার, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন বেশ কয়েকটি পত্রিকা এবং কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের মোট ৩২টি বাঁধানো ছবি জাদুঘরে স্থান পেয়েছে।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]গ্রন্থপঞ্জিকা
[সম্পাদনা]- মোঃ রেজাউল করিম (ডিসেম্বর ২০২২)। কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন। ৩৮/২ক বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: গতিধারা। পৃষ্ঠা ৬৮–৭২। আইএসবিএন 978-984-8950-41-8।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ মোঃ রেজাউল করিম (ডিসেম্বর ২০২২)। কুষ্টিয়ার প্রত্ননিদর্শন। ৩৮/২ক বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: গতিধারা। পৃষ্ঠা ৬৮–৭২। আইএসবিএন 978-984-8950-41-8।